জিয়াউর রহমানই স্বাধীন সংবাদপত্রের পথ অবারিত করেছেন: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া
শেয়ার
জিয়াউর রহমানই স্বাধীন সংবাদপত্রের পথ অবারিত করেছেন: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ
ছবি: কালের কণ্ঠ

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশে স্বাধীন সংবাদপত্রের পথ অবারিত করেছেন। বাকশালী শাসনামলে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করার পর জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেন। সংবাদমাধ্যম অবারিত করে তিনিই প্রথম সংবাদপত্রের দ্বার উন্মোচন করেছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, শহীদ জিয়া ক্ষমতায় না আসলে সাংবাদিক হতে পারতাম না; সাংবাদিক নেতাও হতে পারতাম না; সর্বোপরি আজকের এই সম্মানজনক জায়গাটুকুও পেতাম না। 

তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মুক্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে রাখতে হবে। চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি নতুন দেশ পেলেও আমরা এখনও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারিনি। ফ্যাসিবাদের দোসররা গণমাধ্যমে এখনো ঘাপটি মেরে আছে।

সুযোগ পেলেই তারা দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট একটি সাংবাদিক কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান। অসুস্থ, বেকার, অসচ্ছল ও অসুবিধাগ্রস্ত সাংবাদিকদের কল্যাণের লক্ষ্যেই কাজ করবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট।

সরকারের বাজেট এবং ব্যাংকে জমানো কিছু অর্থ থেকে এই অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে এই প্রতিষ্ঠানটিকে শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দল, মতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সকল সাংবাদিকের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করছে। 

তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা কঠিন বাস্তবতার মধ্যে জীবন যাপন করেন। কখনও এমন হয়, তার চিকিৎসার জন্য ঔষধ কেনার টাকা থাকেনা।

এ দফায় বগুড়ায় ২৩ জন সাংবাদিক ও ১৩ জন সাংবাদিক সন্তান শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছে। সাংবাদিক সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স এ পর্যন্ত পর্যায়ে দেশে ৩০৫ জন বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, যেন এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে। একজন সাংবাদিক জীবনের শেষ পর্যন্ত ঢেলে দিয়ে কাজ করেছেন, সেই সাংবাদিককে যেন মাসিক ভাতার আওতায় আনা যায়, সেলক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে প্রায়। পবিত্র রমজান উপলক্ষে সারাদেশে দেড় হাজারেরও অধিক সাংবাদিককে ফুড প্যাকেট উপহার দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই সাংবাদিকদের জন্য ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হবে।

জেলার সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা মানেই ঝুঁকিপূর্ণ জীবন। তাই সাংবাদিক কেবলমাত্র একটি পেশা নয়, তারা সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ সেবাদানকারি।

ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, সাংবাদিকতা পেশা শারীরিক ও মানুষিক ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। যারা বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে ৯ টা ৫ টা কাজ করেন, তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করেন একজন সাংবাদিক। জীবনে সর্বোচ্চ ঝুঁকি থাকলেও নেই ঝুঁকি ভাতা, নেই মানসম্মত বেতন-বোনাস। তবুও অদ্যাবধি এই দেশে সেভাবে স্বীকৃতি মিলছেনা সাংবাদিকতার।

অনুষ্ঠানের সভাপতি বগুড়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) তার বক্তব্যে বলেন, আমরা নতুন সুন্দর যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সেই দেশ গড়তে সাংবাদিকদের অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে এবং গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে। সাংবাদিকদের জন্য ডাটাবেজ তৈরি করে ট্যালেন্ট হান্ট করে পুরস্কৃত করা প্রয়োজন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজার সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গণেশ দাস ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সাঈদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বগুড়া প্রেসক্লাবের আহবায়ক ওয়াসিকুর রহমান বেচান, সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, দৈনিক বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রেজাউল হাসান রানু, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মতিউল ইসলাম সাদীসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আলু নিয়ে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতারা

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আলু নিয়ে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক লীগের নেতারা
ছবি: কালের কণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় আদালতের জারি করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে কৃষকদের মালিকানাধীন জমির ফসল (আলু) তুলে নিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার (১৫ মার্চ) হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর এলাকায় এ কাজ করেন তারা।  

এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনাও ঘটে। এ সময় ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশকে জানান ভুক্তভোগী কৃষকরা।

তখন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফারুক আহমদ পান্না জড়িতদের মদদ দিচ্ছেন। 

স্থানীয় সূত্র ও থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, হাজীপুর ইউনিয়নের সাধনপুর গ্রামে বাড়উগাঁও মৌজায় বিভিন্ন দাগে দুই একর কৃষি জমি চাষ করেন কৃষক মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, আব্দুল বাছিত বাচ্চু, আব্দুল গফুর, আব্দুস শহীদ, আব্দুল মন্নান, আব্দুল আজিজ, ফয়সল মিয়া গং। তাদের কৃষি জমি থেকে কয়েক দফায় ফসল (আলু) তুলে নিয়ে যান হরিচক গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর রহমান (৩৫), দুই নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিস মিয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়ছর মিয়া (৪০)।

তাদের নেতৃত্বে সহযোগী শাহিন মিয়া, আব্দুস সালাম সুরুজ, আব্দুর রশীদ, ছবদর আলী, আকমল ও ওয়াজিদ গং ছিল। 

এ ঘটনায় ভূমি দখলের অভিযোগ এনে ২৭ ফেব্রুয়ারি কৃষক মুহিবুর রহমান বাদী হয়ে ফজলুর গংয়ের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় আদেশ অনুযায়ী উভয়পক্ষকে বিরোধপূর্ণ ভূমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মুহিত মিয়া ১৪৪ ধারার নোটিশ জারি করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ফজলুর ও কয়ছর গং শনিবার সকালে মুহিবুর গংদের কৃষি জমিতে জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করে কয়েক লাখ টাকার আলু তুলে নিয়ে যান।

 

১১ মার্চ দুপুরে ফজলুর গং লুৎফুর রহমান সুমনসহ স্থানীয় কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে মাটি কেটে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার কারণ জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হন লুৎফুর। 

পরে ফজলুর গংয়ের বিরুদ্ধে কুলাউড়া থানায় অভিযোগ করেন লুৎফর। অন্যদিকে অবাধে মাটি কাটা ও কৃষি জমি থেকে ফসল আলু তোলার বিষয়ে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলায় মুহিবুর ছেলে মাহবুব হোসাইন (৩০) আহত হন।

মুহিবুর রহমান, নাইওর মিয়া, লুৎফুর রহমানসহ আরো অনেক কৃষক বলেন, 'প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের দোসর ফজলুর ও কয়ছর গং আমাদের মৌরসি জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মনু নদীর চর এলাকায় আমাদের জমিতে আলুসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করি।

জমি থেকে ফসল উত্তোলনের সময় আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বাঁধা দেয় তারা। ওই ঘটনায় কুলাউড়া থানা ও আদালতে মামলা করি। পরে আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষরা ফসলি জমি থেকে প্রায় ৪০০ মণ আলু তুলে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমাদের হাজীপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতা পান্না প্রতিপক্ষদের মদদ দিচ্ছেন।' 

ফজলুরকে একাধিকবার কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে কয়ছর তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'আমরা কেন কৃষকদের জমি থেকে আলু তুলব এবং মাটি বিক্রি করব। ঠিকাদার মাটি আনছে ডিসি খতিয়ানের জমি থেকে এবং কিছু মাটি কৃষকদের টাকা দিয়ে আনছে।'  

অভিযোগ অস্বীকার করে পান্না বলেন, 'আসন্ন হাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ মহল আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। যারা কৃষকদের জমি থেকে ফসল ও মাটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি।' 

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন সরকার বলেন, ঠিকাদার যদি কৃষকদের জমি থেকে ক্ষতিপূরণ ছাড়া মাটি নিয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আর কৃষকের জমির মালিকানা থাকলে তাকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুহিত মিয়া বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ থাকায় আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারার নোটিশ দিয়েছি। নোটিশ ভঙ্গকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।  

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপছার বলেন, আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করে কৃষকদের জমি থেকে ফসল তুলার অভিযোগ পেয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন বলেন, কৃষকদের মালিকানাধীন জমি থেকে এভাবে কেউ মাটি কেটে নিতে পারবে না। কৃষকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য
চুনারুঘাট

মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম, থানায় মামলা

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম, থানায় মামলা
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগৃহীত ছবি

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় সর্বত্র নিন্দা প্রকাশ করছে জনতা। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছেন সবাই।

আজ রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে হবিগঞ্জ আদালতে স্বপ্রনোদিত হয়ে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন চুনারুঘাটের সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আমীন। বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন।

আসামিরা হলেন- চুনারুঘাট উপজেলার আসামপাড়া গ্রামের আব্দুল মোতালিব মাস্টার, তার তিন ছেলে বকুল মিয়া, মকুল মিয়া ও শেকুল মিয়া।

আরো পড়ুন
ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৫, ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও

ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৫, ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নুরুল আমিনের পক্ষে ফি ছাড়াই মামলাটির দায়িত্ব নেন অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান। শুনানিতে ২০/২৫ জন আইনজীবী বক্তব্য উপস্থান করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নেন।

মামলা বাদী সাংবাদিক নুরুল আমিন জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে আব্দুল মোতালিব মাস্টারের হুকুমে তার তিন সন্তান পিটিয়ে জখম করেন।

এ ঘটনার একটি ভিডিও ওই দিন সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই হামলাকারীরা দোকানপাট লাগিয়ে পালিয়ে যান। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।

আরো পড়ুন
মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

 

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন কোনো মানুষের সঙ্গে কারো শত্রুতা থাকতে পারে না। এই ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। বিজ্ঞ বিচারক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। আসামিদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’

চুনারুঘাট থানার ওসি নুরে আলম বলেন, ‘গ্রেপ্তারি ইস্যুর খবর জানতে পেরেছি।

পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

মন্তব্য

ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি : গ্রেপ্তার ২, লুণ্ঠিত ট্রাকসহ রড উদ্ধার

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি : গ্রেপ্তার ২, লুণ্ঠিত ট্রাকসহ রড উদ্ধার
ছবি : কালের কণ্ঠ

সাভারের আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ট্রাক ও রড উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানার চয়ড়া, বাঘাবাড়ী গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকার মো. নূরে আলম (৪৮)।

এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন সাভারের ব্যাংকটাউন এলাকায় এবং মো. নূরে আলম হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ী এলাকায় থেকে ডাকাতি করে আসছিল।

আরো পড়ুন

মোহাম্মদপুরে চাপাতি দিয়ে দুই তরুণকে পেটানো কিশোর আশিকসহ গ্রেপ্তার ৪

মোহাম্মদপুরে চাপাতি দিয়ে দুই তরুণকে পেটানো কিশোর আশিকসহ গ্রেপ্তার ৪

 

পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ ভোরে আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর বুড়িরটেক ময়লার সামনে একটি প্রাইভেট কারে অজ্ঞাতনামা চারজন ব্যক্তি ডিবি পুলিশের কটি পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আরআরএম কম্পানির বিভিন্ন সাইজের ১৪ টন রডভর্তি ট্রাকের চালককে সিগন্যাল দিয়ে থামায়। তারা ট্রাকচালক ও হেলপারের হাত-পা ও চোখ বেঁধে প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে প্রাইভেট কারে থাকা অপর দুই ব্যক্তি ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়।

 

এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল হাসান রডভর্তি লুণ্ঠিত ট্রাক ও ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে। পরবর্তী সময়ে গত ১৩ মার্চ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ভাওয়াল বন্দের ঘাটের পাবনা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাঠের গোডাউনের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন

মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

 

এরপর কেরানীগঞ্জ, মানিকগঞ্জসহ সাভার, আশুলিয়ার বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় মো. আনোয়ার হোসেন এবং মো. নূরে আলম নামে দুই ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী লুণ্ঠিত রড উদ্ধার করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন

৪ মাসে বেনাপোল দিয়ে ১৯ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় চাল আমদানি

৪ মাসে বেনাপোল দিয়ে ১৯ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় চাল আমদানি

 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির বলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত ট্রাক ও রড উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতদের ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

মন্তব্য

মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
মসজিদের চাঁদা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১
ফাইল ছবি

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে নির্মাণাধীন মসজিদের উন্নয়নে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে আজাহার আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ মার্চ) ইফতারের আগে উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের ছোট সগুনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অনন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন।  

বেলকুচি থানার ওসি জাকেরিয়া হোসেন জানান, ছোট সগুনা গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের নির্মাণকাজ চলছে। গ্রামবাসীর কাছ থেকে মসজিদের উন্নয়নে চাঁদা উত্তোলন করাকে কেন্দ্র করে গ্রামের আলাউদ্দিন গ্রুপ ও কারিমুল গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই জের ধরে শনিবার ইফতারের পূর্বমুহূর্তে দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১০ জন আহত হন।

ওসি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন গ্রুপের কৃষক আজাহার আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ