বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির।
শনিবার বিকেলে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা গ্রুপের সামনে থেকে ভুয়া মেজরসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা একাধিক মানুষের সঙ্গে মামলা বাণিজ্য এবং তদবির কথা বলে প্রতারণা করেছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার জয়মন্টব গ্রামের শেখ মজিবর রহমানের ছেলে মো. এ কে এম আমিনুর রহমান (মেজর) (৫৩) ও তার গাড়ির ড্রাইভার শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী তানার রানী শিমুল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৫০)। এ ঘটনায় শাহিনুল হক নামের একজন পলাতক রয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মার্জিনা ইয়াসমিন ডলি (৪৫) নামের একজন এনজিওকর্মীর কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আমিনুর। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান তিনি।
কয়েকদিন পর আবারও ফোন করে আট লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আমিনুর জানান, তার ভগ্নিপতি শাহিনুল হকও সেনাবাহিনীর সেকেন্ড কমান্ড হিসেবে দায়িত্বে আছেন।
১৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে ফোন করে চাঁদার বাকি টাকা নিয়ে সাভারের মজিদপুর এলাকার পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে যেতে বলেন আমিনুর। তার কথামতো ওই এনজিওকর্মী ও তার প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. আলমাছ (৫২) পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে ভুয়া মেজরকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমিনুর ও তার গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটোরোলা ওয়াকি-টকি সেট, সেনাবাহিনীর ফোর স্টার ক্যাপ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) লোগো বিশিষ্ট স্টিকার ও একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির জানান, গ্রেপ্তাররা প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। শনিবার বিকেলে পাকিজা গার্মেন্টসের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার হয়। রবিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।