মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার

মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মেহেরপুরের বিবাহিত মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৫ মার্চ) গ্রেপ্তারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানায়, ২৮ ফেব্রুয়ারি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন ভুক্তভোগী। ওই দিন রাতে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত।

বাবার এ ধরনের কাজে জ্ঞানশূন্য হয়ে নিজেকে ছয় দিন পর্যন্ত ঘরবন্দি করে রাখেন ভুক্তভোগী। পরে তার মাকে বিস্তারিত বলেন। ভুক্তভোগী তার মাকে আরো জানান, এর আগেও আসামি তার শরীরে হাত দিত কিন্তু লজ্জায় বলতে পারেনি। 

পুলিশ আরো জানায়, ১৪ মার্চ গাংনী থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ১৪ মার্চ রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার সকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চম্পার জন্য কাঁদছেন বাবু!

জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
চম্পার জন্য কাঁদছেন বাবু!
সংগৃহীত ছবি

২০১৬ সালে ঘর বেধেছিলেন জামালপুরের চম্পা খাতুন ও সুলাইমান বাবু। তাদের সংসারে দুই সন্তান। ছেলের বয়স সাড়ে ৯ বছর আর মেয়ের বয়স সাড়ে ৪ বছর। এরইমধ্যে তছনছ হয়ে গেল তাদের সংসার।

সম্প্রতি স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে নতুন ঠিকানায় পাড়ি জমিয়েছেন চম্পা। 

জানা যায়, জামালপুরের মেলান্দহের গৃহবধূ চম্পা খাতুন এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে আইনুল নামের এক যুবকের সঙ্গে বেড়িয়ে যান তিনি।

আরো পড়ুন
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা এলাকার মোতালেব হোসেনের ছেলে আইনুলের সঙ্গে একই এলাকার দুই সন্তানের জননী চম্পা খাতুনের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল।

এর আগেও তাঁদের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে গ্রাম্য সালিশ হয়েছে। 

গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে ৩ টার দিকে চম্পা খাতুনকে নিয়ে পালিয়ে যান আইনুল। এরপর থেকে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

স্ত্রীর এমন কাণ্ডে কাঁদছেন স্বামী সুলাইমান বাবু।

সার্বিক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মামাতো ভাই আইনুলের সাথে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল। এর আগেও তাঁকে কয়েকবার হাতেনাতে ধরেছিলাম। দুই সন্তানের দিকে তাকিয়ে তাকে মেনে নিয়েছি। গতকাল শনিবার রাতে সেহেরির সময় টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। এসময় নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ স্বর্ণলংকার নিয়ে গেছে’

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, বাদী থানায় এসেছিলেন।

এখনো অভিযোগ করেননি। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চুরি-হারানো ৮৪ মোবাইল মালিককে বুঝিয়ে দিল পুলিশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেয়ার
চুরি-হারানো ৮৪ মোবাইল মালিককে বুঝিয়ে দিল পুলিশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

হারিয়ে যাওয়া ও চুরি-ছিনতাই হওয়া ৮৪টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল। এ সময় প্রতারণার মাধ্যমে খোয়া যাওয়া ৬৪ হাজার টাকাও প্রকৃত মালিকের কাছে ফেরত দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

 

আজ রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া উপস্থিত থেকে প্রকৃত মালিকদের কাছে এসব মোবাইল বুঝিয়ে দেন।

এ সময় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলের উপপরিদর্শক খালিদ হাসান ও সহকারী উপপরিদর্শক ইখলাচুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা

 

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগ ও জিডির ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে মোবাইলগুলো উদ্ধার করা হয় ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সহায়তায় খোয়া যাওয়া টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মন্তব্য

খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...

পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে মালামাল চুরি, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য সুমন বেপারীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

সুমন বেপারী উপজেলার সেউতিবাড়িয়া গ্রামের মৃত ফজলুল হক বেপারীর ছেলে। 

জানা যায়, কয়েকদিন আগে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাড়াখালি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের ঘরে খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে ঘরের মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় বাদশা হাওলাদার বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মারুফ হোসেন জানান, অচেতন করে চুরির ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞান পার্টির এক সদস্যকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য

সাভারে মেজর পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাভারে মেজর পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ২
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ চাঁদা দাবির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৬ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির। 

শনিবার বিকেলে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাকিজা গ্রুপের সামনে থেকে ভুয়া মেজরসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা একাধিক মানুষের সঙ্গে মামলা বাণিজ্য এবং তদবির কথা বলে প্রতারণা করেছে বলে জানায় পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার জয়মন্টব গ্রামের শেখ মজিবর রহমানের ছেলে মো. এ কে এম আমিনুর রহমান (মেজর) (৫৩) ও তার গাড়ির ড্রাইভার শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী তানার রানী শিমুল গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নুর মোহাম্মদ (৫০)। এ ঘটনায় শাহিনুল হক নামের একজন পলাতক রয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মার্জিনা ইয়াসমিন ডলি (৪৫) নামের একজন এনজিওকর্মীর কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আমিনুর। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওই নারীর বাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান তিনি।

কয়েকদিন পর আবারও ফোন করে আট লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আমিনুর জানান, তার ভগ্নিপতি শাহিনুল হকও সেনাবাহিনীর সেকেন্ড কমান্ড হিসেবে দায়িত্বে আছেন।

১৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে ফোন করে চাঁদার বাকি টাকা নিয়ে সাভারের মজিদপুর এলাকার পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে যেতে বলেন আমিনুর। তার কথামতো ওই এনজিওকর্মী ও তার প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিন ম্যানেজার মো. আলমাছ (৫২) পাকিজা নিট কম্পোজিট গার্মেন্টস কারখানার সামনে ভুয়া মেজরকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। 

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির আল আহসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমিনুর ও তার গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করেন।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটোরোলা ওয়াকি-টকি সেট, সেনাবাহিনীর ফোর স্টার ক্যাপ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) লোগো বিশিষ্ট স্টিকার ও একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়। 

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিনুর কবির জানান, গ্রেপ্তাররা প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। শনিবার বিকেলে পাকিজা গার্মেন্টসের সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার হয়। রবিবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ