গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় আলীফ গ্রুপের পর তিনটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে শ্রমিকরা কারখানার গেটে এসে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখতে পেয়ে মূল ফটকের সামনেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। বন্ধ কারখানাগুলো হলো— স্বাধীন গার্মেন্টস, স্বাধীন ডাইং ও স্বাধীন প্রিন্টিং।
আরো পড়ুন
রংপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার
গতকাল বুধবার (১৯ মার্চ) স্বাক্ষরিত কারখানা বন্ধের নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩/১ ধারা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) থেকে কারখানার সব কার্যক্রম (নো ওয়ার্ক, নো পে) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
নোটিশে আরো বলা হয়, গত সোমবার (১৭ মার্চ) থেকে (১৯ মার্চ) বুধবার পর্যন্ত কারখানার সব শ্রমিক সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে ধর্মঘট করে কাজ বন্ধ রাখেন। যার ফলশ্রুতিতে কারখানা অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এমতাবস্থায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয় বিধায় স্বাধীন গার্মেন্টস, স্বাধীন ডাইং এবং স্বাধীন প্রিন্টিং (প্রা.) লিমিটেড কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলো।
আরো পড়ুন
হাসিনাকে আ. লীগ নেতার গান শোনানোর অডিও ভাইরাল, বিএনপির বিক্ষোভ
শ্রমিকরা জানান, কয়েকদিন ধরেই বাৎসরিক ছুটির ভাতা, ঈদ বোনাস ও চলতি মাসের অর্ধেক বেতনের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান না দিয়ে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। সামনে ঈদ, অন্য কারখানার শ্রমিকরা যখন কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত তখন আমরা টাকার জন্য কর্তৃপক্ষের পেছন পেছন ঘুরছি।
কারখানা কর্তৃপক্ষ না থাকায় এ বিষয়ে কারো বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা কিছুদিন ধরে কয়েকটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন।
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধান না করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে শ্রমিকরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন।’
আরো পড়ুন
‘রিজার্ভ না বাড়ার ৪ কারণ’ পোস্টে শেয়ার করলেন আসিফ নজরুল
এদিকে এক কর্মকর্তার পদত্যাগ এবং ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন ইউটা গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বুঝিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে নেয়। পরে শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন।
জয়দেবপুর থানার ওসি আবদুল হালিম বলেন, ‘ইউটা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।’