গাইবান্ধা ফুলছড়িতে ভিজিএফ চালের বস্তা লুটপাটের ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন উদাখালি ইউপি চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।
এই মামলার আসামিরা হলেন দক্ষিণ উদাখালী গ্রামের ময়নাল প্রধানের ছেলে এনামুল হক (৪২), দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের নাজির হোসেন হেলালের ছেলে আনিছুর রহমান (৪০), বটের ভিটা গ্রামের চুসা মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আলী (৩৫) ও দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মজিবর রহমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এ বছর গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালি ইউনিয়ন পরিষদে গত বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ এর চাল বিতরণ চলছিল। এ সময় ট্যাগ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন।
তিনি তার প্রত্যয়নপত্রে উল্লেখ করেছেন ওই দিন ৪ হাজার ৭৮টি স্লিপের বিপরীতে ৪০ দশমিক ৭৮০ মেট্রিক টন চাল বিতরণের কথা ছিল। যা ১৩৫৯টি বস্তায় রাখা ছিল।
এর মধ্যে ১৩৩৪টি বস্তা বিতরণ শেষ হয়। এরপর বিকাল ৩টার সময় একদল লোক গোডাউনের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই ভিজিএফ চালের বস্তা লুট করা শুরু হয়। পরবর্তীতে ১০০-১৫০ মানুষ চাল রাখা গোডাউনের ভেতরে প্রবেশ করে এবং মেঝেতে পড়ে থাকা ২৫ বস্তা চাল লুট করে, যে যার মতো নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় গত রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার ৩ নং উদাখালী ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান আল-আমিন আহমেদ বাদী হয়ে গাইবান্ধা জেলা জজ কোর্টের ফুলছড়ি আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে ফুলছড়ি উদাখালি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দাবি এটি একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা।
এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মামলার বাদী আল-আমিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, যারা চালের বস্তা লুটপাট করেছেন তারা সকলেই ফুলছড়ির উদাখালি ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মী। সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে এসব লুটপাট চালানো হয়।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, এর আগে ১ হাজার স্লিপ দাবি করেন এই দুই নেতা। স্লিপ না দেওয়ায় তারা এরকম ঘটনা ঘটান।
ফুলছড়ি উদাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই মামলাটি একটি সাজানো মামলা। তারা এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।