গত কয়েক দিন অনুশীলন নিয়ে লুকোচুরি খেলেছে ভারত জাতীয় দল। অনুশীলনে গণমাধ্যমের প্রবেশ তো নিষিদ্ধ ছিলই, এমনকি স্টেডিয়ামের আশপাশে থাকারও অনুমতি মেলেনি। অবশেষে গতকাল জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারতের অনুশীলন দেখার সুযোগ মিলল। সেটাও আবার মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য।
এই সময়ে অবশ্য সুনীল ছেত্রী-লিস্টন কোলাসোরা গা গরমেই ব্যস্ত ছিলেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁদের কৌশল কেমন হবে বা কোন ফর্মেশনে খেলবেন, সেটা জানার কোনো সুযোগ হয়নি। খুব বাজে সময় পার করা ভারত দিশা খুঁজে পাওয়ার মিশনে আছে বলেই এমন পন্থা বেছে নিয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপকে হারালেও আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে আসল পরীক্ষায় নামছে স্বাগতিকরা।
তবে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের এই ম্যাচে তাদের ভীষণ ভাবনায় ফেলে দিয়েছেন বাংলাদেশের হামজা চৌধুরী। ভারতের কোচ মানালো মার্কেস সরাসরি সে কথা স্বীকার না করে নিলেও হামজাকে নিয়ে প্রশংসা
করেছেন স্প্যানিশ এই কোচ। শুধু বাংলাদেশ নয়, হামজার আগমন এশিয়ার জন্যও দারুণ সুখবর বলছেন মানালো মার্কেস, ‘আমি মনে করি সে ভালো ফুটবলার। সে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, এখন তার দল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে, কিন্তু তারাও লিগে উঠবে। আমি মনে করি, তার মতো একজন খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের হয়ে খেলা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এশিয়ার ফুটবলের জন্যও ভালো।’
মাঠের খেলায় হামজা কতটা প্রভাব রাখবেন, সেটা এখনই বলতে পারছেন না মার্কেস। তবে সতীর্থরা নিশ্চিত অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বলছেন তিনি, ‘আমি যেটা অনুভব করতে পারছি, ওর সতীর্থরা তার সঙ্গে খেলতে অনুপ্রেরণা পাবে, মাঠের খেলায় এটার কী প্রভাব পড়বে, তা অবশ্য আমি জানি না।’ গত বছরের জুনে মার্কেস দায়িত্ব নেওয়ার পর মালদ্বীপ ম্যাচের আগে ভারত গোল করেছে স্রেফ একটি। হেরে যায় তিনটি ম্যাচেই।
আক্রমণভাগে গোলখরা কাটাতেই সুনীল ছেত্রীকে ফেরান মার্কেস। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) স্থানীয়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ গোল করে দারুণ ছন্দে ছিলেন ছেত্রী। জাতীয় দলের এমন বাজে সময়ে কোচের ডাক আর উপেক্ষা করতে পারেননি ৪০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। কেন তাঁকে ফেরানো হয়েছে তার প্রমাণ দিয়েছেন মালদ্বীপ ম্যাচে গোল করে। ভারতও জিতেছে ৩-০ গোলে। আজও বাংলাদেশের বিপক্ষে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন ছেত্রী।