বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ভাইয়ের

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
বোনের বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ভাইয়ের
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ইউসুফ আলী (৩৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকালে উপজেলার আজমপুর গ্রামের আনোখালি মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী উপজেলার পান্তাপাড়া ইউনিয়নের ঘুগরী গ্রামের আব্দুর সোবহান পটুয়ারির ছেলে। 

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার দিকে ঘুগরী পান্তাপাড়া গ্রামের সোহবান পাটুয়ারীর ছেলে ইউসুফ আলী আজমপুর ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছিল।

সেসময় আজমপুর গ্রামের আনুখালির মাঠের একটি খেজুর গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন।

মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়েজ উদ্দিন মৃধা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় ইউসুফ আলী নামের একজন মোটরসাইকেল চালক নিহতের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চট্টগ্রাম

ঈদের দিন সকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের দিন সকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৫

চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৬ জন। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার জাঙ্গালিয়া মাজার গেট এলাকায় সৌদিয়া পরিবহনের বাসের সঙ্গে একটি মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

পরে খবর পেয়ে লোহাগড়া ফায়ার স্টেশনের ১টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয়ও জানা যায়নি।

মন্তব্য

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত ষাট গম্বুজ মসজিদে

বাগেরহাট, প্রতিনিধি
বাগেরহাট, প্রতিনিধি
শেয়ার
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত ষাট গম্বুজ মসজিদে

এ বছরও বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন।

দর্শনার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জাও করা হয়েছে মসজিদ প্রাঙ্গণে। ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদে প্রতিবারের মতো এবারও বাগেরহাটের ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মসজিদে ঈদের তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, দ্বিতীয় জামাত ৮টা ১৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বশেষ জামাত ৯টায় হবে।

আরো পড়ুন
সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করলেন খালেদা জিয়া

সাত বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করলেন খালেদা জিয়া

 

ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের ইমামতি করবেন খানজাহান আলী (রহ.) মাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা খালিদ। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ষাট গম্বুজ মসজিদের ভারপ্রাপ্ত ইমাম নাসির উদ্দিন।

তৃতীয় ও শেষ জামাতে ইমামতি করবেন ষাট গম্বুজ মাদরাসার প্রভাষক ও মৌলভীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাসুম বিল্লাহ। 

বাগেরহাটের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের কাস্টোডিয়ান মো. যায়েদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যায়েদ বলেন, বাগেরহাট জেলার প্রধান ঈদের নামাজ ষাট গম্বুজ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদে মোট তিনটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ দর্শনার্থীদের জন্য দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি মসজিদ এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের আনন্দ আরও বৃদ্ধি পাবে।

আরো পড়ুন
জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল

 

তিনি আরো বলেন, ষাট গম্বুজ মসজিদে ঈদের জামাতের মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট জোনের ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম জানান, সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।

দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট জোন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুই শিফটে ডিউটি করে থাকেন।

এছাড়া ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান (রহ.) মাজার মসজিদে, শহরের আলিয়া মাদরাসা, নাগেরবাজার খানজাহানীয়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদসহ বাগেরহাট পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান, ফিরলেন সেই ইমাম

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় প্রস্তুত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান, ফিরলেন সেই ইমাম
সংগৃহীত ছবি

সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ। দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য প্রস্তুত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। এবার ১৯৮তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হবে।

এতে ইমামতি করবেন ১৫ বছর আগে রাজনৈতিক কারণে বাদ দেওয়া ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ। মুসল্লিদের জন্য থাকছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার মুসল্লি আরো বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সাজানো হয়েছে সব আয়োজন।

ঈদের দিন ঈদগাহে আসার প্রতিটি রাস্তায় থাকবে তল্লাশিচৌকি। মোতায়েন থাকবে বিপুলসংখ্যক র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য। সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করবেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। থাকবে সেনাসদস্যদের বিশেষ টহল।
তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে। সব মিলিয়ে দেড় হাজারের ওপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন উপস্থিত থাকবেন।

আরো পড়ুন
যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

যেভাবে একটি অন্যায়ের সম্মিলিত প্রতিবাদ হলো

 

মাঠে নজরদারির জন্য ইতিমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে ছয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এ ছাড়া ঈদ জামাতের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যামেরাযুক্ত শক্তিশালী চারটি ড্রোন মুসল্লিদের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করবে। তিনটি আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মেটাল ডিটেক্টরের তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করানো হবে।

ঈদগাহে মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ ও জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে ছাতা, ব্যাগ ও অন্যান্য ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকছে।

মুসল্লিদের বিশ্বাস, বড় জামাতে অংশ নিলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এমন বিশ্বাস থেকে ঈদের দিন মুসল্লিদের ঢল নামে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। কয়েক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন একসঙ্গে। পুরো এলাকা জমসমুদ্রে পরিণত হয়। শোলাকিয়ার ঈদ জামাত সবার কাছে বাড়তি আনন্দ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে, শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইমাম নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কের অবসান ঘটিয়েছে পরিচালনা কমিটি। ১৫ বছর আগে রাজনৈতিক কারণে বাদ দেওয়া আলোচিত ও সবার গ্রহণযোগ্য ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহকে ফেরানো হয়েছে। তিনি এবার ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন। 

এ প্রসঙ্গে ইমাম মুফতি আবুল খায়ের মুহাম্মদ ছাইফুল্লাহ বলেন, ‘ইমামতি ফিরে পেয়ে আমি খুশি। আশা করি ভবিষ্যতে আর কেউ ধর্মীয় বিষয় নিয়ে জোর জবরদস্তি করবে না। এবার জামাতে এক লাখ নতুন মুসল্লি যুক্ত হবে।’ 

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস

আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় ঐতিহ্য ও রেওয়াজ অনুযায়ী জামাত শুরুর আগে পরপর তিনবার বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুড়ে এ ময়দানে শুরু হবে ঈদুল ফিতরের জামাত। শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ রোডে শোলাকিয়া এক্সপ্রেস নামে দুটি স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।

জায়নামাজ এবং মোবাইল ছাড়া কোনও কিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ না করার জন্য মুসল্লিদের উৎসাহিত করছে প্রশাসন। র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নাইমুল হাসান বলেন, ‘নিরাপত্তা জোরদার করতে পোশাকের পাশাপাশি সাদাপোশাকেও র‍্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নাশকতাকারী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, পকেটমার, মলম পার্টিসহ অন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করবো। ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, এর মাধ্যমে আমরা সার্ভিলেন্স করবো।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, ‘ঈদ জামাতকে ঘিরে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। এখানে ছয় লাখের ওপরে মুসল্লি হয়। এবার মুসল্লির সংখ্যা বাড়তে পারে। সে অনুযায়ী নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার, চারটি ড্রোন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া সাদাপোশাকে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। আশা করি, নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে ঘরে ফিরতে পারবেন।’

আরো পড়ুন
জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ৭০০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করার সুযোগ পান। মাঠের ভেতর জায়গার সংকুলান না হওয়ায় মূল মাঠের তিন পাশের রাস্তাঘাট, আশপাশের বাড়িঘরের ছাদ, উঠান, নরসুন্দা নদীর পাড়সহ বিভিন্ন জায়গায় আরও শত শত মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। ‘কিশোরগঞ্জের ইতিহাস-ঐতিহ্য’ বইয়ে উল্লেখ আছে, মোগল আমলে এখানকার পরগনার রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল শ লাখ টাকা, মানে এক কোটি টাকা। কালের বিবর্তনে শ লাখ থেকে বর্তমান শোলাকিয়া হয়েছে। অন্য আরেকটি বিবরণে রয়েছে, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে ঈদগাহটি একসময় শোয়ালাকিয়া ঈদগাহ মাঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। 

মন্তব্য

আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি : সারজিস
ছবি: কালের কণ্ঠ

আওয়ামী লীগের সময়ে মানুষ স্বস্তিতে ঈদ করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। রবিবার (৩০ মার্চ) চেম্বার ভবনে জাতীয় নাগরিক পার্টি পঞ্চগড়ের আয়োজনে ইফতার মাহফিল শেষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, এবার ঈদ হবে অন্যরকম একটি ঈদ। এর আগের ঈদগুলোতে আওয়ামী লীগ থেকে একটি ন্যারিটিভ সেট করে দেওয়া হতো।

ঈদের যে আলাদা একটা ঐতিহ্য আছে সেই ঐতিহ্য নিয়ে ঈদ পালিত হতো না। আওয়ামী লীগের দেশে ও দেশের বাইরের কিছু এজেন্সি ও কিছু মানুষ একটা ন্যারিটিভ সেট করে দিত। ঈদের ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ মোডিফাই করা হতো। 

এবারের ঈদের সবচেয়ে বড় স্পেশাল জায়গাটি হচ্ছে কেউ আপনাকে কোনো ন্যারিটিভ সেট করে দেবে না।

আপনি আপনার মতো করে ঈদটা পালন করতে পারবেন। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ শুধু তাদের মতো করে ঈদটা করতে পারত। অন্য সকল রাজনৈতিক দল মামলা হামলা এসবের ভয়ে কখনো পরিবারের সঙ্গে শান্তি মতো ঈদ করতে পারত না। নতুন এই বাংলাদেশ এবার এমন একটি স্বস্তির ঈদ উদযাপিত হবে যেখানে অনেকে এমন আছেন যারা ১৬ বছরে এই প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন।
তাই এবার ঈদের অভিজ্ঞতা হবে নতুন নতুন। 

আমরা এখন জাতীয় নাগরিক পার্টির স্বপ্ন মানুষের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। প্রত্যেকটি সময় মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমরা মনে করি জনগণ রায়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে। 

অনলাইনে নির্বাচনের প্রচার ছিল সময়ের দাবি।

তবে এই বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে কেউ সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ায় মানুষের বিরুদ্ধে এমন কোনো তথ্য ছড়ায় যা তার সম্মানহানি করে বা বিভ্রান্তিকর তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার উপযুক্ত বিধি বিধান থাকতে হবে। এটা না থাকলে যে কেউ যেকোনো সময় মানুষকে হেনস্থা করতে পারবে। আমরা মনে করি একটি সুস্থ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার প্রচারণা চলবে। কেউ আমার দলের নয় বলেই তার বিরোধীতা করতে হবে এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। যদি সমালোচনার প্রয়োজন হয় তবে যেন আমরা যৌক্তিক সমালোচনা করি। স্থানীয় পর্যায়ে রাজনৈতিক দলের নেতারা একজন আরেকজনের মুখ দর্শন করে না এমনও আছে। এই ট্যাবু ভাঙতে হবে। পারস্পরিক সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ যত জোরদার হবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচার তত ভালো হবে।

পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা যে যেখানে আছি। দল গোছানোর কাজ করছি। আমি সংগঠক হিসেবে আমার এলাকায় কাজ করছি। কে কোন আসনে প্রার্থী হবে তা আমার দল নির্বাচনের আগে দলীয় ফোরাম ঠিক করবে। সেই ফোরাম যদি আমাকে পঞ্চগড়-১ আসনের জন্য নির্ধারণ করে সেটি বা যদি অন্য আসনের জন্য নির্ধারণ করে তবে সেটি। এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য কে কোথায় নির্বাচন করবে সেটি নয় আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নকে জাতীয় নাগরিক পার্টির ব্যানারে সংগঠিত করা যাতে নতুন বাংলাদেশের জনগণের রায় নিয়ে আমরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ