৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
নাটোর সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক। ছবি : সংগৃহীত

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সংকট দূর করতে নতুন করে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ইতোমধ্যে বিসিএসের মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশনে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিসিএস থেকে আরো সাড়ে ৩ হাজার চিকিৎসক নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একাডেমিক পদায়নের জন্য সুপার নিউমারি পদ সৃষ্টি করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ২৫০ শষ্যার নাটোর সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মোহাম্মদ আবু জাফর এসব তথ্য জানান।

আরো পড়ুন
কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ভারতীয় চোরাকারবারি নিহত

 

এ সময় মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্বাস্থ্য কার্ড দিয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত ৪০ জনকে দেশের বাহিরে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। তবে সর্বিক ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব অর্পণ করেছে।

এর আগে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক সদর হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। রোগীদের সমস্যা এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি। এ ছাড়া চিকিৎসকসংকট নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

আরো পড়ুন
সিলেটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিল, গ্রেপ্তার ৮

সিলেটে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের মিছিল, গ্রেপ্তার ৮

 

এ সময় স্বাস্থ্য বিভাগের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ডাক্তার হাবিবুর রহমান, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার সভাপতি ডাক্তার আমিনুল ইসলাম, নাটোর সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডাক্তার আনিছুজ্জামান পিয়াস, নাটোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিদেশে নয় ভাগ্য বদলেছে দেশে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিদেশে নয় ভাগ্য বদলেছে দেশে

২০১৪ সালে ওমানে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এক বছরের মাথায় দেশে ফিরে আসেন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ছিদ্দিকুর রহমান। পরের বছর ভাগ্য ফেরাতে যান মালদ্বীপে। সেখানেও বেশি সুবিধা না করতে পেরে, দেশে এসে করতেছেন কৃষি কাজ। এতেই ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে ছিদ্দিকের।

২০০ শতাংশ জমিতে করলা, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা মরিচ, লাউ ও আলু চাষ করেন ছিদ্দিকুর রহমান। এসব জমিতে প্রায় বারো মাসেই হয় সবজি চাষ। এসব সবজি গ্রামের চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে। এতে বছরে তার আয় প্রায় দুই লক্ষ টাকা।

 

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

কুমিল্লায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ

কুমিল্লা (উত্তর) ও মুরাদনগর প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) ও মুরাদনগর প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় শ্রমিক নেতা গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লা জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখার সভাপতি হাজী ইদ্রিসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ  বাস স্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লাহসহ আন্তঃজেলার সকল রুটের বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছে কুমিল্লার জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখা। পরে দুপুরে শ্রমিকরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

হঠাৎ করে বাস বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।

সকালের রাস্তায় বের হয়ে গন্তব্যের বাস না পেয়ে আটোরিকশা-ভ্যানে রওনা দিতে হয়েছে তাদের। এর আগে গত শনিবার দুপুরে উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ইদ্রিস মিয়াকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশ। 

আরো পড়ুন
চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

 

গ্রেপ্তারের বিষয়টি পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে জানাজানি হলে শ্রমিকরা কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লার বাস চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে পরিবহন শ্রমিক ও নেতারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ-মুরাদনগর-নবীনগর সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে সমাবেশ করে।

কুমিল্লার জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন কোম্পানীগঞ্জ শাখার সাধারণ সম্পাদক ভিপি সেলিম বলেন, ‌‌‘কোম্পানীগঞ্জ বাজারের যানজট নিরসনে বাস-মালিক সমিতি বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু শ্রমিক নিয়োগ দেয়। যার খরচ বাস মালিক সমিতি বহন করে থাকেন। দায়িত্বে থাকা লাইনম্যান আবুল কালামকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালিক শ্রমিকদের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

সেই মামলায় পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও শ্রমিকদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে শ্রমিকরা সকল প্রকার বাস বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছে। যদি অনতি বিলম্বে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ গ্রেপ্তারদের মুক্তি দেওয়া না হয় আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

মন্তব্য

পলাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা, র‌্যাবের জালে ৩ আসামি

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
পলাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা, র‌্যাবের জালে ৩ আসামি
সংগৃহীত ছবি

নরসিংদীর পলাশে পূর্ববিরোধের জেরে নৃশংসভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় আত্মগোপনে থাকা পলাতক ৩ আসামিকে রাজবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শনিবার দিবাগত রাতে র‌্যাব-১১ এর সিপিএসসি নরসিংদী ক্যাম্প এবং র‌্যাব-১০ এর ফরিদপুর ইউনিটের যৌথ অভিযানে রাজবাড়ী সদর থানার শানদিআরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

রবিবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার উপপরিচালক মেজর সাদমান ইবনে আলম।

গ্রেপ্তারা হলেন, এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামি পলাশ উপজেলার ভাগদী এলাকার লাল মিয়ার ছেলে বাদল মিয়া (৪৫), ৭ নম্বর আসামি একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে সিফাত (২০) ও অজ্ঞাতনামা আসামি আমীর আলীর ছেলে ওয়াহেদ আলী (৬০)।

র‌্যাব জানায়, এজাহারনামীয় আসামিদের সঙ্গে মামলার বাদীর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩১ মার্চ ভোর ৫ টায় পলাশের ঘোড়াশাল পৌরসভার ভাগদী এলাকার নিয়াজুর বাড়ির সামনে চোর সন্দেহে আসামি অজ্ঞাত একজন ব্যক্তিকে মারধর করছিল। তখন বাদীর ছেলে হাসিবুল ইসলাম রাকিব (২৫) ঘটনাস্থলে গিয়ে বলে-ওকে মারছেন কেন? অপরাধ করলে পুলিশে খবর দেন। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা বাদীর ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করে জখম করে এবং হত্যার হুমকি দিলে রাকিব ভয়ে বাড়িতে চলে যায়।

 

র‌্যাব জানায়, একইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাকিব তার বাবা মো. আসাব উদ্দিন ও ছোট ভাই শাকিবসহ (২০) স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে তাকে মারধর করার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করতে ভাগদী এলাকায় নিয়াজুর বাড়ির সামনে পৌঁছালে এজাহারনামীয় আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামি পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাপাতি, রামদা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক, লোহার রড, ছেনিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে রাকিব, শাকিব ও তাদের বাবা আসাব উদ্দিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। 

এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং রাকিবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এ ঘটনায় পলাশ থানায় একটি হত্যা মামলার পর থেকে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।

 

এ ঘটনায় গত শনিবার দিবাগত রাতে রাজবাড়ী সদর থানার শানদিআরা এলাকায় কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার উপপরিচালক মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের পলাশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
 

মন্তব্য

চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
আসাদুল করিম মামুন, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)
শেয়ার
চৈত্রের শেষ প্রহরে খনার মেলার উদ্বোধন কেন্দুয়ায়

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় গ্রামীণ ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রত্যন্ত গ্রামে খনার মেলা শুরু হয়েছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) ভোরে উপজেলা গড়াডোবা ইউনিয়নে আঙ্গারোয়া গ্রামে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ এ মেলার উদ্বোধন করেন। ১৩ এপ্রিল সূর্যোদয় থেকে পরদিন ১৪ এপ্রিল সূর্যোদয় পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টাব্যাপী দিন-রাত চলবে এই আয়োজন। 

মঙ্গল ঘর নামের একটি সংগঠনসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মিডিয়া কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান কুল এক্সপোজার এ মেলার আয়োজন করেছে।

 

বাংলা ১৪৩১-কে বিদায় জানাতে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা কবি সাহিত্যিকের উর্বর ভূমি ও ময়মনসিংহে গীতিকার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা কেন্দুয়ার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে এই আয়োজন করা হয়েছে। 

খনার ওপর বিশেষ আলোচনাপর্বে 'জল ভালা ভাসা, মানুষ ভালা চাষা'  প্রতিপাদ্যের আলোকে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন লেখক গবেষক পাবেল পার্থ, প্রাকৃতিক কৃষি আন্দোলনের সংগঠক দেলোয়ার জাহান, কবি আহমেদ নকিব, লেখক সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক বাকী বিল্লাহ, শিল্পী ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক বিথী ঘোষ, কবি আসমা বিথী, সংস্কৃতি বিষয়ক সংগঠক আবুল কালাম আজাদ, লোক সাহিত্য গবেষক বাবু রাখাল বিশ্বাস, চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়ক রহমান জীবন, মঙ্গলঘর পরিসরের প্রধান সংগঠক বদনূর চৌধুরী লিপন প্রমুখ। 

মেলায় উপস্থিত থেকে প্রখ্যাত বাউলশিল্পী সুনীল কর্মকার, প্রবীণ কৃষক বাউল মিয়া হোসেন, বাউল শিল্পী শেফালী গায়েন, শিল্পী কফিল আহমেদসহ অনেকে গান পরিবেশন করবেন। 

এ ছাড়াও কৃষ্ণকলি ও তার দল, সংগঠন সমগীত, ব্যান্ড সহজিয়া, মুসা কলি মুকুল, নূপুর সুলতানা, মঙ্গলঘরের শিল্পী কৃষক দুদু কাঞ্চনসহ আরো অনেকেই গান পরিবেশন করবেন।

 

আয়োজনে বয়াতি পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান, লাঙ্গল, কোপিবাতি, বিন্দা, মাটির পাত্র, বাঁশের তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্রসহ গ্রামের ঐতিহ্যের সকল কিছু এখানে তুলে ধরা হয়। তবে মেলা বলতে সাধারণত নানা পণ্যের পসরা বোঝালেও এই মেলা সেই মধ্যে মেলা নয়। এখানে কথা-গানের ভরপুর আয়োজন চলে। আর সেই কথায় বা গানে গানে গ্রামীণ চিরায়ত চিত্র ফুটে উঠেছে।

বয়াতিরা নিজেদের ভাষায় পালা গানের মাধ্যমে তুলে ধরেন এই গ্রামীণ সংস্কৃতি। খনার মেলার মূল প্রতিপাদ্যই ছিল  'জল ভালা ভাসা, মানুষ ভালা চাষা'। অর্থাৎ কৃষি উপজীব্যকে সামনে তুলে আনতেই এমন আয়োজন।

আর এই আয়োজনে গ্রামে বেড়াতে আসা বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি-পেশার মানুষও উপস্থিত থেকে ঈদ এবং বৈশাখের ছুটির আনন্দ উপভোগ করেছে। শুধু গ্রামের মানুষই নয় জেলা ছাড়াও ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন অনেকেই।

বিভিন্ন শিল্পীরাও পরিবেশন করেছেন স্থানীয় বাউল সাধকদের গান। এ ছাড়াও স্থানীয় বয়াতিরা পালা গান, জারি গান, কেচ্ছা গান পরিবেশন করে। সবাই মিলে গ্রামীণ খাবার খেয়েছেন মাটির পাত্রে। পুরনো আসবাবপত্র তুলে ধরা হয় নতুন প্রজন্মকে চিনিয়ে দিতে।

খনার মেলায় ময়মনসিংহ থেকে আসা রুবিনা আক্তার বলেন, এই যে গ্রামে এই সময়ে আনন্দ করছে মানুষ, এটাই তো হারিয়ে গিয়েছিল। এটি আবারো  জাগ্রত হলে আবার গ্রামে ফিরবে মানুষ।

এই খনার মেলায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত শিল্পকলা ও নাট্যকলা শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শুনেছি গত বছরও এ আয়োজন হয়েছিল। খনাকে নিয়ে আয়োজন এটা দ্বিতীয়বারের মতো। আমরা চাই প্রতিবছর আয়োজনটি বড় পরিসরে হোক এবং গ্রামের ঐতিহ্য ধরে রাখুক। 

মেলা উদযাপন কমিটির উদ্দোক্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বছর থেকে আঙ্গারোয়া গ্রামে তারা এ মেলা শুরু করেছে। মেলার আয়োজন করতে পেরে তাদের এক দরনের নতুন অনুভূতি ও আত্মতৃপ্তির সৃষ্টি হয়। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কবি ও সংস্কৃতিকর্মী ছাড়াও নানা শ্রেণির মানুষজন আসে।  

প্রধান আয়োজক গড়াডোবা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদনূর চৌধুরী লিপন জানান, মঙ্গল ঘর নামে তাদের একটি মাত্র কক্ষ রয়েছে যেখানে প্রতিদিন আড্ডা হয়। এ সকল আড্ডায় ভালো ভালো চিন্তা বেরিয়ে আসে। আর সেখান থেকেই এই খনার মেলার আয়োজন। এ বছর দ্বিতীয়বারে মতো এমন আয়োজনে স্থানীয় গ্রামের মানুষ আনন্দ নিচ্ছে এটাই অনেক বড়। বিশেষ করে খনার বচন এখন আর শোনাই যায় না। এগুলো নতুন প্রজন্ম শুনবে এবং ধারণ করবে। খনার বচনের সাথে প্রকৃতির সকল কিছু মিশে আছে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ