নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে মেশিন বিস্ফোরণ, দুই শ্রমিক দগ্ধ

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে মেশিন বিস্ফোরণ, দুই শ্রমিক দগ্ধ
সংগৃহীত ছবি

নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে একটি কারখানার মেশিন বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই শ্রমিক দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ওই দুই শ্রমিক হলেন- সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনাখুলি গ্রামের রমজান আলী (২২) ও  জেলা সদরের পঞ্চপুকুর গ্রামের খায়রুল ইসলাম (২১)। ইপিজেডের সনিক বিডি লিমিটেড নামে খেলনা তৈরির একটি কারখানায় তারা রাত্রিকালীন শিফটে কর্মরত ছিলেন।

তাদের প্রথমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শ্রমিক জানায়, রাতের শিফটে কাজ শুরু হলে একটি মেশিনের বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় দুই শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হয়।

তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে তারা জানান। ঘটনার সময় কারখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে।

উত্তরা ইপিজেডের জিএম মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সাংবাদিকদের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

১৩৪ কোটি টাকা খরচেও পানিশূন্য কংস নদ

মাজহারুল ইসলাম মিশু
মাজহারুল ইসলাম মিশু
শেয়ার

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে জামালপুরের নালিতাবাড়ী পর্যন্ত কংস ও ভোগাই নদীর ১৫৫ কিলোমিটার খনন প্রকল্প হাতে নেয় বিআইডব্লিউটিএ। ব্যয় ধরা হয় ১৩৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। প্রকল্প অনুযায়ী, নদী দুটির প্রশস্ততা ৮০ থেকে ১০০ ফুট এবং শুকনো মৌসুমে গভীরতা ৮ থেকে ১০ ফুট হওয়ার কথা। কাগজে-কলমে কাজও শেষ।

তবে ইতিমধ্যে পানিশূন্য কংস নদ! 

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কয়েকশ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক লামাপাড়া বৌদ্ধ বিহার (ভিডিওসহ)

শওকত ইসলাম
শওকত ইসলাম
শেয়ার
কয়েকশ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক লামাপাড়া বৌদ্ধ বিহার (ভিডিওসহ)
ছবি : কালের কণ্ঠ

সতেরো শতকের দিকে রামু-কক্সবাজারসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামজুড়ে রাজত্ব ছিল আরাকানিদের। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, একসময় রামু ছিল আরাকান আবাস। ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজা বোদফ্রা বা বোদপায়া এই অঞ্চল শাসন করেছিলেন বলে জানা যায়।

তৎকালীন বেশির ভাগ রাজা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হওয়ায় বৃহত্তর চট্টগ্রামে রয়েছে নানা বৌদ্ধ ধর্মের স্থাপনা।

বিশেষ করে রামুতে রয়েছে প্রাচীন অনেকগুলো বৌদ্ধ বিহার। লামাপাড়া বৌদ্ধ বিহার তেমনি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। 

বিস্তারিত দেখুন ভিডিও প্রতিবেদনে- 

 

মন্তব্য

সাভারে আবারও বাস যাত্রীদের মোবাইল ফোন-স্বর্ণালংকার লুট

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সাভারে আবারও বাস যাত্রীদের মোবাইল ফোন-স্বর্ণালংকার লুট
সংগৃহীত ছবি

সাভারে আবারও যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাস যাত্রীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংটাউন ব্রিজের ওপরে সাভার পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী সাভার প্রেস ক্লাবের সদস্য তায়েফুর রহমান বলেন, ‘আমি সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। বাসটি ব্যাংক টাউন বাস স্ট্যান্ডে থামানো হলে তিন জন যুবক গাড়িতে ওঠে।

পরে গাড়িটি ব্যাংকটাউন ব্রিজের ওপর পৌঁছলে তার নারী যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে।’

আরো পড়ুন
আনন্দ শোভাযাত্রার সময় বন্ধ থাকবে মেট্রো রেলের ২ স্টেশন

আনন্দ শোভাযাত্রার সময় বন্ধ থাকবে মেট্রো রেলের ২ স্টেশন

 

তিনি আরো বলেন, ‘ছিনতাইকারীরা আমার স্ত্রীর গলায় থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লকেটসহ এক ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য নারী যাত্রীদের কাছ থেকে একইভাবে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে বাসটির চালক এবং সহকারী ছিনতাইকারীদের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে ছিনতাইকারীদের তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’

সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, ‘ছিনতাইকারীদের ধরতে আমাদের সার্বক্ষণিক টহল টিম রয়েছে। ঘটনার সময়ও গন্ডা এলাকায় আমাদের সদস্যরা কাজ করছিলেন। সাভার পরিবহনের বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনাটি জানতে পেরেছি।

ছিন্তাইকারীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

আরো পড়ুন
মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১, আটক ৩

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১, আটক ৩

 

এর আগে শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

মন্তব্য
জুলাই আন্দোলন

পুলিশের গুলিতেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ নবাবের

ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়, নেত্রকোনা
ফয়েজ আহম্মদ হৃদয়, নেত্রকোনা
শেয়ার
পুলিশের গুলিতেই পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ নবাবের
সংগৃহীত ছবি

টগবগে যুবক মেহেদী হাসান নবাব। নেত্রকোনার জেলা শহরের একটি কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে পুলিশে চাকরি করবেন। কিন্তু পুলিশের বুলেটেই সেই স্বপ্ন ভেঙে গেল নবাবের।

২৪-এর জুলাই আন্দোলনে পুলিশের বুলেট কেড়ে নিয়েছে তার এক চোখের দৃষ্টি। টাকার অভাবে চিকিৎসা না হওয়ায় আরেক চোখের দৃষ্টিও নিভে যাওয়ার পথে।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের মৈধাম গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মেহেদী হাসান নবাব। ৫ ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

ছোট কাল থেকেই নবাব রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। মদন উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তিনি। ২৪-এর জুলাই আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল খুবই সক্রিয়। আন্দোলনে তিনি একটি চোখের দৃষ্টি হারিয়েছেন।
এর সঙ্গে চিকিৎসায় ব্যয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এ নিয়ে নিজেকে এখন পরিবারের বোঝা মনে করছেন তিনি।

মেহেদী হাসান নবাব বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শেষ করে পুলিশের চাকরি নিব। কিন্তু পুলিশের বুলেটে আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেছে। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।

চিকিৎসার অভাবে আরেকটি চোখ নষ্টের পথে। জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছি। কিন্তু নিজের চিকিৎসার জন্য এখন পর্যন্ত তেমন সহযোগিতা পাইনি। জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছিলাম। এগুলো শুধু গাড়ি ভাড়ায় খরচ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পরিবার ৬ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছে। কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা নেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।’

মেহেদী হাসান নবাবের বাবা খোকন মিয়া বলেন, ‘আমার ছেলে আন্দোলনে গিয়ে একটি চোখ হারিয়েছে। আরেকটি চোখ নষ্ট হচ্ছে। টাকার জন্য ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছি না। দলীয় ভাবেও কোনো সহযোগিতা মিলছে না। সরকার যেন আমার ছেলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেত্রকোনা জেলা শাখার যুগ্ম আহব্বায়ক সাঈদ বিন ফজল জানান, ‘জুলাইয়ের আন্দোলনে মদন উপজেলার প্রায় ৮০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৩ জনের নাম সরকারি তালিকায় এসেছে এবং ২৩ জনের গ্যাজেট প্রকাশ হয়েছে। আহত মেহেদী হাসান নবাবের একটি চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আরেকটি চোখ নষ্ট হওয়ার পথে। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে নিতে হবে। এর জন্য আমরা সব জায়গায় যোগাযোগ করছি।’

গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কারের আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেয় শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে মদন উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে মদন সরকারি কলেজ মোড়ে জড়ো হতে থাকে। একই সঙ্গে পুলিশও সেই স্থানে অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদের দিকে আসতে থাকে। পরে পুলিশ ডাক বাংলো মোড়ে ব্যারিকেড দেয়। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে পাবলিক হলের দিকে রওনা হয়।

একই সময় আন্দোলনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠন। দুটি মিছিল উপজেলা খাদ্য গুদামের সামনে মুখোমুখি হলে প্রশাসন মিছিল দুটিকে ছত্রভঙ্গ করে আলাদা করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা শহীদ আব্দুল কদ্দুছ মগড়া সেতুর পূর্ব পাড়ে অবস্থান নেয়। 

এরপর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে যোগ দেয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে আহত হন মেহেদী হাসান নবাব। এ ছাড়াও সেই সময় আরো ১২/১৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত মানুষ আহত হয়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ