ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও তার সন্তান পেল নতুন ঠিকানা

দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
সেই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী ও তার সন্তান পেল নতুন ঠিকানা
ছবি: কালের কণ্ঠ

মানসিক ভারসাম্যহীন ও বাক প্রতিবন্ধী নারী আকলিমা আক্তার (২৬) ও তার এক মাসের নবজাতক কন্যা সন্তান মাহিয়া আক্তারকে ঢাকা মিরপুর শাহ্ আলী আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আকলিমা আক্তার ও তার নবজাতক কন্যাকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের আবেদন করেন দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিশেষ আদালতের বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন। পরে আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ডিজি আল আমিন জামালীর নির্দেশে ওই নারী ও তার সন্তানকে হস্তান্তরের উদ্দেশে ঢাকা মিরপুর শাহ্ আলী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরো পড়ুন

৬৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক

৬৪ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. রায়হানুল ইসলাম, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র দে, থানার এসআই তাছলিমা সিকদার, মানসিক ভারসাম্যহীন আকলিমা ও তার শিশু কন্যাকে দেখভাল করা ভিক্ষুক আয়েশা বেগম, সাংবাদিক ও সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মচারী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

আজ শুক্রবার একটি মাইক্রোবাসে করে দেবীদ্বার থানার এসআই তাছলিমা সিকদারের নেতৃত্বে সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মচারী ও ওই নারী এবং শিশুর দেখভাল করা সেই ভিক্ষুক আয়শা বেগমসহ কয়েকজনকে দিয়ে শিশুটিকে তার মায়ের সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান, আমরা মানসিক ভারসাম্যহীন আকলিমার সন্ধান পাওয়ার পর থেকে গর্ভকালীন সময় পর্যন্ত চিকিৎসা প্রদান, আর্থিক সহায়তাপ্রদানসহ নজরদারিতে রেখেছি। এরই মধ্যে শিশুটি দত্তক নেওয়ার জন্য অসংখ্য লোকজনের আবেদনও পেয়েছি। মা ও শিশুর নিরাপত্তা এবং আইনি জটিলতায় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়েছি।

সেখানে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের নিকট শিশুটিকে দত্তক নিতে ইচ্ছুকরা আবেদন করতে পারেন। তিনি দত্তক দিতেও পারেন অথবা আজিমপুর ‘ছোটমনি নিবাসেও’ হস্তান্তর করতে পারেন।

আরো পড়ুন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হৃদয়ের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হৃদয়ের পরিবারের পাশে বসুন্ধরা শুভসংঘ

 

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন আকলিমা ও তার শিশু কন্যার নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা তাদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেছি। সেখানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাসহ তাদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা এবং শিশুটির ভবিষ্যৎ উন্নয়নে যাবতীয় ব্যবস্থা নেবেন।

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার ৬ নম্বর ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ঘোষঘর গ্রামের জব্বর আলী মূন্সীর বাড়ির আয়শা বেগম (৫০) নামে এক ভিক্ষুকের ঘরে ৪ মাস ছিলেন ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারী। পরে গত ১২ মার্চ দিবাগত মধ্যরাতে এক কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন।

ওই নারীকে আশ্রয় দেওয়া আয়েশা বেগম (৫০) জানান, প্রায় তিন মাস আগে কম্বল আনতে সুবিল বাজারে যান আয়েশা। এ সময় তিনি আকলিমাকে সুবিল বাজারে বসে রাস্তার মাটি খেতে দেখেন। পরে তিনি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসেন।

মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারী তাকে মারধর করলেও তিনি ধৈর্য না হারিয়ে গর্ভপাত পর্যন্ত তার আশ্রয়ে রাখেন। 

আরো পড়ুন

বনানীর সিসা বার থেকে রংধনু গ্রুপের হেড অব মিডিয়া সাইফুলসহ আটক ৩

বনানীর সিসা বার থেকে রংধনু গ্রুপের হেড অব মিডিয়া সাইফুলসহ আটক ৩

 

তিনি জানান, তিনি স্বামী পরিত্যাক্তা। বাবার বাড়িতে তার একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে আশ্রিত আছেন। তার একমাত্র ভাই নূরনবী (৩২) ও প্রতিবন্ধী। নিজ পুত্র এবং প্রতিবন্ধী ভাইয়ের ভরণপোষণও তার ভিক্ষাবৃত্তিতে চলে। 

আয়শা বেগম বলেন, ‘আমার আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলে তাদের সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতাম না। নিজ সন্তানের মতোই শিশু ও তার মাকে লালন পালন করে আসছিলাম। আজ তাদের বিদায় দিতে খুই কষ্ট হচ্ছে।’

দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, ‘ওই নারীটি অভিভাবকহীন এবং আত্মীয়-স্বজনের কোনো প্রকার খোঁজ না পাওয়ায় তাকে ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১ অনুসারে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রত্যায়িত প্রতিষ্ঠান, মিরপুর-১, রাইনখোলা সরকারি আশ্রয় (অভ্যর্থনা) কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি। এ ক্ষেত্রে ওই নারীর গর্ভকালীন সময় পর্যন্ত সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিবর্গ ও সমাজ সেবার কর্মকর্তাদের মানবিক কর্মকাণ্ডে এগিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ইয়াবাসহ নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গ্রেপ্তার

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
ইয়াবাসহ নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলে গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য ও তার ছেলেকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করেছে তিতাস থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আটকরা হলেন, উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা চম্পা বেগম ও তার ছেলে জয় সরকার।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আসামিদের নামে একাধিক মাদক ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

আরো পড়ুন
সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

 

জানা যায়, মাদক বিরোধীর বিশেষ অভিযানে ৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক তৈরির সরঞ্জামসহ আসামিদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদ উল্লাহ বলেন, ইয়াবা ও মাদক তৈরির সরঞ্জামসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
 

মন্তব্য

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার
তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার
শেয়ার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন শেড নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
ছবি: কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে শেড নির্মাণের কাজ চলায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা চলাকালে এই নির্মাণকাজ তাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

পালংখালী ইউনিয়নের ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া ক্যাম্পের লাগোয়া বনভূমিতে ‘সওয়াব’ নামের একটি এনজিও ১২২টি শেড নির্মাণ করছে। স্থানীয়রা জানান, সামাজিক বনায়নের জায়গা ও একটি জলাধার ভরাট করে এই কাজ চলছে।

এনজিওটির দাবি, পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গাদের জন্য এই শেড তৈরি করা হচ্ছে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাকে না জানিয়েই গাছ কেটে ও পাহাড় ভেঙে এই নির্মাণকাজ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) দপ্তর থেকে একাধিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এক কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের জন্য এই শেড, অন্যজন দাবি করেছেন এটি আগের টেন্ডারের কাজ।

তবে স্থানীয়রা সন্দেহ করছেন, গত কয়েক মাসে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের জন্যই এই ব্যবস্থা।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক নেতারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিএনপির কক্সবাজার জেলা সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

জামায়াতের মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী আশঙ্কা প্রকাশ করেন, নতুন শেড দেখে আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে উৎসাহিত হতে পারেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নূরুল আবসার বলেন, জলাধার ভরাট করে শেড বানানো হচ্ছে, কিন্তু আমাদের অভিযোগের কোনো প্রতিকার হয়নি। এনজিওটির কো-অর্ডিনেটর আতাউল্লাহ দাবি করেন, সরকারি অনুমতি নিয়েই কাজ চলছে। তবে ‘আমিনা ভিলেজ’ নামে সাইনবোর্ড টানানোর যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এটি একজন দাতার নামে করা হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা জোরেশোরে চললেও ক্যাম্পে নতুন নির্মাণের এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে নতুন প্রশ্ন ও উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

মন্তব্য

সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
সরকারি জায়গায় যুবলীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ছবি: কালের কণ্ঠ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় নিমগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইবনে সাউদ ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সরকারি জলাশয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একই এলাকার ব্যবসায়ী ইব্রাহীম হোসেন ও শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দু’টি অভিযোগ সরেজমিন তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন
বাইরের থেকে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

বাইরের থেকে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

 

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের নাংলু গ্রামে আইওর দিঘি নামে সাড়ে ৩ একর আয়তনের একটি সরকারি জলাশয় রয়েছে। জলাশয়টি উপজেলা পরিষদ থেকে বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। জলাশয়ের দক্ষিন-পশ্চিম কোনে পাড়ের প্রায় ৩৩ শতক জায়গা দখল নিয়েছে যুবলীগ নেতা ইবনে সাউদ ও তার পরিবারের লোকজন। তারা সেখানে প্রায় ১২ বছর ধরে আধাপাকা দোকান ঘর নির্মান করে ব্যবসা করছে।

অবৈধভাবে গড়ে তোলা ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জলাশয়ের ভাঙন থেকে রক্ষা করতে সরকারি অর্থায়নে প্যালাসাইটিং নির্মান করা হয়েছে।  এদিকে জলাশয়ের পাড় দখল করে দোকান ঘর নির্মান করায় মাছ চাষ ব্যহত হচ্ছে। ফলে জলাশয় ইজারাদারের অংশীদার নাংলু গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন ও সিহাব উদ্দিন ৮ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে ইবনে সাউদ ও তার ভাই ইউপি সদস্য আব্দুল বাছেদ বাটুলসহ ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা ইবনে সাউদ বলেন, আমার নিজস্ব জায়গার সাথে জলাশয়ের পরিত্যক্ত জায়গার কিছু অংশে দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হা ডু ডু খেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

কাজল আর্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হা ডু ডু খেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়
ছবি: কালের কণ্ঠ

টাঙ্গাইলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা ডু ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার বাগবাড়ি চৌবাড়িয়া যুব সমাজের উদ্যোগে তোরাপগঞ্জ স্কুল মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় হাজার হাজার দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠে খেলার মাঠ। দীর্ঘদিন পর এমন আয়োজন হওয়ায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নানা বয়সী মানুষ এই খেলা উপভোগ করেন।

আয়োজকরা জানান, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু খেলা প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই নববর্ষ উপলক্ষে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এই ব্যতিক্রমী খেলার আয়োজন করা হয়েছে। দর্শকরা করতালির মাধ্যমে উৎসাহ দিয়েছেন। বড়দের পাশাপাশি শিশুও উপভোগ করেছে।

ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা চোখে কিছুই দেখতে পান না। তবুও শব্দের সাহায্যে প্রতিপক্ষকে পরাজয় করতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তারা। খেলায় দুই দলের ৭ জন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অংশ গ্রহণ করেন।

খেলায় কাতুলী ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

দর্শনার্থীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের হাডুডু খেলা দেখতে আমাদের ভালো লেগেছে। আমরা চাই এমন হাডুডু খেলার আয়োজন আগামীতেও হোক।’

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ‘নববর্ষে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য এমন ব্যতিক্রমী খেলার আয়োজন করেছে। এমন আয়োজনে অনেকদিন পর গ্রামের মানুষ উপভোগ করতে পেরেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ