<p>শীতে ভাপা-পুলিসহ নানা রকমের পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে। গ্রামে বাড়ি বাড়িতে উৎসবে পিঠার আয়োজন থাকলেও শহরে প্রচলন কম। তাই শীতের অপেক্ষায় থাকেন সবাই। শীত এলেই যেমন বাড়ে চাহিদা, তেমনই মৌসুমি ব্যবসায়ী। রাজধানীর ব্যস্ত ফুটপাতে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। পিঠা বিক্রির এ কাজ করেন নারীরাও।</p> <p>পিঠার মৌসুমি এই ব্যবসা অনেক দরিদ্র মানুষের উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে। পিঠা বিক্রির আয়ে চলছে অনেকের সংসার। নাগরিক জীবনের নানা ব্যস্ততায় যারা ঘরে পিঠা বানিয়ে খাওয়ার সময় পান না, তাঁরা এসব দোকান থেকে পিঠা কিনে নেন।</p> <p>ফুটপাতের পিঠার দোকানে সন্ধ্যা নামলেই ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ধনী, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র-সব শ্রেণির লোকেরাই এসব পিঠার ক্রেতা। পিঠার মধ্যে ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠার কদর বেশি। চিতই ও ভাপা পিঠা মেলে ১০ টাকায়। আর চিতই পিঠার সঙ্গে থাকে বাহারি ভর্তা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৌষের মধ্যভাগে তীব্র হতে পারে শীত, সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/25/1735138158-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৌষের মধ্যভাগে তীব্র হতে পারে শীত, সঙ্গে শৈত্যপ্রবাহ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/25/1461293" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাজধানীর বারিধারার বাসিন্দা আবু সাঈদ। পরিবার ছেড়ে একাই থাকেন ঢাকাতে। একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন। ছুটি না থাকায় এ বছর শীতের মৌসুমে এখনও বাড়ি যেতে পারেননি তিনি। তাই পিঠাও খাওয়া হয়নি। ফুটপাতের দোকানে পিঠা খেতে এসে তিনি বলেন, 'শীতে আমার পছন্দ গরম ভাপা পিঠা। বাড়িতে যাওয়া হয়নি এবার, হবে কি-না তাও জানি না। আর বাসাবাড়িতেও পিঠা বানানো সম্ভব না। বাধ্য হয়ে এখানে আসা।'</p> <p>তার পাশেই ভাপা পিঠা খাচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান। শীতের ছুটিতে স্ত্রী-সন্তান গ্রামের বাড়িতে গেলেও তিনি যেতে পারেননি। তাই একাই থেতে এসেছেন পিঠা। তিনি বলেন, ভাপা পিঠার ঘ্রাণই শীতের আনন্দ দেয়। বাড়িতে থাকলে মায়ের হাতে পিঠা খেতাম। এবার বাড়িতে যাওয়া হয়নি ছুটি না থাকায়। দেখলাম আমার মতো অনেকেই এসেছেন এখানে পিঠা খেতে। নগর জীবনে এটাই আমাদের পিঠা উৎসব।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে মোজার দুর্গন্ধ দূর করার টিপস" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/25/1735137291-b2b152721ff4c8d392f2b1ed977e16b6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে মোজার দুর্গন্ধ দূর করার টিপস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/12/25/1461285" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পিঠা বিক্রেতারা জানান, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়ো, নারকেল, খেজুরের গুড়। গোল আকারে পাতিলে কাপড় পেচিয়ে ঢাকনা দিয়ে হাঁড়ির ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। অন্যদিকে, চালের গুঁড়ো পানিতে মিশিয়ে মাটির হাঁড়িতে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা।</p> <p>পিঠা বিক্রিকারী সুফিয়া বেগম জানান, শীত এলেই সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার পিঠা বিক্রি হয় তার। এর মধ্যে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ থাকে। তবে শীত শেষ হয়ে গেলে আবারও পেশা পরিবর্তন করতে হবে সুফিয়া বেগমের।</p> <p>ফরহাদ মোল্যা জানান, প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে ৫০০ টাকার মতো আয় হয় তার। তাই দিয়ে শীতকালে সংসারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করেন।</p>