রমজান

ফুটপাতেও জমাট ঈদবাজার

  • মানজুর হোছাঈন মাহি
শেয়ার
ফুটপাতেও জমাট ঈদবাজার
রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। ছবি : কালের কণ্ঠ

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে সারি সারি দোকানে হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধসবাই এসব ভাসমান দোকান থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় কাপড়, জুতা, প্রসাধনী কিনে নেন। বছরজুড়ে বিশেষ করে প্রতি শুক্র ও শনিবার এই দোকানগুলোয় রাজধানীবাসীর উপচে পড়া ভিড় থাকে। ঈদ কেনাকাটা ঘিরে এখন সেই ভিড় বহুগুণ বেড়ে গেছে।

তবে এবার নিউমার্কেট এলাকায় এখনো প্রত্যাশিত কেনাকাটা শুরু হয়নি। ধীরে ধীরে জমে উঠছে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের ঈদ কেনাকাটা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার রমজানে এখনো প্রত্যাশিত বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। তবে তাঁরা আশা করছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বেচাবিক্রি তত বাড়তে থাকবে।

গতকাল রবিবার বিকেলে সরেজমিনে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা নানা ছন্দে পণ্যের দাম হাঁকিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। তবে এসব দোকানের সামনে ক্রেতা থাকলেও এখনো সেভাবে কিনছেন না।

নিউমার্কেট এলাকায় বলাকা সিনেমা হলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় জুতা ব্যবসায়ী রুহুল আমিনের সঙ্গে। তাঁর দোকানে তখন কয়েকজন ক্রেতা উল্টেপাল্টে জুতা দেখছিলেন।

রুহুল আমিনের কাছে বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সময় অন্যান্য বছরে মানুষের তিল ধারণের জায়গা হতো না। সে তুলনায় এবার এখনো যথেষ্ট ক্রেতা আসছেন না। এবারের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত কম। তবে রুহুল আমিন আশা করছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে, বিক্রিও তত বাড়বে। তিনি বলেন, শেষ দিকে আল্লাহর রহমতে আশা করি প্রত্যাশিত বেচাবিক্রি হবে।

জুতার আরেক ব্যবসায়ী শিশিরও জানালেন একই ধরনের কথা। তিনি বলেন, এবার এখন বিক্রিবাট্টা কিছুটা কম। তবে ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বেচাবিক্রি বাড়তে থাকবে।

বছরের অন্য সময় বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করলেও ঈদের সময় ক্রেতার চাহিদার কথা বিবেচনা করে পাজামা ও প্যান্ট বিক্রি করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইমন। ঈদ বাজারে তাঁকে সহায়তা করতে দোকানে রেখেছেন একজন কর্মচারী। তিনি বলেন, এবার এখনো বেচাবিক্রি তেমন জমে ওঠেনি। ধীরে ধীরে জমছে। প্রথম রোজা থেকে এ পর্যন্ত বিক্রিবাট্টা মোটামুটি একই রকম। তবে আল্লাহর ওপর ভরসা করে বলছি, আশা করছি চলতি সপ্তাহ থেকে ঈদ কেনাকাটা জমে উঠবে।

ইমনের মতো একই কথা বললেন ব্যবসায়ী ফারুক। সারা বছর বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করলেও ঈদের সময় তিনি ছোট শিশুদের ফ্রক বিক্রি করেন। প্রতিবছরই ঈদের সময় এই পোশাকটি বিক্রি করেন তিনি। কথা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এ

বছর এখনো বিক্রি কিছুটা কম। তবে একটু একটু করে প্রতিদিনই বিক্রি বাড়ছে। আশা করছি শেষ দুই সপ্তাহে প্রত্যাশিত বিক্রি হবে।

নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতে নারীদের জামা বিক্রি করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মঞ্জু হোসেন। তিনি বলেন, বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। তবে শুক্র ও শনিবার ভিড় এবং বেচাবিক্রি আরো বাড়বে।

মেয়েদের ওয়ানপিস পোশাক বিক্রি করেন জোবায়ের আহমেদ। তিনি বলেন, এখনো সাধারণ দিনের মতোই বেচাকেনা। তবে ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বেচাবিক্রি ক্রমে বাড়তে থাকবে।

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
যমুনা রেল সেতুর উদ্বোধন আজ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে উত্তরের সাড়ে তিন কোটি মানুষের আগ্রহের জায়গায় থাকা যমুনা রেল সেতু উদ্বোধন করা হচ্ছে আজ। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে দেশের যোগাযোগে একটি নতুন দ্বার খুলছে। দুই লেনের এই সেতুটি ট্রেন চলাচলের জন্য আধুনিক সুবিধা এনে দিয়েছে, যা দেশের রেলপথে দ্রুততার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে দাঁড়িয়ে থাকা ডাবল ট্র্যাকের সেতুটি শত বছর টিকতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা সেতু দুই লেনের হলেও, সেতুর দুই পাশে সিঙ্গেল লেন থাকার কারণে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না। তবে এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে সেতু পার হতে আগে যেখানে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হতো, সেখানে তা কমে এখন হবে মাত্র ৩ মিনিট। এ ছাড়া সেতুতে একযোগে দুই দিক থেকে ট্রেন চলাচল করতে পারবে, যা পূর্বে সম্ভব ছিল না।
আন্তর্জাতিক মালবাহী ট্রেন চলাচলের জন্যও নতুন এই সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা দেশের বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়াবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যমুনা রেল সেতুর পুরোপুরি সফলতা পেতে প্রয়োজন আব্দুলাপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ডাবল লাইন। সেতুটি চালু করলেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে দুই প্রান্তের সিঙ্গেল রেলপথ। জয়দেবপুর থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত ১১৭ কিলোমিটার রেলপথটি সিঙ্গেল।

রেলওয়ে সূত্র বলছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলের ১৭০ কিলোমিটার পথ ছুটে চলে ৪০টি আন্তঃনগর, ছয়টি আন্তর্দেশীয় ও ১৮টি মালবাহী ট্রেনকে আর থেমে যেতে হবে না সিরাজগঞ্জের যমুনা পাড়ে। এতে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্য সহজেই পৌঁছানো যাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানান, সেতুর দুই পারের রেলপথ ডাবল করার প্রকল্প রয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ করা হয়েছে। দ্রুত বাস্তবায়ন করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

দুই প্রান্তের সিঙ্গেল ট্র্যাকের কারণে যমুনা রেল সেতুর পুরোপুরি সুবিধা পেতে দেরি হলেও সেতুটি নির্মাণের ফলে উত্তরবঙ্গের ২৩ জেলার মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের  অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) এবং যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, আগে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ২০-২৫ মিনিট লেগেছে, নতুন যমুনা সেতু দিয়ে মাত্র আড়াই থেকে তিন মিনিট সময় লাগবে সেতু পার হতে। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের যমুনা রেল সেতু দিয়ে সর্বোচ্চ ১২০ কিমি বেগে দুটি ট্রেন পাশাপাশি চলাচল করবে।

মন্তব্য

জুলাই-আগস্টে সহিংসতায় জড়িত থাকার দায়ে ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
জুলাই-আগস্টে সহিংসতায় জড়িত থাকার দায়ে ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সহিংসতায় জড়িত থাকার দায়ে ১২৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জুলাই-আগস্টে সংঘটিত সহিংস ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

তবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। বহিষ্কৃতদের বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে অতি দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ১২৮ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. তাজমেরী এস ইসলামকে প্রধান করে প্রক্টর, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপণ, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হকসহ আরো কয়েকজনকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জড়িতদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রক্টর আরো জানান, ৫০০ পৃষ্ঠার সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন উন্মুক্ত করার বিষয়ে তেমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পাশাপাশি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষকদের বিষয়ে আলাদা একটি কমিটি কাজ করছে।

তবে এই প্রতিবেদনে শিক্ষকদের বিষয়েও ইঙ্গিত আছে।

 

চুয়েট ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

এদিকে চুয়েট সংবাদদাতা জানান, জুলাই অভ্যুত্থানে জনস্বার্থবিরোধী অবস্থান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকে শাস্তি দিয়েছে প্রশাসন। তাঁদের মধ্যে ১২ জনকে আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কার, চারজনকে দুই বছর এবং তিনজনকে এক বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে নোটিশের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির ২৮১তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্ত ক্রমে গতকাল সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ২১টি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এবং তৎপরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর বিজ্ঞপ্তির জবাব এবং শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আবাসিক হল থেকে আজীবন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তোফাইয়া রাব্বি, মো. সাদিকুজ্জামান, ইউসুফ আবদুল্লাহ, মো. তানভীর জনি, ইফতেখার সাজিদ ও শাকিল ফরাজী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মাহমুদুল হাসান, মো. রিফাত হোসাইন, মইনুল হক এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফানুল করিম ও আবদুর রহমান জিহাদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃতরা হলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিজয় হোসেন, সহসভাপতি মো. ইমাম হোসেন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান।

এ ছাড়া তিন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম এবং চিরতরে আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁরা হলেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৌমিক জয়, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম ও তাহসিন ইশতিয়াক। তবে এ তিনজন তাঁদের আইনসম্মত অভিভাবকের উপস্থিতিতে ১০ এপ্রিলের মধ্যে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে অংশ নেবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে তাঁদের এক বছরের একাডেমিক বহিষ্কারাদেশ স্থগিত থাকবে। কিন্তু ভবিষ্যতে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে এই বহিষ্কারাদেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হবে।

এসব শিক্ষার্থীর বাইরে আরো দুজনকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাঁরা হলেন চুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি চিন্ময় কুমার দেবনাথ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব উদ্দিন চৌধুরী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী এবং বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে তাঁদের জড়িত থাকার লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হয়। তাঁদের জবাব ও অভিযোগের বিপরীতে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের আলোকে শিক্ষার্থী শৃঙ্খলা কমিটি এ শাস্তি দিয়েছে।

গাঁজা পাওয়ায় আট শিক্ষার্থী বহিষ্কার, পাঁচজনকে শোকজ : আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ায় আট শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের আবাসিক হল থেকেও চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরো পাঁচ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির ২৮৬তম সভার (জরুরি) সিদ্ধান্তক্রমে গতকাল কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত পৃথক ১৩টি বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

 

 

মন্তব্য

বিনা ভাড়ায় যাত্রীদের মেট্রো রেল ভ্রমণ, ২ পুলিশ বরখাস্ত

    আড়াই ঘণ্টা পর কাজে ফেরেন কর্মীরা তদন্ত কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিনা ভাড়ায় যাত্রীদের মেট্রো রেল ভ্রমণ, ২ পুলিশ বরখাস্ত

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মীরা গতকাল সোমবার কর্মবিরতি পালনকালে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাত্রীরা বিনা ভাড়ায় মেট্রো রেলে ভ্রমণ করেছে। ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) পুলিশ সদস্যদের দ্বারা মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ছয় দফা দাবিতে সকাল ৭টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মীরা। পরে মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা কাজে ফেরেন।

কর্মসূচি স্থগিতের বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক জানান, অভিযোগ ওঠা এমআরটি পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ ছয়টি দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে একজন এসআইসহ সংশ্লিষ্ট দুজনকে সাময়িক বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। কর্মীদের দাবির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে কর্মস্থলে ফিরেছেন ডিএমটিসিএলের কর্মীরা।

জানা যায়, কর্মীদের কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার কথা ছিল।

তবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে সকাল থেকে ট্রেন চললেও স্টেশনগুলোতে দায়িত্ব পালন করেননি মেট্রো রেলের কর্মীরা। এতে সকাল থেকে যাত্রীরা অনেকে বিনা টিকিটে মেট্রো রেলের ট্রেনে ভ্রমণ করে।

এর আগে গত রবিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ছয়টি দাবি জানানো হয়।

মেট্রো রেলকর্মীরা বলেন, রাতে আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল সকাল থেকে ট্রেন চালাব না।

কিন্তু কর্তৃপক্ষ রাতভর আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এ ছাড়া রোজার সময় যাত্রীদের আমরা কষ্ট দিতে চাইনি। তাই সকাল থেকে আমরা ট্রেন চালিয়েছি। আমরা জানতে পেরেছি, দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কর্মীদের দাবিগুলোর মধ্যে ছিল এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা পুলিশ সদস্যকে (এসআই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা এবং ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান এবং তাঁদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রো রেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীর শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিশিয়াল পরিচয়পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, রবিবার বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন নারী পরিচয়পত্র না দেখিয়ে সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্মে ছিলেন না এবং তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের সেখান থেকে পিজি গেট ছাড়া সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।

সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং এক পর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোলরুমে চলে যান।

পরে একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে  গেট না লাগিয়ে চলে যান। তাঁদের কাছে এর কারণ জানতে চাওয়া হলে তাঁরা আগের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে আরো কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করেন এবং কর্মরত আরেকজন টিএমওর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করেন।

উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীরা কর্মরত টিএমওকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। আহত সিআরএকে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোলরুমে হেনস্তা করা হয়) এ ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

আংশিক কর্মবিরতি পালন, বিনা ভাড়ায় মেট্রো রেল ভ্রমণ কর্মীদের আংশিক কর্মবিরতি পালন করার কারণে গতকাল অনেক যাত্রী বিনা ভাড়ায় মেট্রো রেল ভ্রমণের সুযোগ নিয়েছেন। সকাল থেকে মেট্রো রেলের সব স্টেশনে প্যাসেঞ্জার গেটে (পিজি গেট) এমআরটি বা র‌্যাপিড পাস ব্যবহার করতে পারেনি যাত্রীরা। গেটগুলোতে মেট্রো রেলের কোনো কর্মী ছিলেন না।  কয়েক জায়গায় শুধু আনসার সদস্যদের দেখা যায়।

সকাল ৭টা ১০ মিনিটে পল্লবী স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তখনো কলাপসিবল গেটগুলো বন্ধ। টিকিট কাউন্টারও ফাঁকা। প্রবেশ ও বহির্গমন গেটগুলো উন্মুক্ত। তবে কর্মবিরতি পালন করলেও কর্মস্থলে হাজির ছিলেন ডিএমটিসিএল কর্মীরা। কর্মস্থলের পাশে দাঁড়িয়েই তাঁরা কর্মসূচি পালন করছিলেন। টিকিট কাউন্টার বন্ধ থাকায় এ সময় এমআরটি পাস ছাড়া যাত্রীদের প্রবেশ করতে  দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে প্রবেশপথগুলো উন্মুক্ত থাকার কারণে এ সময় অনেক যাত্রীকে টিকিট ছাড়াই মেট্রো রেলে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। এমআরটি পাস কার্ড থাকলেও অনেক যাত্রী তা ব্যবহার করেননি।

সরকারি চাকরিজীবী জালিজ মাহমুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, মতিঝিলে যাওয়ার উদ্দেশে পল্লবী স্টেশনে এসেছি। এ সময়  মেট্রো রেলের কর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেলেও তাঁদের কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি। এই সুযোগে অনেকে টিকিট ছাড়াই ভ্রমণ করেন। আবার অনেকে প্রবেশের সময় কার্ড পাঞ্চ করলেও বের হওয়ার সময় পাঞ্চ করার সুযোগ পাননি।

ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলম বলেন, ঘটনার পর ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রউফ (বর্তমানে সেতু সচিব) সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে কথা বলেছেন। তারা পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন। বিষয়টির সুরাহা করা যাবে।

 

 

 

মন্তব্য

সমন্বয়ক ও উপদেষ্টার সুপারিশে ১৫০ জনকে ওয়াসায় চাকরি!

    ব্যাখ্যা দিয়েছে এনসিপি
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সমন্বয়ক ও উপদেষ্টার সুপারিশে ১৫০ জনকে ওয়াসায় চাকরি!
মো. তারেক রহমান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টাদের সুপারিশে ওয়াসায় বিধিবহির্ভূতভাবে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমজনতার দল। এ বিষয়ে দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানায় দলটি।

এর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই ঢাকা ওয়াসা ১৫০ জনকে রাতারাতি বিভিন্ন জোনে চাকরি দিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল।

এতে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ সুপারিশে আছে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম। সুপারিশকারী ও রেফারেন্সদাতাদের নামের তালিকায় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, তৌহিদ ও নাজমুলের নামও।

এদিকে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আউটসোর্স জনবল নিয়োগ দানকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ওয়াসা নয়। তবে আউটসোর্স জনবল নিয়োগের জন্য ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল সরবরাহ করে।

এতে আরো বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা আউটসোর্স পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগপত্র দেয় না। প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার এমডি, ডিএমডি, সচিব, মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস ও এপিএস, ছাত্র সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে যে তালিকা দেখানো হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বিষয়টি দুঃখজনক। তালিকার সঙ্গে তাদের এবং ঢাকা ওয়াসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই জনবল নিয়োগ বা সরবরাহ কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করে।

এদিকে মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের একাংশ নিয়ে গঠিত আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। সেই সঙ্গে একাধিক সমন্বয়কের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে নানা জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন সময়ে হওয়া উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের অনিয়মের বিচারের দাবি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই নিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তাঁর পিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে বহিষ্কার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সাবেক উপদেষ্টা নাহিদের নিয়োগ দুর্নীতি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয় ও সরকারি অফিসগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি নামে কর্তৃত্ববাদী সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে।

এদিকে সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ গতকাল এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, আউটসোর্সিং নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি কিংবা পরীক্ষা হয় না। এটি স্বল্প সময়ের চাকরি। সংকটময় মুহূর্তে জনবল সংকট নিরসনে বিভিন্ন সুপারিশের ভিত্তিতে সাধারণত এই আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, এই ঘটনা নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল ও চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ