রামপুরার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনই গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রামপুরার সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনই গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর রামপুরায় যৌন হয়রানি ঘটনার আলোচিত প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানসহ (২৫) তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া।

ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩। গ্রেপ্তারকৃত অন্যরা হলেন—মো. রাইসুল ইসলাম (২১) ও মো. কাউসার হোসেন (২১)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় যৌন হয়রানি সংক্রান্ত একটি ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ব্যাপকভাবে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে। বিষয়টি র‍্যাব-৩ এর নজরে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব সহকারে র‍্যাব-৩ ছায়াতদন্ত শুরু হয়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর রামপুরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) একটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় উল্লেখিত এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে র‍্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র‍্যাব-৩ এর একাধিক গোয়েন্দা ও অপারেশনাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করে।

 

আরো জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্র হতে প্রাপ্ত তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই মামলার প্রধান অভিযুক্ত সোয়েব রহমান জিশানকে (২৫) গভীর রাতে রাজধানীর রামপুরা থানাধীন মেরাদিয়া এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর রমনার বেইলি রোড এলাকা থেকে মো. রাইসুল ইসলাম এবং শ্যামপুরের গেন্ডারিয়া থেকে মো. কাউসার হোসেনকে (২১) সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের রামপুরা থানায় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ওই নারী সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমার নিজের বাসার সামনেই নিরাপদ নই! আমাকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় আমার ভাইকে মারধর করা হলো, আমাকেও লাঞ্ছিত করা হলো।

ওই পোস্টে তিনি ঘটনার বর্ননা দেন। একই সঙ্গে সাধারণ নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ফ্লাইওভারে ছিটকে পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্লাইওভারে ছিটকে পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে

রাজধানীর কালশী ফ্লাইওভারে প্রাইভেট কারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে নিহত দুই যুবকের পরিচয় মিলেছে। তারা দুইজন বন্ধু। তাদের একজনের নাম তোফাজ্জল, অন্যজন হলেন রিয়াদ। তোফাজ্জল ঢাকায় থাকতেন আর রিয়াদ ঢাকায় বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।

 

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিসে কোন পেঁপে উপকারী, কাঁচা না পাকা?

ডায়াবেটিসে কোন পেঁপে উপকারী, কাঁচা না পাকা?

 

পল্লবী থানার এসআই আতিকুর রহমান এ তথ্য জানান। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুই তরুণ মোটরসাইকেলে করে ফ্লাইওভারে উঠছিলেন। এ সময় একটি টয়োটা সিএইচ-আর মডেলের প্রাইভেট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে পেছনে বসা আরোহী প্রায় ২৫ ফুট নিচে রাস্তায় ছিটকে পড়েন।

আশপাশের পথচারীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ ছাড়া চালক ফ্লাইওভারের ওপরেই ছিটকে পড়েন।

আরো পড়ুন
বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ

 

পুলিশ জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাদের স্থানান্তর করা হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে রাত ১২টার দিকে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিহত দুই তরুণের বয়স আনুমানিক ২০ বছর। 

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মরদেহ দুটি ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল পল্লবী থানা পুলিশের হেফাজতে আছে।

মন্তব্য

রেশ কাটেনি ঈদের ছুটির, এখনো বন্ধ অনেক দোকান-মার্কেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রেশ কাটেনি ঈদের ছুটির, এখনো বন্ধ অনেক দোকান-মার্কেট
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের পঞ্চম দিনেও ঢাকায় পরিপূর্ণ কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক দোকান ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে। আবার ঈদের ছুটির শেষ সময়েও দোকানি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অনেকে কর্মস্থলে ফেরেননি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন জনবহুল এলাকার মার্কেট ও শপিং মলগুলোর অনেক দোকানের শাটার নামানো।

খোলা থাকা দোকানগুলোতেও বেচাকেনা কম, বিশেষ করে মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও মিরপুরের বিভিন্ন মার্কেটে অন্য ছুটির দিনের মতো ভিড় নেই। আবার এলাকা ও পাড়া-মহল্লার অনেক দোকানেও তালা ঝুলছে। খোলা দোকানগুলোতে বিক্রেতাদের অলস সময় কাটাতেও দেখা গেছে।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদের ছুটি শেষ হয়ে এলেও মানুষের মধ্যে এখনো উত্সবের আমেজ বিরাজ করছে।

দীর্ঘ রোজা ও ঈদের ব্যস্ততা শেষে মানুষ একটু বিশ্রাম নিতে চাইছে। কর্মস্থলে ফেরার বিষয়েও অনেকে দেরি করছেন। সে জন্য এখনো রাজধানীতে ধীরগতি বিরাজ করছে। এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে আরো কয়েক দিন সময় লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

রাজন মাহমুদ নামের এক দোকানি বলেন, ‘ঈদের সময় অনেক ব্যস্ততা যায়। ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলাম, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ফিরেছি। আজ (শুক্রবার) দোকান খুলেছি কিন্তু মার্কেটে মানুষের আনাগোনা খুই কম। ফলে বিক্রিও কম। তা ছাড়া এখনো স্টাফরা ফেরেনি।

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার বাইরে যাওয়া ক্রেতা এবং শ্রমজীবী মানুষ এখনো ঢাকায় পুরোপুরি না ফেরায় মার্কেট ও ফুটপাতে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া শহরের রাস্তাঘাটেও যানবাহনের চাপ কম। হয়তো আরো কয়েক দিন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’

গাউছিয়া মার্কেটের আরেক বিক্রেতা মাহবুব বলেন, ‘ক্রেতা নেই বললেই চলে। যাঁরা ঢাকায় ফিরেছেন, তাঁরাও কাজ শুরু করেননি পুরোদমে। আরো দু-এক দিন পর হয়তো গতি ফিরবে।’

মন্তব্য

ফ্লাইওভারে প্রাইভেট কার-বাইকের সংঘর্ষ, ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল দুই যুবকের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ফ্লাইওভারে প্রাইভেট কার-বাইকের সংঘর্ষ, ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল দুই যুবকের
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর কালশী ফ্লাইওভারে প্রাইভেট কারের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছিটকে পড়ে মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। 

ঢাকা মেডিক্যাল সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দুই যুবককে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা শেষে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মিরপুর পল্লবীর কালশী এলাকা থেকে প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত দুই যুবককে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরো জানান, নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পল্লবী থানার ওসি জানান, দুই তরুণ মোটরসাইকেলে করে ফ্লাইওভারে উঠছিলেন। এ সময় একটি টয়োটা সিএইচ-আর মডেলের প্রাইভেট কারের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে পেছনে বসা আরোহী প্রায় ২৫ ফুট নিচে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। আশপাশের পথচারীরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ছাড়া চালক ফ্লাইওভারের ওপরেই ছিটকে পড়েন।

মন্তব্য

ভাপসা গরমেও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর চিড়িয়াখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভাপসা গরমেও দর্শনার্থীদের ভিড়ে মুখর চিড়িয়াখানা
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঈদের পঞ্চম দিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছিল উপচে পড়া ভিড়। দর্শনার্থীদের বেশির ভাগই মা-বাবার সঙ্গে আসা শিশু।

এদিকে দুপুর থেকেই রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ভাপসা গরম উপেক্ষা করেই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।

সরেজমিনে মিরপুর চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে এসেছে। শহরের যান্ত্রিকতা পাশে রেখে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই চিড়িয়াখানায় এসেছে বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। তবে ঈদের তিন দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

একজন টিকিট বিক্রেতা বলেন, সকালে টিকিট বিক্রি হয়েছে কম।

দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলে ভিড় আরো বাড়বে আশা করছি।

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে মো. সাইদুর রহমান দুই সন্তান নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আজকে গরম পড়েছে অনেকে। এই গরমে বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটা যায় না। তাই গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছি।

মিরপুর ১০ নম্বর থেকে এসেছেন পরিবহন শ্রমিক হানিফ সরকার।

তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। পুরান ঢাকার থেকে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুন্ড। বেলা সাড়ে ১২টায় বের হয়ে যান তারা। তিনি বলেন, ভ্যাপসা গরমে ছোট বাচ্চাদের পুরোটা ঘুরে দেখতে পারিনি।

এদিকে, চিড়িয়াখানায় নতুন প্রাণী না থাকায় বেশিক্ষণ ঘোরার আগ্রহ পাননি অনেকে। তারা বলছেন, ওই একই প্রাণী। তিন বছর আগেও এগুলো দেখেছি। বরং এবার প্রাণির সংখ্যা কম, অনেক খাঁচা খালি। দেখার কিছুই নেই।

মারিয়াম নামের এক দর্শনার্থী জানান, টিকিটের দামটা অনেক বেশি। প্রথম যখন এসেছিলাম তখন ১২ টাকা ছিল, এখন ৫০ টাকা। এটা একটু কম হলে ভালো হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ