কলকাতার স্যাটেলাইট টেলিভিশন জি বাংলার সারেগামাপার গ্র্যান্ড ফিনালে সুরের যাদুতে দর্শকদের মন তো বটেই সেরার সেরা শিরোপা জিতে নিয়েছেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য। আর এখন রাতারাতি তারকা পশ্চিমবঙ্গের গোবরডাঙার মেয়ে। গতকাল সোমবার যথারীতি স্কুলে গিয়েছেন অঙ্গিতা। এদিন রাতারাতি স্কুলে যেতেই অঙ্কিতাকে ঘিরে বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস।
নিজ স্কুলে শিক্ষক-বন্ধুদের আদরে ভাসলেন সারেগামাপা'র অঙ্কিতা
কালের কণ্ঠ অনলাইন
.jpg)
ইছাপুর হাইস্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা। এদিন স্কুলে তরফে তাঁকে সংবর্ধিত করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারাও বরণ করে নিন বিজয়ীকে।
সারেগামাপা-২০১৯ এর গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে বিচারকদের বেছে নেওয়া চূড়ান্ত ছয় প্রতিযোগীরা ছিলেন অঙ্কিতা ভট্টাচার্য, নোবেল, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, গৌরব সরকার, সুমন মজুমদার ও প্রীতম রায়। তাঁদের মধ্যে থেকেই শ্রোতা এবং বিচারকের মন জিতে সেরার শিরোপা পেয়েছেন অঙ্কিতা।
গত বছর সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল জি বাংলার প্ল্যাটফর্মে একদল তুর্কির পথ চলা।
সম্পর্কিত খবর

৯ দিনে আয়ের রেকর্ড বরবাদের!
বিনোদন ডেস্ক

সুপারস্টার শাকিব খান অভিনীত ছবি ‘বরবাদ’-এর মুক্তির এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এরইমধ্যে সাত দিনে ছবিটি সারাদেশে কত টাকার টিকেট বিক্রি (গ্রস কালেকশন) হয়েছে সেই তথ্য জানিয়েছে বরবাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন। মুক্তির প্রথম সাত দিনে ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে ‘বরবাদ’-এর। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন এক ফেসবুক পোস্টে এমন দাবি করেছে।
মুক্তির নবম দিনে অর্থাৎ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন ফেসবুক পোস্টে নিশ্চিত করেছেন, তারা ‘বরবাদ’র মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার বেশি টিকেট বিক্রি করেছে। রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার বেশি টিকেট বিক্রির হয়েছে। ওই পোস্টে প্রতিষ্ঠানটি লিখেছে, ‘মুক্তির পর থেকে সারাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা আমাদের মুগ্ধ করেছে। আপনাদের সবার এই ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক।
২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় শাকিবের প্রিয়তমা একমাস ২৭ কোটি টাকার টিকেট বিক্রির খবর প্রকাশ করেছিল। এবার মাত্র সাতদিনেই ‘বরবাদ’ সেই সাফল্যে অর্জন করল। ঈদুল ফিতরে মুক্তির পর নবম দিনেও সিনেপ্লেক্স ও মাল্টিপেক্স মিলিয়ে প্রায় ৬৫টি শো চলছে বরবাদের।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই ‘বরবাদ’ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপে মুক্তি পাবে। সে হিসেবে এই আয়ের পরিমাণ অচিরেই ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মাল্টিপ্লেক্সের বাইরে দেশের ১১২টি সিঙ্গেল স্ক্রিনে দেদারসে ব্যবসা করছে ‘বরবাদ’।
মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ইধিকা পাল। আরো আছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো
বিনোদন প্রতিবেদক

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের ‘জংলি’। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ছবিটি প্রথম দিন থেকেই সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউসফুল দিচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও চেইন এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল।
‘জংলি’ টিম থেকে বারবার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।
তিনি বলেন, “আমাদের ‘জংলি’ গল্পের সিনেমা। এই এক সপ্তাহে সেটা দর্শকদের মুখ থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক পরিবার নিয়ে হলে এসে ‘জংলি’ দেখছেন। একজন দর্শকও ছবিটির কোনো খারাপ রিভিউ দেননি।
স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে জানা যায়, ঈদের দিন ‘জংলি’র সাতটি শো ছিল। দ্বিতীয় দিন তা বেড়ে হয় ৯টি। চতুর্থ দিনে সেটা কমিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয়টি। অষ্টম দিনে এসে শো হয় আটটি। নবম দিনে এসে সিনেমাটির শো দেওয়া হয়েছে ১৪টি, যা মুক্তির দিনের সংখ্যার দ্বিগুণ।

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড
বিনোদন প্রতিবেদক

ইউটিউবে বাংলা নাটকের দর্শকপ্রিয়তায় ১১ মাসে ভাঙল ৮ বছরের রেকর্ড। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত ‘বড় ছেলে’-কে টপকে শীর্ষে উঠলো ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।
জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত নাটক মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’। আট বছর আগের নাটকটি এত দিন ছিল ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া নাটক (৫ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার)।
মাত্র ১১ মাস আগে ইউটিউবে এসেছে মহিন খানের নাটকটি। গতকাল পর্যন্ত এটির ভিউ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার। এতে নিলয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ও সাবেরি আলম ।
মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটকে দেখানো হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ ও ধনী পরিবারের মেয়ে রিয়ার প্রেমের গল্প। চরিত্র দুটিতে ছিলেন অপূর্ব ও মেহজাবীন। গল্পে দেখা যায়, রাশেদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। সে অবসরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প।

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু
বিনোদন প্রতিবেদক

অভিনয় ও গানে মুখর সময় পার করছেন এরফান মৃধা শিবলু। এই ঈদে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র, ওয়েব ছবি, সিরিজ ও নাটক এসেছে। পাশাপাশি সক্রিয় গানেও। ব্যস্ত এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওটিটি কিংবা ইউটিউব—সবখানে আপনি! সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদ?
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সিনেমা, ওটিটি, নাটক—সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদটা আমারই ছিল।
ঈদে আপনার কী কী কাজ এলো?
সিনেমা হলে চলছে এম রাহিমের ‘জংলি’, ওটিটিতে কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ এবং আশফাক নিপুণের ‘জিম্মি’। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু নাটক এসেছে; যেমন—তানিম রহমান অংশুর ‘খালিদ’, এ কে পরাগের ‘হাউ কাউ’ ইত্যাদি।
কোনটা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সিনেমা বড় মাধ্যম, স্বাভাবিকভাবেই সেটার ফিডব্যাক অন্য রকম। ‘জংলি’তে আমার যে চরিত্র বা উপস্থিতি, সেটা অনুযায়ী ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর ওটিটিতে ‘হাউ সুইট’-এ আমার চরিত্র বড় পরিসরের। গল্পের অনেকটা সময় জুড়ে আমার উপস্থিতি।
‘হাউ সুইট’ ও ‘খালিদ’-এ নেতিবাচক চরিত্র করেছেন।
দর্শকই হলো অভিনয়শিল্পীদের উৎসাহদাতা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাবে, আমি কত দূর যেতে পারব, কতখানি কী অর্জন করতে পারব। আমার তো অবশ্যই ইচ্ছা আছে অন্যান্য চরিত্রেও নিজেকে মেলে ধরার। তবে আমার যে লুক, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্রই পছন্দের। এ ধরনের চরিত্র সহজেই নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতে পারি।
আপনি তো গানেরও মানুষ। ইমন চৌধুরীর গানের দল বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে আছেন। সর্বশেষ কোথায় শো করলেন?
চাঁদরাতে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো করেছিলাম। এর আগে এ রকম অনুষ্ঠান কখনো দেখিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। এই শোর কারণে আমার ঈদ শুরু হয়েছিল চাঁদরাত থেকেই। সামনেও বেঙ্গল সিম্ফনির কিছু শোর ব্যাপারে কথা চলছে। শিগগিরই জানাতে পারব।
নতুন কী গান করছেন?
নির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না, তবে গান রেকর্ডিং চলছে। সময় বুঝে আমরা জানাব। এ ক্ষেত্রে বলে রাখি, একেবারে ব্যক্তিগত কোনো গান যদি করি, তাহলে তো একা করব। দলগত কোনো কাজ করলে অবশ্যই সেটা বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে।
অভিনেতা ও গায়ক শিবলুর মধ্যে কোনো তফাত দেখেন?
তফাত খুবই কম; আসলে নেই বললেই চলে। ছোটবেলা থেকেই আমি মানিয়ে নিতে পারি। যেখানেই যাই না কেন, সেই স্থান ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। ফলে আমি গান ও অভিনয়—দুটিই উপভোগ করি। শিবলু আসলে একই, জাস্ট গানের সময় গান আর অভিনয়ের সময় অভিনয়—এইতো।
আপনার কণ্ঠে জনপ্রিয় দুই গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইও না’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আপনার সখ্য। এখন যোগাযোগ হয়?
খুব কম। একদিকে আমার নিজের কর্মব্যস্ততা আছে, আবার হাশিম ভাইয়ের কোনো ফোন নেই। ফোন কী কাজে লাগে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নেই তিনি। মাঝেমধ্যে উনার মায়ের নম্বরে কল করে খোঁজখবর নিই। হাশিম ভাই তো অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দোয়া করবেন, তাঁকে নিয়ে যেন আরো কিছু কাজ করতে পারি।
হাশিম মাহমুদের আর কোনো গান নিয়ে কাজ করবেন?
একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা সামনে আনার।