<p>এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা আইরিন সুলতানা। মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজে নাম লেখান তিনি। এরই মধ্যে কাজ করেছেন বেশ কিছু চলচ্চিত্রে। এবার তাকে দেখা যাবে সাইফ চন্দনের ‘দুনিয়া’ চলচ্চিত্রে। আগামীকাল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এটি। ‘দুনিয়া’ এবং সমসাময়িক ব্যস্ততা নিয়ে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপ করলেন অভিনেত্রী। শুনেছেন সুদীপ কুমার দীপ।</p> <p><strong>আশপাশে অনেক কোলাহল মনে হচ্ছে?</strong></p> <p>গাড়ি ড্রাইভ করছি, রাস্তায় আছি। রামপুরা যাচ্ছি একটা মিটিংয়ে অ্যাটেন্ড করতে। পরিচালক বসে আছেন। নতুন একটা ছবির বিষয়ে আলোচনা করব আমরা।</p> <p><strong>‘</strong><strong>দুনিয়া</strong><strong>’</strong><strong> মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। </strong><strong>খবরটা শোনার পর কেমন লাগছে?</strong></p> <p>নিজের কাজ পর্দায় দেখতে যেকোনো অভিনেত্রীরই আনন্দ লাগে। দর্শকও দেখে আলোচনা-সমালোচনা করতে পারে। আমি সপ্তাহখানেক আগে জানতে পারলাম, ছবিটি মুক্তি পাবে। পরিচালক সাইফ চন্দন ভাই একসঙ্গে হলে গিয়ে দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। আশা করছি, কাল দর্শকসারিতে বসে ছবিটি দেখব।</p> <p><strong>ছবিটির নাম </strong><strong>‘</strong><strong>টার্গেট</strong><strong>’</strong><strong> ছিল। বেশ আগেই নির্মিত হয়েছিল। এত দিন পরে নাম পরিবর্তন করে মুক্তি পাচ্ছে, দর্শক কি ছবিটি পছন্দ করবে?</strong></p> <p>কোনো কোনো ছবি ১০ বছর ধরেও নির্মিত হতে পারে। এখন ছবির মেরিটের ওপর নির্ভর করে দর্শক পছন্দ করবে কি না। চন্দন ভাইয়ের কাজ আমি হলে গিয়ে দেখেছি। তিনি দর্শকের পালস বোঝেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ছেলেটি আবোল তাবোল মেয়েটি পাগল পাগল’-এও আমি অভিনয় করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারি, দর্শক নিরাশ হবেন না। তা ছাড়া তারকাবহুল এই ছবিতে কিন্তু আনিসুর রহমান মিলন ভাই, মিশা সওদাগর ভাই, নিরব, অমৃতারাও আছেন। তাদেরও তো নিজস্ব ভক্ত আছে। আমিও আমার জায়গা থেকে সেরা অভিনয়ের চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে দর্শক নিরাশ হবেন না বলে মনে করি।</p> <p><strong>ভ্লগিং শুরু করেছিলেন। সেটার কী খবর?</strong></p> <p>হা হা হা। আমি পেশাদার ভ্লগার নই। জীবনের কিছু সুন্দর মুহূর্ত শুধু ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্যই ভিডিও করি। কী খাচ্ছি, কোথায় যাচ্ছি— এগুলো সবাইকে দেখানোর জন্যই ভিডিওগুলো করা। তবে ভালো সাড়া পাচ্ছি। ভাবছি ইউটিউব চ্যানেলেও ভিডিওগুলো প্রকাশ করব। মাঝখানে ব্যাঙ্কক গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে ভারতের মেঘালয়ে ঘুরলাম। সব মিলিয়ে আরো ২০টার মতো ভিডিও জমেছে। সেগুলো সম্পাদনা করছি। এগুলোই আমার ইউটিউব চ্যানেলে দেব। শুনেছি এই মাধ্যম থেকে ভালো আয়ও হয়। এ বিষয়ে খুব একটা ধারণা নেই। দেখি আমি পারি কি না!</p> <p><strong>নতুন কোনো সিনেমা বা ওয়েব ছবি হাতে নিয়েছেন?</strong></p> <p>না। আমি মিথ্যা বলতে পছন্দ করি না। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো বলত, ‘হ্যাঁ, আমার হাতে চারটা ছবি আছে, পাঁচটা সিরিজ আছে। কিন্তু নাম বলা নিষেধ।’ হা হা হা। এগুলো আসলে আলোচনায় থাকার ধান্দা। আমি ওটিটির কোনো প্রস্তাব এখনো পাইনি। কয়েকটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি, সেগুলোও চূড়ান্ত হয়নি। এটাই বাস্তব, এটাই সত্যি।</p> <p><strong>চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন, হাতে কাজও নেই। চলতে অসুবিধা হচ্ছে না?</strong></p> <p>আমরা মধ্যবিত্ত। যখন চাকরি করতাম, তখন কিছু টাকা জমাতাম প্রতি মাসে। একটু একটু করে জমানো সেই টাকা দিয়েই চলছি। তা ছাড়া মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকেও হাতখরচ নিই। আমার কিন্তু বাজে খরচের অভ্যাস নেই। সেই অর্থে বন্ধু-বান্ধবও নেই। রাতে পার্টি করি না, বিলাসবহুল বাসায়ও থাকি না। ফলে মাঝামাঝি একটা টাকায় মাসটা চলে যায়। ওহ! কিছু বিজ্ঞাপন আর ফটোশুট তো আছেই। সেখান থেকেও আয় হয় তো!</p> <p><strong>অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়ছেন বলে মনে হচ্ছে না?</strong></p> <p>আমি কারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করতে চাই না। আমার মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষও নেই। যে যেভাবে পারুক কাজ করুক। আমার তাতে কি? শুরু থেকে দেখেন, আমি বেছে বেছে কাজ করেছি। আমার কোনো ছবিকেই আপনি গার্বেজের কাতারে ফেলতে পারবেন না। আমিও ছবিগুলোতে গুরুত্বের সঙ্গে হাজির হয়েছি। এখন নামমাত্র দুটি গান আর চারটি দৃশ্যের জন্য উপস্থিত হয়ে তো লাভ নেই। ছবিতে আমার দেখানোর মতো তো কিছু থাকতে হবে।</p>