ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২১ মার্চ ২০২৫
৭ চৈত্র ১৪৩১, ২০ রমজান ১৪৪৬
সুমাইয়া শিমু

আমি বাস্তবতা মেনে নিয়েই চলি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
আমি বাস্তবতা মেনে নিয়েই চলি
সুমাইয়া শিমু

একটা সময় পর্দায় মুগ্ধতা ছড়াতেন সুমাইয়া শিমু। সাবলীল অভিনয়ে ছড়াতেন দ্যুতি। ‘সুহাসিনী ও ‘সু-অভিনেত্রী’  বিশেষণ দুটির মালকিনও বনেছিলেন অল্প সময়ে। আজকাল আগের মতো পর্দায় ধরা দেন না অভিনেত্রী।

এতে আক্ষেপ জমেছিল অনুরাগীদের মনে। এবার তা ঘোচার পালা। কেননা ওয়েব সিরিজ ‘২ষ’ এর শেষ পর্ব ‘বেসুরা’র মাধ্যমে ফেরার গল্প লিখছেন শিমু। 

চরকিতে আজ মুক্তি পেয়েছে নুহাশ হুমায়ূনের আলোচিত সিরিজ ‘২ ষ’-এর শেষ পর্ব ‘বেসুরা’।

এই পর্ব দিয়ে ওটিটিতে অভিষেক হলো দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সুমাইয়া শিমুর। ‘বেসুরা’ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন হৃদয় সাহা।

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানল, পুড়ে ছাই হলিউড তারকাদের বাড়িঘর

যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ দাবানল, পুড়ে ছাই হলিউড তারকাদের বাড়িঘর

 

নুহাশ হুমায়ূনের সিরিজ ‘পেট কাটা ষ’ বেশ আলোচিত হয়েছিল ২০২২ সালে। তারই ধারাবাহিকতায় গত বছর ডিসেম্বরে মুক্তি পায় ‘২ ষ’।

 ‘বেসুরা’র আগে একে একে মুক্তি পায় ‘ওয়াক্ত’, ‘ভাগ্য ভালো’ ও ‘অন্তরা’ পর্বগুলো। আগের তিনটি পর্বই পছন্দ করেছে দর্শক।

‘বেসুরা’র ট্রেলারে পাওয়া গেছে গল্পের আভাস। পাহাড়ি অঞ্চলের একটি ছোট মেয়ে, যার গলায় কোনো সুর নেই। এই খবর জানতে পেরে তাকে সাজা দেওয়ার পরিকল্পনা করে এলাকার বড় এক সংগীতসাধক।

তখনই ভেসে আসে ডাইনির কথা। গল্পে পাহাড়ি নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুমাইয়া শিমু।

“আমাকে প্রথমে নুহাশ হুমায়ূনের প্রডাকশন থেকে একজন ফোন দিয়েছিলেন ‘বেসুরা’য় অভিনয়ের জন্য। কিন্তু ঢাকার বাইরে শুটিং করতে হবে শুনে দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম। পরে যখন নুহাশ আমাকে পাণ্ডুলিপি পড়ে শোনায়, আমি আগ্রহ বোধ করি। আমার চরিত্রটিতেও চমক রয়েছে, আমাকে এর আগে এমন চরিত্রে কখনো দেখা যায়নি। অনেকেই ভাবতে পারেন, চরকিতে যেহেতু আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু রেদওয়ান রনি আছেন, তাঁর মাধ্যমেই হয়তো আমার কাছে অফার এসেছে। তাঁরা হয়তো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারেন। তবে আমার কাছে নুহাশের পক্ষ থেকেই অফারটা এসেছে”—এভাবেই ‘বেসুরা’য় যুক্ত হওয়ার গল্প শোনালেন সুমাইয়া শিমু। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ‘তৃতীয় নয়ন’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন শিমু।

১৬ বছর পর তাঁর ছেলের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন। নুহাশের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা জানালেন অভিনেত্রী, ‘হুমায়ূন আহমেদ স্যার তাঁর বিভিন্ন বইয়ে নিজের পরিবারের কথা বলেছেন, আমরা যেহেতু তাঁর বই পড়ে বড় হয়েছি, তাই নুহাশ আমাদের কাছে খুবই পরিচিত। স্যারের নির্দেশনায় মাত্র একটি নাটকে অভিনয় করেছিলাম। তাঁর নির্দেশনা দেওয়ার ধরন তখনকার অন্য সব পরিচালকের চেয়ে ভিন্ন ছিল। নুহাশ আবার অন্য রকম, সে নিজের চাহিদাটুকু পুরোপুরি আদায় করে নেয়। তাই বলে শিল্পীর স্বাধীনতা যে থাকে না, তা নয়। প্রথমে শিল্পীকে নিজের পছন্দমতোই অভিনয় করতে বলে, সেটায় সন্তুষ্ট না হলে নিজের মতো করে করার অনুরোধ করে। মানুষ হিসেবে নুহাশ খুবই শান্ত, সেটে যে তার উপস্থিতি আছে এটা একেবারেই বোঝা যায় না। সারাক্ষণ মনিটরের সামনে বসে থাকে। টেকনিক্যাল দিকগুলো নুহাশ খুব ভালো বোঝে, তার দর্শনটাও আলাদা। আমার বিশ্বাস, এ কারণেই নুহাশ একদিন নিজের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য দিয়েই পরিচিতি পাবে।’

‘বেসুরা’র শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, গভীর পাহাড়ি এলাকায় সেট ফেলে। এমন পরিবেশে এবারই প্রথম অভিনয় করলেন শিমু। তাই বেশ রোমাঞ্চ বোধ করেছেন। নুহাশের গোছানো টিম থাকায় কোনো অসুবিধা হয়নি শিমুর।

‘বেসুরা’ দিয়ে প্রথমবার অভিনয়ে এলেন  গায়ক ইসলাম উদ্দিন পালাকার। তাঁকে নিয়েও বললেন শিমু, “তাঁর ‘দেওরা’ গান আমার খুবই পছন্দের। সেখানেও কিন্তু অভিনয়ের সংযোগ ছিল, পালাগানে অভিনয়ের একটা ব্যাপার থাকে। শুটিংয়ে প্রথম দিকে নার্ভাস থাকলেও তিনি ধীরে ধীরে মিশে গেছেন।”

শিমুর সমসাময়িক প্রায় সবাই এরই মধ্যে ওটিটিতে এসেছেন। শিমু এলেন এবারই। প্রথমবার এই মাধ্যমে অভিনয় করতে কেমন লেগেছে? অভিনেত্রী বলেন, ‘কয়েক বছর ধরেই ওটিটিতে খুব ভালো কাজ হচ্ছে। যেহেতু এর আগেই আমি অভিনয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ি, তাই এত দিন এই মাধ্যমে অভিনয় করা হয়নি। তবে ওটিটির কনটেন্টগুলো দেখেছি। বেশ ভালো কাজ হচ্ছে এই মাধ্যমে। দেখলে বেশ গোছানো ও পরিকল্পনামাফিক মনে হয়। ওটিটিতে প্রথম অভিনয় করতে গিয়ে আমারও সেটাই মনে হয়েছে। অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।’

66

পরিচালক নুহাশ হুমায়ূনের মতে, ‘বেসুরা’ একটি মিউজিক্যাল কনটেন্ট, চরিত্রগুলো সংলাপ বলেছে সুরে-ছন্দে। সুমাইয়া শিমুসহ অন্যান্য অভিনয়শিল্পীর কাছেও ব্যাপারটা বেশ অভিনব লেগেছে। অভিনয় করেছেন এরফান মৃধা শিবলু, বাবলু বোস, বীণা দাশ প্রমুখ। প্রীতম হাসানের সংগীতে দুটি গানও রয়েছে।

সম্প্রতি ‘টেন মিনিটস স্কুল’-এর একটি বিজ্ঞাপনে দেখা গেছে সুমাইয়া শিমুকে। বেশ প্রশংসিতও হয়েছে। ‘সব সময় হয়তো হয় না, তবে চেষ্টা করি এমন কিছুতে যুক্ত থাকার, যেটা সমাজকে একটা বার্তা দেবে। এই বিজ্ঞাপনটাও সেই লক্ষ্যেই করা। প্রচারের পর থেকে বেশ প্রশংসা শুনছি’, বিজ্ঞাপনচিত্রটি প্রসঙ্গে বললেন শিমু।

১৯৯৯ সালে অরণ্য আনোয়ার পরিচালিত ‘এখানে আতর পাওয়া যায়’ নাটকে ছোট্ট একটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় শুরু করেছিলেন সুমাইয়া শিমু। ‘ইত্যাদি’তে সেলিম চৌধুরীর ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ গানে মডেল হয়ে আলোচিত হন, পাশাপাশি বাপ্পা মজুমদারের ‘পরী’ গান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘অন্যফুল’ নাটকে অভিনয় করেও নজর কাড়েন। এরপর ‘হাউজফুল’, ‘স্বপ্নচূড়া’, ‘মহানগর’, ‘ললিতা’ ধারাবাহিকগুলো দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। অভিনয় করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ চলচ্চিত্রেও। ২৫ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ার, সেই শিমু এখন অভিনয়ে নিয়মিত নন। আগের সেই লাইট- ক্যামেরা-অ্যাকশনের আলো-ঝলমলে দিনগুলো মিস করেন শিমু?

অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে জীবন যখন যেমন, আমি সেটাই উপভোগ করি। যেহেতু আমি একজন অভিনেত্রী, অভিনয় তো অবশ্যই মিস করি। তবে আমি বাস্তবতা মেনে নিয়েই চলি। একসময় আমি অভিনয়ের ব্যস্ততা উপভোগ করেছি, এখনকার জীবনটাও উপভোগ করছি। আমি চাইলেও আগের মতো সব চরিত্রে অভিনয় করতে পারব না। আমি মনে করি, সময়কে যাঁরা মেনে নেন জীবনে তাঁরা সেভাবে হতাশায় ভোগেন না।’

যমজ সন্তানের জননী সুমাইয়া শিমু এখন মাতৃত্বের জীবন বেশ উপভোগ করছেন। গত এক-দেড় বছরে ব্যক্তিগত জীবনে বেশি ব্যস্ততা থাকায় নাটক তেমন একটা দেখা হয়নি তাঁর। তাই এ সময়ের নাটকের মান নিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না। তবে এটাও জানালেন, পাণ্ডুলিপি পছন্দ হলে নাটকে অভিনয় করতে এখন আর আপত্তি নেই তাঁর।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যিনি অতিথি তিনিই উপস্থাপিকা

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
যিনি অতিথি তিনিই উপস্থাপিকা
সাদিয়া রশ্নি সূচনা

স্টুডেন্ট থাকাবস্থাতে স্কুল, কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। কবিতা আবৃত্তি করা, উপস্থাপনা করা, রচনা লেখা পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বরাবরই ছিলেন এগিয়ে। বছর কয়েক আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে অতিথি হিসেবে ডাক পান তিনি। এর পর অতিথি হয়ে আসা এই তরুণী পরবর্তীতে সেই অনুষ্ঠানেরই উপস্থাপিকা হিসেবে ডাক পান।

সেই থেকে জড়িয়ে গেলেন উপস্থাপনায় আর কথার জাদুতে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাচ্ছেন এখনো। বলছি সাদিয়া রশ্নি সূচনার কথা, যিনি একাধারে মডেল এবং উপস্থাপিকা। পাশাপাশি তিনি এক বছর ধরে জাতিসংঘের ইউএনডিপিতে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত আছেন। 

এক্সট্রা কারিকুলামে পারদর্শী এই তরুণী বাংলা, ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি আয়ত্তে নিয়ে আসেন চীনা ভাষা।

যার দরুণ ডাক পান চীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমেলনে। 

সূচনার ভাষ্যে, যখন আমি স্টুডেন্ট ছিলাম তখন থেকেই আমি এই বিষয়গুলোর সঙ্গে জড়িত ছিলাম। আমার কাছে খুব ভালো লাগতো। ২০১৬ সালে চ্যানেল আইয়ে বাংলা একাডেমির একটি বিশেষ আয়োজন উপস্থাপনা করেছিলাম।

এরপর বিভিন্ন সময়ে প্রস্তাব এসেছে কিন্তু সেসময় যেহেতু আমি স্টুডেন্ট ছিলাম তাই সেটা আর নিয়মিত করা হয়নি। পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলামে অংশ নিতাম। ওই সময়ে আমি চীনা ভাষা শিখেছিলাম। এই সুবাদে ২০১৯ সালে চীন বাংলাদেশের একটা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবার সুযোগ হয়েছিল আমার। এর পর যদিও আরো বিভিন্ন দেশ থেকে এরকম আন্তর্জাতিক প্রস্তাব ছিল কিন্তু আমার যাওয়া হয়নি।
এরমধ্যে নেপালে একটা সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলাম।

May be an image of 1 person and smiling

তাকে বিভিন্ন করপোরেট শোতেই বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি বিভিন্ন রান্নার অনুষ্ঠান এবং মাঝেমাঝে শোবিজ সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠানে পাওয়া যায়। তার অফিশিয়ালি টেলিভিশনে উপস্থাপিকা হিসেবে যাত্রা শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে।

অতিথি থেকে উপস্থাপিকা, এমন প্রসঙ্গে সাদিয়া রশ্নি সূচনা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘চীনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাই, পাশাপাশি ওই সময়ে আমার আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেবার অভিজ্ঞতাগুলো বলার জন্য বাংলা ভিশন চ্যানেল থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখানে অতিথি হিসেবে গিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। এর পর একটা সময়ে তাদের কাছে মনে হলো আমাকে দিয়ে উপস্থাপনা করানো যেতে পারে, এরপর তারা আমাকে উপস্থাপনার প্রস্তাব দেন। যেহেতু ওইসময় করোনা মহামারী ছিল ২০২০ সালে, আমি তখন আর যাইনি। পরের বছর মার্চে আমি যাই এবং উপস্থাপনা শুরু করি। তখন থেকে এখনো পর্যন্ত গত চার বছর ধরে আমি সেই ‘দিন প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছি।’

ইচ্ছে থাকলেও কথিত কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে টেলিভিশনে শোবিজ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতে পারছেন না বলেই জানালেন তিনি। তার মতে, অনেকেই বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন আমার নাকি কমিউনিকেশন গ্যাপ রয়েছে। অথচ আমি জাতিসংঘের ইউএনডিপির সঙ্গে যে কাজ করছি সেটা কমিউনিকেশন নিয়েই। সেদিক থেকে বলতেই পারি যে, যোগাযোগের বিষয়ে আমি বিশেষ ভূমিকা রাখি বলেই ইউএনডিপির এমন একটা ডিপার্টমেন্টে কাজ করতে পারছি। এখন অন্যরা কমিউনিকেশন বলতে কী বুঝান, সেটা হয়তো আমি বুঝিনা। তাদের দিক থেকে হয়তো আমার যোগাযোগ দক্ষতা এতটা ভালো না। ভালো হলে তো এখানে অনেকগুলো প্রোগ্রাম পেতাম।

No photo description available.

সেইসঙ্গে যোগ করে সূচনা আরো বলেন, ‘এখন আমি টেলিভিশনে যে কয়েকটা শো করছি সেগুলো আমার কাছে এসেছে তখন যখন আমি করপোরেটে প্রচুর শো করছি। নিজেকে উপস্থাপিকা হিসেবে প্রমাণ করার পর টেলিভিশন শোগুলো পেয়েছি। শুরুর দিকে পাইনি। একমাত্র ‘দিন প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানটাই ছিল। মানুষ টেলিভিশনে কাজ করতে করতে করপোরেটে যায়, আমার ক্ষেত্রে উলটো হয়েছে। করপোরেট থেকে আমি টেলিভিশনে এসেছি।’

নিজের কাজটাই তার কাছে অনুপ্রেরণা বলে মনে করেন। এর জন্য কাজের বাইরে যতটুকু সময় পান সেটা নিজেকে দিতেই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, আমার কাছে আমার কাজটাই অনুপ্রেরণা। যখন কাজ থেকে বাড়ি ফিরি সেটা আমাকে যে প্রশান্তি দেয়, সারাদিন ঘুমিয়েও আমি সেটা পাই না। এ কারণে সবকিছুর চেয়ে আমি কাজটাকেই বেশি গুরুত্ব দেই। 
   
মডেলিংয়ে স্বাচ্ছন্দ্য সূচনার অভিনয় খুব একটা টানে না, তারপরেও নাটক এবং সিনেমার একাধিক প্রস্তাব তিনি পেয়েছেন। বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়েও দিয়েছেন। তার ভাষ্যে, বেশ অনেক নাটকের অফার পেয়েছি, সামহাউ কাজ করা হয়নি। সিনেমারও পেয়েছি কিন্তু মনে হয়েছে, অভিনয় এতটাও ভালো জানি না। তবে ইচ্ছে আছে সিনেমাতে কাজ করার। যদি ব্যাটে-বলে মিলে তাহলে হয়তো করতে পারি।  

May be an image of ‎1 person and ‎text that says '‎N ة ভ ভাইল PAUHOL‎'‎‎

উপস্থাপনায় কাউকে অনুসরণ করেন না মিষ্টিভাষী এই তরুণী। তবে এই সময়ে যারা উপস্থাপনা করছেন তাদের সবার উপস্থাপনাই দেখেন সূচনা। তবে উপস্থাপনায় তার প্রিয় দুজন মানুষ হলেন অপি করিম এবং রুমানা মালিক মুনমুন। এর বাইরে অপরা উইনফ্রের উপস্থাপনা তার কাছে অসাধারণ লাগে। তার মতো উপস্থাপনা করতে পারলে উপস্থাপনায় নিজেকে ধন্য মনে করতেন সূচনা। 

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজের মডেল হিসেবে কাজ করা হয়েছে সূচনার। এ ছাড়াও দুটি বিজ্ঞাপন করা হয়েছে সম্প্রতি। এংকর পুষ্টি মিল্ক এবং ভিশন রেফ্রিজারেটরের। পাশাপাশি চলছে দুটি রান্নার শো এবং একটি স্বাস্থ্য বিষয়ক শো।  

মন্তব্য

প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রেমের দায়ে কারাগারে ইয়াশ, পাগলা গারদে নিহা!
সংগৃহীত ছবি

কলেজ জীবনের প্রেম সাধারণত তীব্র হয়। যে প্রেম পৃথিবীর সকল বাধা টপকানোর ক্ষমতা রাখে। তেমনই এক দুর্বার প্রেমের গল্পে নির্মিত হলো ঈদের বিশেষ নাটক ‘অবুঝ প্রেম’।

এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা।

এটি নির্মাণ করেছেন মুহাম্মদ মিফতাহ্ আনান। আরো অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, জয়নাল জ্যাক প্রমুখ।

ফুয়াদ বিন আলমগীরের সিনেমাটোগ্রাফিতে এই নাটকে দুটি ভিন্ন লুক ও চরিত্রে হাজির হবেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নিহা।

এ প্রসঙ্গে নির্মাতা জানান, ‘অবুঝ প্রেম’ নাটকের চ্যালেঞ্জিং অংশ ছিলো দুটি।

একটি কলেজ জীবনের গেটআপ অন্যটি কারাগার ও পাগলা গারদের গেটআপ, মেকআপ ও অভিনয়। দুটো চ্যালেঞ্জই শতভাগ উতরে গেছেন ইয়াশ-নিহা। এমনটাই প্রতিক্রিয়া নির্মাতা পক্ষের।

এদিকে গল্পের বিষয়ে আগাম একেবারেই মুখ কুলতে চাইছেন না সংশ্লিষ্ট কেউ।

নির্মাতা শুধু এটুকু আঁচ দিলেন, এটি শতভাগ খাঁটি প্রেমের একটি গল্প। যেখানে প্রেম আছে, পাল্লা দিয়ে থাকছে বিরহ-ও।

‘অবুঝ প্রেম’ ছাড়াও এবারের ঈদ আয়োজনে সিএমভি’র ব্যানারে মুক্তি পাচ্ছি ২০টি নাটক। প্রযোজক-পরিবেশক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, চাঁদরাত থেকে বিশেষ নাটকগুলো ধারাবাহিকভাবে উন্মুক্ত হতে থাকবে সিএমভি’র ইউটিউব চ্যানেলে। 

মন্তব্য

জমজমাট ট্রেলার, এ মাসেই আসছে ‘লুসিফার ২’

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
জমজমাট ট্রেলার, এ মাসেই আসছে ‘লুসিফার ২’
সংগৃহীত ছবি

মালায়ালাম চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম সেরা হিট ছবি ‘লুসিফার’। অবশেষে জানা গেল, আসছে এর সিক্যুয়েল। জমজমাট ট্রেলার উন্মোচন করে সুখবরটি দেন এর নির্মাতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারান। সিক্যুয়েলের নাম রাখা হয়েছে ‘লুসিফার ২: এমপুরান’।

প্রথম পর্ব যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকেই শুরু হয়েছে এর গল্প।

প্রায় চার মিনিটের ট্রেলারটি ছিল বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। দলের অভ্যন্তরে এবং কেরালা রাজ্যে ক্ষমতার লড়াইকে ঘিরে আবর্তিত হয় ট্রেলারটি। দুর্দান্ত অ্যাকশনের ঝলকের পাওয়া গেছে এতে।

 

কেউ কেউ বলছেন, পৃথ্বীরাজ অভিজ্ঞ পরিচালক না হলেও ট্রেলার কাট দুর্দান্ত করেছেন। প্রতিটি ফ্রেমেই অসাধারণ পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। অসাধারণ দৃশ্যায়ন এবং নিখুঁত ব্যাকগ্রাউন্ড। 

লাইকা প্রোডাকশনস, আশীর্বাদ সিনেমাস এবং শ্রী গোকুলাম মুভিজ প্রযোজিত ‘লুসিফার ২: এমপুরান’ আগামী ২৭ শে মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।

এতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন মোহনলাল, পৃথ্বীরাজ। এছাড়াও রয়েছেন মঞ্জু ওয়ারিয়ার, সুরজ ভেঞ্জারামুডু, ইন্দ্রজিৎ সুকুমারন, নিখাত খান প্রমুখ।

মন্তব্য

রেকর্ড ভাঙবে কি না জানি না, চাই সবাই বরবাদ দেখুক : মেহেদী হাসান হৃদয়

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

শেয়ার
রেকর্ড ভাঙবে কি না জানি না, চাই সবাই বরবাদ দেখুক : মেহেদী হাসান হৃদয়
শাকিব খান ও বরবাদ নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়

২০১২ সালে শোবিজে পদচারণ। সহকারী হিসেবে এক-দুই বছর কাজ করার পর পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এর পর নির্মাণ করেন আড়াইশরও বেশি নাটক। ছোট পর্দার লম্বা সফর শেষে এবার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটছে মেহেদী হাসান হৃদয়ের।

এই ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাচ্ছে তার প্রথম সিনেমা ‘বরবাদ’। সিনেমা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরুল নূর। 

সিনেমায় আসতে এতটা সময় কেন নিলেন? 

নিজেকে প্রস্তুত করতেই সময়টা নিয়েছি। আরো কয়েক বছর আগেই মনে হয়েছিল যে, এখন সিনেমা করা উচিত।

কিন্তু তারপরও আমি সময় নিয়েছি, চেয়েছি একটা ঠিকঠাক কিছু নিয়ে তারপর আসতে। 

আপনার প্রথম সিনেমাতেই দেশের শীর্ষ তারকা শাকিব খান। লক্ষ্যই কি এটা ছিল যে প্রথম সিনেমাটা তাকে নিয়ে করবেন? 

না, বিষয়টা এ রকম না। সব নির্মাতাই স্বপ্ন দেখে সিনেমা বানানোর।

আমিও এর ব্যতিক্রম না। আর শাকিব খান তো মেগাস্টার, সবাই চায় তাকে নিয়ে সিনেমা করতে। এটা খুব স্বাভাবিক। আমিও চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটা প্রথম সিনেমাতেই হয়ে গেছে। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।
 

May be an image of 1 person, beard and smiling

গল্পের প্রয়োজনে শাকিব খান এসেছেন, নাকি শাকিব খানের জন্য গল্প? 

একেবারেই গল্পের প্রয়োজনে। এটা কয়েক বছর আগের ঘটনা, ২০২০ কিংবা ২০২১ সালের দিকে। একদিন গ্লোরিয়া জিনসে বসে কফি খাচ্ছিলাম। কফি খেতে খেতে হুট করে গল্পটা মাথায় এলো। প্লট পেয়ে গেলাম আর তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই গল্পে সিনেমা বানাব। এরপর যখন গল্পে প্রোটাগনিস্ট চরিত্রটাকে খুঁজে পেলাম, তখন ওই চরিত্রটার জন্য আমার চোখের সামনে শুধু শাকিব খানই ভেসে উঠেছে। এটা ওনাকে ছাড়া আর কাউকে দিয়ে হবে না। যেহেতু প্রোটাগনিস্ট চরিত্রকে ভেবেই একটা গল্প লেখার কাজটা এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়, তখন আমি ওনাকে মাথায় রেখেই গল্পটা প্রস্তুত করি। এরপর শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে গল্পটা শেয়ার করলে উনি খুব পছন্দ করেন এবং কাজটা করতে রাজি হন।


গেল বছরে শাকিব খানের সংখ্যা রেকর্ডসংখক ব্যবসা করেছে। তার টার্গেট তো একশত কোটি, আপনার টার্গেট কী? 

এখন সিনেমাটাই করতে চাই।  বরবাদ বানিয়েছি, এটা সবাই দেখুক, সবার কাছে ভালো লাগুক, আপাতত এটাই আমার চাওয়া। পাশাপাশি চাইব ব্যবসাটাও যেন ভালো হয়। আগের রেকর্ড ভাঙবে কি না আমি জানি না, তবে এটা চাই ছবিটা সবাই দেখুক। দেখেন প্রিয়তমা, তুফানের পর বরবাদ যদি ভালো যায় তাহলে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো। প্রযোজক বাড়বে, তারা লগ্নি করতে সাহস পাবে। যেটা এখন ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুব দরকার। 

যারা শাকিবভক্ত না, তারা ‘বরবাদ’ কেন দেখবে? 

দেখুন, তুফান কিন্তু সব শ্রেণির দর্শকই দেখেছে। গল্প, নির্মাণ ভালো হলে সেটা সব দর্শকই দেখে। বরবাদ একেবারে বিনোদনধর্মী সিনেমা, যেখানে রোমান্স, অ্যাকশন, ড্রামা, ইমোশন, নাচ-গান সব কিছুই আছে। ছবিটা সব দর্শককে বিনোদন দেবে। সবার কাছেই ভালো লাগবে। 

May be an image of 1 person, beard and wrist watch

এখনো সিনেমাটি সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েনি কেন?

সিনেমার কাজ সম্পন্ন। প্রিভিউ করার পর মনে হলো, কিছু জায়গায় কারেকশন করলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগবে। আপাতত সেই কাজটাই করছি, এ জন্য একটু দেরি হচ্ছে। সপ্তাহান্তেই জমা দিয়ে দেব। 

‘বরবাদ’-এর পর কী আসবে? 

কী আসবে সেটা এখনো জানি না। দুই-তিনটা সিনেমার প্রস্তাব এসেছে। আপাতত বরবাদ মুক্তি পাক, এক মাস পর নতুন সিনেমা নিয়ে বসব। যেহেতু আমি নির্মাতা, সব প্ল্যাটফরমেই কাজ করব। সেটা নাটক হতে পারে, ওটিটিও হতে পারে। আমার যেহেতু গল্পের ক্ষুধা আছে, সেটা তো আমি মেটাতে চাইবই, সেটা যে মাধ্যমেই হোক। 

নাটক থেকে যারা অভিনয়ে কিংবা পরিচালনায় আসে, তাদের একটা কটূক্তি সব সময়ই শুনতে হয় যে অভিনয় পারে না, নির্মাণ জানে না, নাটক থেকে আসছে এ রকম। আপনিও তো নাটক থেকেই এসেছেন। এসব কটূক্তিগুলো নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? 

এ ক্ষেত্রে আমি বলব, যে পারে সে সব জায়গাতেই পারে। তার জন্য হয়তো শুধু মাধ্যমটাই চেঞ্জ হয়, আর কিছু না। আমি নাটক নির্মাণ করে এখন সিনেমা বানিয়েছি। এখন পর্যন্ত টিজার বা গান যা-ই প্রকাশ্যে এসেছে, সেগুলো দেখে কিন্তু কেউ বলেনি যে এটা নাটক হয়েছে। আমি কিন্তু সিনেমার ধুন রেখেছি। যা বলেছি, দর্শকরা হলে গিয়েও তা-ই দেখতে পাবে। যদি কথার সঙ্গে কাজে মিল না পায় তখন আমাকে জানাবেন। 

এটা শুধু আমার জন্য না, সবার কথা মাথায় রেখেই বলব। যারা এ ধরনের মন্তব্য করেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা মন্তব্য করার আগে কাজটা দেখুন, তারপর মন্তব্য করুন।

ঈদে তো আরো বেশ কয়েকটা সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। নিজের সিনেমা ছাড়া আর কোন ছবিটা দেখতে হলে যাবেন? 

এখন পর্যন্ত জংলি আর চক্কর সিনেমার টিজার আমার কাছে ভালো লেগেছে। দুটিই অসাধারণ হয়েছে। ইচ্ছা আছে সবগুলো সিনেমা হলে গিয়ে দেখব। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ