বিতর্ক যেন কখনও পিছু ছাড়ে না তার। অভিনেত্রীর পরিচয় পেরিয়ে কঙ্গনা রানাউত এখন সাংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তার নানা মন্তব্য কেড়ে নিয়েছে সংবাদের শিরোনাম। এবার আইনি জটিলতায় পড়তে চলেছেন এই ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’।
বিতর্ক যেন কখনও পিছু ছাড়ে না তার। অভিনেত্রীর পরিচয় পেরিয়ে কঙ্গনা রানাউত এখন সাংসদ। জনপ্রতিনিধি হিসেবেও তার নানা মন্তব্য কেড়ে নিয়েছে সংবাদের শিরোনাম। এবার আইনি জটিলতায় পড়তে চলেছেন এই ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’।
গীতিকার জাভেদ আখতারের দায়ের করা মানহানির মামলায় দিনের পর দিন আদালতে গরহাজির কঙ্গনা। এবার তাকে ‘শেষ সুযোগ’ দিল আদালত। এরপর উপস্থিত না হলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হবে। তাতে তার গ্রেপ্তারির সম্ভাবনাই বেশি।
কঙ্গনার বিরুদ্ধে জাভেদ আখতারের এই মামলা প্রায় ৫ বছরের পুরনো, ২০২০ সালের। সে বছর তরুণ অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন – সেই মীমাংসা আজও হয়নি।
সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা ‘নেপোটিজম’-এর শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন বিশিষ্ট গীতিকার, দেশের অন্যতম সম্মানিত শিল্পী জাভেদ আখতারকে। দোষারোপ করতে গিয়ে দুজনের গোপন এক সাক্ষাৎকারের কথা প্রকাশ্যে এনে যা যা মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা, তা যথেষ্ট অসম্মানজনক বলে মনে করেন বর্ষীয়ান সুরকার। আর তারপরই তিনি মানহানির মামলা করেছিলেন।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় ৪০ দিন শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মঙ্গলবারও শুনানির দিন ছিল। তার আইনজীবী রিজওয়ান সিদ্দিকি আদালতে জানান, সংসদীয় কাজে ব্যস্ত অভিনেত্রী। আদালতে হাজির হওয়া সম্ভব নয়। তা শুনে জাভেদ আখতারের আইনজীবী জয় কে ভরদ্বাজ পাল্টা আপিল করেন, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ৪০ দিন নষ্ট করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তাই তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক।
সওয়াল-জবাবের পর বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তার। যদিও এ নিয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি অভিনেত্রী।
সম্পর্কিত খবর
শেষ পর্যন্ত অকালেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় শোকে বিহ্বল গোটা দেশ।
ঢালিউড অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডলে শুধু লিখেছেন, ‘আছিয়া।
অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ সৃষ্টিকর্তার কাছে বিচার দিয়ে লিখেছেন, ‘আল্লাহ আপনি বিচার কইরেন।’
অভিনেতা ও উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের কথায়, ‘আছিয়ার মৃত্যু শুধুই একটা মৃত্যু নয়। বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর প্রতিটি নারীর আজীবনের অভিশাপ। প্রতিটা সুস্থ পুরুষের নিজের মেয়ের কাছে আমৃত্যু ছোট হয়ে থাকা।
অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান লিখেছেন, ‘আমাদের মাফ করে দিও আছিয়া। আমরা তোমাকে বাঁচাতে পারলাম না।’
অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি লিখেছেন, ‘এ শহরে আর কোনো কন্যার জন্ম না হোক। মাতৃহীন, ভগ্নিহীন, কন্যাহীন মরুভূমি হোক এ দেশ। কুলাঙ্গারের আবাদ হোক!’
আছিয়াকে নিয়ে নিজের ফেসবুকে সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন পূর্ণি লিখেছেন, ‘মরে গিয়ে বেঁচে গেল।
নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী লিখেছেন, ‘মরে আছিয়া বেঁচে গেল। আর বুঝিয়ে দিয়ে গেল অনেক কিছুই। আছিয়া, তীব্র কষ্ট পেয়েছ মা, এবার ঘুমাও। লজ্জিত, ক্ষমার অযোগ্য আমরা।’
চিত্রনায়িকা তমা মির্জা ধর্ষকের মৃত্যু কামনা করে লিখেছেন, ‘শোনেন পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে, আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয় রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ/বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না।’ ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রবিবার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেয়া হয়। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
শেষ পর্যন্ত অকালেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া আজ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।
শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে তীব্র দাবি উঠছে।
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তমা মির্জা ফেসবুক পোস্টে ধর্ষকের বিচারার বিষয়টি তুলে ধরেন।
ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি।
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই জাদুর ঝলকানি। দর্শকরা মুখিয়ে থাকেন এ অভিনেতাকে দেখতে। শাহরুখের সিনেমা মানেই প্রেক্ষাগৃহে উৎসবের আমেজ।
২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের সময় ঘটে এমন ঘটনা।
‘দেবদাস’-এর সিনেমাটোগ্রাফার বিনোদ প্রধান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ফ্রাইডে টকিজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের জন্য মুম্বাইতে এক কিলোমিটার জুড়ে চন্দ্রমুখীর কোঠার সেট তৈরি করা হয়েছিল।
তবে সমস্যা তৈরি হয় এখানেই। এত বড় সেট সাজানোর জন্য মুম্বাইয়ের যত জেনারেটর ছিল, প্রায় সবই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল ‘দেবদাস’-এর জন্য! ফলে শহরের অন্য কোথাও তখনকার মতো জেনারেটরের সংকট দেখা দেয়।
বিনোদ প্রধান আরো বলেন, “অনেকেই আমাকে বলেছিলেন—‘বিনোদজি, আপনি এত জেনারেটর ব্যবহার করেছেন যে শহরে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও জেনারেটর বাকি ছিল না!”
‘দেবদাস’ শাহরুখের ক্যারিয়ারের অন্যতম এক কালজয়ী সিনেমা হিসেবেই ধরা হয়। এর আগে দীলিপ কুমারও দেবদাস করেছিলেন তবে শাহরুখের দেবদাস চিরসবুজ হয়ে রয়েছে দর্শকদের মনে। সিনেমাটি মুক্তির পর বক্সঅফিসেও ঝড় তোলে। ৪৪ কোটি টাকা বাজেটের দেবদাস বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি টাকা আয় করে।
ছোট পর্দার বড় তারকা অভিনেত্রী তানজিন তিশা। একের পর এক জনপ্রিয় নাটকে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। কাজ করেছেন সমসাময়িক সব বড় তারকার সঙ্গেই। এ প্রজন্মের টিভির দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওটিটির একটি পেইড ভার্সনে মুক্তি পায় তিশা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। ফিল্মটিতে জ্যোতি নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা। হাসপাতালের বেডে কোমায় থাকা চরিত্রটি দিয়ে নতুন করে নজর কাড়লেন এ অভিনেত্রী।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তানজিন তিশা বলেন, ‘এ ফিল্মের গল্পটা দর্শক দারুণভাবে আপন করে নিয়েছে। যখন শুটিং করছিলাম তখনই মনে হয়েছে দর্শক গ্রহণ করবেন। কিন্তু ভাবছিলাম আমার চরিত্রটি দর্শক কীভাবে নেবে! আমিও কাজটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। অবশেষে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছি আমি।
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অসংখ্য দর্শকদের মন্তব্য আমাকে নাড়া দিয়েছে। বেশিরভাগই বলেছে, শেষের দিকে গল্পের ঘোর থেকে বের হতে পারছে না। মনে হচ্ছে, আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে।’
এ চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করা চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে তিশা বলেন, ‘ঘুমপরীকে নিয়েই এ গল্প। আর সেটি হচ্ছি আমি। যারা এটি দেখেছেন তারাও এতে একমত। কিন্তু স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স একটু কম। যখন স্ক্রিনে আমি মিসিং থাকব না, তখন মানুষ যেন ঘুমপরীকে খোঁজে এটাই ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। বেডে শুয়ে থাকাকালীন সংলাপ না দিয়ে আমার তাকিয়ে থেকে অ্যাক্টিং করাটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের। অন্যদিকে, চঞ্চল মেয়ের ক্যারেক্টারে দর্শক অন্য লুকেও দেখেছে। এটাও ছিল চ্যালেঞ্জের। সব মিলিয়ে জ্যোতি হয়ে ওঠা এবং পুরো কাজটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেদিক থেকে দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ সার্থক।’