পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় ফের ব্যাপক হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাখির মতো মরছে মানুষ। আহতদের চিৎকারে ভারী আকাশ-বাতাস।

গাজার এমন পরিস্থিতিতে হতবাক বিশ্বমানবতা। এ বর্বরতা হৃদয় স্পর্শ করেছে বিশ্বের সব শ্রেণিপেশার মানুষের। নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সবাই।

ফিলিস্তিনে যুগ যুগ ধরেই চলছে ইসরায়েলি আগ্রাসন।

নানা সময়ে ফিকশনে এসেছে সে কথা। উপন্যাস লেখা হয়েছে, কবিতা লেখা হয়েছে, সিনেমায়ও এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ। এর মধ্যে কোনো সিনেমা নির্মাণই হয়েছে ফিলিস্তিনকে নিয়ে। কোনোটিতে এসেছে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ।
এমন কয়েকটি সিনেমা সম্পর্কে জানা যাক, যেগুলোতে ফিলিস্তিনি সংগ্রাম, জীবনযাপন, ও মানবিকতা বিশ্বজুড়ে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। 

ফারহা
এক কিশোরী মেয়ে ফারহার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে শিক্ষক হওয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই তার শান্ত জীবন যুদ্ধের ছোবলে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গ্রাম আক্রান্ত হলে, ফারহার বাবা তাকে বাঁচানোর জন্য বাড়ির একটি ছোট ঘরের ভেতর লুকিয়ে রাখে। বাইরে যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ চলতে থাকে, ফারহা সেই ঘর থেকেই যুদ্ধের বিভীষিকা দেখে ও শোনে।

ফারহার চোখের সামনে ঘটে যায় নির্মম হত্যাকাণ্ড, নিরীহ মানুষদের উপর নিষ্ঠুর অত্যাচার।

সিনেমাটি মুক্তির পর আন্তর্জাতিকভাবে বেশ আলোচিত হয়েছে এবং কিছু সম্মানজনক পুরস্কার ও মনোনয়নও অর্জন করে।

ওমর
ওমর হলো ফিলিস্তিনের দখলদারিত্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। ওমর একজন তরুণ ফিলিস্তিনি, যিনি প্রতিদিন নিরাপত্তা দেয়াল টপকে তার প্রেমিকা নাদিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান। ওমর ও তার দুই বন্ধু- তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাহা (নাদিয়ার ভাই) এবং আমজাদ। তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তারা একদিন এক ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা করে, এবং এর পর থেকে ওমরের জীবন এক ভয়ংকর মোড় নেয়। ইসরায়েলি বাহিনী ওমরকে আটক করে এবং নির্যাতনের মুখে সে বাধ্য হয় একটি কঠিন চুক্তিতে যেতে।

হ্যানি আবু-আসাদ পরিচালিত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র যা একাডেমি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে সিনেমাটি।

আরো পড়ুন
‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

‘ভিউ’ বাড়াতে সন্তানদের ব্যবহার, প্রশাসনের নজরে ‘ক্রিম আপা’

 

প্যারাডাইস নাউ
হানি আবু আসাদ পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০০৫ সালে। এটি একটি সাইকোলজিক্যাল ড্রামা, যা আবর্তিত হয়েছে দুই ফিলিস্তিনি নাগরিক সাইদ ও খালেদকে ঘিরে। তারা ইসরায়েলে একটি আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ধার্মিক না, তারা রাজনৈতিক কর্মীও না। তারা দুই বন্ধু নিজেদের শেষ দিনগুলো একসঙ্গে যাপন করছিল। এর মধ্য দিয়েই বা তাদের গল্পের মধ্য দিয়েই সিনেমায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ফিলিস্তিনের অবস্থা।

গোল্ডেন গ্লোবে সেরা বিদেশী সিনেমা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়া প্রথম ফিলিস্তিনি সিনেমা হিসেবে এটি মনোনীত হয়েছিল একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসে। একই সময়ে সিনেমাসংশ্লিষ্ট বেশকিছু গ্রুপ প্যারাডাইস নাউকে একাডেমি অ্যাওয়ার্ড থেকে বাদ দেয়ার জন্যও আন্দোলন করেছিল।

দ্য প্রেজেন্ট
২০২০ সালে নির্মিত এ শর্টফিল্মটির গল্প ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক সাধারণ বাবা এবং তার ছোট মেয়েকে নিয়ে। বাবা ইউসুফ তার মেয়ে ইয়াসমিনকে সঙ্গে নিয়ে বিয়ের বার্ষিকীতে স্ত্রীর জন্য একটি উপহার কিনতে বের হন। তবে এই সাধারণ কাজটিও সেখানে সহজ নয়। পথে তাদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চেকপয়েন্ট অতিক্রম করতে হয়, যেখানে প্রতিনিয়ত অপমান, নিরাপত্তা তল্লাশি এবং হেনস্তার সম্মুখীন হতে হয় ফিলিস্তিনিদের। ইউসুফ এবং ইয়াসমিনও এই হয়রানির বাইরে নন। চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় ইউসুফ বারবার বাধার সম্মুখীন হন, কিন্তু ছোট্ট ইয়াসমিন সাহসের সাথে বাবার পাশে থাকে। সব অসুবিধা পেরিয়ে তারা অবশেষে উপহার কিনতে সক্ষম হন। ফেরার পথে আবার চেকপয়েন্টের মুখোমুখি হলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

শর্টফিল্মটি ফিলিস্তিনি জীবনের প্রতিদিনকার সংগ্রাম, মানবিকতা, সাহসিকতা ও সেনা দখলদারিত্বের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী বেশ প্রশংসিত হয়েছে এটি।

আরো পড়ুন
ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

ঘনিষ্ঠতা মানেই যৌনতা নয় : অনুরাধা

 

ফাইভ ব্রোকেন ক্যামেরাস
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। এর মধ্যে একটা সময় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুরু করে হত্যার মহোৎসব। কিন্তু নানা সময় তাদের এসব কাজের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন হয়েছে। সে গল্প নিয়েই তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন গাই দাভিদি ও এমাদ বার্নাট। পশ্চিম তীরের বহু ঘর, পরিবারের ওপর ঘটে যাওয়া অত্যাচার ও নিপীড়নের চিত্র এ দুই নির্মাতা তুলে রেখেছিলেন তাদের ক্যামেরায়। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তারা কাজটি করেছেন।

২০১১ সালে নির্মিত এ তথ্যচিত্রকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক ও সিনেম্যাটিক অ্যাক্টিভিজমের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নির্মাতারা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যেকোনো সময় তাদের ঘরের দরজায় ধাক্কা পড়তে পারে এবং সব শেষ হয়ে যেতে পারে জেনেও তারা কাজ করে গেছেন।

ওয়াল্টয উইথ বশির
এরি ফোলম্যান ২০০৮ সালে নির্মাণ করেন সিনেমাটি। লাইভ অ্যাকশন না, সিনেমাটি অ্যানিমেটেড। মূলত ১৯৮২ সালের লেবানন যুদ্ধের এক সৈন্যকে নিয়ে এগোয় গল্প। সিনেমার অ্যানিমেশন করেছিলেন ডেভিড পোলনস্কি। তার অ্যানিমেশন ও ফোলম্যানের নির্মাণ এর বিষয়কে আরো স্পষ্ট করে তুলেছিল দর্শকের কাছে। ফলে ওয়াল্টয উইথ বশির গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমার পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি অস্কারেও মনোনীত হয়েছিল।

আরো পড়ুন
‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

‘সহ্যের একটা সীমা থাকে’, ঠাকুরপুকুরের ঘটনায় স্বস্তিকার ক্ষোভ

 

লেমন ট্রি
সিনেমাটিও ২০০৮ সালে নির্মিত। নির্মাণ করেছেন এরান রিকলিস। সিনেমাটিতে সালমার গল্প বলা হয়েছে। তিনি ফিলিস্তিনের একটি গ্রামের বাসিন্দা। লেবু বাগানের ওপর নির্ভর করেই জীবনধারণ করেন। কিন্তু একটা সময় ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু উদ্যোগ নেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নামে কিছু সীমানা তৈরির চেষ্টা করে, যার কারণে ধ্বংসের মুখে পড়ে সালমার লেবু বাগান। সালমা তা মানতে চায় না। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায় সে।

লেমন ট্রি মূলত একটি মানবিক গল্প। একটি ছোট পরিসরের গল্প থেকে বড় পরিসরের বাস্তবতা বোঝানোর চেষ্টা দেখা যায় এ সিনেমায়।

দ্য গেটকিপারস
২০১২ সালের সিনেমাটিকে ইসরায়েলি সিনেমা বলা হলেও বস্তুত এর পেছনে কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রযোজনা সংস্থার হাত আছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ইসরায়েলি নির্মাতা দোরর মোরে। কম্পিউটার অ্যানিমেশন ও বেশকিছু দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়ে তিনি সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া আছে আর্কাইভের বেশকিছু ফুটেজ। ইসরায়েলি সরকার ছাড়াও যে তাদের এজেন্সি শিন বেট বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এ সিনেমা সেদিকে নজর দেয়। সিনেমায় যুদ্ধ নিয়ে বেশকিছু চিত্র আছে। নির্মাতা দ্য ফগ অব ওয়ার থেকে অনুপ্রাণিত ছিলেন বলে সিনেমা বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরো পড়ুন
শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

শাহরুখের সঙ্গে আরেকটা ছবি করতে চাই : সানি দেওল

 

ফক্সট্রট
এক ধারার নাচের নাম হলেও স্যামুয়েল মাওজের ফক্সট্রট একটি ফ্যামিলি ট্র্যাজেডি। নির্মাতা এ সিনেমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে। সিনেমাটি পেয়েছিল সিলভার লায়ন। ২০১৭ সালে নির্মিত এ সিনেমায় তিন ধাপ বা ভাগে গল্পটি বলা হয়েছে। শুরুর গল্পে সেনারা এক মধ্যবয়সী দম্পতির বাড়িতে এসে জানায় তাদের ছেলে ডিউটিরত অবস্থায় মারা গেছে। এরপর সীমান্তে দায়িত্বরত সেনাদের জীবনের গল্প দেখানো হয়। সেখান থেকে গল্প আবার চলে যায় ওই দম্পতির কাছে। সিনেমাটিতে মূলত সৈন্যদের অবস্থা দেখানো হয়েছে। সেনারা সরল মনে সীমান্ত ও যুদ্ধে গিয়ে রাজনীতির বলি কীভাবে হন সে কথা বলে সিনেমাটি। সিনেমা বিশ্লেষকরা বলতে চার মাওজের কাজটি মানবিকতার দিক তুলে ধরতে চেয়েছে।

নো আদার ল্যান্ড
চারজন নির্মাতার দলগত প্রয়াস এ সিনেমা। এটিও দুই বন্ধুর গল্প। পশ্চিম তীরের এক গ্রামের দুই বন্ধুর জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিনের চলমান অবস্থার বাস্তবতা দেখিয়েছেন নির্মাতারা। অনেকটা দিনলিপির মতো এগিয়েছে গল্প। বাসেল ও ইউভালের এ গল্প একসময় হয়ে ওঠে বাস্তু রক্ষার সত্যের দিনলিপি। 

ডকুমেন্টারিটি কেন্দ্রীভূত পশ্চিম তীরের মাসাফা জোহার অঞ্চলে। এই এলাকা বহু ফিলিস্তিনি গ্রাম নিয়ে গঠিত, যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপন এবং সেনাবাহিনীর দখলদারিত্বের মুখে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ৯৭তম একাডেমি পুরস্কারে সেরা তথ্যচিত্রের অস্কার জিতে নেয় এটি।

গাজা মন আমোর
জার্মান সিনেমাটির পরিচালক আরব নাসর ও তার্জান নাসর। সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হয়েছিল জার্মান, পর্তুগিজ ও আরবি ভাষায়। এটি মূলত ৬০ বছর বয়সী জেলের গল্প, যে কখনো তার পছন্দের নারীকে ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। কিন্তু একসময় জালে ওঠা গ্রিক দেবতা অ্যাপলোর মূর্তি দেখে তার মনে হয় ভাগ্যদেবতা এবার প্রসন্ন হলেন। কিন্তু দেবতা প্রসন্ন হলেও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ মূর্তির খোঁজ পেলে শুরু হয় নতুন সমস্যা। সিনেমার এ গল্পের মধ্য দিয়ে গাজার চলমান অস্থিরতা, সামাজিক সংকট ইত্যাদি তুলে ধরেছেন নির্মাতারা।

২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আরব ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ একাধিক জায়গায় সমালোচকদের মন জয় করেছে এটি। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
‘মহামায়া’য় বুঁদ দর্শক, উচ্ছ্বসিত গীতিকার সোমেশ্বর অলি
সংগৃহীত ছবি

এ কার জীবন আমার কাঁধে, আমি বইতে পারছি না/ বেকার এ মন আবেগে বাঁধে, আমি সইতে পারছি না—এমন কথায় দর্শকের বুকে রীতিমতো হাহাকার বইয়ে দিয়েছেন গীতিকার সোমেশ্বর অলি। ‘মহামায়া’ শীর্ষক এই গানটি এবার ঈদের আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’-এর। সিনেমায় গানের দৃশ্যে বুঁদ হয়ে থাকছেন তারা, এমনটাই দেখা গেছে সরেজমিনে। 

খায়রুল ওয়াসীর সুরে গানটির সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন।

গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাইনুল আহসান নোবেল। অন্তর্জালে আসার পর ইতিমধ্যে দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠছে গানটি। তারও আগে অফিশিয়াল গান আনুষ্ঠানিক মুক্তির আগে এর অডিও ভার্সন ইউটিউবে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত এর গীতিকার।
 

‘মহামায়া’ দারুণ টিমওয়ার্ক জানিয়ে সোমেশ্বর অলি বলেন, ‘গানটি লেখার ব্রিফ ছিল অল্প, যেমন- একটি বিরহের গান, যেখানে নায়ককে বিধ্বস্ত ও বিধ্বংসী আচরণ করতে দেখা যাবে। এটুকু ব্রিফে লিখতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি আমাকে। লেখার পর মনে হলো, এই কথাগুলো আমি আগেও বলতে চেয়েছি, কিন্তু এমন কিছু লেখার প্রস্তাব আসেনি বা এমনিতে লিখলেও সেটি উপস্থাপনের সুযোগ বা মাধ্যম ছিল না। এই সিনেমাতে সেটি ঘটতে যাচ্ছে, বিশেষ পাওনা শাকিব খান।

May be an image of 2 people and people smiling

এরপর তিনি আরো বলেন, ‘এই গান গাওয়ার জন্য টিমের কাছে নোবেলই প্রথম পছন্দ ছিলেন। তিনি দুর্দান্ত গেয়েছেন। খায়রুল ওয়াসী নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সুর করেছেন আর আমজাদ হোসেন রক ব্যালাড বা এ জাতীয় গানের সংগীতায়োজনে সিদ্ধহস্ত, আবারও প্রমাণ পাওয়া গেল।’

এটি ছাড়াও ‘বরবাদ’ সিনেমায় সোমেশ্বর অলির আরো একটি গান রয়েছে, ‘জিন্দা’ শিরোনামে। গানটি প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘জিন্দা গানের প্রস্তাব পাই একবারে শেষ মুহূর্তে, সুরও করা ছিল।

খায়রুল ওয়াসীর সুর করা; সিচুয়েশন জানার পর আমি লিখি। এক লেখাতেই পরিচালকের সেটা পছন্দ হয়। গানটা এখনো মুক্তি না পেলেও যারা সিনেমা দেখছেন তাদের গানটা পছন্দ হচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে শাকিব খানের জন্য ‘ঈশ্বর’, ‘এক প্রেম’ শিরোনামে দুটি গান লিখেছিলেন সোমেশ্বর অলি; যার মধ্যে ‘ঈশ্বর’ তুমুল সাড়া ফেলেছিল। 

উল্লেখ্য, মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালিত ‘বরবাদ’-এ শাকিব খান ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত প্রমুখ।

মন্তব্য

ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

ইমরুল নূর

শেয়ার
ঈদুল আজহা মাতাবে যেসব সিনেমা
সংগৃহীত ছবি

সিনেমা পাড়ায় এবারের ঈদ ছিল বেশ জমজমাট। ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ঈদের সিনেমা দেখা নিয়ে চলছে উন্মাদনা, হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকরা। সারা বছর ধুঁকে ধুঁকে চলা সিনেমাহলগুলোও যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে, যার দরুণ হল মালিকেরাও দারুণ খুশি।

তার রেশ ধরে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে আসন্ন ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ঘিরে।

অনেকেরই মত, ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও এই দর্শক উন্মাদনা বিরাজ করবে। জেনে নেওয়া যাক, এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ঢালিউড সিনেমাগুলো সম্পর্কে। ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে তাণ্ডব, নীলচক্র, ইনসাফ, টগর, পিনিক, এশা মার্ডার : কর্মফল ইত্যাদি।  

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আসন্ন ঈদকে ঘিরেই বড় আয়োজনে নির্মিত হচ্ছে ‘তাণ্ডব’।

এখন পুরোদমে চলছে সিনেমাটির শুটিং। এর মধ্য দিয়ে ‘তুফান’ সাফল্যের পর আবারও পর্দায় জুটি হয়ে আসছেন রায়হান রাফী ও শাকিব খান। স্বভাবতই এই সিনেমা নিয়ে দর্শক আগ্রহ থাকবে তুঙ্গে। সিনেমাটিতে শাকিব খান ছাড়াও একটি বিশেষ চরিত্রে (সাংবাদিক) থাকছেন জয়া আহসান।
নায়কের বিপরীতে কে থাকছেন, তা এখনো প্রকাশ্যে আনেননি নির্মাতা।

এর নির্মাতা রায়হান রাফী কালের কণ্ঠকে বলেন, “কোরবানি ঈদ আমার জন্য খুব লাকি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘তাণ্ডব’ কোরবানি ঈদেই আসছে। এখন পুরোদমে চলছে শুটিং। ‘তুফান’-এর পর দর্শক এখানে অন্য রকম এক শাকিব খানকে দেখতে পাবে, যেমনটা আগে কখনো দেখেনি।

এবার ঈদুল আজহায় দেখা যেতে পারে আরিফিন শুভকেও। দীর্ঘ অনেক বছর ঈদে তার দেখা মেলেনি, তবে এবার স্বরূপে হাজির হবেন তিনি। তার অভিনীত ‘নীলচক্র’ সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। মিঠু খান পরিচালিত এ সিনেমায় আরিফিন শুভর সঙ্গে দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। 

কোরবানি ঈদকে ঘিরে নির্মিত হচ্ছে আরেক সিনেমা ‘ইনসাফ’। ঈদুল ফিতরে মুক্তির লক্ষ্যে নির্মাণ শুরু করলেও এখন এটি ঈদুল আজহাকে টার্গেট করেই এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে সিনেমাটির ৯৫ ভাগ শুটিং শেষ বলে জানা গেছে। এই সিনেমার মধ্য দিয়ে অনেক দিন পর পর্দায় ফিরছেন শরিফুল রাজ। তার সঙ্গে পর্দায় হাজির হবেন মোশাররফ করিমও। সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত এই সিনেমায় আরো অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।

সঞ্জয় সমদ্দার কালের কণ্ঠকে বলেন, “সিনেমার শুটিং একদম শেষের দিকে। ৯৫ ভাগ অংশের কাজ শেষ বলা যায়। দুই-তিন দিন শুটিং করলে ‘ইনসাফ’ এর ক্যামেরা ক্লোজ হবে। এখন পর্যন্ত পরিকল্পনা রয়েছে সিনেমাটি ঈদুল আজহাতে মুক্তি দেওয়ার।”

‘টগর’ নিয়ে আসন্ন ঈদে হাজির হবেন আদর আজাদ ও পূজা চেরী জুটি। ইতিমধ্যেই সিনেমাটির মুক্তি ঘিরে প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন তারা। এটি পরিচালনা করেছেন আলোক হাসান।

ঈদুল আজহায় মুক্তির তালিকায় রয়েছে ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিও। আসন্ন ঈদে মুক্তির লক্ষ্যে পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এর নির্মাতা সানী সানোয়ার। মার্ডার মিস্ট্রি গল্পে এই সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন আজমেরী হক বাঁধন, পূজা ক্রুজ প্রমুখ। 

সানী সানোয়ার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা পুরোদমে চেষ্টা করছি আসন্ন ঈদে মুক্তি দেওয়ার। এখনো দুই দিনের শুটিং বাকি রয়েছে। এ ছাড়া বাকি অংশটুকুর পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা গুছিয়ে নিয়ে আসতে পারি তাহলে অবশ্যই ঈদে দেখা হবে।’

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে পারে আদর আজাদ অভিনীত ‘পিনিক’। জাহিদ জুয়েল পরিচালিত এ সিনেমায় আদরের বিপরীতে দেখা যাবে শবনম বুবলীকে। অন্যদিকে জিয়াউল রোশান অভিনীত দুই সিনেমা ‘পুলসিরাত’ ও ‘জামদানি’র কথাও শোনা গেছে। তবে এই সিনেমাগুলো নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নির্মাতারা।

মন্তব্য

নিয়মিত নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য থাকে : প্রিয়াঙ্কা জামান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার
নিয়মিত নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য থাকে : প্রিয়াঙ্কা জামান
প্রিয়াঙ্কা জামান

দেশের শোবিজ অঙ্গনে অন্যতম পরিচিত মুখ প্রিয়াঙ্কা জামান। নানা অবতারে নিজেকে মেলে ধরেন এ মডেল ও অভিনেত্রী। পাশাপাশি উপস্থাপনা, অভিনয়সহ নিজেকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখেন তিনি। তবে শুধু অভিনয়ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মকেও প্রধান্য দেন এ অভিনেত্রী।

বিশেষ করে ধর্মীয় দায়িত্ব নিয়মিত পালন করতে অলসতা নেই তার। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ-রোজার মধ্যে থাকেন, বাদ দেন না তাহাজ্জুদও।

অভিনেত্রীর মতে, নিয়মিত নামাজের মধ্যে থাকেন বলেই নিজের রূপ ধরে রাখতে পারেন তিনি। নামাজ পড়লে চেহারায় সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।

আরো পড়ুন
এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি : শাওন

এমন দমবন্ধ করা পহেলা বৈশাখ দেখিনি : শাওন

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ইভেন্টে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলছেন প্রিয়াঙ্কা। সেখানে নিজের রূপের রহস্য প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার সৌন্দর্যের পেছনে বিশেষ কিছু নেই। আমি ভালো মন নিয়ে সবার সঙ্গে চলার চেষ্টা করি। তাহাজ্জুদ ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।

আমার বিশ্বাস, যে নামাজ পড়ে, তার চেহারায় এমনিতেই একটা নূর চলে আসে, সৌন্দর্য ফুটে ওঠে।’

ব্যক্তিজীবনে এখনো অবিবাহিত প্রিয়াঙ্কা। বেশ কিছুদিন আগে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘বিয়ের জন্য ধার্মিক পাত্র খুঁজছেন। এমন কাউকে পেলে অভিনয়ও ছেড়ে দেবেন।’ 

আরো পড়ুন
অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন

অভিনেত্রী গুলশান আরা আহমেদ মারা গেছেন

 

২০১৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের চলচ্চিত্রভিত্তিক অনুষ্ঠান ‘ছায়াছন্দ’ উপস্থাপনার মাধ্যমে মিডিয়ায় যাত্রা শুরু করেন প্রিয়াঙ্কা জামান।

এর পর থেকে নিয়মিতভাবে নাটকে অভিনয় করছেন প্রিয়াঙ্কা। বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্র ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের মিউজিক ভিডিওতেও মডেল হিসেবে দেখা গেছে তাকে। সম্প্রতি তিনি বড় পর্দায় অভিনয় করেও আলোচনায় আসেন।

মন্তব্য

জংলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বরবাদের পরিচালক

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
জংলির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বরবাদের পরিচালক
‘বরবাদ’ পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় (বামে)

সুবাতাস বইছে ঢাকার সিনেমার। এবারের ঈদে বিভিন্ন ঘরানার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ঈদে দর্শকদের কাঁপিয়ে দিয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’। গল্প, অভিনয় আর বিগ স্কেলের এই সিনেমা রীতিমতো তাণ্ডব দেখিয়েছে প্রেক্ষাগৃহে।

ঈদের অন্যান্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে সিয়াম-বুবলীর জংলি। এই সিনেমাটি ঘিরেও দর্শকদের অভিব্যক্তি প্রশংসনীয়। অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেন সিয়ামের জংলি দেখে। এবার খোদ ‘বরবাদ’ নির্মাতার মুখেই শোনা গেল জংলির প্রশংসা।

আরো পড়ুন
সাইফের ওপর হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, আঙুলের ছাপ মিলছে না শরিফুলের

সাইফের ওপর হামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, আঙুলের ছাপ মিলছে না শরিফুলের

 

বরবাদ পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেছেন, ‘খুব সুন্দর একটা সিনেমা দেখলাম। দেখতে দেখতে কখন যে ইমোশনাল হয়ে গেছি আসলে বলার মতো না। সবাই ভাল করেছে। বিশেষ করে সিয়াম ভাইকে একদম আলাদাভাবে দেখসি।

দীঘিকে, বুবলী আপুকে। অসম্ভব ভাল করেছেন। আমি বিশ্বাস করেছি প্রতিটা চরিত্র। গল্পের সঙ্গে যে জার্নিটা করার কথা ছিল কোথাও ব্যাঘাত ঘটেনি।’

দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিওটি : 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ