আইবিএস দূর করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
আইবিএস দূর করুন প্রাকৃতিক উপায়ে

দীর্ঘমেয়াদি আমাশয় সমস্যার মধ্যে একটি হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস। এটি অন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রের একটি সমস্যা, যাতে অনেক মানুষ ভোগে। দীর্ঘমেয়াদে আরো জটিল করে তোলে  সমস্যাটিকে। এ কারণে প্রাথমিক পর্যায়ে এ সমস্যা দূর করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

তবে ব্যবস্থাটি প্রাকৃতিক হলে সবচেয়ে ভালো।

নিচে কয়েকটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি তুলে ধরা হলো: 
আইবিএস দূর করতে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি।  চিকিৎসকরা সাধারণত দীর্ঘকালীন ওষুধগুলো লিখে থাকেন। তবে খাবার নির্দিষ্ট করে সমস্যাটি কমানো যায়।

ক্যাফেইন ত্যাগ করুন 
আইবিএস দূর করতে প্রয়োজন সুস্থ পাকস্থলি। এ জন্য ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল ত্যাগ করা উচিত। পরিবর্তে সন্ধান করুন প্রাকৃতিক  পানীয় বা ফলের জুস।

শাকসবজি কাটার পর ধোবেন না, ফলমূলের খোসা ছাড়াবেন না 
অনেক শাকসবজি এবং ফলমূলের খোসায় প্রচুর পুষ্টি থাকে যা  আপনার পেটের জন্য ভালো কাজ করে।

তাই হজম ক্রিয়া সহজ করতে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে শাকসবজি কাটার আগে ধুয়ে নিন। কাটার পর আর ধোবেন না। আর যেসব ফলমূলের খোসায় পুষ্টি থাকে তা খোসাসহ গ্রহণ করুন।

দ্রবণীয় ফাইবার অন্তর্ভুক্ত করুন 
ফাইবার হজম-বান্ধব। প্রথমেই আপনি সঠিক ফাইবার নির্বাচন করুন।

দ্রবনীয় ফাইবারের উচ্চ ঘনত্বযুক্ত এবং অদ্রবণীয় কম- এমন আরো খাবার সন্ধানের চেষ্টা করুন। ভালো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন গাঁজর, সেলারি, সাইট্রাস ফল, মটরশুটি, রোলড ওট, বার্লি এবং এমনকি কিছু ধরণের বাদাম এবং বীজ। সাইকেলিয়াম পাউডার এবং গ্লুটামিন যুক্ত করার মতো প্রাকৃতিক পরিপূরক আকারেও আপনার ফাইবারের প্রয়োজনীয়তা পূরণের চেষ্টা করতে পারেন।

প্রোবায়োটিক 
স্বাস্থ্যকর অন্ত্রে বজায় রাখতে প্রোবায়োটিকগুলো প্রয়োজনীয়। যদি আপনার জ্বালাময়ী অন্ত্রের লক্ষণগুলো এখনও আপনার সমস্যা অব্যাহত রাখে, এমনকি আপনার সিস্টেম পরিষ্কার করার পরও, তবে প্রোবায়োটিকগুলো আপনাকে এ সমস্যা থেকে উদ্ধার করবে।  পাচনতন্ত্রকে শান্ত করবে। 

ইন্টারনেট অবলম্বনে ফয়সাল রহমান

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গাজর রান্না করে খাওয়া ভালো, নাকি কাঁচা
সংগৃহীত ছবি

গাজর শীতকালীন সবজি হলেও এখনো বাজারে পাওয়া যায়। মা-দাদিরা চোখ ভালো রাখতে সব সময় গাজর খেতে বলেন। একই কথা বলেন চিকিৎসকরাও। কারণ ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গাজরে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন সি ও ফাইবার।

পুষ্টিগুণে ভরপুর সবজিটি সালাদ হিসেবে যেমন কাঁচা খাওয়ার চল রয়েছে, তেমনই স্যুপ থেকে শুরু করে তরকারিতেও খাওয়া যায়। কিন্তু রান্না করা, নাকি কাঁচা গাজর— কোনটি খেলে বেশি উপকার পাবেন, সেটি জানবেন কীভাবে?

গাজরে আছে বিটা ক্যারোটিন। বিভিন্ন ক্যারোটিনয়েড ও ভিটামিন ‘এ’ চোখের কোষগুলো ভালো রাখতে সাহায্য করে। সিদ্ধ করে বা ভাপিয়ে খাওয়া হলে শরীরের পক্ষে বিটা ক্যারোটিন শোষণ করা সহজ হয়ে ওঠে।

শিশু ও বয়স্কদের পক্ষেও সিদ্ধ গাজর খাওয়া ভালো। পেটের সমস্যা থাকলে সিদ্ধ করা বা রান্না করা গাজর খাওয়াই ভালো। সিদ্ধ গাজর হজম করা সহজ হয়। সিদ্ধ করলে ভিটামিন সি'র পরিমাণ সামান্য কমে যায়।
যেমন—শর্করা বা চিনির পরিমাণও কমে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। গাজর দিয়ে রকমারি পদ রান্না করা যায়। ফলে স্বাদেও বৈচিত্র্য আসে।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

তবে কাঁচা গাজর খাওয়াও ভালো। প্রথমত কাঁচা গাজরে স্বাদের তফাত হয়।

সিদ্ধ গাজরের চেয়ে কাঁচা গাজরের স্বাদ অনেকেই বেশি পছন্দ করেন। কাঁচা গাজরে থাকা ফাইবার গাট হেল্থ বা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। কাঁচা গাজরে ভিটামিনের পাশাপাশি কিছু উৎসেচকও মেলে। ফলে কাঁচা গাজরের পুষ্টিগুণও কোনো অংশেই কম নয়।

গাজর উপকারী হলেও বেশি তেল-মসলা দিয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘক্ষণ রান্না করলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আঁচ কমিয়ে গাজর সিদ্ধ করা বা ভাপিয়ে নেওয়া ভালো। যদিও গাজরের ক্ষেত্রে চট করে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় না, সেটি সুবিধাজনক। তবে কম বা মধ্যম আঁচেই গাজর রান্না করা ভালো। আবার অনেক সময় কাঁচা গাজর ধুয়ে না খেলে কৃমি বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। পেট খারাপের আশঙ্কা থাকে। বিশেষত বর্ষাকালে এ সমস্যা দেখা যায়।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

যেভাবে খাওয়া উচিত

কাঁচা বা ভাপানো অথবা রান্না করা, যে কোনোভাবেই গাজর খাওয়া যায়। যে স্বাদ ভালো লাগে, সেভাবেই খেতে পারেন আপনি। তবে বয়স্ক ও শিশুদের জন্য সিদ্ধ গাজার খাওয়া খুব ভালো। এতে পু্ষ্টিগুণ সামান্য হেরফের হলেও নিয়ম মেনে রান্না করলে ভিটামিন ও খনিজ সবই মিলবে সিদ্ধ গাজরেও।

আরো পড়ুন
হোয়াটসঅ্যাপের ছবি-ভিডিও সেভ হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে প্রেরক

হোয়াটসঅ্যাপের ছবি-ভিডিও সেভ হবে কি না, সিদ্ধান্ত নেবে প্রেরক

 
মন্তব্য

গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল, ভালো নাকি খারাপ
সংগৃহীত ছবি

গরমের এই সময়ে বাইরে অনেক কাজ থাকে। না চাইলেও অনেকেরই বাইরে বের হতে হয়। ফলে গরমে বাইরে থেকে ঘেমে-নেয়ে আসতে হয়। অনেকেরই অভ্যাস ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে বাইরে থেকে এসেই ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা।

অনেকে আবার বরফ পানি দিয়েও গোসল করেন। তবে এতে উপকার, নাকি ক্ষতি—তা অনেকেই জানেন না। চলুন, জেনে নিই গরমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসলে উপকার, নাকি ক্ষতি।

চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকে বাইরে থেকে এসে দৌড়ে গিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে বা ফ্রিজ থেকে বরফ নিয়ে এসে গোসল করেন।

এটা খুব খারাপ জিনিস। হঠাৎ করে একটি বড় পরিবর্তনে এসে এভাবে গোসল করলে ঠাণ্ডা লাগার আরো আশঙ্কা থাকে বা অন্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

আরো পড়ুন
গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

গরমে হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে কী খাবেন

 

আপনি বাইরে থেকে এসে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে থাকুন। একটু ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকুন।

এরপর ধীরে ধীরে গোসল করুন। আর গোসলের পানির ক্ষেত্রে বরফ দেওয়া পানির দরকার নেই। এতে আপনার অন্য সমস্যা হতে পারে। স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে গোসল করুন। শরীর পরিষ্কার হবে, ভালো থাকবে।
একদম ঠাণ্ডা পানির দরকার নেই। সেটি ঝুঁকিপূর্ণ।

পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় আপনারা ইচ্ছা করলে পর্যাপ্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 
মন্তব্য

টক জাতীয় খাবার খেলে কি দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
টক জাতীয় খাবার খেলে কি দেহে ইউরিক অ্যাসিড বাড়ে?
সংগৃহীত ছবি

ইউরিক অ্যাসিড হলো দেহের প্রাকৃতিক একটি বর্জ্য পদার্থ। আমাদের দেহ পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার হজমের পর ইউরিক অ্যাসিড নিঃসৃত করে। পিউরিন হল একটি রাসায়নিক যৌগ পদার্থ, যা শরীরে ভেঙে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে। অতিরিক্ত পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গিয়ে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের কারণে শরীরে জমে থাকা ক্রিস্টালগুলি দেহের জয়েন্টের চারপাশে ব্যথা ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য কিছু খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন প্রয়োজন।

পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল পরিহার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অনেকের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে টক খাবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায়, যা একেবারেই ভুল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লেবু, কমলালেবু ও আমলকীসহ টক ফল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কারণ এতে থাকা ভিটামিন সি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কার্যকরী।

তবে যাদের কিডনি বা হজমের সমস্যা রয়েছে, তাদের টক জাতীয় খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অতিরিক্ত টক খাবার ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে পারে।

তাই খাদ্যাভাস পরিবর্তনের আগের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 
সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন? পুষ্টিবিদের পরামর্শ জানুন

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ফল খাওয়ার সঠিক সময় কখন? পুষ্টিবিদের পরামর্শ জানুন
সংগৃহীত ছবি

গরমের সময় সুস্থ থাকতে সব বয়সের মানুষের জন্য তাজা ফল বেশ উপকারী। গ্রীষ্মকালীন ফল যেমন তরমুজ, শসা, জামরুল, জাম ইত্যাদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ফল সাহায্য করে। তবে ফল খাওয়ার সঠিক সময় জানা জরুরি।

কারণ দিনের যেকোনো সময় ফল খেলে তার উপকারিতা পাওয়া যায় না বলে গবেষকেরা জানিয়েছেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, ফল শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সহায়তা করে। তবে ভারী খাবারের পর ফল খাওয়া উচিত নয়। দুপুরে খাবার শেষে ফল খেলে বদহজম, গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

পাশাপাশি পেটের পিএইচ স্তরও উঠানামা হতে পারে।

অনেকে রাতে ফল খেয়ে থাকেন। এটিও উচিত নয় কারণ রাতে ফল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে। এতে আপনার ঘুমে ব্যাঘাত হতে পারে।

 তাই সন্ধ্যার পর ফল না খাওয়াই ভালো।

ফল খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা পরামর্শ দেন, ভারী খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া উচিত। ফল সাধারণত মিড মিল হিসেবে খাওয়ার জন্য উপযুক্ত। অর্থাৎ সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারের মাঝের সময়ে ফল খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

"

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ