সাইকেল চালানো একটি দুর্দান্ত ব্যায়াম। সাইকেল চালিয়ে যেমন ব্যায়াম করা যায় তেমনি নিজেকে সতেজ ও চাঙ্গাও রাখা যায়। একবার সাইকেল চালানো নেশা হয়ে গেলে গান শুনতে শুনতে কিংবা পার্কে ঠান্ডা বাতাস খেতে খেতে এটি উপভোগ করা যায়। সাইকেল চালানো বেশ কার্যকরী একটি কার্ডিও ওয়ার্কআউট।
ঘরে এবং বাইরে সাইকেল চালানোয় যত উপকার
অনলাইন ডেস্ক

যারা সাইকেল চালাতে পারেন না তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ আপনাদের জন্য আছে 'ইনডোর সাইকেল'। ইনডোর কিংবা আউটডোর যেই সাইকেলই আপনি চালান না কেন, এটি একটি ভালো ব্যায়াম হিসেবে কাজে দেবে। যাদের দীর্ঘদিনের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে সাইকেল চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
সাইকেল চালানোর মূল উদ্দেশ্য ক্যালরি খরচ করা। শুধু ইনডোর বা আউটডোর সাইকেল চালানোর ওপর এটি নির্ভর করে না। আপনি কতটুকু ক্যালরি খরচ করবেন তা নির্ভর করে সাইকেলের গতি, বিরতির সময় এবং কতক্ষণ সময় ধরে সাইকেল চালাচ্ছেন তার ওপর। তবে বলা হয়ে থাকে ইনডোর সাইক্লিংয়ের চেয়ে আউটডোর সাইক্লিংয়ে বেশি ক্যালারি ক্ষয় হয়।
ধরা যাক একজন মানুষ এর ওজন প্রায় ৫৬-৫৭ কেজি। তিনি ৩০ মিনিট ইনডোর সাইক্লিং করে প্রায় ২১০ থেকে ৩১৫ ক্যালরি খরচ করতে পারে। তবে তা অবশ্যই তার গতির তীব্রতার ওপর নির্ভর করে। আবার একই ব্যক্তি তাদের সাইকেল চালানোর গতির ওপর ভিত্তি করে ৩০ মিনিটে প্রায় ২৪০ থেকে ৪৯৫ ক্যালরি খরচ করতে পারে।
একইভাবে, ৮৩-৮৪ কেজি ওজনের একজন মানুষ ৩০ মিনিটের জন্য একটি ইনডোর সাইকেল চালালে তার গতির ওপর নির্ভর করে ৩১১ থেকে ৪৬৬ ক্যালরি খরচ করতে পারে।
ঘরের বাইরে সাইকেল চালানো কিছুটা রোমাঞ্চকর এবং মজার। এতে বাইরের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায়। কিন্তু এসময় চাইলেও অনেক ক্ষেত্রে গতি বাড়ানো যায় না। অন্যদিকে ঘরে সাইকেল চালালে নিজের ইচ্ছা তো গতি এবং তীব্রতা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এসব বাইকে চাইলেই নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা যায়। চাইলেই পায়ের গতি বাড়ানোর সময় চোখ বন্ধ করে গান উপভোগ করা যায় কিংবা নিজের বাড়ির ভিতর ঘুরে আসা যায়।
অনেকেই আবার দ্বিধায় থাকেন ইনডোর সাইকেলে আসলেই মেদ কমবে কিনা কিংবা টাকা খরচ করে এটি কেনা কতটা ফলপ্রসু হবে। এসব প্রশ্নের উত্তর খুজতে ২০১৮ সালে একটি গবেষণায় দেখা যায়, খাদ্যাভ্যাসে কোনো পরিবর্তন না করে ইনডোর সাইকেল চালিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং শক্তি বাড়ানো সম্ভব। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪০ জন নারী অংশ নেন। ১২ সপ্তাহ ইনডোর সাইকেল চালানোর পর দেখা যায়, তাদের সামগ্রিক কোলেস্টরেলের মাত্রা, শরীরের ভর, চর্বি এবং বিএমআই কমে গেছে। সুতরাং ইনডোর সাইক্লিং আপনাকে ওজন কমাতে এবং ফিট থাকতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি গবেষক দল স্কুল পড়ুয়া ২৪ জন মেয়ের ওপর একটি গবেষণা চালায়। তাদের মধ্যে থেকে ১২ জনকে ঘরে এবং ১২ জনকে ঘরের বাইরে সাইকেল চালাতে দেওয়া হয়। ১৬ সপ্তাহ পরে দেখা যায়, ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাড়ির ভেতরে এবং বাইরের সাইক্লিংয়ের কোনো পার্থক্যই নেই!
সম্পর্কিত খবর

গরমে গলা-বুক ভরে যাচ্ছে ব্রণ-র্যাশে? জেনে নিন সমাধানের উপায়
অনলাইন ডেস্ক

ব্রণ নিয়ে কমবেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন সবাই। কারণ ব্রণ ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে। অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানেও ব্রণ দেখা যায়। বিশেষ করে গরমের দিনে ব্রণ, ঘামাচির সমস্যা বাড়ে।
গরমের সময়ে মুখে তো বটেই গলা, বুকেও ব্রণর সমস্যা ভোগায়। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় অন্তর্বাস পরে থাকলে, তা থেকে ঘষা লেগে ও ঘাম জমে লালচে র্যাশও হয় অনেকের।
‘ক্লিনিকাল বায়োকেমিস্ট্রি’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শরীরের সিবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে যদি অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়, তাহলে ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে। আর যাদের ঘাম বেশি হয়, তাদের ব্রণ-র্যাশের সমস্যা বেশি ভোগায়। খুব বেশি আঁটসাঁট পোশাক, সিন্থেটিক পোশাক পরলে তার থেকেও ত্বকের সংক্রমণ হতে পারে। ঘাম জমে ত্বকের রোমকূপের মুখ বন্ধ করে দেয়। ওই অংশে ধুলাবালি জমে ব্রণের সমস্যা আরো বাড়ে।
কীভাবে গলা-বুকের ব্রণ দূর হবে?
ঘরোয়া উপায়েই ব্রণের সমস্যা দূর হতে পারে। এর জন্য নামী দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীর প্রয়োজন নেই। কী কী ব্যবহার করলে সমস্যা দূর হতে পারে জেনে নিন।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার টোনার : সমপরিমাণে পানি ও ভিনিগার মিশিয়ে নিতে হবে। যদি দুই চামচ পানি নেন, তাহলে ভিনিগারও দুই চামচ দিতে হবে। সরাসরি অ্যাপল সাইডার ভিনিগার ত্বকে মাখা যাবে না। মিশ্রণ থেকে তুলায় করে অল্প পরিমাণে নিয়ে ব্রণ, র্যাশের জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫-২০ মিনিট। তার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
টি ট্রি অয়েল মাস্ক : টি ট্রি অয়েলের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। এই তেল প্রদাহনাশকও। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্টস’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ দূর করতে পারে টি ট্রি অয়েল। তবে এটি অন্য কোনো তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। নারকেল তেলের সঙ্গে টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে ১:৯ অনুপাতে। এই মিশ্রণ ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে রাখলেই ব্যথা, চুলকানি কমে যাবে।
মধু-দারচিনির মাস্ক : মধু ও দারচিনি দুয়েরই অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে। ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে আধা চামচের মতো দারচিনি মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ব্রণ, র্যাশের জায়গায় ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে। পরে পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। নিয়মিত এই মাস্ক মাখলে, ব্রণের সমস্যা দূর হবে। গরমে ঘামাচি হলেও তার থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে কী ক্ষতি
জীবনযাপন ডেস্ক

তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই ঘন ঘন ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করেন। তবে এটি সাময়িক স্বস্তি দিলেও এর প্রভাব কিন্তু মোটেই ভালো নয়। এই ওয়েট টিস্যু বেশি ব্যবহার করা অনুচিত। এতে উপকারের থেকে বেশি অপকার হতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের গবেষক জন কুক মিলস তার গবেষণায় জানিয়েছেন, ওয়েট টিস্যুতে রয়েছে সোডিয়াম লরিল সালফেট, যা কিনা স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
এ ছাড়া ওয়েট টিস্যুর মধ্যে থাকা আর রাসায়নিক মিথাইল ক্লোরিসেথিয়া জোলাইন বড়দের ত্বকের জন্যও ক্ষতিকর। গবেষকদের মতে, ঘন ঘন ওয়েট ওয়াইপস ব্যবহার করলে এর প্লাস্টিক ও রাসায়নিক ধীরে ধীরে শরীরের নানা কোষে জমতে থাকে। ফলে ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই টিস্যু।
অধিকাংশ ওয়াইপসে রয়েছে প্লাস্টিকের তন্তু, যা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল নয় এমন পদার্থ রয়েছে। এ ছাড়া এটি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকারক। এই ওয়েট টিস্যু মাটিতে মিলিয়ে না যাওয়ার ফলে পরিবেশও দূষিত হয়।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

চুলে সরিষার তেল ব্যবহারে কী হয়
জীবনযাপন ডেস্ক

সরিষার তেল বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চুলের যত্নে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায় এই তেল ব্যবহারে। পূর্বে এই তেল বহু ব্যবহার হলেও বর্তমানে এর ব্যবহার অনেকাংশে কমে গেছে। তার পরিবর্তে আমরা অন্যান্য তেল ব্যবহার করা শুরু করেছি।
পূর্বে মা-দাদিরা শিশুদের গোসল করিয়ে মাথা ও শরীরে সরিষার তেল মেখে দিতেন। কিন্তু বর্তমানে এই তেল ব্যবহার একদমই কমে গেছে। আজ আমরা চুলের জন্য সরিষার তেলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। এ ছাড়া কিভাবে এটি আপনার চুলের যত্নের কার্যকর হতে পারে, তা জানাব।
কেন সরিষার তেল বেছে নেবেন
পুষ্টিতে সমৃদ্ধ
সরিষার তেলে রয়েছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এর উচ্চ মাত্রা রয়েছে ওমেগা-থ্রি এবং ওমেগা-সিক্স ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা স্বাস্থ্যকর চুল বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই পুষ্টির উপস্থিতি মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগাতে, চুল পড়া কমাতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য
চুলের জন্য সরিষার তেলের একটি উল্লেখযোগ্য সুবিধা হলো এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। তেলটিতে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট রয়েছে। এটি এমন একটি যৌগ, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং মাথার ত্বকের সমস্যা, যেমন খুশকি ও চুলকানি প্রতিরোধ করতে পারে। সরিষার তেলের নিয়মিত প্রয়োগ মাথার ত্বককে পরিষ্কার ও সংক্রমণ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। এ ছাড়া এটি চুলের বৃদ্ধির জন্য একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে।
চুলের বৃদ্ধির জন্য সরিষার তেল
রক্ত সঞ্চালন উদ্দীপিত করে
মাথার ত্বকে সরিষার তেল মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়। চুলের ফলিকলগুলোতে উন্নত রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করে যে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টি ও অক্সিজেন পাচ্ছে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। এই উন্নত সঞ্চালনের ফলে চুল ঘন, মজবুত ও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
প্রাকৃতিক চুল বৃদ্ধির বুস্টার
সরিষার তেল প্রাকৃতিকভাবে চুল বৃদ্ধির ক্ষমতার জন্য পরিচিত। সরিষার তেলে বিটা-ক্যারোটিনের উচ্চ ঘনত্ব শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক। ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে সাহায্য করে। সিবাম হচ্ছে একটি তৈলাক্ত পদার্থ, যা মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং চুলকে সুস্থ রাখে। উপরন্তু, সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এগুলো চুলের ফলিকলকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করতে সহায়তা করে।
চুল পড়া রোধ করে
চুল পড়া একটি বিরক্তিকর সমস্যা। কিন্তু এর জন্য সরিষার তেল একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তেলের সমৃদ্ধ পুষ্টির প্রোফাইল চুলের স্ট্র্যান্ডকে মজবুত করে, ভাঙার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। তদুপরি, সরিষার তেলের নিয়মিত ব্যবহার মাথার ত্বক ও চুলের গোড়াকে পুষ্টি দিয়ে চুল পড়া কমাতে পারে, এইভাবে চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
সরিষার তেলের উপকারিতা
হাইড্রেট ও কন্ডিশন চুল
শুষ্ক ও ভঙ্গুর চুলের জন্য সরিষার তেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। এটি চুলে গভীর হাইড্রেশন প্রদান করে। এর ইমোলিয়েন্ট বৈশিষ্ট্যগুলো আর্দ্রতা লক করতে, চুলকে নরম, চকচকে এবং আরো পরিচালনাযোগ্য করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল নিয়মিত ব্যবহার করলে শুষ্কতা প্রতিরোধ করা যায় এবং চুল ভালো রাখতে পারে।
খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করে
খুশকি মাথার ত্বকের সাধারণ একটি সমস্যা। যা কার্যকরভাবে সরিষার তেল দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তেলের অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য খুশকি-সৃষ্টিকারী ছত্রাক দূর করতে সাহায্য করে, যখন এর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। মাথার ত্বকে সরিষার তেল লাগালে এবং ধোয়ার আগে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে খুশকি কমাতে পারে এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধ করতে পারে।
চুলকে শক্তিশালী করে
সরিষার তেল অপরিহার্য ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ও খনিজের একটি পাওয়ার হাউস। যা চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী করে। তেল মাথার ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে চুলের ফলিকলকে পুষ্টি জোগায় এবং শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। সরিষার তেলের নিয়মিত ব্যবহার চুলের ভাঙ্গা, বিভক্ত হওয়া রোধ এবং সামগ্রিকভাবে মজবুত চুলের দিকে পরিচালিত করতে পারে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
গরম তেল চিকিৎসা
সরিষার তেল দিয়ে গরম তেলের চিকিৎসা আপনার চুলের জন্য বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। এখানে অনুসরণ করার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি আছে—
অল্প পরিমাণে সরিষার তেল গরম করুন, কিন্তু খুব বেশি গরম না। এবার আপনার মাথার ত্বকে গোল করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করুন। গোড়া থেকে চুলের ডগায় তেল সমানভাবে দেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করুন। এবার চুলকে শাওয়ার ক্যাপ বা গরম তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে তেল গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে। ভালো ফলাফলের জন্য কমপক্ষে এক ঘণ্টা বা পুরো রাত রেখে দিন। তেল অপসারণের জন্য হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
সরিষার তেলের চুলের মাস্ক
সরিষার তেল দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করলে এর উপকারিতা বাড়তে পারে। এখানে একটি সহজ রেসিপি—
সরিষার তেল, দই ও মধু নিন। ২ টেবিল চামচ সরিষার তেলের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দই ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার আপনার মাথার ত্বক ও চুলে মিশ্রণটি প্রয়োগ করুন। সব জায়গায় যাবে সমানভাবে তেল পড়ে তা নিশ্চিত করুন। এই মাস্কটি ৩০-৪৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি ও শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
সতর্কতা
যদিও সরিষার তেল চুলের জন্য অনেক উপকার দেয়, তবে কোনো প্রতিকূল প্রভাব এড়াতে এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করা অপরিহার্য। মনে রাখার জন্য এখানে কিছু সতর্কতা রয়েছে—
- আপনার মাথার ত্বকে সরিষার তেল প্রয়োগ করার আগে একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন, যাতে আপনার অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া আছে কি না বোঝা যায়।
- সংবেদনশীল ত্বক থাকলে নারকেল বা অলিভ অয়েলের মতো ক্যারিয়ার তেলের সঙ্গে সরিষার তেল পাতলা করুন।
- মাথার ত্বকে অতিরিক্ত তেল জমা হওয়া এড়াতে সপ্তাহে ১-২ বার সরিষার তেল ব্যবহার করুন।
সরিষার তেল চুলের বিভিন্ন সমস্যার জন্য একটি বহুমুখী ও শক্তিশালী প্রাকৃতিক প্রতিকার। চুলের বৃদ্ধি থেকে শুরু করে খুশকির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং চুল মজবুত, সবকিছুই করে এই তেল। যেকোনো প্রাকৃতিক প্রতিকারের মতোই নিয়মিত ব্যবহারে চুলের জন্য সরিষার তেল উল্লেখযোগ্য।
সূত্র : মেডিকভার হসপিটাল

কয়েল নাকি অ্যারোসল, মশা তাড়াতে কোনটি ব্যবহার করবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

মশার মাধ্যমে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ ছড়ায়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া। এসব রোগ থেকে বাঁচতে মশা নিধনে অনেকে নিশ্চয়ই ব্যবহার করে থাকেন কয়েল বা অ্যারোসল। তবে এই কয়েল বা অ্যরোসল, কোনোটিই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েলের ধোঁয়া নিকোটিনের ধোঁয়ার মতোই ক্ষতিকর।
এ ছাড়া কয়েল ও অ্যারোসল আরো নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। সেগুলো হচ্ছে—
শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা : কয়েলের ধোঁয়া ও অ্যারোসলে থাকা রাসায়নিক পদার্থ শ্বাসনালির প্রদাহ, হাঁপানি ও অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি : কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘ মেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ত্বক ও চোখের জ্বালা : অ্যারোসল স্প্রে করলে প্রায়ই দেখবেন আপনার চোখ ও ত্বকে জ্বালা করছে, যা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়া ঘটায়।
স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা : অ্যারোসলের বিষাক্ত কণা স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।
বিকল্প পদ্ধতি
মশা তাড়ানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো মশারির ব্যবহার করা। এ ছাড়া অ্যান্টি মশা লোশন, প্রাকৃতিক তেল বা ইলেকট্রিক মশার ব্যাট ব্যবহার করুন। এগুলো ব্যবহারে কোনো রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।