রক্তনালি ব্লক বা হার্ট ব্লকের অনেক কারণ রয়েছে। বংশগত কারণে রক্তনালির ব্লক হতে পারে। যাঁদের ডায়াবেটিস আছে এবং ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাঁদের রক্তনালি ব্লক হতে পারে। যাঁরা ধূমপান করেন তাঁদের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা অনেক।
হার্টের রক্তনালিতে ব্লকের লক্ষণ, চিকিৎসা

যাঁদের হাইপ্রেসার আছে তাঁদেরও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে। তাই প্রেসারের ওষুধ কখনো বাদ দেওয়া যাবে না। বয়সের কারণেও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে। রক্তনালি ব্লকের আরেকটি কারণ হলো, রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল।
কোলেস্টেরল বেশি থাকলে রক্তনালির ভেতরে জমে ব্লক তৈরি করে। কিছু রোগ আছে, যেগুলো শরীরে ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ তৈরি করে, সেগুলো থেকেও রক্তনালিতে ব্লক হতে পারে।
লক্ষণ
হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকলে বুকে ব্যথা হয় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
একটু পরিশ্রম করলেই বুকে ব্যথা হয়।
অতি অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যাওয়া এবং শ্বাসকষ্ট হওয়া।
রক্তনালির ব্লক নির্ণয়ে পরীক্ষা
হার্টের কিছু টেস্ট আছে, যেমন ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইটিটি ও এনজিওগ্রাম। এগুলো করে হার্টের ব্লক বা রক্তনালির ব্লক নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা
রক্তনালির ব্লক বা হার্টের ব্লক হলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এর রয়েছে চারটি কার্যকর চিকিৎসা।
ব্যায়াম ও খাবারদাবার : প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে পাঁচ দিন ব্যায়াম করতে হবে। দ্রুত হাঁটা একটি ভালো ব্যায়াম। হার্ট ভালো রাখার জন্য ফলমূল, শাক-সবজি এবং মাছ বেশি খাবেন। সামুদ্রিক মাছ হার্টের জন্য বেশি ভালো। রান্নায় খুবই কম তেল ব্যবহার করতে হবে।
ওষুধ : সঠিক নিয়ম মেনে চললে অনেক কম ওষুধেও হার্ট ব্লকের রোগীদের ভালো রাখা সম্ভব। কার কী ওষুধ প্রয়োজন সেটা নির্ভর করে রোগের তীব্রতার ওপর এবং সেটা আপনার হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ঠিক করে দেবেন।
স্টেন্টিং বা রক্তনালিতে রিং স্থাপন : হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জমে ব্লক হয়ে যায়। রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে হার্ট ভালোভাবে কাজ করতে পারে না। তাই হার্টের রক্তনালির ব্লকের স্থানে একটি রিং বসিয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়া হয়। একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এই সিদ্ধান্ত নেবেন কার ব্লকে রিং বসাতে হবে অথবা কার বসাতে হবে না। ইমার্জেন্সি হার্ট অ্যাটাকে এই স্টেন্টিং বা রিং স্থাপন একটি উন্নতমানের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসা।
বাইপাস সার্জারি বা ওপেন হার্ট সার্জারি : ব্লকের পরিমাণ এবং সংখ্যা অনেক বেশি হলে অনেক সময় রিং স্থাপন করা সম্ভব হয় না। তাঁদের ওপেন হার্ট সার্জারি করে, ব্লকগুলো বাইপাস করে বিকল্প রক্তনালি তৈরি করে দেওয়া হয়, যাতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিকভাবে করতে পারে।
হার্টের রক্তনালির ব্লক হলেই জীবন শেষ নয়। আপনার হার্ট স্পেশালিস্টের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থেকে আপনি পেতে পারেন আগের মতো নতুন জীবন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. গোলাম মোর্শেদ
সহকারী অধ্যাপক (কার্ডিওলজি)
ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট
গ্রিন লাইফ হসপিটাল, ঢাকা
সম্পর্কিত খবর

প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে কী উপকার
জীবনযাপন ডেস্ক

স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন একটি করে ফল খাওয়া জরুরি। এই তালিকায় আপনি রাখতে পারেন আপের বা নাশপাতি। তবে নাশপাতি যদি প্রতিদিন একটি করে খেতে পারেন তাহলে একাধিক উপকার পাবেন।
যেকোনো কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক নয়।
নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা
ফাইবার সমৃদ্ধ নাশপাতি অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে, ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে।
ওজন কমাতে যারা দিনে বেশি করে ফল খান তারা অবশ্যই এ তালিকায় রাখুন নাশপাতি।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে নাশপাতির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ।
নাশপাতির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নাশপাতি খেতে পারেন। ত্বকে বলিরেখার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে নাশপাতি। অন্যদিকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো মজবুত করার জন্য রোজ পাতে একটি নাশপাতি রাখতে পারেন।
নাশপাতির মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, যা খেয়াল রাখে আমাদের হৃদযন্ত্রের। কমায় ব্লাড প্রেশার ও কোলেস্টেরলের মাত্রা। কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে আমাদের শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। তার ফলে কমে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি।
দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে কাজে লাগে নাশপাতি। রোজ একটা করে ফল খেলে উপকার পাবেন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও বেশ ভালো পরিমাণেই রয়েছে নাশপাতির মধ্যে।
তবে খুব বেশি পরিমাণে নাশপাতি খেলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- এমনিতে নাশপাতি খেলে ওজন কমে। তবে যেহেতু এই ফলে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম নয়, তাই বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বাড়তে বাধ্য। তাই স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত নাশপাতি খেলেও পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
সূত্র : এবিপি লাইভ

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স কেন প্রতিদিন প্রয়োজন? জানুন কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

শরীর সুস্থ রাখতে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, যা ভিটামিন ও মিনারেলের মাধ্যমে পূর্ণ হয়। এসব পুষ্টি উপাদান শরীরের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স একটি এমন গ্রুপ, যা বিভিন্ন ভিটামিনের সমন্বয়ে গঠিত। সব বয়সের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিন শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলীতে সাহায্য করে। যেমন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করা, পেশী সুস্থ রাখা, এবং মস্তিষ্কের সঠিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। এই ভিটামিনগুলোর মধ্যে ছয়টি প্রধান ভিটামিন রয়েছে—থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন, নিকোটিনামাইড, ক্যালসিয়াম প্যানটোথেনেট, পাইরিডক্সিন ও সায়ানোকোবালামিন।
ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি ভিটামিনই পানিতে দ্রবণীয়।
ভিটামিন বি ১২ প্রধানত দুগ্ধজাত পণ্য ও আমিষে পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য ভিটামিন বি পাওয়া যায় ডিম, সবুজ শাকসবজি, বাদাম, সয়াবিন, মাশরুম, তিল বীজ ও অঙ্কুরিত শস্যে।
সূত্র : কলকাতা ২৪×৭

সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন কারণ
জীবনযাপন ডেস্ক

চা ছাড়া দিনের শুরু ভাবতে পারেন না, এমন মানুষের সংখ্যা অনেক। বেশিরভাগ মানুষই চায়ের সঙ্গে বিস্কুট খেয়ে থাকেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর? চলুন, জেনে নিই।
বর্তমানে অনেক মানুষ পেটের সমস্যায় ভুগছেন, বিশেষত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়।
যারা চায়ের সঙ্গে মিষ্টি বিস্কুট খান, তাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে।
যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বিস্কুট খাওয়া ক্ষতিকর।
খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ চা ও বিস্কুটে প্রচুর ক্যালোরি থাকে, যা দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে। ফলে আপনি সহজেই মোটা হয়ে যেতে পারেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্যা হতে পারে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালে খালি পেটে চা ও বিস্কুট খেলে গ্যাস বা হজমের সমস্যা আরো বাড়াতে পারে। চায়ে থাকা ক্যাফেইন ও ট্যানিন হজম প্রক্রিয়া কমিয়ে দেয়। তাই সকালে চা-বিস্কুট খাওয়ার আগে কিছু খাবার খেয়ে নিন।
সূত্র : ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন
জীবনযাপন ডেস্ক

গরমে এসি ও ফ্রিজের কম্প্রেসার ফেটে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনা এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। কীভাবে এমন বিস্ফোরণ ঘটে এবং কীভাবে তা থেকে বাঁচা যায়, জেনে রাখা প্রয়োজন।
ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ
পুরনো রেফ্রিজারেটরের তারের সংযোগ ভালো করে পরীক্ষা করুন।
ফ্রিজের জন্য সঠিক জায়গা
ফ্রিজের পিছনে যদি দেয়াল থাকে, তবে সেখানে কিছুটা জায়গা রেখে রাখুন। সঠিক বায়ু চলাচল না হলে ফ্রিজ গরম হয়ে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
পুরনো রেফ্রিজারেটর
১০ বছরের বেশি পুরনো রেফ্রিজারেটরের নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত। পুরনো কম্প্রেসারে সমস্যা হলে, তা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
শর্ট সার্কিট
শর্ট সার্কিটের কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই নিয়মিত সার্ভিসিং করা উচিত, অন্তত বছরে দুইবার।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা