প্রতিবন্ধকতা উতরে যেতে জীবনে ধৈর্য ধরতে হবে: মাসুমা রহমান নাবিলা

শেয়ার
প্রতিবন্ধকতা উতরে যেতে জীবনে ধৈর্য ধরতে হবে: মাসুমা রহমান নাবিলা
সফলতার পথে হাঁটতে হলে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতেই হবে। গ্রাফিকস: সোহানুর রহমান

যেকোনো সমস্যা সামলে সামনে এগিয়ে যেতে যতটুকু সাহস প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই ধৈর্যও প্রয়োজন। বিখ্যাত মানুষদের সফলতাটুকু দেখা যায় কিন্তু এর পেছনে তাদের শ্রম, ধৈর্য কিংবা কতবার ব্যর্থ হতে হয়েছে সে গল্প অনেকেই জানি না। উপস্থাপিকা, মডেল ও অভিনয়শিল্পী মাসুমা রহমান নাবিলার মতে, সফলতার পথে হাঁটতে হলে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতেই হবে। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি জানিয়েছেন যেকোনো সমস্যা উতরে যেতে বা সফলতার পথে হাঁটতে হলে করণীয় কী-  

আমি মনে করি, কনফিডেন্স কামস উইথ সাকসেস।

আপনি যখন জীবনে সফল তখন আপনি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন আপনার যেকোনো বিষয় শেয়ার করার ক্ষেত্রে। জীবনের যেকোনো ধাপের শুরুর দিকে অনেক বিষয় থাকে যা তখন আপনি শেয়ার করতে অস্বস্তি বোধ করতেন। পরবর্তী সময়ে হয়তো বিষয়টি সহজ হয়ে গেছে। এটা কেবল আপনার সঙ্গেই ঘটেনি।
আমার সঙ্গেও ঘটেছে।  

আমি যখন স্কুলে ছিলাম কিংবা আমি আমার ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে ছিলাম তখন কিন্তু আমারও ভীষণ রকম যুদ্ধ করতে হয়েছে। পারিবারিক ঝামেলা ছিল বা ব্যক্তিগত সমস্যা আমি কখনোই শেয়ার করতাম না কারো সঙ্গেই কিংবা সামনে আনতাম না। এটা করার কারণ ছিল- বললে কেউ আমাকে জাজ করবে ঠিক তা না।

কিন্তু মনে হতো যে সবাই আহা রে বলবে, একটু মায়া দেখাবে। যেটা আমার জন্য বেশ অস্বস্তিকর হবে হয়তো। কিন্তু এখন আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আমার কোনো আপত্তিকর কিংবা দুর্বল বিষয়ে কেউ যখন আমাকে প্রশ্ন করে আমি সেটা এড়িয়ে যাই না। বরং সেটার উত্তর দিতে পারি।
কারণ এখন আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি জানি, এখন আমাকে কেউ আর আহা রে বলবে না। কারণ এখন আমি আমার জীবনে সেই আহা রে শোনার জায়গায় নেই। বরং আমার খারাপ সময়ের কথা শুনে, কিভাবে সামলে নিয়েছি সেসব শুনে অনেকেই এখন কিছুটা হলেও অনুপ্রাণিত হতে পারে। 

আমি বলব, যারা জীবনে নানা রকম প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, এমন কোনো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, যখন মনে হয় যে এমন অবস্থায় আমি কেন? এই পরিস্থিতি তো আমার তৈরি না, তাহলে আমি কেন? আমার সঙ্গে কেন হচ্ছে? তাদেরকে আমি বলব, দেখবেন একটা সময় এই সব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গেছেন বলেই আপনি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। তখন যখন পিছে ফিরে তাকাবেন, তখন মনে হবে যে, সেই সময় পার করেছিলাম বলেই আজকে আমি এই জায়গায়।

তবে এ কথা সত্যি যে, খারাপ লাগা তখনো থাকবে, যখন আপনি মনে করবেন সেই সময়গুলোর কথা। সেই খারাপ লাগা বিষয়গুলো আপনাকে অনেক বেশি শক্ত-সামর্থ্য করে তোলে, যেন আপনি সুন্দরভাবে সামনে এগিয়ে যান। কাজেই আমি বলব, সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে সফল হতে হলে। জীবন নিয়ে এটা কেন, ওটা কেন, আমার সাথে কেন এটা হচ্ছে- এগুলো হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু তার পরও একটু ধৈর্য ধরে সামনে এগিয়ে যাবেন। দেখবেন সফলতা আপনার জন্য নিশ্চিত। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম কোনটি, ভুল করছেন না তো?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
দই খাওয়ার সঠিক নিয়ম কোনটি, ভুল করছেন না তো?
সংগৃহীত ছবি

দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে শুরু হতে যাচ্ছে গ্রীষ্মকাল। এ সময় দুপুর বা বিকেলের দিকে বাড়ির বাইরে বের হওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সবার মধ্যেই পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

রমজানে ইফতারের পর আমরা বিভিন্ন পানীয় খেয়ে সেই পানিশূন্যতা দূর করার চেষ্টা করি। কেউ কেউ পানি খেয়ে হাইড্রেটেড থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু এই সময় অনেকে এমন খাবারও খান যা শরীরে ফোলাভাব তৈরি করে। দই তাদের মধ্যে একটি।

গ্রীষ্মকালে দইয়ের চাহিদা প্রচুর। দই কেবল শরীরে আর্দ্রতা তৈরি করে না, বরং অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। কিন্তু গ্রীষ্মে দই কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে খাবেন, তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুন
কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

 

দইয়ের স্বাদ ঠাণ্ডা হলেও, আসলে এটি গরম।

তাই এর সঙ্গে সামান্য পানি মেশানো উচিত। যাতে এটি সুষম হয় এবং শরীরের কোনো ক্ষতি না করে, বরং কেবল উপকার করে।

চিকিৎসকদের মতে, রাতে কখনোই দই খাওয়া উচিত নয়। কারণ এটি শরীরের ক্ষতি করতে পারে এবং স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে।

মানুষ সাধারণত চিনি দিয়ে দই খায়।

কেউ কেউ জিরা গুঁড়া দিয়ে দই খায়। লবণ দিয়ে দই খাওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু লবণাক্ত দই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরো পড়ুন
ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

ওয়াই-ফাইয়ের তরঙ্গ কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?

 

দইয়ের সঙ্গে চিনি, আমলকির গুঁড়া অথবা মধু মিশিয়ে খান। এটি শরীরকে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে।

দই ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের সমৃদ্ধ উৎস এবং এটি মস্তিষ্ক ও হাড়কেও শক্তিশালী করে। কিন্তু দই কখনোই গরম খাওয়া উচিত নয়।

প্রায়শই সরাসরি দই খেলেও ত্বকের সমস্যা হতে পারে, পাচনতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরো পড়ুন
নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

নিত্যদিনের যেসব অভ্যাসে হতে পারে ক্যান্সার

 

তাই দইয়ের সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে খাওয়া উচিত। তবে এতে ভুলেও লবণ যোগ করা যাবে না।

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

তরমুজের ম্যাজিক

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
তরমুজের ম্যাজিক
সংগৃহীত ছবি

রোদের তাপ থেকে বাঁচার জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরেও অনেকের ত্বকে কালচে দাগ পড়ে যায়। ত্বকের এ সমস্যা দূর করতে আপনি চাইলে তরমুজ ব্যবহার করতে পারেন। তরমুজের মধ্যে আছে ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করার গুণ।

যাদের ত্বক শুষ্ক তারা তরমুজের খোসার সাদা অংশে মধু মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করতে পারেন।

এতে ত্বকের পোড়া ভাব কমবে। মধুর অ্যান্টি অ্যালার্জিক গুণের কারণে ত্বকে কোনো ধরনের জ্বালাপোড়া হবে না। তৈলাক্ত ত্বকে তরমুজের বীজের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষিত হবে।

এ ছাড়াও তরমুজের বীজ দিয়ে তৈরি ভেষজ স্ক্রাব ত্বকের মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে।

তরমুজের রস ব্যবহার করে একটি চমৎকার টোনার তৈরি করতে পারেন। ফলটির রস ছেঁকে নিয়ে এটি ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করুন। ঠাণ্ডা হলে অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটিকে ফ্রিজে রেখে দিন।
বাইরে এসে এই টোনার ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং সতেজ।

সূত্র : টিভি নাইন বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজ উপায়
সংগৃহীত ছবি

অতিরিক্ত চিন্তা করা যেকোনো মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। এতে উদ্বেগ, জটিলতা বেড়ে যায়। যা ঘুমের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় রয়েছে, যেগুলো অনুসরণ করলে উপকার পেতে পারেন।

যেসব বিষয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেগুলোতে মনোযোগ দিন         
অতিরিক্ত চিন্তা তখনই শুরু হয়, যখন মানুষ তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু নিয়ে চিন্তা করা হয়। এতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা বাড়ে। এর পরিবর্তে আপনি যে বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সে বিষয়ে মনোযোগ দিন। নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিলে ভালো ফলাফল নিশ্চয়ই পাবেন।

৭২ ঘণ্টার নিয়ম
একটি সহজ উপায় হলো নিজেকে প্রশ্ন করা—এই বিষয়টি ৭২ ঘণ্টা পর কি গুরুত্ব রাখবে? বেশিরভাগ সময় আমরা যেসব বিষয়ে চিন্তা করি যা ভবিষ্যতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। ৭২ ঘণ্টার নিয়মের মাধ্যমে ছোট উদ্বেগগুলো সহজেই দূর করা যায়।

অতিরিক্ত চিন্তার চক্র ভাঙার চেষ্টা করুন
অতিরিক্ত চিন্তা একটি বদঅভ্যাস। যত বেশি চিন্তা করবেন ততই এটি মাথায় চেপে বসে।

তবে আপনি সচেতনভাবে এই চক্র ভাঙতে পারেন। চিন্তা শুরু হলে বিরতি নিন, গভীর শ্বাস নিন এবং অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করুন।

৫ মিনিটের টাইমার সেট করুন
চিন্তা করার জন্য নির্দিষ্ট সময় যেমন ৫ মিনিট নির্ধারণ করুন। এর বেশি সময় চিন্তা করতে যাবেন না। 

খারাপ চিন্তা করা বন্ধ করুন
মানুষের মস্তিষ্ক প্রায়ই খারাপ পরিস্থিতি কল্পনা করে।

যদিও অনেকসময় তা অযৌক্তিক হয়ে পারে। নেতিবাচক চিন্তাগুলো বন্ধ করুন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন।

সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করুন
আপনার সমস্যাগুলোর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করুন। অনেক সময় একটি সমস্যা যতটা বড় মনে হয়, তা আসলে ততটা গুরুতর না। সমস্যা সমাধানে আপনার বিশ্বস্ত মানুষের সাহায্য নিন, সম্ভাব্য সমাধান লিখে রাখুন এবং চিন্তা কমানোর চেষ্টা করুন।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

ওজন কমানো ছাড়াও অ্যাপল সিডার ভিনেগারের আরো উপকারিতা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ওজন কমানো ছাড়াও অ্যাপল সিডার ভিনেগারের আরো উপকারিতা
সংগৃহীত ছবি

অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের গুণাবলীর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ওজন কমাতে ও চুলের যত্নে অ্যাপল সিডার ভিনেগার উপকারী। তবে এটির আরো অনেক গুণ রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন।

সর্দি এবং সাইনাসের সমস্যা কমায়
যাদের নাক বন্ধ বা সর্দির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।

এতে সাইনাসের সমস্যা কমে যায় এবং অ্যাসেটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে।

ডায়রিয়া নিরাময়
যদি ডায়রিয়া ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে, তবে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খেলে দ্রুত আরাম পেতে পারেন।

দাঁতের দাগ দূর করে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস পানিতে অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে কুলকুচি করলে জীবাণু দূর হয়।

এতে দাঁত পরিষ্কার হবে।

পায়ের ব্যথা উপশমে সহায়ক
যাদের পায়ের ব্যথা বা লেগ ক্র্যাম্প রয়েছে, তারা ১ গ্লাস গরম পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূর্ণ হয় ও ব্যথা কমে।

খুশকি ও ব্রণ দূর করতে
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার খুশকি কমাতে ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে সহায়ক।

১/৪ টেবিল চামচ ভিনেগার আধা কাপ পানিতে মিশিয়ে মাথার ত্বকে স্প্রে করলে খুশকি দূর হবে।

পেশির শক্তি বাড়ায়
কঠোর শরীরচর্চা বা পরিশ্রমের পর পেশির শক্তি ফিরিয়ে আনতে অ্যাপেল সিডার ভিনেগার অত্যন্ত কার্যকরী। কারণ এতে পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ রয়েছে।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ