নকশী পিঠায় সফলতার হাতছানি

আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
শেয়ার
নকশী পিঠায় সফলতার হাতছানি
ছবি: কালের কণ্ঠ

নকশী পিঠা ছাড়াও নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা বানানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন ময়মনসিংহের নান্দাইলের মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালেঙ্গা গ্রামের নারীরা। ঈদের দিন সকালে অতিথি আপ্যায়নে কিংবা আত্মী-স্বজনের বাড়িতে ঈদ উপহার হিসেবে নকশী পিঠার জুরী নেই। কিন্তু শখের বশে নকশী পিঠা বানিয়ে যে সফল হওয়া যায় তা জানা ছিল না। তবে এমনটিই হয়েছেন ওই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে তরিকুল ইসলাম রনি।

 

রনি এখন এই পিঠা স্থানীয় বাজার ছাড়াও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্যাকেটজাত করে বিক্রি করছেন। তিনি মাসে আয় করছেন প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। এখন আর চাকরি খুঁজেন না রনি।

কালেঙ্গা গ্রামের আশরাফ মাস্টারের পুরাতন বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় ভোর থেকেই হান্নানের বাড়ির একটি ঘরের বারান্দায় বসে কাজ করছেন ২৫ জন নারী।

তারা সবাই রনির পরিবার পরিজন ছাড়াও প্রতিবেশী। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বেষ্টিত হয়ে তারা কাজ করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায় ও বিধবা নারীরা। রনি ওই পিঠা বাজারজাত জন্য বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করলেও ছোট বোন সাদিয়া আফরিন সনি ও মা সেলিনা আক্তার পিঠা বানানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন।
 

সনি পিঠা বানানোর কাজে নিয়োজিত নারীদের দেখভাল করেন। দেখা যায়, কেউ নকশী পিঠা, কেউ হাতে কাটা সেমাই, কেউ বাবুই ঝাঁক পিঠা বানাচ্ছে আবার কেউ এগুলো রোদে শুকাচ্ছে। এসব পিঠার মধ্যে অন্যতম হলো নকশী পিঠা, জামাই পিঠা, ঝর্ণা পিঠা, সিরিজ পিঠা, বাবুই ঝাঁক পিঠা, পয়সা পিঠা, ঝুড়ি পিঠা, সাবুদানা পিঠা, পাতা পিঠা, ঝিনুক পিঠা। 

বারান্দায় বসে কমপক্ষে ২০ জন কাজ করছেন। তাদের সবার সামনেই রয়েছে পিঠা বানানোর সরঞ্জামসহ একটি পিড়া।

ওই পিড়ার মধ্যেই কাই (চালের গুঁড়া পানি দিয়ে) নিয়ে নরম করে এতে প্রয়োজনীয় তেল ব্যবহার করে গোলাকৃতি করে খেজুরের কাঁটা ও টিনের তৈরি নকশা দিয়ে পিঠার নকশী করছেন তারা। 

সনি জানান, প্রতি কেজিতে ৩০টি পিঠা থাকে। আর এক কেজি ১২০ টাকা দরে দোকানে দেওয়া হয়। দোকানদার এইগুলি ১৫০-১৬০ টাকা বিক্রি করেন।

সনি বলেন, 'নকশী পিঠা, সিরিঞ্জ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পয়সা পিঠা, এগুলো আমাদের গ্রামীণ ইতিহাসের অংশ। এগুলো ছাড়া আমাদের ঈদ আনন্দ জমে উঠে না।'

তিনি আরো বলেন, 'দলবেঁধে বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করি। এসব পিঠা তৈরি করতে চালের গুঁড়া, বেলুনি, পিঁড়ি, কাটার, খেজুর কাঁটা অথবা সুঁই, তেল, কলাপাতা, রং ইত্যাদি লাগে। পরে কাঁচা পিঠা রোদে শুকানো হয়। পরে প্যাকেটজাত করে বাজারে পাঠানো হয়। অনেকে পিঠা বাড়ি থেকেই নিয়ে যায়।'

প্রতিদিন ১০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করছেন মনু, সাবিনা, মালা, সুফিয়া ও রিপাসহ অনেকেই। তারা জানান, ভোর থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাজ করে পরে নিজের সংসারের কাজ করা যায়। এতে বাড়তি একটা আয় হয়। যা দিয়ে সংসারের অনেক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

রনি বলেন, 'হারানো দেশীয় ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চাকরি না পেয়ে বিকল্প কিছু করার জন্য স্ত্রী অনুপমা ইসলাম হিমুকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে মা-বোন ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় বিভিন্ন ধরনের পিঠা বানিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাই। সেখানে ব্যাপক চাহিদা বুঝতে পেরে এখন নকশী পিঠার ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। এতো সেল হবে আমি কখনো ভাবিনি। এই পিঠা বিক্রি করে আমার প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়।'

রনি বলেন, কোনো ব্যাংক থেকে বিনাসুদে ঋণ পেলে এই পিঠার কারখানা আরো বিস্তর করা যাবে। এতে অনেকেই কাজ করার সুযোগ পাবে।

স্থানীয় সৈয়দ গ্রাম চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং নারী উদ্যোক্তা সাহিদা ইয়াসমিন বলেন, 'এই গ্রামের ঘরোয়া মেয়ে ও গৃহবধূরা পিঠা নিয়ে কাজ বেশি করছে। আলহামদুলিল্লাহ এতে ঘরে বসেই তাদের কর্মসংস্থান হচ্ছে, সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাদের জীবনমানও উন্নত হচ্ছে।'

তিনি আরো বলেন, 'পিঠাগুলো নতুন আঙ্গিকে দেশীয় ঐতিহ্য সমাজে তুলে ধরছে। আমাদের প্রাম বাংলার নারীরা দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও পিঠা রপ্তানি করবে ইনশাআল্লাহ।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চট্টগ্রামে ১৪ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
চট্টগ্রামে ১৪ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো হবে আজ

চট্টগ্রামে ‘জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাম্পেইনে আজ শনিবার ১৩ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার এবং নগরের বাইরের জেলায় আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে এই ভিটামিন খাওয়ানো হবে। 

চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় স্থায়ী-অস্থায়ী সব টিকাদান কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছয় থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের এই ভিটামিন খাওয়ানো হবে। 

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলায় এবং চসিকের উদ্যোগে নগরে শতভাগ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার চসিক এবং জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত আলাদা সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডে এক হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে এই ক্যাম্পেইন চলবে। ছয় থেকে ১১ মাসের শিশুকে এক লাখ ইউনিটের নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের শিশুকে দুই লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিত্সালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান চসিক মেয়র।

এদিকে এবার চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে আট লাখ ২৫ হাজার ৭১৬ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জেলা পর্যায়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থায়ী টিকাকেন্দ্র রয়েছে ১৭টি, ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র রয়েছে ১৫টি এবং অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে চার হাজার ৮০০টি। এর আগে গত ১ জুন ক্যাম্পেইনে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জিত হার ৯৭ শতাংশ।

মন্তব্য

জমি নিয়ে বিরোধ, কক্সবাজারে একজনকে গুলি করে হত্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
জমি নিয়ে বিরোধ, কক্সবাজারে একজনকে গুলি করে হত্যা

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় জায়গা-জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে হাবিবুল হুদা চৌধুরী প্রকাশ কালু (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাকের পক্ষের লোকজন জড়িত বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি উক্ত এলাকার মৃত শামসুল হুদা চৌধুরীর ছেলে।

নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট আবিদুল হুদা জানান, ইসলামাবাদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাকদের সঙ্গে তাদের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জেরেই রাতে আবদুর রাজ্জাকের লোকজন আকস্মিকভাবে হাবিবুল হুদা চৌধুরীর বাড়িতে আক্রমণ করে। 

এ ঘটনায় হাবিবুল হুদা চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন এবং মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের আরো দুই নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে প্রতিপক্ষের রিদওয়ানুলের সঙ্গে কথা হলে জানান, তাদের ক্রয়কৃত একটি জায়গা নিয়ে হাবিবুল হুদা গং-এর সঙ্গে বিরোধ চলছিল। এর জেরে শুক্রবার দুপুরে ঈদগাঁও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ জায়গাটি দখলের চেষ্টা করে।

এ ঘটনায় তার ভাই সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বাধা দিলে পুলিশের সামনে তাকে মারধর করা হয়। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

এর জেরেই রাতে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয় এবং হাবিবুল হুদা চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন বলে তিনি পরে জেনেছেন।

ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জমি বিরোধের জেরে সৃষ্ট সংঘর্ষে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হামলাকারীরা সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের লোক বলে প্রাথমিক তথ্যে জেনেছেন। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।

হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

মন্তব্য

‘৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলেই প্রকৃত সংস্কার সম্ভব’

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘৩১ দফা বাস্তবায়ন করা হলেই প্রকৃত সংস্কার সম্ভব’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলেই প্রকৃত সংস্কার সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান অমি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) নবাবচর স্কুল মাঠে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।

অমি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। যা বাস্তবায়নের ফলে প্রকৃত সংস্কার করা সম্ভব।

তিনি ৩১ দফায় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দুইবারের বেশি না থাকা উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি ভালো মানুষের দল। কোনো মাদকাসক্ত, মাদক কারবারি বা ভূমি দখলকারী বিএনপির সদস্য থাকতে পারবে না। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে তিনি শাক্তা ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

শাক্তা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহসিন মন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ মডেল উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন মিনু, সিনিয়র সহসভাপতি হাজী শামীম আহসান, ঢাকা জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ রানা, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা যুবদলের আহ্বায়ক হাজী আসাদুজ্জামান রিপন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা ছাত্রদলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হাজী সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। 

মন্তব্য

বাজারে বের হয়ে নিখোঁজ, ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
বাজারে বের হয়ে নিখোঁজ, ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে ২২ দিন ধরে নিখোঁজ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এমদাদুল হক (২১)। তার সন্ধানে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ ঘটনা নেত্রকোনার দুর্গাপুরের।

চলতি বছরের গত ২১ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের চন্ডিগড় গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় এমদাদুল হক।

থানায় করা ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে চন্ডিগড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় এমদাদুল। তার গায়ের রং কালো, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, তার পড়নে ছিল লাল রঙের জ্যাকেট, লুঙ্গি ও মাথায় লাল রঙের টুপি। 

প্রতিবন্ধী ছেলে এমদাদুল হককে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়ে তার মা মঞ্জুয়ারা খাতুন বলেন, আমার ছেলে চন্ডিগড় বাজারের যাওয়ার কথা বলে সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। মাগরিবের নামাজের পরও বাড়ি না ফিরলে আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ নিতে বলি।

কিন্তু কেউ কোথাও খুঁজে পায়নি। আমার ছেলেকে সবাই মিলে খুঁজে দেন। এই বলে আহাজারিও করেন তিনি।

এ নিয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তাকে খুঁজে পেতে পুলিশ তৎপরতা অব্যাহত আছে। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ