<p>যত কম তেলে রান্না করা খাবার খাবেন, ততই রোগমুক্ত জীবন কাটাতে পারবেন। কিন্তু একদম তেল ছাড়া রান্না করা সম্ভব নয়। ভাজাভুজি না খেলেও তরকারি রান্নার জন্যও ২ চামচ তেল দরকার। রান্নায় ভাল মানের তেল ব্যবহার করা জরুরি। যে তেলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ও ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে, সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই ধরনের তেল খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং নানা সমস্যা দেখা দেয়। </p> <p>সাধারণত বাঙালিরা রান্নায় সরষের তেল ব্যবহার করে। কেউ কেউ অলিভ অয়েল, বাদাম তেল, সূর্যমুখীর তেল খায়। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু কোন তেল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে পারে সেগুলো অনেকে জানে না। তাহলে জেনে নিন কী সেই তেল।</p> <p><strong>নারকেল তেল</strong></p> <p>নারকেল তেলে তৈরি রান্না বাঙালিরা খায় না। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার করে। এই তেলে লওরিক এসিড রয়েছে, যা হঠাৎ করে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।</p> <p><strong>পাম অয়েল</strong></p> <p>পাম অয়েলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এই তেলে তৈরি রান্না খেলে কোলেস্টেরল বাড়তে বাধ্য। আর কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে এখন থেকে হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।</p> <p><strong>সয়াবিন তেল</strong></p> <p>লুচি-পরোটা ভাজতে সয়াবিন তেল ব্যবহার করবেন না। এই তেলের মধ্যে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এটি হার্টের প্রদাহ বাড়িয়ে তোলে। এতে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড রয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই পুষ্টির পরিমাণও মাত্রা ছাড়ালে শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p><strong>কর্ন অয়েল</strong></p> <p>সাদা তেল হিসেবে ভুলেও কর্ন অয়েলকে বেছে নেবেন না। ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। কিন্তু এই দুই পুষ্টির মধ্যে সমতা থাকাও দরকার। কিন্তু কর্ন অয়েল খেলে দেহে ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিডের মাত্রা বেড়ে যায় এবং হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p><strong>কটনসিড অয়েল</strong></p> <p>কার্পাস বীজের তেল বা কটনসিড অয়েলের মধ্যে অত্যধিক পরিমাণে ট্রান্স ফ্যাট রয়েছে। এই তেল খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। এর জেরে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।</p> <p>সূত্র : এই সময়</p>