<p>ডায়াবেটিস প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে: টাইপ-১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস।</p> <p><strong>টাইপ-১ ডায়াবেটিস</strong></p> <p>টাইপ-১ ডায়াবেটিস সাধারণত বংশগত বা জেনেটিক কারণে হয়ে থাকে। এটি বাহ্যিক কোনো কারণে হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর তথ্যমতে, এটি মূলত একটি অটোইমিউন প্রতিক্রিয়ার কারণে ঘটে। অর্থাৎ, শরীর ভুল করে নিজেই নিজের ইনসুলিন উৎপাদক কোষগুলোর ওপর আক্রমণ করে। ফলে শরীর নিজেই ইনসুলিন তৈরি বন্ধ করে দেয়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।</p> <p>টাইপ-১ ডায়াবেটিস যেকোনো বয়সে হতে পারে। যদি পরিবারের কারও ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে একজন ব্যক্তির ডায়াবেটিস হবার ঝুঁকি থাকে, তবে সম্ভাবনা থাকলেই যে ডায়াবেটিস হবে, তা নয়। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলো সাধারণত দ্রুতই প্রকাশ পায়। এ ধরনের ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। তবে টাইপ-১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কোনো উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।</p> <p><strong>টাইপ-২ ডায়াবেটিস</strong></p> <p>টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মূল কারণ হলো অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই ধরনের ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ধরা পড়ে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের শুরুর দিকে সাধারণত উপসর্গ দেখা যায় না, কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন জটিলতার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।</p> <p>সুস্থ জীবনযাপন, যেমন—ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার মাধ্যমে টাইপ-২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।</p>