শীতে রং করা চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শীতে রং করা চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

শীত মানেই উৎসবের মৌসুম। পিকনিক, পার্টি, সঙ্গে থাকে বিয়েবাড়ি। আর শীত মানেই ঘুরে বেড়ানো। শখ করে এমন সময়েই চুলে পছন্দের রং করিয়েছেন।

কিন্তু সেই রং চুলে বেশি দিন রাখবেন কীভাবে, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

শীতের মৌসুমে বেড়ানো হোক বা পিকনিক, রোদের তাপে, ধুলা-বালি, ময়লায় রঙিন চুলের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে ব্যবহার করতে পারেন টুপি।

ঠাণ্ডা জাঁকিয়ে পড়লে বা পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গেলে রংবাহারি উলের টুপি বেশ মানাবে। কম ঠাণ্ডার জায়গায় ডেনিম বা সুতি কাপড়ের ক্যাপ জিন্‌স, টপের সঙ্গে মানানসই লাগবে।

রং করা চুল দিনভর খুলে না রেখে খোলা জায়গায় ঘোরাঘুরির সময় বেঁধেও নিতে পারেন। ক্লিপ বা ববি পিন দিয়ে চুলের উপরিভাগের অংশ কায়দা করে আটকে নিলেও দেখতে ভালো লাগবে।

ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে নিয়মিত সেই ফাটা চুল ছেঁটে নেওয়া জরুরি। চুল ছাঁটা আর কাটা কিন্তু এক নয়। চুলের ডগা ফেটে গেলে, সেই অংশটুকু কাঁচির সাহায্যে কেটে নিতে হবে।

আরো পড়ুন
শীতে কোমল ও মোলায়েম ত্বকের জন্য কী করবেন

শীতে কোমল ও মোলায়েম ত্বকের জন্য কী করবেন

 

নিয়মিত শ্যাম্পু, গরম পানিতে গোসল শীতের মৌসুমে রং করা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে।

গরম পানিতে গোসল করলে সমস্যা আরো বাড়বে।

চুলে রং বেশি দিন ধরে রাখতে হলে উপযুক্ত শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে। রং করা চুলের জন্য বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়।

রঙে রাসায়নিক থাকে। তার প্রভাবে চুল অনেক সময় রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে শ্যাম্পুর পর ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি।

আরো পড়ুন
শীতে শরীর গরম রাখবে যেসব মসলা

শীতে শরীর গরম রাখবে যেসব মসলা

 

গোসলের পর হেয়ার ড্রায়ার বা চুল শুকোনোর বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি তাপে রং নষ্ট হতে পারে। স্ট্রেটনার, কার্লার ঘন ঘন ব্যবহার করলেও রং দ্রুত হালকা হয়ে যেতে পারে।

সূত্র : আজকাল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রসুনের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে যা করতে হবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রসুনের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পেতে যা করতে হবে
সংগৃহীত ছবি

পিঁয়াজ জাতীয় একটি ঝাঁঝালো মসলা হচ্ছে রসুন। একে আবার সবজি হিসেবেও ধরা হয়। এটি ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আমরা সাধারণত এটি মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি।

তবে এই মসলা সঠিকভাবে না খেতে পারলে হিতে বিপরীতে হতে পারে।

রসুনের মতো উপকারী মশলাও সব সময়ে কার্যকরী হয় না সুস্বাস্থ্য রক্ষায়। ভুল থেকে যায় ব্যবহারেই। ফলে কেবল স্বাদই মেলে, গুণ নয়।

বিভিন্ন জায়গায় রসুনের ব্যবহার নিয়ে নানা ধরনের টোটকার কথা উল্লেখ করা হয়। যেগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হলো রসুনের ‘১০ মিনিট নিয়ম’।

বলা হয়ে থাকে, রান্নায় দেওয়ার আগে ১০ মিনিট মুক্ত বাতাসে রেখে না দিলে রসুনের কোনো গুণই শরীর পর্যন্ত পৌঁছায় না। আদৌ কি কার্যকরী এই নিয়ম? যদি খোসা ছাড়িয়েই ঝপ করে কড়াইয়ের তেলে ফেলে দেওয়া হয়, তাতে কী ক্ষতি হয়?

আরো পড়ুন
চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

 

রসুনের ১০ মিনিট নিয়ম নিয়ে উত্তর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

তাদের মতে, এটি আসলে নতুন নয়, অনেক প্রাচীন টোটকা। ‘১০ মিনিট নিয়ম’ মেনে রসুন ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তার কম রাখলে, পাওয়া যাবে না, তা কিন্তু না। কিন্তু সর্বোচ্চ পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায় এই নিয়মেই।

কী এই ১০ মিনিটের নিয়ম

রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা খেলে অথবা কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কড়াইতে ঢেলে দিলে কেবল স্বাদটুকুই পাওয়া যায়।

পুষ্টিগুণগুলো রান্নার মধ্যে প্রবেশ করতে পারে না। তাই বলা হয়, খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট করে কেটে অথবা থেতো করে ১০ মিনিট খোলা হাওয়ায় রেখে দিতে হবে। তারপর কড়াইয়ে দিতে পারেন অথবা কাঁচা খেয়ে নিতে পারেন।

আরো পড়ুন
কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতে সমস্যা দেখা দেয়

কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতে সমস্যা দেখা দেয়

 

দুটিতেই লাভ। এই ১০ মিনিট রসুনের কুচিগুলো কোনোভাবেই আগুনের তাপের সংস্পর্শে নিয়ে আসা যাবে না।

এই নিয়মের সঙ্গে পুষ্টিগুণের কী সম্পর্ক

রসুনের মধ্যে যত গুণ রয়েছে তা আসে অ্যালিসিন নামে এক যৌগ থেকে। সেই অ্যালিসিন তৈরির জন্যই এই ১০টি মিনিট খুব গুরুত্বপূর্ণ। রসুনের মধ্যে অ্যালিনেজ নামক এনজাইম এবং অ্যালিন নামক প্রোটিন মিলেমিশে তৈরি হয় অ্যালিসিন। রসুনের কাটাকুটি সেরে নেওয়ার পর ১০ মিনিটের ওই সময়ের মধ্যে মুক্ত হাওয়া-বাতাসের সংস্পর্শে এসে অ্যালিনেজ ও অ্যালিনের মিলনে অ্যালিসিন তৈরি হয়। যেই অ্যালিসিনের জন্যই রসুনের এত গুণ।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, অ্যালিনেজ এনজাইম আসলে তাপের কাছাকাছি এলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। অ্যালিসিন তৈরি করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাই ১০ মিনিট তাপ থেকে দূরে রাখলে অ্যালিসিন তৈরি হয়ে যাবে। এক বার তৈরি হয়ে গেলে গরমে আর নষ্ট হয় না অ্যালিসিন। সেটির সম্পূর্ণ গুণ রসুনের মধ্যে থেকে যায়। রান্নাতেও তার প্রভাব পড়ে।

আরো পড়ুন
ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

 

তাই আগুনে ছাড়ার আগে ১০ মিনিট রসুনকে নিজের মতো থাকতে দিন। এতে রসনাতৃপ্তি ও সুস্বাস্থ্য, দুটিই মিলবে খাবার থেকে।

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

যেভাবে যত্ন নিলে ভালো থাকবে ফ্রিজ

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে যত্ন নিলে ভালো থাকবে ফ্রিজ
সংগৃহীত ছবি

আধুনিক জীবনের নিত্যসঙ্গী ফ্রিজ। সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে গরমকালে ফ্রিজ ছাড়া চলে না। পানি ঠাণ্ডা করা থেকে খাবার বাসি হতে না দেওয়া, ফ্রিজের জন্যই সব সম্ভব। তাহলে কিভাবে ফ্রিজের যত্ন নেবেন, রইল সেই টিপস।

  • ফ্রিজে কিছু রাখা বা বের করা হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি দরজা বন্ধ করে দিন। বেশিক্ষণ দরজা খোলা থাকলে বাইরের তাপমাত্রা ভেতরকার ঠাণ্ডা ভাবে ব্যাঘাত ঘটায়। 
  • প্রতিবার খেয়াল রাখুন ফ্রিজের দরজা ঠিকমতো বন্ধ হলো কি না। অল্প ফাঁক হয়ে থাকলেও ভেতরের ঠাণ্ডা বাইরে বেরিয়ে আসে।
ফলে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যায়। 
  • সঠিক তাপমাত্রায় ফ্রিজ চালু রাখুন। এতে ভেতরকার কুলিং সিস্টেম ঠিক থাকবে। সাধারণভাবে ডিপফ্রিজে মাছ-মাংস থাকলে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং নিচের অংশে ০ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা ভালো।
  •  
    আরো পড়ুন
    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

     
    • ফ্রিজে রাখা খাবারদাবার ঠিকমতো ঢাকনা দিয়ে রাখুন। এতে ফ্রিজের দেয়ালে ময়শ্চার জমা আটকায় এবং খাবারের গন্ধও ফ্রিজের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে না।
    • খেয়াল রাখুন ফ্রিজের ভেতরের দেয়ালে থাকা ভেন্টগুলো যেন চাপা পড়ে না যায়। এতে কুলিং সিস্টেম ঠিকমতো কাজ করবে। 
    • সিঙ্গেল ডোর রেফ্রিজারেটর হলে নিয়মিত ডিফ্রস্ট করতে ভুলবেন না।
    এ ছাড়া অবশ্যই কিছু দিন পরপর ফ্রিজের ভেতরটা ভালো করে পরিষ্কার করুন। তাতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। 
  • একেবারে দেয়াল ঘেঁষে ফ্রিজ রাখবেন না। অন্তত ১ ইঞ্চি ফাঁকা যেন থাকে। এতে ফ্রিজ থেকে বের হওয়া তাপ সহজে বাতাসে মিশতে পারবে। ভেতরকার কুলিং সিস্টেমও ঠিক থাকবে।
  • আরো পড়ুন
    কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতে সমস্যা দেখা দেয়

    কোন ভিটামিনের অভাবে দাঁতে সমস্যা দেখা দেয়

     

    সূত্র : আজকাল

    মন্তব্য

    কিডনি সমস্যায় টমেটো খাওয়া কি নিরাপদ?

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    কিডনি সমস্যায় টমেটো খাওয়া কি নিরাপদ?
    ছবি : পেক্সেলস

    শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে কিডনি। পাশাপাশি শরীরের সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফেটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিডনির সমস্যা থাকলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা।

    কিডনিতে সমস্যা থাকলে প্রতিদিনের খাবারে সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রার ওপর নজর রাখতে হবে। কিডনির অসুখে খাবার খেতে হবে বুঝেশুনে। কিডনির অসুখে কি টমেটো খাওয়া যাবে কি না, তা জানাচ্ছে হেলথলাইন ওয়েবসাইট।

    হেলথলাইন ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, টমেটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে।

    কিডনির অসুখে বেশি পটাশিয়াম খাওয়া উচিত নয়। ১ কাপ (২৪৫ গ্রাম) টমেটো সসে ৭২৮ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মিনারেল ও ইলেকট্রোলাইট, যা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোষে কোষে পুষ্টির জোগান দেয়, পেশি ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য বজায় রাখে। কিন্তু কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্ত থেকে পটাশিয়াম অপসারণ করতে পারে না।
    ফলে রক্তে পটাশিয়াম জমা হতে থাকে।

    আরো পড়ুন
    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

    চিনি খাওয়া এতটা খারাপ কেন

     

    চিকিৎসকদের পরিভাষায় এই পরিস্থিতিকে বলে হাইপারক্যালেমিয়া। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের অসুখ, অনিয়মিত হার্টবিটের মতো সমস্যা দেখা দেয়। যেহেতু টমেটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

    কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে ফসফরাস জমা হতে থাকে।

    ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে, হার্টের অসুখের ঝুঁকি বড়ে। টমেটোতে ফসফরাস থাকে। তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

    আরো পড়ুন
    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

     

    টমেটো এসিডিক খাবার। কিডনি শরীরে পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখে। বেশি মাত্রায় এসিডিক খাবার খেলে শরীরে পিএইচ এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। যাদের কিডনির সমস্যা আছে তারা টমেটোর মতো এসিডিক খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে কিডনির ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে না।

    কিডনির সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে বাড়তি পানি ছেঁকে করে বের করতে পারে না। তাই শরীরে তরল জমতে পারে। কাজেই কিডনির অসুখে এমন খাবার খাওয়া যাবে না, যাতে বেশি পরিমাণে পানি আছে। টমেটোতে পানির পরিমাণ বেশি। তাই কিডনির অসুখে টমেটো খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, শরীরে পানি জমতে পারে। পা, পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলে যেতে পারে। ব্লাড প্রেশারও বাড়তে পারে।

    আরো পড়ুন
    রাতে ঘুমানোর আগে যে ৩ খাবার থেকে দূরে থাকবেন

    রাতে ঘুমানোর আগে যে ৩ খাবার থেকে দূরে থাকবেন

     

    টমেটোতে থাকে অক্সালেট, যা কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করতে পারে।

    সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের কিডনির রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নারীদের ক্ষেত্রে পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজের ঝুঁকিও বেশি।

    ৩০ পার হওয়া নারীদের মধ্যে ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে।

    আরো পড়ুন
    রাতে দাঁত ব্রাশ করলে কী উপকার

    রাতে দাঁত ব্রাশ করলে কী উপকার

     

    সূত্র : নিউজ ১৮

    মন্তব্য

    লিফটের ভেতরে আয়না থাকার কারণ কী

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    লিফটের ভেতরে আয়না থাকার কারণ কী
    সংগৃহীত ছবি

    কোনো বহুতল ভবন বা শপিং মলের লিফটে প্রবেশ করলেই আয়না দেখতে পাওয়া যায়। কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন প্রায় লিফটের ভেতরে আয়না থাকে?

    মানুষ প্রায়ই নিজেকে পরীক্ষা করেন, চুল ও জামাকাপড় ঠিক করেন অথবা লিফটে তাদের মেকআপ ঠিক করেন। কিন্তু লিফটে আয়না রাখার উদ্দেশ্য কি এটাই?

    জাপানের লিফট অ্যাসোসিয়েশন লিফটের ভেতরে আয়না লাগানো বাধ্যতামূলক জানিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। এটি সাজসজ্জার জন্য নয়, বরং যাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।

    আরো পড়ুন
    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

    ওজন-ডায়াবেটিস, দুটিই নিয়ন্ত্রণে রাখবে এই ফল

     

    আয়না কিভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে 

    লিফটের ভেতরে অনেকেই ‘ক্লাস্ট্রোফোবিয়া’ অনুভব করেন। ক্লাস্ট্রোফোবিয়া হলো ছোট ও সংকীর্ণ জায়গার ভয়। লিফটে প্রবেশের সময় মানুষ অনেক সময় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং আটকে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এর ফলে শ্বাসকষ্টের অনুভব হয় এবং দ্রুত শরীরে রক্ত সঞ্চালনের হার বৃদ্ধি পায়।

    এর ফলে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।

    এ ধরনের পরিস্থিতিতে আয়না সাহায্য করতে পারে। সাধারণত, আয়না একটি ছোট জায়গাকে প্রশস্ত দেখায় বলে জানা যায়। যা শ্বাসরোধের অনুভূতি কমিয়ে দেয়।

    আয়না লাগানোর আরো একটি কারণ হলো ভেতরে থাকা লোকজনকে বিভ্রান্ত করা। সাধারণত বহুতল ভবনে লিফট স্থাপন করা হয়। যার অর্থ হলো লিফটে চড়ে গন্তব্যে পৌঁছতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হবে। আয়না লাগানোর ফলে লিফটের যাত্রীরা নিজেদের দেখবেন, পোশাক ঠিক করবেন এবং নানা কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পারবেন। এর ফলে ছোট জায়গায় মনকে ব্যস্ত রাখা সহজ হয়।

    সময়ও কেটে যায় দ্রুত।

    আরো পড়ুন
    রাতে ঘুমানোর আগে যে ৩ খাবার থেকে দূরে থাকবেন

    রাতে ঘুমানোর আগে যে ৩ খাবার থেকে দূরে থাকবেন

     

    লিফটে আয়না থাকা অপরিহার্য হওয়ার আরো একটি কারণ হলো নিরাপত্তা। ইন্টারনেটে অনেক ভিডিও আছে, যেখানে লিফটের ভেতরে অপরাধ ঘটতে দেখা গেছে। আয়না থাকলে যে কেউ লিফটের ভেতরে থাকা সবার ওপর নজর রাখতে পারেন। এর ফলে যেকোনো দুর্ঘটনা রোধ করা যেতে পারে। 

    যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের দিকে নজর রাখা সম্ভব হয়। এ ছাড়া আততায়ীকে শনাক্তও করা সম্ভব। সন্দেহজনক কার্যকলাপের দিকে নজর রাখা সম্ভব হয়।

    আরো পড়ুন
    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

    পুরনো ও গুরুত্বপূর্ণ মেইল সহজে খুঁজে বের করবে জিমেইল

     

    সূত্র : আজকাল

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ