গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী উপকার

  • ওজন কমাতে যেভাবে খাবেন ঘি
  • কিভাবে ‍ঘি খেলে ভালো থাকবে ত্বক ও চুল
জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী উপকার
সংগৃহীত ছবি

আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘি খেতে পছন্দ করেন। কেউ গরম ভাত বা গরম খাবারের সঙ্গে আবার কেউ হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। এই ঘি-এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। আয়ুর্বেদে, ঘি-কে 'সোনা' বলে বিবেচনা করা হয়।

এটি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করার অভ্যাস আপনার শরীরের নানাভাবে উপকার করতে পারে।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে ত্বক ও চুল সুস্থ রাখা পর্যন্ত অনেক উপকারে আসে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এটি।

আরো পড়ুন
যে উপায়ে শরীরের অতিরিক্ত প্রোটিন কমাবেন

যে উপায়ে শরীরের অতিরিক্ত প্রোটিন কমাবেন

 

চলুন, জেনে নেওয়া যাক, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকারে আসতে পারে—

পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে

ঘিতে উপস্থিত বিউটিরিক এসিড, হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

ঘি-তে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এটি শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস রোধ হয়।

আরো পড়ুন
টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

টেবিল ল্যাম্পের আলোয় বই পড়া কি ভালো?

 

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী

ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।

এ ছাড়া এটি চুলকে শক্তিশালী ও ঘন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করলে ত্বকের রং উন্নত হয় এবং চুল পড়া কমে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক

ঘিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরে তাপ বজায় থাকে, যা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন বাদাম খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 

জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি

ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি জয়েন্টগুলোকে নমনীয় করে তোলে এবং শক্তিশালী করে। নিয়মিত ঘি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য জয়েন্ট সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

ঘিতে উপস্থিত ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে মন শান্ত হয় এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।

হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে

ঘিতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘি নারীদের পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করে।

আরো পড়ুন
ওজন কমাতে ডিনারে রাখবেন যে খাবার

ওজন কমাতে ডিনারে রাখবেন যে খাবার

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যেসব ভুলে ওজন কমলেও কমে না চর্বি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেসব ভুলে ওজন কমলেও কমে না চর্বি
সংগৃহীত ছবি

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবার আগে লক্ষ্য থাকে পেটের চর্বির দিকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যায়াম করছেন বা নিয়মিত ডায়েট মেনে চলছেন কিন্তু পেটের কোনো পার্থক্য দেখছেন না। বুঝতে হবে আপনার কোথাও ভুল হচ্ছে। কেন এমন হচ্ছে, তা নিয়েই আজকের প্রতিবেদন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ফাইবার কম থাকা

ফাইবার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখার পাশাপাশি হজমে সহায়তা করে। ডায়েটে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না বরং দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। তলপেটের চর্বি কমাতে সহায়ক ফাইবার।

এ কারণে ফাইবারযুক্ত খাবার কম খেলে চর্বি সহজে কমবে না।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

অ্যালকোহল

খাওয়ার পর আমাদের অভ্যাস হয়ে গেছে কোমল পানীয় পান। কিন্তু আপনার প্রিয় বেভারেজে থাকা ক্যালরি আপনাকে বিস্মিত করতে পারে। এই অ্যালকোহল হজমে আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে; নয়তো এটি আপনার পেটে চর্বি আকারে পরিণত হবে।

উচ্চমাত্রায় চিনি গ্রহণ

প্রিয় কোনো খাবার বা পানীয়ের মাধ্যমে কী পরিমাণ চিনি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তা জানলে অবাক হবেন। চিনি পেটের চর্বি কমাতে সহায়ক।

ভুল ব্যায়াম

যেকোনো ওয়ার্কআউট বা ব্যায়াম করলেই যে পেটের চর্বি কমবে তা নয়। পেটের চর্বি কমায় এমন নির্দিষ্ট ব্যায়ামই আপনাকে করতে হবে। চাইলে কোনো প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে নির্দিষ্ট ব্যায়াম করতে পারেন।

আরো পড়ুন
ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

 

প্রোটিনের ঘাটতি

শরীর গঠনের পুষ্টি উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। এটি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের ক্যালরি পোড়ানোর সময় প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কানের ফুটো ছোট করবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

প্রায় সব বাঙালি নারীদের গয়না পরার প্রবণতা রয়েছে। নারীদের গহনার কথা আসলে সবার আগে আসে নাক ও কানের কথা। এই দুই জায়গায় গহনা পরতে হলে শরীরের ওই জায়গায় ফুটো করতে হয়। যার ফলে দুলে থাকে এই গহনা।

নারীদের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে গহনায়। আর তাই তারা বিভিন্ন ধরনের গহনা পরে থাকেন। অনেকে সময় দেখা যায় ভারি গহনা পরার ফলে কান ও নাকের ওই ফুটো বড় হয়ে যায়। যা সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে।

এ নিয়ে চিন্তায় পড়েন নারীরা।

কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই ফুটো সহজেই ছোট করা যায়। এই পদ্ধতিগুলো শুধু কানের ফুটোই ছোট করে তুলবে না, বরং সেগুলোকে সুরক্ষিতও রাখবে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলো।

আরো পড়ুন
টুথপিক ব্যবহারে দাঁতের যে ক্ষতি

টুথপিক ব্যবহারে দাঁতের যে ক্ষতি

 

বাজারে পাওয়া ইয়ারলোভ টেপটিও একটি ভালো বিকল্প। এটিও কানের ফুটোর পিছনে রাখতে হবে, তারপর কানের গয়না পরতে হবে। মেডিক্যাল গ্রেড সিলিকন প্লাগ ফুটো বোজাতে সাহায্য করে। এটি প্রয়োগ করে কানের ফুটো ছোট করে নেওয়া যেতে পারে।

স্কিন সেফটি টেপও ব্যবহার করা যেতে পারে।

এটি ছিদ্র করা অংশ পূরণ করতে সহায়তা করে এবং এটিকে ছোট দেখায়। দীর্ঘক্ষণ ভারী কানের দুল পরলে কানের ফুটো বড় হতে পারে এবং এতে কানেও ব্যথা হয়। তাই হালকা কানের দুল ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

কানের গর্তের চারপাশে ময়লা জমতে দেওয়া উচিত নয়। কানের গর্তের চারপাশে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এটি ত্বককে নরম ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

কিছু ব্যান্ডেজ কানের ফুটো ছোট করতেও সাহায্য করে। এগুলো দিয়ে কানের ফুটো ছোট করে নেওয়া যায়। যদি ছিদ্রটি খুব বড় হয়ে যায়, তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করাই উচিত হবে। তারা এই বিষয়ের সঠিক সমাধান বলতে পারবেন। এ ছাড়া উপরের উপায়গুলো প্রয়োগ করেও যদি সমস্যা না মেটে বা কোনো ধরনের অস্বস্তি হয়, তাহালে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত হবে।

আরো পড়ুন
ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

হাতের তালু চুলকালে কি আসলেই টাকা আসে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
হাতের তালু চুলকালে কি আসলেই টাকা আসে?
সংগৃহীত ছবি

অনেক আগে থেকেই একটা কথা বেশ প্রচলিত, ডান হাতের তালু চুলকালে নাকি টাকা আসে, আর বা হাতের তালু চুলকালে টাকা গায়েব। হাতের তালু চুলকালেই আমাদের মধ্যে কমবেশি সবাই এ কথা বিশ্বাস করে। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ ডান কিংবা বাঁ হাতের তালু চুলকায় কেন, জানেন?

হাতের তালু চুলকায় কেন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতের তালু চুলকানোর নেপথ্যে টাকা আসা বা খরচ হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। পুরোটাই একটা কুসংস্কার।

তবে হাতের তালু চুলকালে একটু চিন্তারই ব্যাপার। তা ডান হাত হোক, কিংবা বা হাত। এর নেপথ্যে রয়েছে ব্যাকটেরিয়া। যে ব্যাকটেরিয়া খুব আমাদের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছে এবং খুব সহজেই সেই ব্যাকটেরিয়া আমাদের কাবু করে ফেলছে।

ব্য়াপারটা একটু বিশদে বলা যাক। সারা দিন আমরা নানা জায়গায় কাজের প্রয়োজনে হাত দিই। কখনো বাস, রিকশা, সিএনজি কিংবা ট্রেন। অথবা পাবলিক টয়লেট।

এমনকি আপনি যে অফিসে কাজ করেন, সেই ডেস্কেও থাকে এই ব্যাকটেরিয়া।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

 

শুধু তা-ই নয়, সারা দিন ধরে যে মোবাইলে খুটখাট করতে থাকেন, সেই মোবাইলের স্ক্রিনেও বাসা বাঁধে এই ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া আপনার অজান্তেই হাতের ত্বকে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যার ফলে শুরু হয় এই চুলকানি।

কিভাবে দূর করবেন

  • প্রথমেই হাতের তালু চুলকালে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।
এ ক্ষেত্রে হ্যান্ডওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করুন।
  • বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। এতে হাতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারবে না।
  • যখনই বাইরে বের হবেন সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন। প্রয়োজনে সেটা ব্যবহার করুন।
  • আপনার ল্যাপটপ, ডেস্কটপের কি-বোর্ড এবং মোবাইলের স্ক্রিন মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করুন। বাজারে বিশেষ ক্লিনার পাওয়া যায়।
  • হাত না ধুয়ে খাবার খাবেন না। এতে আরো সমস্যা বাড়তে পারে।
  • আরো পড়ুন
    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

     

    সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

    মন্তব্য

    চুলে কলপ করলে কী ক্ষতি

    জীবনযাপন ডেস্ক
    জীবনযাপন ডেস্ক
    শেয়ার
    চুলে কলপ করলে কী ক্ষতি
    সংগৃহীত ছবি

    আধুনিক জীবনযাপনের ফলে অনেকেরেই তাড়াতাড়ি চুল সাদা হয়ে যায়। আর এই সাদা চুল তো কারোরই পছন্দ না। সে জন্য চুলের গোড়ায় সামান্য সাদা রং উঁকি দিলেই তারা কলপ করতে বসেন।

    বর্তমানে আবার নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছে বাহারি রং স্টাইল স্টেটমেন্ট।

    এক এক সময় এক এক রকমের রঙে তারা চুল রাঙিয়ে নেন। কিন্তু জানেন কি চুলের রং বা ডাই কতটা ক্ষতিকর হতে পারে?

    শুধু চুলের জন্যই নয়, সামগ্রিক ভাবেই শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে চুলের কলপ। কারণ এই ধরনের রঙে থাকে এমন সব রাসায়নিক, যা খুবই ক্ষতিকর। চুলে এসব রং বা কলপ দিলে কী হতে পারে, তা দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।

    আরো পড়ুন
    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

    স্বাস্থ্যকর চিকেন সালাদ, রাখতে পারেন ইফতারে

     

    চুলের ক্ষতি

    অ্যামোনিয়া : চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে দেয়, যার ফলে চুল শুষ্ক, রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

    হাইড্রোজেন পারক্সাইড : চুলের প্রোটিনের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত করে। যার ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে ভেঙে যায়।

    মাথার ত্বকের সমস্যা

    প্যারাফেনিলেনডিয়ামিন : এটি একটি সাধারণ অ্যালার্জেন।

    যা মাথার ত্বকে অ্যালার্জি, চুলকানি, জ্বালা ও ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে।

    রেসোরসিনল : এটিও অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে এবং মাথার ত্বক শুষ্ক করে খুশকির সমস্যা তৈরি করে।

    আরো পড়ুন
    আমলকী চায়ের যত গুণ

    আমলকী চায়ের যত গুণ

     

    অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা

    অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড : এই রাসায়নিক পদার্থগুলো শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

    ডায়ামিনোসেল সালফেট ও প্যারা-ফেনিল্যান্ডামাইন : এই রাসায়নিক পদার্থগুলো হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে।

    আরো পড়ুন
    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

    ওজন-কোলেস্টেরল কমানো ছাড়া আর কী করে ওটস

     

    সূত্র : আজকাল

    মন্তব্য

    সর্বশেষ সংবাদ