ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ধূমপানে কি চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে?

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকারক, এ কথা কারো অজানা নয়। খোদ সিগারেটের প্যাকেটেই এর কুফল সম্পর্কে বলা আছে। তবু মনের আনন্দে সুখটান হোক কিংবা স্ট্রেস ফ্রি থাকতে ধোঁয়া সেবন, ফুসফুসসহ শরীরের ওপর সার্বিকভাবে যে বড় প্রভাব ফেলে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

শুধু শরীরের নয়, ধূমপান চুলের স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। 

বর্তমানে পুরুষ-নারী নির্বিশেষে সবাই চুল পড়ার সমস্যায় জর্জরিত। কারো কারো তো অল্প বয়সেই উঁকি দিচ্ছে টাক। আর সেই সমস্যাই নাকি বাড়িয়ে দিতে পারে ধূমপান।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১০টা সিগারেট খেলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

আরো পড়ুন
গ্লকোমার জন্য যাদের চক্ষু পরীক্ষা জরুরি

গ্লকোমার জন্য যাদের চক্ষু পরীক্ষা জরুরি

 

ধূমপানের সঙ্গে চুল পড়ার কী সম্পর্ক

আসলে ধূমপানের ফলে রক্তনালিগুলো সংকুচিত হয়, যা চুলের ফলিকলে রক্তপ্রবাহ কমায়। ফলিকলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি না পৌঁছলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং একালে ঝরতে শুরু করে। এ ছাড়া ধূমপানের ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাত্রা বাড়ে এবং ফলিকুলার কোষের ক্ষতি হয়।

ফলে স্বাভাবিকভাবে চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। 

ধূমপান ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন (ডিএইচটি) হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়, যা পুরুষ ও নারীদের অকালে টাক পড়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। তামাকের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ চুলের ফলিকুলার কোষের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

ধূমপানের কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্রি-র‌্যাডিকাল তৈরি হয়, যা শরীরের ক্ষতি তো করেই, সঙ্গে স্ক্যাল্পেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এই কারণেই মূলত চুলের ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়।

আরো পড়ুন
ইফতারে যোগ করুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর বেলের শরবত

ইফতারে যোগ করুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর বেলের শরবত

 

যদিও সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলেই যে আবার নতুন করে চুল গজাতে শুরু করবে, এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আপনি হয়তো ১৫ বছর টানা ধূমপান করেছেন, তারপর হঠাৎ একদিন এই অভ্যাস ত্যাগ করার পরের দিনই ম্যাজিক হবে, বিষয়টা এমন নয়।

সে ক্ষেত্রে ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার পরে চুলের হাল ফেরাতে চিকিৎসা করাতে পারেন। তাহলেই আসল উপকার মিলবে। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে চটজলদি সুফল মিলতেও পারে।

আরো পড়ুন
নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গুগলের বিশেষ ডুডল

নারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে গুগলের বিশেষ ডুডল

 

সূত্র : আজকাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ক্যান্সার প্রতিরোধী লালশাক

শেয়ার
ক্যান্সার প্রতিরোধী লালশাক
সংগৃহীত ছবি

লালশাকে উপস্থিত আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি শরীরের একাধিক বিষাক্ত উপাদান দূর করে। সেই সঙ্গে এটি ক্যান্সার প্রতিরোধী। 

লালশাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। গবেষকদের মতে, লালশাকে থাকে ভিটামিন এ, যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধির জন্য উপকারী।

লালশাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই নিয়মিত এ শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। 

রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায়। লালশাকে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক কম থাকে।

তাই এটি বাড়তি ওজন কমাতেও সহায়ক। 

লালশাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা আঁশ থাকে, যা হজমে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বদহজমের আশঙ্কা কমে। রঙিন সবজি হওয়ার কারণে শিশুরা লালশাক খেতে পছন্দ করে।

মানবদেহের দাঁত ও অস্থি গঠনে, দাঁতের মাড়ির সুস্থতা রক্ষায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে লালশাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন

শেয়ার
পড়তে বসলেই ঘুম? সমাধান জেনে নিন
সংগৃহীত ছবি

পড়াশোনা করতে বসলে অনেকেরই চোখে ঘুম চলে আসে। বিশেষ করে পরীক্ষার আগে। ছোটরা তো বটেই, কৈশোরে পা রাখা ছাত্র-ছাত্রীরাও এ সমস্যার মুখোমুখি হন। এর পেছনে শারীরিক ক্লান্তি এবং শক্তির অভাব একটি বড় কারণ হতে পারে।

তাই অনেকেই পরীক্ষার আগে সন্তানকে প্রোটিন এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করেন, যাতে শরীরের উদ্দীপনা বজায় থাকে। 

অনেকে কফি খেয়ে ঘুমের সমস্যা কাটাতে চান। কিন্তু কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের জন্য ভালো নয়। সাময়িকভাবে কফি মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে পারে।

তবে অতিরিক্ত কফি খেলে অনিদ্রা রোগের কারণ হতে পারে। 

কফি ছাড়াও অন্য পানীয় উপকারী হতে পারে। পুষ্টিবিদেরা খালি পেটে ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ডাবের পানি শরীরে বাড়তি শক্তি দেয়।

তবে শুধু ডাবের পানি নয়, তার সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন গোলমরিচ, চিয়া সিড এবং জিরা গুঁড়া। পানীয়টি খেতে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর।

আরেকটি ভালো বিকল্প হলো গ্রিন টি। আপনি চাইলে গ্রিন টির সাথে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতা শরীরকে সতেজ রাখে।

এটির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিপাক হার বাড়িয়ে দেয়।

সূত্র: এই সময়

মন্তব্য

খুশকির সমস্যা সমাধানে লেবু

শেয়ার
খুশকির সমস্যা সমাধানে লেবু
সংগৃহীত ছবি

চুলের যত্নে আপনার হাতের কাছে থাকা লেবু হতে পারে একটি দারুণ উপকরণ। লেবুতে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-৬সহ আরো অনেক উপাদান থাকে যা চুলের জন্য উপকারী।

খুশকির সমস্যা হলে লেবু খুবই কার্যকরী। অনেকেই লেবুর রস মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় দিয়ে কিছুক্ষণ পরে চুলে শ্যাম্পু করেন।

তবে লেবুর রসে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকায় সরাসরি ত্বকে লাগানো ঠিক নয়, বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকে। তাই লেবুর রস অন্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা ভালো।

আপনি লেবুর রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা লেবুর রস পানিতে মিশিয়েও ব্যবহার করা যাবে।

এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ও চুলের গোড়ায় ভালো করে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং চুলের গোড়া শক্তিশালী হবে।

লেবুর রস বেশি সময় ধরে মাথায় রেখে দেওয়া যাবে না। ১০ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়।

কারণ এর অ্যাসিডের কারণে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

সূত্র: এই সময়
 

মন্তব্য

কম রক্তচাপের সমস্যা? সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো খেতে পারেন

শেয়ার
কম রক্তচাপের সমস্যা? সুস্থ থাকতে যে খাবারগুলো খেতে পারেন
সংগৃহীত ছবি

সকালে ঘুম থেকে উঠেই অনেকের মাথা ঘোরা শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি হাত-পায়ের তলায় ঝিম ধরা, চোখেমুখে অন্ধকার দেখার মতো নানা সমস্যা তৈরি হয়। এগুলো হচ্ছে কম রক্তচাপের লক্ষণ। উচ্চ রক্তচাপ যেমন ক্ষতিকর, তেমনি রক্তচাপ কম হওয়া থেকেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্তচাপ ওঠানামা করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের খাদ্যাভ্যাসে কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। 

চলুন জেনে নিই, রক্তচাপ কম থাকলে যা যা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

পানি ও তরল খাবার
রক্তচাপ কম থাকলে শরীরে পানির অভাব হতে দেওয়া উচিত নয়।

তাই তরল খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বেশি করে পানি পান করা আমাদের সবার উচিত। 

ভিটামিন বি-১২
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব হলে রক্তাল্পতার ঝুঁকি বাড়ে। যার কারণে রক্তচাপও কমে যেতে পারে।

এ কারণে মাছ, ডিম, টক দই এবং মুরগির মাংস বেশি খাওয়া উচিত। কারণ এগুলোতে ভিটামিন বি-১২ প্রচুর পরিমাণে থাকে।

লবণাক্ত খাবার
লো ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য পরিমিত পরিমাণে লবণাক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে তবে অতিরিক্ত নয়। কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। লবণযুক্ত খাবার যেমন স্যুপ, সালাদ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

লবণের পরিমাণ পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুযায়ী ঠিক করা উচিত।

এভাবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

সূত্র : এই সময়
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ