<p>আবুল মনসুর আহমদ সাংবাদিকতা ও সম্পাদকতাকে সাধনা হিসেবে নিয়েছিলেন। যেখানে মানুষ-সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণই ছিল মুখ্য বিবেচনা। সাংবাদিকতা-সম্পাদকতা মহান দায়িত্ববোধ ছিল তার কাছে। যে দায়িত্ববোধের মধ্যে দিয়ে তিনি নাগরিক সমাজ, মানবতাবাদ ও বাক স্বাধীনতার প্রশ্নকে সমুন্নত করতে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গেছেন।</p> <p>আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘শতবর্ষে আবুল মনসুর আহমদের সাংবাদিকতার প্রাসঙ্গিকতা’ সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।</p> <p>বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক রাকিব আহমেদের সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন সাংবাদিক ও গবেষক কাজল রশীদ শাহীন, আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক ইমরান মাহফুজ এবং বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক সালমা সাবিহা।</p> <p>সেমিনারে মূল প্রবন্ধক হিসেবে সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক ড. কাজল রশীদ শাহীন বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ একাধারে সাংবাদিক, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। ৩০ টাকা বেতনে প্রথম তিনি প্রথমে চাকরি শুরু করলেও তার কাজ দেখে ৫০ টাকা বেতন দিয়ে মোহাম্মদীতে আকরম খাঁ নিয়ে আসেন। তিনি কৃষক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলাম নবযুগের সম্পাদক থাকলেও কার্যত আবুল মনসুর আহমদই পত্রিকা চালিয়েছেন। তিনি ইত্তেহাদ পত্রিকাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তার প্রত্যেকটি কাজের পেছনে রয়েছে যুক্তি ও দর্শন।’</p> <p>আলোচকের বক্তব্যে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক সালমা সাবিহা বলেন, ‘যে সকল প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করেছেন সকল প্রতিষ্ঠানেই তিনি পেয়েছেন প্রশংসা। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সবসময় লড়েছেন তিনি। সাংবাদিকতা-সম্পাদকতাকে দায়িত্ববোধ হিসেবে নিয়েছেন। যে দায়িত্ববোধের মধ্যে দিয়ে তিনি নাগরিক সমাজ, মানবতাবাদ ও বাক স্বাধীনতার প্রশ্নকে সমুন্নত করতে নিরন্তর লড়াই চালিয়ে গেছেন। তার সাংবাদিকতার মুখ্য বিবেচনা ছিল মানুষ-সমাজ-রাষ্ট্রের কল্যাণ।’</p> <p>আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক ও সাংবাদিক ইমরান মাহফুজ বলেন, ‘আবুল মনসুর আহমদ সমাজের জন্য অনেক কিছু করতে চেয়েছেন। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন আপনারা উর্দু ভাষায় মুদ্রা চালু করেছেন আমরা বাংলায় কথা বলি আপনারা বাংলায় চালু করবেন না? এমন প্রশ্ন বর্তমান সময়ে কোথাও করা যায় না।’</p>