ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

করোনায় ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে : ডা. ফেরদৌস

কালের কণ্ঠ অনলাইন
কালের কণ্ঠ অনলাইন
শেয়ার
করোনায় ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে : ডা. ফেরদৌস

প্রবাসী বাংলাদেশি চিকিৎসক ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার জানিয়েছেন, করোনা মোকাবেলা করতে গিয়ে তাঁর এমনও দিন গেছে- ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে। গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এ বিষয়টি জানান। পাঠকের জন্য তাঁর স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-

‘একটু বিশ্রাম পেলাম। আমার জীবনটাকে বরাবরই একটা নিয়মের মধ্যে পরিচালিত করেছি।

আমি এক জীবনে কখনোই নিয়মের বাইরে যাইনি। তবে সবসময়ই কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরিশ্রমকে ভয় পাইনি। পড়াশোনার প্রতি আমার ভালোলাগা সব সময়।
সেইসঙ্গে সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছি। ছাত্র অবস্থায় যেমন, কর্মজীবনেও তাই। হিসাব করে দেখেছি, দিনে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি ঘুম আমার কখনোই হয়নি। কাজ, কাজ আর কাজ।
এই বয়সেও নিয়মিত নানা বিষয়ে পড়াশোনা, চিকিৎসা পেশা, সেইসঙ্গে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

তিনি আরও লেখেন, সাধারণত খুব সকালে ঘুম থেকে উঠি আমি। নিয়মিত জিম করি। এরপর ব্যস্ততম এক একটি দিন শুরু হয়। দিনভর কাজে ক্লান্তি ভর করে।

বিশ্রামের সময় খুব কমই পেয়েছি। এরপর যখন করোনার সময় এলো, তখন পরিস্থিতি আরও বদলে গেলো। এমনও দিন গেছে, যেখানে ১৮ ঘণ্টার মতো কাজ করতে হয়েছে। এমনও হয়েছে ঘুম কি জিনিস, সেটাই যেনো ভুলে গিয়েছিলাম। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করেছি, মানুষের জন্যে কাজ করার প্রয়াস থেকে। সবসময়ই মনে হতো, মানুষের জন্যে যদি আর একটু বেশি কিছু করতে পারতাম? এই তৃষ্ণা যেনো মেটে না। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা নিয়ে বলেছি, আমি আছি। নিজের সাধ্য অনুযায়ী যতটা পেরেছি, করেছি।

ডা. ফেরদৌস খন্দকার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানান, বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতিতে কাজ করতে আসার পর, নিয়ম মেনেই আমাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। আমিও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেই কোয়ারেন্টিনের দিনগুলো কাটিয়ে দিচ্ছি। মনে হচ্ছে, অবশেষে বোধ হয় একটু বিশ্রামের সুযোগ পেলাম। এখানে খুব ভালো দিন কাটছে আমার। আশপাশে থাকা মানুষগুলো অসাধারণ। তাদের মমতা আমাকে মুগ্ধ করছে। দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমাচ্ছি। বন্ধুদের সঙ্গে ডিজিটাল আড্ডা হচ্ছে। প্রচুর পড়াশোনা করছি। খাওয়া-দাওয়া সবকিছু ঠিকঠাক আছে। মনে হচ্ছে, কখনো এমন কোনো উপলক্ষ্ আসে, যেটা হয়তো প্রয়োজন। এই বিশ্রামের সময়টাকে তাই আশির্বাদ বলেই ধরে নিয়েছি। ভবিষ্যত সুস্থ্যতার জন্যে এই বিশ্রামটুকু প্রয়োজন ছিল।

ভয় শুধু একটাই, ওজন যদি বেডে যায়। আমি ভালো আছি। আপনারা সবাই ভালো থাকুন। নিরাপদে থাকুন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আজ চৈত্রসংক্রান্তি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ চৈত্রসংক্রান্তি

শেষ হয়ে এল আরো একটি বছর। আজ রবিবার শেষ হচ্ছে বঙ্গাব্দ ১৪৩১। চৈত্র মাসের শেষ দিন তাই আজ চৈত্রসংক্রান্তি। একসময় এ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি উৎসব হতো চৈত্রসংক্রান্তিতে।

আগামীকাল শুরু হবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩২। মহাকালের গর্ভে বিলীন হতে চলল আরো একটি বছর। 

বছরের শেষ দিনে অনেকেই বাড়িঘর বিশেষভাবে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে থাকেন। আবর্জনা পুড়িয়ে বাড়ির আশপাশে ধোঁয়া দেন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই বাড়ির আঙিনায় বা ঘরের বারান্দায় মাঙ্গলিক আলপনা আঁকেন। সমাগত নতুন বছরটিতে বিগত বছরের সব অকল্যাণ, বিপদ–আপদ, রোগশোক থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা থাকে এসব আয়োজনে। শাস্ত্র ও লোকাচার অনুসারে এই দিনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস প্রভৃতি ক্রিয়াকর্মকে পুণ্যময় বলে মনে করা হয়।

খাবারেও বিশেষত্ব থাকে চৈত্রসংক্রান্তিতে।

আগের দিনে তিক্ত স্বাদের শাক রান্না হতো এই দিনে। এসব শাক হাটবাজার থেকে কেনা নয়, বউঝিরা বাড়ির আশপাশের ঝোপজঙ্গল, ভিটেজমি থেকে সংগ্রহ করতেন। সাত বা এগারো রকম তিক্ত শাকের মিশেলে এই বিশেষ ধরনের রান্না স্বাদে যেমন বৈচিত্র্য আনে, তেমনি গ্রীষ্মের মৌসুমি রোগব্যাধির প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টি করে। সে কারণে সংক্রান্তির এসব খাদ্য রোগব্যাধির প্রতিকার হিসেবেও কাজ করে। এখন আধুনিক জীবনযাত্রায় শহরে তো বটেই, গ্রামাঞ্চলেও ঔষধি গুণসম্পন্ন বহু গাছ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
এসব রান্নার চলও উঠে গেছে।

এ ছাড়া চৈত্রসংক্রান্তিতে দেশের অনেক এলাকায় চড়ক ও নীলপূজার আয়োজন করা হতো। চড়কপূজা উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী লোক ও কারুশিল্প এবং মিষ্টান্নের পসরা সাজিয়ে গ্রামীণ মেলা বসত। এখনো কিছু কিছু এলাকায় চড়কপূজার চল রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা ভাবে উদ্‌যাপিত হবে চৈত্রসংক্রান্তি।

রাজধানীতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা আয়োজনে বিদায় দিচ্ছে বাংলা বছর ১৪৩১ সনকে। চারুকলা অনুষদের আয়োজনে চৈত্রসংক্রান্তির অনুষ্ঠান শুরু হবে বকুলতলায় বেলা তিনটায়। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে আজ বেলা দুইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত হবে ‘ব্যান্ড শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’। সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এ আয়োজন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কয়েক বিভাগে তীব্র বজ্রপাতের শঙ্কা, প্রাণ বাঁচাতে ঘরে থাকার পরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কয়েক বিভাগে তীব্র বজ্রপাতের শঙ্কা, প্রাণ বাঁচাতে ঘরে থাকার পরামর্শ
প্রতীকী ছবি

রবিবার দেশের কয়েক বিভাগে কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাত হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। প্রাণ বাঁচাতে এসব বিভাগের মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

রবিবার ভোর পৌনে পাঁচটায় নিজের ফেসবুক পেজে গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ লিখেছেন, আজ রবিবার ভোর ৫টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে তীব্র বজ্রপাতসহ কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রম করার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। নিম্নলিখিত সময়ে কালবৈশাখী ঝড় বিভিন্ন বিভাগ অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফলে ওই সময় বজ্রপাত থেকে প্রাণে বাঁচতে চাইলে ঘরে থাকতে হবে। 

রংপুর বিভাগ: সকাল ১০টা পর্যন্ত;

রাজশাহী বিভাগ: সকাল ১০টা পর্যন্ত;

ময়মনসিংহ বিভাগ: সকাল ৬টার পর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত;

ঢাকা বিভাগ:  সকাল ৮টার পর থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত;

সিলেট বিভাগ:  সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত;

চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা উত্তর জেলা: সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত;

এই সময়ে এসব বিভাগের মানুষকে বজ্রপাত থেকে প্রাণে বাঁচতে চাইলে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।  

গবেষক পলাশ আরো জানিয়েছেন, সকাল ১০টার পর থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ভারতের আসাম রাজ্যের পূর্ব দিকের করিমগঞ্জ, কাছার ও হাইলা কান্দি জেলা এবং ত্রিপুরা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে তীব্র বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা রয়েছে। 

তিনি জানান, আজ রবিবার সকাল ৯টার পর থেকে দুপুর ২টার মধ্যে ঢাকা শহরের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে ।

মন্তব্য

৩ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৩ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার আভাস

দেশের তিন অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়া হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রবিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


 

মন্তব্য

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে পশ্চিম/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে এবং তা অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৪০-৫০ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও সংস্থাটি জানিয়েছে। 

রবিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে আরো বলা হয়েছে, এ সময় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।

পাশাপাশি শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া।   

এদিকে সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৬ দশমিক ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮১ শতাংশ। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ