ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

গার্মেন্টস এক্সেসরিজের আড়ালে এলো ৮ কোটি টাকার সোনা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গার্মেন্টস এক্সেসরিজের আড়ালে এলো ৮ কোটি টাকার সোনা

চীন থেকে ফেব্রিক্সের মধ্যে লুকিয়ে আনা প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের ১১ কেজি (৯৬টি বার) সোনা জব্দ করেছে ঢাকা এয়ারফ্রেইট কাস্টমস গোয়েন্দা। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাস্টম গোয়েন্দার বিশেষ এক অভিযানে ডেলিভারি গেট থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ফিরোজ আলম (২৫) মোহাম্মদ নিয়াতুল্লাহ (৪০)।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে (উত্তরা) এয়ারফ্লাইট ইউনিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ।

মহাপরিচালক বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কাস্টম গোয়েন্দার বিশেষ এক অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।
 
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানায়, ইনভেন্ট্রিকালে এয়ারওয়েবিল এর মাধ্যমে আমদানিকৃত ফেব্রিক্স এর ভাঁজের মধ্যে ২টি সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেট দুটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালো স্কচটেপ মোড়ানো ৪টি বান্ডেল পাওয়া যায়। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বান্ডেল খুলে ১৬টি করে মোট ৬৪টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়।
এর ওজন ৭ দশমিক ৪২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে)। এরপর অপর একটি আমদানিকৃত ফেব্রিক্স থেকে ১টি সাদা প্লাস্টিকে মোড়ানো প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে মেটাল বাটনের ভেতরে কালো স্কচটেপ মোড়ানো ২টি বান্ডেল পাওয়া যায়।

আব্দুর রউফ বলেন, বান্ডেল খুলে ১৬টি করে মোট ৩২টি স্বর্ণবার উদ্ধার করা হয়।

যার ওজন ৩ দশমিক ৭১২ কেজি (প্রতিটি ১১৬ গ্রাম করে), যার সর্বমোট আনুমানিক মূল্য ৮ কোটি টাকা।
 
তিনি বলেন, ফেব্রিক্সের মধ্যে অত্যন্ত সুকৌশলে লুকিয়ে সোনার বারগুলো অবৈধভাবে সরকারি ধার্যকৃত শুল্ককরাদি ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে দেশে আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মতৎপরতায় তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কালের ক্রমে জৌলুস হারিয়েছে চৈত্রসংক্রান্তির ‘ঘুড়ি উৎসব’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কালের ক্রমে জৌলুস হারিয়েছে চৈত্রসংক্রান্তির ‘ঘুড়ি উৎসব’
সংগৃহীত ছবি

বাংলা বছরের শেষ দিন আজ। চৈত্র মাসের এই শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই দিনটি। বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন।

এসব উৎসব-আয়োজনের মধ্যে ঘুড়ি উৎসবও একটি। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে বিভিন্ন আকৃতি ও রঙের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় আকাশ। সৃষ্টি হয় মনোরম দৃশ্যের। হাতে নাটাই নিয়ে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত থাকে ছেলে-বুড়োসহ নানা বয়সী মানুষ।

উৎসবে চিল, বাটারফ্লাই, সাপ, ঈগল, মাছ প্রভৃতি ধরনের ঘুড়ি আকাশে উড়তে দেখা যায়।

তবে তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে হারিয়ে যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব। মোবাইল-কম্পিউটারসহ আধুনিক সব ডিভাইসের ভিড়ে আগের মতো ঘুড়ি উৎসব আর চোখে পড়ে না। তবে পুরান ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় ঐতিহ্যবাহী এই ঘুড়ি উৎসব এখনো কিছুটা বিদ্যমান।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, চৈত্রসংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তবে পুরান ঢাকায় সাকরাইন উৎসবে ঘুড়ি উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। এ জন্য চৈত্রসংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন অনেকটাই কমে গেছে।

ঢাকার শাঁখারীবাজারের ঘুড়ি ব্যবসায়ী বেলাল মিয়া বলেন, আগের মতো চৈত্রসংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের জৌলুস আর নেই। মোবাইল-কম্পিউটারসহ আধুনিক সব ডিভাইসের ভিড়ে ঘুড়ির বেচা-বিক্রিও আর আগের মতো হয় না।

মন্তব্য

বেড়িবাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সহায়তা সেনাবাহিনীর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বেড়িবাঁধ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা সহায়তা সেনাবাহিনীর
সংগৃহীত ছবি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ ভাঙনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোর এরিয়ার উদ্যোগে একটি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন আয়োজন করা হয়। ৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল টিম দিনব্যাপী চিকিৎসা সেবা প্রদান করে এবং ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী বিনা মূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময় জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, যশোর এরিয়া মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম এই কর্মসূচি পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আনুলিয়া ইউনিয়নের প্রায় ১৫০০ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়েছে।

মন্তব্য

আ. লীগ আমলের ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগ আমলের ১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করল সরকার

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্ধারিত ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাতিল হওয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো মধ্যে সরকারি ৫টি।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও বেপজার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি জানিয়েছেন।

সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো : সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগেরহাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সীগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর), ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ময়মনসিংহ)। 

বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো : গার্মেন্টস শিল্প পার্ক বিজিএমইএ (মুন্সীগঞ্জ), ছাতক ইকোনমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন (ঢাকা) ও সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)।

মন্তব্য

সামিট নিয়ে আশিক চৌধুরীর পোস্ট, জানালেন প্রেজেন্টেশনের পেছনের গল্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সামিট নিয়ে আশিক চৌধুরীর পোস্ট, জানালেন প্রেজেন্টেশনের পেছনের গল্প
আশিক চৌধুরী।

সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন। এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে হয়েছে আলোচনা।

তবে নিজেকে বা এই আয়োজন দশে দশ পাওয়ার মতো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আশিক চৌধুরী।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে আশিক চৌধুরী জানিয়েছেন, বিনিয়োগ সম্মেলনে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের খরচ হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ। এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগের ঘোষণা এসেছে।

এ ছাড়া নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই চার দিনের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেছেন আশিক চৌধুরী। আজ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দীর্ঘ এক পোস্ট দেন তিনি।

কালের কণ্ঠের পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

চার দিনব্যাপী ইনভেস্টমেন্ট সামিট শেষ হলো। দশে দশ পাবার মতো হয়নি সব ক্ষেত্রে।

কারো যদি ডিজাপয়েন্টমেন্ট থাকে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত। আমরা তিন মাস ধরে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডের একটা সামিট করার জন্য। এই সামিটের অর্গানাইজার অবশ্য সরকার একা ছিল না। মিডিয়া কমিউনিটি, প্রাইভেট সেক্টর, এমবাসি, ফরেন পার্টনার, পলিটিক্যাল পার্টিরা, সরকারের অন্যান্য সংস্থা সবাই অ্যাক্টিভলি অংশগ্রহণ করেছে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
যতটুকু ভালো, পুরাটাই সবার ক্রেডিট। ফেইলিউরগুলা আমাদের। সামনে আমরা আরো ভালো করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

যে রকম সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা খুবই আশাবাদী। প্রতিবছর আমাদের এ রকম কিছু একটা অর্গানাইজ করা উচিত। প্রাসঙ্গিক একটা কথা বলে রাখি এখানে। অনেকেই সামিটের পলিটিক্যাল অনুমোদন এবং ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। দেখুন, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান আগামীবার যারা সংসদে আসবেন তাদের সবার কমন এজেন্ডা। আমি আগেও বলেছি, বড় সব দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ কিভাবে তৈরি করা যায়, সামিট ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের স্পষ্ট সমর্থন ও সামিটে অংশগ্রহণের জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ।
 
সামিট কি সফল হয়েছে বা সামিটের উদ্দেশ্য অ্যাচিভ করা গেছে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। মার্কেট দেবে। সময় দেবে। এই মুহূর্তে সামিটের সাফল্যকে দুই ভাবে আমরা মাপার চেষ্টা করতে পারি। স্ট্যাটিসটিকালি বা একেবারেই নাম্বার দিয়ে :

মোট অংশগ্রহণ : উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোট উপস্থিত ছিলেন ৭১০ জন। ৪১৫ জন বিদেশি বা প্রবাসী বাংলাদেশি। বাকিরা দেশি ব্যবসায়ী বা সরকারি সচিব বা তদূর্ধ্ব। এ ছাড়া ব্রেকআউট সেশনগুলাতে অংশগ্রহণ করেছে সাড়ে তিন হাজারের চেয়েও বেশি। এর বাইরেও ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই কয় দিন অনেকে এসেছেন ইনভেস্টরদের সাথে করিডরে দেখা করার জন্য।  

মোট প্যানেলিস্ট : ১৩০ জন

অফিশিয়ালি দ্বিপক্ষীয় মিটিং হয়েছে : ১৫০টি। বাণিজ্য উপদেষ্টা, স্পেশাল অনভয়, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, এমন অনেকেই সারা দিন ছিলেন ভেন্যুতে।
 
এমওইউ সাইন : ৬ টি। কিছু ইমিডিয়েট (যেমন আইএলও) কিছু লং টার্ম (যেমন আর্টেমিস)। 

ইনভেস্টমেন্ট ঘোষণা : হান্ডা গ্রুপ ও শপ আপ মিলে মোট ৩১০০ কোটি টাকার। 

বাংলাদেশ সরকারের সামিটে খরচ : ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পার্টনার সংস্থা থেকে অনুদান পেয়েছি আমরা আরো ৩.৫ কোটি টাকা।
 
এগুলোর বাইরে আমি দুটি কোয়ালিটেটিভ পয়েন্ট শেয়ার করতে চাই :
 
১. বিদেশিদের বাংলাদেশ সম্মন্ধে পারসেপশন বা ধারণা : আমরা আগেও বলেছি, বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট একদিনে আসে না। সামিটে এসে ইমোশনাল হয়ে কেউ হুট করে ১০০ কোটি টাকার চেক লিখে ফেলে না। যারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজে করেন তারা জানেন। কিন্তু বাংলাদেশ যদি প্রথম ধাপেই মেন্যু থেকে বাদ পড়ে যায় নেগেটিভ ধারণার জন্য তাহলে খেলা শুরু হওয়ার আগেই আমরা হেরে গেলাম। বিদেশে বসে গুগল সার্চ করলে আমাদের নিয়ে যে পারসেপশন তৈরি হয়, সেটা রিয়েলিটির চেয়ে অনেক বেশি নেগেটিভ। অনেকেই অনেক ভুল ধারণা নিয়ে বসে আছেন। যেমন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ব্যবসায় বান্ধবতা ইনডেক্স এ নাকি এখনো আমাদের র‍্যাংকিং ১৬৭। প্রথমত, এই র‍্যাংকিং ২০২১ সালের। দ্বিতীয়ত, র‍্যাংকিং প্রসেসে অনেক ভুল পাওয়া যাওয়ায় ওয়ার্ল্ড ব্যাংক নিজেই এটা ডিসকনটিনিউ করে দিয়েছে। এটাকে এখনো অনেকে রেফার করেন। আসলে আমাদের দেশের পজিটিভ নেগেটিভ দুইটাই আছে। পৃথিবীর সব দেশেরই তাই। সেই দুঃখে কি আমরা বাংলাদেশকে মার্কেট করা বন্ধ করে দেব? ইনভেস্টরদের বলব, ভাই আপাতত আসার দরকার নাই, আমরা আগে সব ঠিক করে নিই প্লিজ? আমি তা মনে করি না। বিডার একটা প্রাথমিক দায়িত্বই তো দেশকে প্রমোট করা। আমাদের একই সাথে ইস্যুগুলো সলভ করা, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন করা আর দেশকে প্রমোট করা চালিয়ে যেতে হবে। ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারীদের জানাতে হবে বাংলাদেশ ২.০ কেন আগের থেকে আলাদা এবং আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য আমরা কী কী ইনিশিয়েটিভ নিয়েছি। যিনি এই সামিটে বাংলাদেশে প্রথম এসেছেন, তার ইনভেস্ট করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল সম্ভাব্য বিনিয়োগের একটা পাইপলাইন তৈরি করা। তাদেরকে আমরা ট্র্যাক করব। সাহায্য করার চেষ্টা করব। কনভিন্স করার চেষ্টা করবো। অনেকেই আসবেন না। কিন্তু আমাদের চার দিনের দৌড়ঝাঁপে যদি ৪,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয় আর বাংলাদেশ নিয়ে বিদেশিদের ধারণা একচুলও বদলায়, তাহলে আমাদের আনন্দের শেষ থাকবে না। 

২. দেশের মানুষের আত্মবিশ্বাস : বারাক ওবামার একটা বই আছে : দ্য অডাসিটি অফ হোপ (আশার দুঃসাহস)। আমাদের দেশের মানুষকে একটু সুযোগ করে দিলে, উৎসাহ যোগালে আর একটু পজিটিভিটি ইনজেক্ট করতে পারলে তারাই আমাদের দেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তারা দেশ ছাড়ার কথা না ভেবে দেশ গড়ার কথা ভাববে। আমরা একটা পজিটিভ মোমেন্টাম আনার চেষ্টা করেছি এই সামিটের মাধ্যমে। এই ধ্যান-ধারণার উপর ভিত্তি করে সামিটের দিনগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছিলো: 

৭-৮ তারিখে বিনিয়োগকারীদের ইপিজেড ও ইকোনমিক জোন ঘুরিয়ে বিনিয়োগ ব্যবস্থার আসল চিত্রটা তুলে ধরা হয়েছে। স্টার্টআপদের জন্য আলাদা সেশন করা হয়েছে। ৯ তারিখ সকালে বিনিয়োগ ব্যবস্থা উন্নয়নে ভবিষ্যত পরিকল্পনা আর আমাদের অ্যামবিশনের কথা শেয়ার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের শত বছরের পুরনো সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। ৯-১০ তারিখের বাকি সময়টা ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট, সরকার, পলিটিক্যাল পার্টি, মিডিয়া, লোকাল বিজনেস আর বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নেটওয়ার্কিং এর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। আর পুরা সময়টা ধরে চলেছে বিভিন্ন চুক্তি সাক্ষর।

ফাইনালি, সামিট উপলক্ষে আমরা একটা বাংলাদেশের থিমেটিক ম্যাপ ডিজাইন করেছিলাম; শিল্পায়ন আর জাতীয় সত্ত্বাকে সামনে রেখে। সবাইকে ব্যবহারের জন্য শেয়ার করলাম। ভালো রেজোলিউশন এর ফাইলের লিংক কমেন্টে আছে। বিডার কপিরাইট। তার মানে আপনাদের সকলের কপিরাইট। যেখানে খুশি ব্যবহার করুন। আমার প্রেজেন্টেশনটাও তাই। যেখানে খুশি ব্যবহার করুন নিজের মনে করে। প্রেজেন্টেশনটা নিয়ে অনেক কথা হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। 
আমি ছোট্ট করে একটু বলতে চাই, প্রেজেন্টেশনের পেছনে অনেকে কষ্ট করেছেন। তারা সবাই এটার কারিগর। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে অনেক প্রশংসা করেছেন এবং ভালোবাসা ব্যক্ত করেছেন আমাকে। সেজন্যে অনেক ধন্যবাদ। আমি জাস্ট আমার বেসিক চাকরিটা করছি। ইনভেস্টমেন্ট সামিট প্রসেস এর মাত্র প্রথম ধাপ। এটার জন্য আলাদা কোনো বাহবা পাবার আশা আমি একদম করি না। কাজগুলো কমিটেড সময়ের মধ্যে হচ্ছে কিনা, এর জন্য আমাদের অ্যাকাউন্টেবল করুন। আর এই সামিটে প্রেজেন্টেশনটা মধ্যমণি না। মধ্যমণি হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আর আমাদের উদ্যোক্তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
 
পুনশ্চ ১: সামিট নিয়ে ইনফর্মেশন প্লিজ ভেরিফায়েড সোর্স থেকে নেবেন। ভুল তথ্যের শিকার হবেন না। আমাদের জিজ্ঞেস করুন। আমরা উত্তর দেবার চেষ্টা করব। 

পুনশ্চ ২: আমাদের পার্টনারদের ছাড়া এই সামিট সম্ভব হতো না: CA press wing, Ministry of Cultural Affairs, World Bank, UNDP, European Union, Dutch Embassy, FICCI, BGMEA, Citi, HSBC, Lightcastle Partners, Inspira, Sajida Foundation, EBL, IMS and High Voltage

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ