<p>দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, অবিলম্বে সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল করতে হবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার নামে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করা হয়েছে এ আইনে।</p> <p>আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ডিজিটালি রাইট, নাগরিক ও ইউনাইটেড ন্যাশানস বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বাতিল যোগ্য সাইবার নিরাপত্তা আইন: জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।</p> <p>ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাইবার সিকিউরিটি আইনে যারা অকারণে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তাদের অবিলম্বে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যত দেরি হবে তত তাদের প্রতি অবিচার করা হবে। যারা প্রতক্ষ-পরোক্ষভাবে জড়িত থেকে আইন অপব্যবহার করেছে বা জড়িত ছিল প্রত্যেককে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p>সাইবার সিকিউরিটি আইন অপব্যবহারে আইন ও বিচার প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিল তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া গোয়েন্দা, নিরাপত্তাসংস্থার নামে যারা আইন অপপ্রয়োগ করেছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।</p> <p>তিনি বলেন, দেশে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থা থাকবে তবে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নির্মূল করার জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করতে হবে। কোনো আইনের মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি আইন নাম থাকবে না। এই আইনে যারা অকারণে হেনস্তার শিকার সেই ভুক্তভোগীদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।</p> <p>আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আর্টিকেল নাইন্টিন এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মঞ্জুর-ই-আলম।</p> <p>তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন, বাতিলের জন্য দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা হয়েছে। এই আইন প্রনয়ণের মুখ্য উদ্দেশ্যই ছিল হয়রানি করা। যখন আইসিটি আইন ছিল না তখনও হয়রানি হয়েছে আবার যখন প্রনয়ণ হয় তারপরও হয়রানি করা হয়েছে। নতুন আইন বা সংশোধন যেটাই করা হোক তা যেন হয়রানির কারণ না হতে পারে।</p> <p>আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আরএমএমআইও এর নির্বাহী পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী সি আর আবরার। আরও বক্তব্য রাখেন গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী রেজাউর রহমান লেলিন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুমসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হেনস্তার শিকার ভুক্তভোগীরা।</p>