এবারও সিইসি পদে সাবেক সচিবরা বেশি আলোচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
এবারও সিইসি পদে সাবেক সচিবরা বেশি আলোচনায়
ফাইল ছবি

গত চারবারের মতো এবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পদে সাবেক সচিবদের নাম বেশি আলোচনায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বিএনপিসহ ১৭টি দল ও জোট এবং পেশাজীবী সংগঠন থেকে সিইসি পদের জন্য যাঁদের নাম জমা পড়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই সাবেক সচিব। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, এর পাশাপাশি এবার শিক্ষাবিদদের নামও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় জমা পড়েছে। ব্যক্তিগতভাবেও নাম জমাকারীদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক সচিব রয়েছেন।

আর নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য সুধীসমাজের প্রতিনিধি, সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, বিচারক, শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক, আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীর নামও জমা হয়েছে। 

আরো পড়ুন
আজ থেকে সুলভে ডিম মিলবে রাজধানীর ১৩ স্থানে

আজ থেকে সুলভে ডিম মিলবে রাজধানীর ১৩ স্থানে

 

আইন অনুযায়ী আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে অনুসন্ধান কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের প্রতিটি শূন্য পদের জন্য দুজনের নাম চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে এবং এ মাসেই নির্বাচন কমিশন গঠনের কাজ চূড়ান্ত হবে। তবে এবারও সিইসিসহ পাঁচজন সদস্য নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে কি না, কমিশনে আগের কয়েকবারের ধারাবাহিকতায় এবারও একজন নারী সদস্য থাকবেন কি না তা জানার জন্য এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি পর্যন্ত  অপেক্ষা করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নাম প্রস্তাব করার শেষ সময় ছিল গত ৭ নভেম্বর বিকেল ৫টা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসংক্রান্ত চিঠিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্য নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য নাম প্রস্তাব করার জন্য রাজনৈতিক দল, জোট ও সংগঠনগুলোর কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, ১৪ দলীয় জোট ও জাতীয় পার্টির কাছে  কোনো নাম চায়নি অনুসন্ধান কমিটি। নামের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রস্তাবিত নামের সঙ্গে সবার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত দেওয়া হয়নি বলে জানা যায়।

আরো পড়ুন
আজ থেকে সুলভে ডিম মিলবে রাজধানীর ১৩ স্থানে

আজ থেকে সুলভে ডিম মিলবে রাজধানীর ১৩ স্থানে

 

এ ছাড়া বিএনপি একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে প্রতিটি পদের জন্য দুজন করে মোট ১০ জনের নাম জমা দিয়েছে। জামায়াতে ইসলামী মোট আটজনের নাম প্রস্তাব করেছে। গণ অধিকার পরিষদ ছয়জনের নাম প্রস্তাব করেছে।  বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, এলডিপি, এবি পার্টি, মুক্তিজোট—এসব দলও পৃথকভাবে নাম প্রস্তাব করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের চিঠিতে রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলোর কাছে পাঁচজনের নাম চাওয়া হয়েছিল। 

আগের চার সিইসি ছিলেন সাবেক সচিব : দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই দেশের প্রথম নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান বিচারপতি মো. ইদ্রিস। এরপর বিচারপতি এ কে এম নুরুল ইসলাম, বিচারপতি চৌধুরী এ টি এম মাসুদ, বিচারপতি সুলতান হোসেন খান, বিচারপতি মো. আবদুর  রউফ, বিচারপতি এ কে এম সাদেক, মোহাম্মদ আবু হেনা, এম এ সাঈদ, বিচারপতি এম এ আজিজ,  ড. এ টি এম শামসুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নুরুল হুদা ও সর্বশেষ কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পান।

এঁদের মধ্যে সাতজন ছিলেন বিচারপতি এবং ছয়জন ছিলেন সাবেক সচিব। ১৯৭২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সাবেক বিচারপতিরাই সিইসি পদে নিয়োগ পেয়ে আসছিলেন। এর পরিবর্তন হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর। ওই সময় বিচারপতি এ কে এম সাদেক পদত্যাগ করেন এবং সিইসি পদে প্রথমবারের মতো একজন সাবেক সচিব (মোহাম্মদ আবু হেনা) নিয়োগ পান।  আবু হেনার পর নিয়োগ পান সাবেক সচিব এম এ সাঈদ।  এরপর ২০০৫ সালের ২০ মে  আপিল বিভাগে কর্মরত একজন বিচারপতি (বিচারপতি এম এ আজিজ) সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেলেও ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এর পরের চার প্রধান নির্বাচন কমিশনার  হয়েছেন সাবেক সচিব।

আরো পড়ুন
রবিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

রবিবার বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব মার্কেট

 

পর পর চারবার একই ছক : নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের বিশ্লেষণ, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পর পর চারটি কমিশন প্রায় একই ছকে গঠন হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে সরকারের একজন সাবেক সচিব, নির্বাচন কমিশনার পদে সেনাবাহিনীর একজন সাবেক কর্মকর্তা এবং একজন সাবেক বিচারককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিদায়ি কে এম নুরুল হুদা কমিশনে দেশে প্রথমবারের মতো একজন নারীকেও নিয়োগ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ছাড়াই পরের নির্বাচন কমিশনগুলোতেও একই ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়। এ ছাড়া গত তিনটি নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচজন করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হয়ে আসছে।

নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা বিষয়ে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আগে বলা ছিল, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে এবং রাষ্ট্রপতি সময় সময় যেরূপ নির্দেশ করবেন সেইরূপসংখ্যক অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এর পরিবর্তন এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়।

এবার যাদের নাম আলোচনায় : সূত্র জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য বিএনপি সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিন ও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী কয়েকটি দলও প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেছে। ছয় দলের জোট গণতন্ত্র মঞ্চের প্রতিটি দলের পৃথকভাবে দেওয়া প্রস্তাবের মধ্যেও সাবেক সচিব শফিকুল ইসলামের নাম রয়েছে।  বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি প্রস্তাব করেছে সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানের নাম। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপকসহ মোট ছয়জনের নাম প্রস্তাব করেছে। এই ছয়জনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক রুহুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক  রোবায়েত ফেরদৌসের নাম রয়েছে।

আরো পড়ুন
আজ ১০ নভেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

আজ ১০ নভেম্বর, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূঞা, বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, সাবেক কূটনীতিক এম হুমায়ুন কবীর, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের সাবেক সদস্য তানজিনা ইসলাম, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার এস এম জাকারিয়া, সাবেক সচিব মহিবুল হক, শহিদুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া, সাবেক সেনা কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক রেজিস্ট্রার ইকতিদার আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুহুল আমিন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান তালুকদার, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, সাবেক জেলা জজ শামীম আহমেদ ও এস এম নুরুজ্জামানসহ আরো অনেকের নাম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানা  গেছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বোরো ধান এলে চালের দাম আরো সহনীয় হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বোরো ধান এলে চালের দাম আরো সহনীয় হবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা
সংগৃহীত ছবি

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। আশা করি নতুন ধান উঠলেই চালের বাজার আরো সহনীয় হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।  

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে বেশ কিছুদিন ধরেই চালের দাম বেড়ে আছে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে বোরো ধানের চাল আসবে। চিকন যে চাল বিশেষ করে নাজিরশাইল বা মিনিকেট এটা কিন্তু বোরো মৌসুমের চাল থেকেই আসে।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া এবং বিদ্যুতের অবস্থা ভালো ছিল। তা ছাড়া সারের সরবরাহসহ সামগ্রিক বিষয় ভালো ছিল।

আমরা মনে করছি আল্লাহর রহমতে আমাদের ফসল তথা ধানেও একটা বরকত আসবে। আশা করি নতুন ধান উঠে এলে চালের বাজার আরো সহনীয় হয়ে উঠবে।’  

দিনি আরো বলেন, ‘কৃষিপণ্য একটা গতিশীল জিনিস। তবে সব পণ্যতে আমরা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে যে ব্যবস্থাপনা করা যায় সেটাই করছি।

’ 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গুলশানের ফ্ল্যাট দখল : টিউলিপ সিদ্দিকের নামে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গুলশানের ফ্ল্যাট দখল : টিউলিপ সিদ্দিকের নামে মামলা
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের অভিনব প্লট জালিয়াতির ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এই মামলায় টিউলিপ সিদ্দিকি ছাড়া আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন- রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশারফ হোসেন।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক কোনো টাকা পরিশোধ না করেই ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে অবৈধ পারিতোষিক হিসেবে গুলশান-২ এর একটি ফ্ল্যাট গ্রহণ করেন। ফ্ল্যাটটির ঠিকানা—বি/২০১, বাড়ি নং ৫এ ও ৫বি (পুরাতন), বর্তমানে ১১এ ও ১১বি (নতুন), রোড নং ৭১, গুলশান-২, ঢাকা-১২১২।

আরও বলা হয়, এ ঘটনায় টিউলিপ ছাড়াও রাজউকের সাবেক সহকারী আইন উপদেষ্টা শাহ মো. খসরুজ্জামান এবং সহকারী আইন উপদেষ্টা-১ সরদার মোশাররফ হোসেনকেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে দরকার ৩৬ কোটি টাকার কাগজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচনী সামগ্রী ছাপাতে দরকার ৩৬ কোটি টাকার কাগজ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ছাপানোসহ অন্যান্য মুদ্রণ কাজে কাগজ লাগবে লাখ লাখ ৩০ হাজার রিম। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩৫ কোটি টাকার বেশি।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় (বিজি প্রেস) থেকে এই চাহিদা দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পরবর্তীতে আরও কয়েকটি বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, বিজি প্রেসের সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক বৈঠক হয়েছে। তারা বলেছে, ব্যালট পেপারসহ সকল মুদ্রণ কাজ সম্পন্ন করতে তিন মাসের মতো সময় লাগবে। আমরা বলেছি চার মাস সময় নেন।

এক্ষেত্রে তারা সবকিছু হিসাব করে পরবর্তী বৈঠকে জানাবে বলেও জানান তিনি।  

কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত ডিসেম্বরকে টার্গেট করেই কাগজ কেনা হবে। এক্ষেত্রে তফসিলের আগেই কাগজ কেনা সম্পন্ন করতে হবে। এজন্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে তারা ক্রয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

কেননা, তফসিলের আগেই বেশ কিছু মুদ্রণ সম্পন্ন করতে হয়।

আলোচনার পর ইসি সচিব তাদের চার মাস সময় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে আগামী মে মাস থেকেই কাগজ কেনার কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য নির্বাচন উপলক্ষে এক লাখ ৬১ হাজার ৭৪ রিম কাগজ ক্রয় করা হয়েছিল। আগামীতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনে দুই লাখ ৩০ হাজার রিম কাগজের প্রয়োজন হবে।

বর্তমানে এক লাখ ৬৯ হাজার রিম কাগজ মজুদ রয়েছে। বাকিগুলো কিনতে হবে। এজন্য ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫২৩ টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে।
 

মন্তব্য

আউটসোর্সিং কর্মীদের সুখবর দিল সরকার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আউটসোর্সিং কর্মীদের সুখবর দিল সরকার
সংগৃহীত ছবি

বাংলা নববর্ষের উপহার হিসেবে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আউটসোর্সিংয়ের আওতায় কর্মরতদের সেবার মান ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে নতুন এই নীতিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সরকারপ্রধানের দপ্তর থেকে বলা হয়, এই নীতিমালা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নববর্ষের বিশেষ উপহার।

নতুন এই নীতিমালার মূল উদ্দেশ্য হলো—আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং মানসম্পন্ন সেবা নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সেবাকর্মীদের উৎসাহিত করা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন নীতিমালায় পাঁচটি সাধারণ ক্যাটাগরি এবং তিনটি বিশেষ সেবার মাসিক সেবামূল্য বাড়ানো হয়েছে।

সেবাকর্মীরা বছরে দুটি উৎসবে এক মাসের সেবামূল্যের অর্ধেক (৫০ শতাংশ) হারে উৎসব প্রণোদনা পাবেন। আর বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বৈশাখী প্রণোদনা পাবেন মাসিক সেবামূল্যের এক-পঞ্চমাংশ (২০ শতাংশ) হারে।

সেবাকর্মীদের জন্য বার্ষিক ১৫ দিনের ছুটি রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের মৌলিক কাজের বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।

প্রতি অর্থবছরে প্রতিটি সেবাকর্মীকে দুটি করে ইউনিফর্ম সরবরাহ করা হবে এবং দায়িত্ব পালনের সময় তা পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

নারীকর্মীদের জন্য রয়েছে ৪৫ দিনের মাতৃত্বকালীন ছুটি এবং নারীবান্ধব কাজে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা।

সেবাকর্মীদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে নীতিমালায়।

তাদের জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ থাকবে।

সেবামূল্য সরাসরি কর্মীর নিজস্ব ব্যাংক হিসাব অথবা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে দেওয়া হবে। এবং মাসিক সেবামূল্য পরিশোধ করা হবে কর্মকালীন মাসের পরবর্তী মাসের প্রথম সপ্তাহেই।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সেবাকর্মীদের সেবামূল্য ও প্রণোদনার পরিমাণ অর্থ বিভাগের সময়োপযোগী নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।

নির্ধারিত সেবাঘণ্টাকে সেবা সময় হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

তবে সেবা ক্রয়কারীর চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত সেবার প্রয়োজন হলে, অর্থ বিভাগের সম্মতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ