বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার খবর কী?
ফাইল ছবি

বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের দিল্লি। তবে দূষণ মাত্রার দিক থেকে তালিকায় রাজধানী ঢাকার অবস্থান তৃতীয়। রবিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

আরো পড়ুন
‘কৃষক স্বাবলম্বী হলেই, দেশ উন্নত হবে’

‘কৃষক স্বাবলম্বী হলেই, দেশ উন্নত হবে’

 

তালিকার শীর্ষে অবস্থান করা দিল্লির বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ২১২ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।

একই স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে পাকিস্তানের লাহোর। তালিকায় ২০১ স্কোরে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকার বাতাসও ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’। এ ছাড়া চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা, যার স্কোর হচ্ছে ১৮৮ ও সেনেগালের ডাকার ১৮০ স্কোরে পঞ্চম অবস্থানে উঠে আসে।

আরো পড়ুন
রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

রবিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

 

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়।

৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।
এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকায় শিগগিরই বাঁধ নির্মাণ : রিজওয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তিস্তার ভাঙনকবলিত এলাকায় শিগগিরই বাঁধ নির্মাণ : রিজওয়ানা
সংগৃহীত ছবি

পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তিস্তা পাড়ের অধিক ভাঙন কবলিত ২০ কিলোমিটার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। তিনি বলেন, তিস্তা পাড়ের বেশি ভাঙনপ্রবণ ৪৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের জন্য ২৪৩ কোটি টাকার অনুমোদন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। তবে ১ম বছরে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ ২০ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজ করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তিস্তার অধিক ভাঙনপ্রবণ বাকি ২৩ কিলোমিটার এলাকার তীর রক্ষা বাঁধের কাজও দ্রুততার সাথে করা হবে। 

শনিবার (২২ মার্চ) ঢাকার গ্রীন রোডস্থ পানি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত 'পানি খাতে সংস্কার' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

আরো পড়ুন
মসজিদ থেকে ৫ লাখ টাকা লুট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

মসজিদ থেকে ৫ লাখ টাকা লুট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক গ্রেপ্তার

 

উপদেষ্টা বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সমন্বয় করে দ্রুততার সাথে কাজ করা যায় এটাই একটা বড় সংস্কার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের চলমান কাজে কোথাও গুণগত মানের ঘাটতি পরিলক্ষিত হলে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত মনিটরিং কমিটির আহ্বায়ক মল্লিক সাঈদ মাহবুব- সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের জানানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। 

উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান আরও বলেন, আগামী বর্ষা মৌসুমে দেশের যে সমস্ত জায়গায় ঘূর্ণিঝড় বা বেশি বন্যায় ভাঙনের সম্ভাবনা  রয়েছে সেই সমস্ত এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় অফিসগুলোকে ইমারজেন্সি বেসিসে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ জিও ব্যাগ এবং ব্লক  প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থায় রেসপন্স করার জন্য কি কি ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে তার তালিকা এপ্রিল মাসের মধ্যে জমা দিতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

 

তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনার ফিজিবিলিটি স্টাডির মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে দুইটা শর্তে এবং সেটা হচ্ছে  পাওয়ার চায়না তিস্তা পাড়ের মানুষদের কাছে গিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথাটা বলবে। যারা নদী নিয়ে কাজ করে তাদের সাথে কথা বলবে। ইতিমধ্যে তিস্তা পাড়ের ৫ জেলায় গণশুনানি হয়েছে। এখন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনা করা হবে, ওই বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে আলোচনার জন্য চীন থেকেও তাদের বিশেষজ্ঞ/ এক্সপার্ট টিম আসবে।

সকলের সম্মতি নিয়েই আসলে কতটুকু উপকার হবে এটা বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

আরো পড়ুন
শাহবাগে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

শাহবাগে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত

 

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, নোয়াখালীতে গত বন্যার পরে পানি নামছিল না। বন্যার সময় নোয়াখালীতে পানি নামছিল না কারণ সেটা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, সাগর থেকে জোয়ার উঠে আর নামতে পারছে না কারণ সেখানে খালগুলো ভরাট হয়ে গেছে। সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। 

উপদেষ্টা বলেন, শিল্পে পানি ব্যবহার নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে।

খুব শীঘ্রই আমরা সেটির বাস্তবায়নে যাব। আলোচনা সভায় পানি নীতি এবং জাতীয় পানি সম্পদ পরিকল্পনা হালনাগাদ করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। 

এছাড়া তিনি তার বক্তব্য বলেন, আগামী ১৪ এপ্রিলে নদীগুলোর স্থানীয় নামসহ বাংলাদেশের নদ-নদীর একটা সম্পূর্ণ তালিকা আমরা প্রকাশ করতে পারব। নদী দখল ও দূষণরোধে প্রত্যেক জেলা হতে একটা করে কর্মপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে বলে উপদেষ্টা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

আরো পড়ুন
যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে : তারেক রহমান

 


তিনি বলেন,  ঢাকার ৪টি নদীসহ বাকি ৭ বিভাগ হতে ৭টি নদী এবং কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদীসহ মোট ১২টি নদী এবং সেই সাথে রংপুর জেলার শ্যামা সুন্দরী খাল এবং ঘাগট নদী মিলিয়ে মোট ১৪টি নদীর কর্মপরিকল্পনা খুব দ্রুত চূড়ান্ত করে ফেলতে পারব। এর মধ্যে ১০টি নদীর দখল ও দূষণমুক্তকরণে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড, পরিকল্পনা কমিশন এবং জরুরি ফান্ড দিয়ে যতটুকু পারা যায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে উপদেষ্টা তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। 

এছাড়া ঢাকার ৪টি নদী দখল ও দূষণমুক্তকরণে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্ব ব্যাংক অর্থ দিয়ে সহায়তা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 
উপদেষ্টা আরও বলেন, ভবদহ এবং বিল ডাকাতিয়ার জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী সমাধানে আমরা কাজ শুরু করে দেব। আড়িয়াল বিল ও চলনবিল নিয়েও আমরা শুরু করেছি। এছাড়া সবচেয়ে দূষিত লবণদহ, তুরাগ ও হাড়িধোয়া এই ৩ নদীসহ টাঙ্গাইলের লৌহজং নদী, হালদা নদী, তিতাস, কপোতাক্ষ, সালদা, মূয়ূর, আড়াইকূড়ি, বেতনা, গড়াই, ঘাঘট, বড়াল, সুতাং এবং মগড়া এই নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্তকরণে প্রাথমিকভাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। 

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে দিবসের তাৎপর্য উল্লেখ করে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক একেএম তাহমিদুল ইসলাম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জলাভূমি ও হাওর অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প মনিটরিং কমিটির আহবায়ক ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, ইন্সটিটিউট অভ ওয়াটার মডেলিংয়ের নির্বাহী পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমান, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, এএলআরডি এর নির্বাহী পরিচালক এবিএম শামসুল হুদা, সাংবাদিক ও রিভারাইন পিপলের সদস্যসচিব শেখ রোকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট পানি বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের অধ্যাপক ড. সাব্বির মোস্তফা খান, নদী গবেষক এবং রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ। 

এছাড়া সভায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আরো সুযোগ খুঁজছে বাংলাদেশ-মেক্সিকো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আরো সুযোগ খুঁজছে বাংলাদেশ-মেক্সিকো

এ বছর বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে উভয়পক্ষ আগ্রহী।

শুক্রবার (২১ মার্চ) মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা মারকাদো পেরেজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।

আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা এই সপ্তাহের শুরুতে সফলভাবে পরিচয়পত্র উপস্থাপনের জন্য রাষ্ট্রদূত মুশফিককে উষ্ণ অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের সঙ্গে মেক্সিকোর অংশীদারি গভীর করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় উভয়ই স্বীকার করেন যে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে, যা দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো বাড়ানোর একটি চমৎকার সুযোগ তৈরি করবে।

রাষ্ট্রদূত আনসারী দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বকে প্রতিফলিত করে এমন যৌথ উদ্যোগ এবং বার্ষিকী উদযাপনের আয়োজনের এই সুযোগটি কাজে লাগানোর প্রস্তাব করে।

বৈঠকে উভয় পক্ষই আগস্টের শেষের দিকে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে মেক্সিকোতে তৃতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করেন।

এই পরামর্শের লক্ষ্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা আরো গভীর করা এবং গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া।

কৃষি, প্রতিরক্ষা, ভিসা মওকুফ, ফুটবল ও দ্বৈত কর পরিহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অনিষ্পন্ন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) চূড়ান্ত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুশফিক।

তিনি বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক বিনিময়ের বিষয়টিও তুলে ধরেন এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরো সহজতর করার জন্য ঢাকায় একটি মেক্সিকান দূতাবাস খোলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

আন্ডার সেক্রেটারি মারিয়া তেরেসা মারকাদো পেরেজ রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে এই উদ্যোগগুলোকে এগিয়ে নিতে মেক্সিকোর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে তার দেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষই বাংলাদেশ-মেক্সিকো সম্পর্কের ভবিষ্যৎ এবং আগামী বছরগুলোতে সম্পর্ক গভীর করার জন্য তাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়।

মন্তব্য

কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের চেষ্টা করা হবে : এনবিআর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কালো টাকা সাদা করার বিধান বাতিলের চেষ্টা করা হবে : এনবিআর

আসন্ন বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ হিসেবে বিবেচিত কালো টাকা বৈধ বা সাদা করার সুযোগ বাতিলের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক সভায় তিনি একথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি যদি আমরা পুরোপুরি বাতিল করতে ব্যর্থ হই, তাহলে অন্তত করহার বৃদ্ধি করে আদর্শ করহারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করব।’

বর্তমানে, রিয়েল এস্টেট খাতে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন কর হার প্রযোজ্য।

জমি ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রকৃত মূল্য বিবেচনায় এই হার আদর্শ করের চেয়ে কম।

এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা করহারকে স্বাভাবিক করের হারের কাছাকাছি আনতে চাই।’

সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সেবাগ্রহীতার থেকে উপহার নিতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সেবাগ্রহীতার থেকে উপহার নিতে পারবেন না সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
সংগৃহীত ছবি

দেশের সরকারি অ-আর্থিক সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোড অব কন্ডাক্ট জারি করে সরকার। এ বিষয়ে সম্প্রতি ১২ পৃষ্ঠার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

এতে বলা হয়েছে, কোনো সংস্থায় কর্মরত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর পরিবারের সদস্যদের জন্য সরাসরি বা পরোক্ষভাবে লাভজনক হতে পারে, এমন কোনো কর্মকাণ্ডে তারা যুক্ত হতে পারবেন না। সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে অস্বাভাবিক কোনো সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবেন না তারা।

এ ছাড়া সংস্থার অনুমোদন ছাড়া সেবা গ্রহণকারীদের কাছ থেকে কেউ কোনো উপহার বা মূল্যবান বস্তু গ্রহণ করতে পারবেন না। কোন পরিস্থিতিতে কী উপহার ও সুবিধা গ্রহণ করা যাবে, তার তালিকা করাসহ রেকর্ড সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে বলা হয়েছে।

অ-আর্থিক সংস্থা বলতে বোঝানো হয়েছে, দেশের কোনো আইনের মাধ্যমে তৈরি বা পরিচালিত অথবা আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কোনো স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, কমিশন, কাউন্সিল, বোর্ড ইত্যাদি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ভ্রমণসহ প্রাতিষ্ঠানিক ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কর্মচারীদের শেয়ার, সিকিউরিটিজ বা অন্যান্য আর্থিক সম্পদ কেনাবেচা, লেনদেন ও ধারণ করার ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে।

বলা হয়েছে, নিজ সংস্থার সঙ্গে ব্যাবসায়িক স্বার্থ আছে, এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত হতে পারবেন না কেউ, ব্যাবসায়িক সম্পর্ক স্থাপন করা যাবে না এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য কিছু করা যাবে না। অন্য কোথাও বৈতনিক বা অবৈতনিক অথবা খণ্ডকালীন চাকরিও করা যাবে না।

আরো বলা হয়েছে, নিজের ধর্মের প্রতি সম্মান বজায় রাখার পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিও সমানুভূতি প্রকাশ করতে হবে।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গনির্বিশেষে সবার প্রতি সমান সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করতে হবে। হেনস্তা, বৈষম্য বা অন্য কোনো অস্বস্তিকর আচরণমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে নিজের অফিসে। সেবাগ্রহীতাদের তৃপ্তি বা অতৃপ্তি, সন্তুষ্টি বা অসন্তোষ ইত্যাদি প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সরকারি কেনাকাটায় কোনোভাবেই আইন বা বিধির ফাঁকে প্রতিযোগিতার ব্যত্যয় ঘটিয়ে দরপত্র ডাকা যাবে না। ক্রয়প্রক্রিয়া এমনভাবে সম্পাদন করতে হবে, যাতে কোনোভাবেই স্বজনপ্রীতি বা পক্ষপাতিত্বের সূত্রপাত না ঘটে।

আর অর্থ বিভাগের অনুমোদন ছাড়া কোনো প্রকার বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করা যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো দায় সৃষ্টির অঙ্গীকারও করা যাবে না।

আরো বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না, চাকরিস্থল ত্যাগও করতে পারবেন না। কাজ করতে পারবেন না কেউ কোনো বীমা কম্পানির এজেন্ট হিসেবেও।

তবে আচরণ সংহিতা লঙ্ঘন করলে কী হবে—এ বিষয়ে কোড অব কন্ডাক্টে কিছু বলা হয়নি।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ