আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন হবে : ইউএনডিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন হবে : ইউএনডিপি
সংগৃহীত ছবি

আগামীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‍উন্নয়ন সহযোগীদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিং শেষে এ কথা বলেন তিনি।

স্টেফান লিলার বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করছি, আশা করছি এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে, যা আমাদের আকাঙ্ক্ষা। নির্বাচনের সময়ের বিষয় অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত।

এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।'

নির্বাচনের কোনো বাধা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার মন্তব্যের বিষয় নয়।’

ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে ৪ শহরে বিএনপির কনসার্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে ৪ শহরে বিএনপির কনসার্ট
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে ভীনদেশি সংস্কৃতির প্রভাব কমাতে ও দেশীয় সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে কনসার্টের আয়োজন করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দেশের চার শহরে আগামী ১১ এপ্রিল স্বাধীনতা কনসার্ট নামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। যেখানে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড, শিল্প, আঞ্চলিক গানের গায়করা অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর গুলশান-১-এ অবস্থিত ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন’-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও কনসার্ট আয়োজিত সংগঠন ‘সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন'-এর সভাপতি শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। কনসার্ট ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বগুড়ায় একযোগে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে। যা চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।

আরো পড়ুন
এনসিপিতে কেউ কারো দাস নয় : সারজিস আলম

এনসিপিতে কেউ কারো দাস নয় : সারজিস আলম

 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকায় কনসার্টটির আয়োজন করা হবে সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া এভিনিউতে।

সেখানে অংশ নেবেন জেমস, ফিডব্যাক, শিরোনামহীন, অ্যাফিক, নীলা, প্রিতম, পড়শী, জেফার, হায়দার হোসেন, অনিমেষ রায়, মাহাথিম সাকিব, সেলিম চৌধুরী, আলেয়া বেগম, মিফতা জামানসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও শিল্পীরা। চট্টগ্রামের কানসার্টটি হবে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। সেখানে থাকবে মাইলস, সোলস, আর্ক, লাঙল, নাটাই, ইমরান, কোনাল, তাসনিম অনিকা, সালমা, রায়হান, শুভ্র, মৌসুমী, ইথুন বাবুসহ অনেকে। বগুড়ায় এখন পর্যন্ত দুটি ভেন্যুতে কনসার্ট আয়োজনের কথা চলে চলছে, এর মধ্যে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ অথবা সরকারি আজিজুল হক কলেজের খেলার মাঠ রয়েছে।
সেখানে থাকবে আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ডিফরেন্ট টাচ, ভাইকিংস, বাগধারা, খুরশীদ আলম, কনকচাঁপা, আলম আরা মিনু, অমিয়া, লুইপা প্রমুখ। খুলনায় কনসার্টটি অনুষ্ঠিত হবে শেখ আবু নাছের স্টেডিয়ামে। সেখানে পরিবেশনায় থাকবে ওয়ারফেজ, সোনার বাংলা সার্কাস, কার্নিভাল, বাংলা ভাই, কুঁড়েঘর, ভাগ্যক্ষণ, আসিফ আকবর, বালাম, তাহসান খান, মনির খান, কণা, জয় শাহরিয়ার, লিজা, পলাশ সহ আরও অনেকে। এ ছাড়া প্রতিটি অঞ্চলের আঞ্চলিক গান পরিবেশন করবেন স্থানীয় শিল্পরা। কিছু কবিতা আবৃত্তি, সামাজিক রম্য পরিবেশন করা হবে।
 

আরো পড়ুন
সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে তিন কেজি সোনাসহ যুবক আটক

সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে তিন কেজি সোনাসহ যুবক আটক

 

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চিন্তা, চেতনা, পরামর্শে আমাদের এই ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই আয়োজনও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দিকনির্দেশনা ও পরামর্শে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা দেশের সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছি। পুরো বাংলাদেশ আমাদের এই আয়জনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। যেটা আমাদের লক্ষ্য, এর মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ সুন্দর করা। আমরা আমামদের নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখার তাগিদে এ আয়োজন করছি। যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের কোনো কিছু প্রাধান্য পাবে না। আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই, বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর যে একটি আগ্রাসন তা আমরা বারবার মোকাবেলা করব। এ আয়োজনে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করব।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, এস এম জিলানী, মোনায়েম মুন্না, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, জাহিদুল ইসলাম রনি।

মন্তব্য

চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো গভীর করবে

বাসস
বাসস
শেয়ার
চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো গভীর করবে
চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং বোয়াও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি : পিআইডি

চীন ও বাংলাদেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো গভীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তিতে উভয় দেশ বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বিনিময় বৃদ্ধিতেও একমত হয়েছে।

চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং আজ বৃহস্পতিবার হাইনানের উপকূলীয় শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং আপনার সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছেন।’ তিনি আরো বলেন, চীন আশা করে, প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি অর্জন করবে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওয়ান-চায়না নীতি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বলেন, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেওয়া প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে ঢাকা গর্ব অনুভব করে।

বৈঠকে বাংলাদেশ বিভিন্ন উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন প্রকল্পে চীনের সহায়তা চেয়েছে এবং চীনা ঋণের সুদের হার ৩ শতাংশ থেকে ১-২ শতাংশে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ চীনা অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর কমিটমেন্ট ফি মওকুফের আহ্বান জানিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা চীনের তৈরি পোশাক কারখানা, বৈদ্যুতিক যানবাহন, হালকা যন্ত্রপাতি, উচ্চ প্রযুক্তির ইলেকট্রনিকস, চিপ উৎপাদন এবং সৌর প্যানেল শিল্প বাংলাদেশে স্থানান্তর সহজ করতে বেইজিংয়ের সহায়তা চান।

উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং জানান, ২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে, যা বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের দুই বছর পর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

তিনি আরো জানান, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী।

উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ মোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন এবং দাশেরকান্দি পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের উন্নয়নেও অর্থায়ন করবে।

তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর চীন বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানির জন্য একটি প্রটোকল স্বাক্ষর করেছে।

এ বছরের গ্রীষ্মকাল থেকেই বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে। বেইজিং কাঁঠাল, পেয়ারা এবং অন্যান্য জলজ পণ্য আমদানি করতেও আগ্রহী, যাতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের বিশাল ব্যবধান কমানো যায়।

চীনা সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আরো বেশি স্কলারশিপ প্রদান করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে।

উপপ্রধানমন্ত্রী ঢাকার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জন্য চারটি সমুদ্রগামী জাহাজ ক্রয়ের ক্ষেত্রে চীনের অর্থায়নের আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের প্রচেষ্টায় চীন বাংলাদেশ ও মায়ানমারকে নিয়ে সংলাপ করবে।

প্রফেসর ইউনূস চীনের নেতৃত্বের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশ-চীন অংশীদারির আরেকটি মাইলফলক চিহ্নিত করল।

তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা একসঙ্গে কাজ করার সংকল্প গ্রহণ করি যাতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয় এবং বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও পারস্পরিক অংশীদারির একটি নতুন যুগের সূচনা হয়।’

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদন
সংগৃহীত ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ২৯টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের ৬২তম সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মহিলা ও শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।

আরো পড়ুন
ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ান

 

এই প্রকল্পগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই কৃষি ও নগর উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এসব প্রকল্পের অধীনে হাওর এলাকায় কার্বন নির্গমন ও জলবায়ু সহনশীল কৃষি উৎপাদন নিয়ে গবেষণা করা হবে। দুগ্ধ উৎপাদন বাড়াতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হবে। চারটি হটস্পট এলাকায় উদ্ভিদের বৃদ্ধির ওপর জলবায়ুর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হবে। কৃষকদের জন্য পেঁয়াজ সংরক্ষণ ও মানসম্মত বীজ উৎপাদন;  হাওর ও উপকূলে ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো হবে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট শহর এলাকায় জলাধার পুনরুদ্ধার;  নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি খালের তীরে বনায়ন এবং গাজীপুরের লবনদহ খাল সংরক্ষণ; রাঙ্গামাটির দুর্গম পাহাড়ে সৌরবিদ্যুৎচালিত নলকূপ বসানো; এবং বান্দরবানের ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করা হবে এসব প্রকল্পের অধীনে।

একইসঙ্গে, পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যাগ সরবরাহ, তাল ও ম্যানগ্রোভ বনায়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা; দেশজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে প্রচারাভিযানও চালানো হবে।  

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাঙ্গামাটি; জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর; পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়া; বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল এবং জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস; বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট; পরিবেশ অধিদপ্তর;  বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট; জেলা প্রশাসন, ঢাকা; মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর; পাট অধিদপ্তর; বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বন অধিদপ্তর প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করবে।

সভায় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।

এসব প্রকল্পের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
ইসি সচিব জানালেন

ঈদের পর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদের পর ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট
ছবি : ফোকাস বাংলা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অগ্রহণযোগ্যতার অভিযোগে সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচন বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা করেছেন আদালত। ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে ঈদের পর গেজেট প্রকাশ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালতের রায় পাওয়ার পর আমরা গেজেট প্রকাশ করার বিষয়ে ভাববো। সে ক্ষেত্রে ঈদের পর হতে পারে।

এর আগে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মো. নুরুল ইসলাম।

আদেশে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ঘোষিত সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র হিসেবে সরকারের গেজেট বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেন। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ইশরাক হোসেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ