চাঁদাবাজরা মনে করছে চাঁদা আদায় করা তাদের দায়িত্ব : আসিফ মাহমুদ

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
চাঁদাবাজরা মনে করছে চাঁদা আদায় করা তাদের দায়িত্ব : আসিফ মাহমুদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে আমরা এমন একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সময় পার করেছি যে, অনেকেই মনে করেছেন চাঁদা দেওয়া মনে হয় আমার দায়িত্ব। আবার যারা চাঁদা নেয় তারাও মনে করছেন চাঁদা নেওয়া এটা আমার অধিকার। কারণ, দীর্ঘদিন ধরে তো এভাবে চলে আসছে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর এ ধরনের প্র্যাকটিস আর বরদাশত করা হবে না। ফ্যাসিবাদী সময়ে চাঁদাবাজি ও মাদকব্যবসায় জড়িত হয়ে যারা সমাজ এবং তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করেছে, তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।

সারা দেশের তরুণদের আহ্বান জানিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন,  আপনারা যেখানে বিভিন্ন সমিতির নামে টোকেন ধরিয়ে চাঁদাবাজি দেখবেন, সেখানেই প্রতিবাদ করবেন। রুখে দাঁড়াবেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী চাঁদাবাজি দমনে কাজ করছেন। আপনারা তাদের সহযোগিতা করবেন।

তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্ম ও শিশু-কিশোররা আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমরা তাদের যেভাবে গড়ে তুলব, তারা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে।

পরিশেষে আমরা সেরকমই একটি বাংলাদেশ পাব।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ প্রমুখ। 


 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে ঈদের জামাতে নারীরা

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে ঈদের জামাতে নারীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঘড়ির কাটা তখন সকাল ৯টা ছুঁই ছুঁই করছে। বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র গীর্জামহল্লার জামে কশাই মসজিদের মহিলাদের নামাজের প্রবেশদ্বার। ঈদের প্রথম জামায়াতের নামাজ শেষে প্রবেশদ্বারে নারীদের জটলা। ঠিক তখনই পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন কলেজ শিক্ষার্থী আফসিয়া আক্তার ও স্কুলশিক্ষিকা রোশনে আরা বেগম।

তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ আঞ্জুমান বেগমও তাদের দুজনকে অতি মমতায় জড়িয়ে ধরেন।

ওই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছিলেন সাংবাদিক খান মনিরুজ্জামান। তার ভাষ্যমতে, তাদের প্রত্যেকের চোখেই আনন্দের ঝিলিক অনুভব করা গেছে। তাদের মধ্যে একমাত্র স্কুলশিক্ষিকা রোশনে আরা বেগম কশাই মসজিদে মেয়েদের দলে তারাবির নামাজ পড়েছেন।

নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা আফসিয়া আক্তার মসজিদে এই প্রথম এসেছেন। অনুভূতির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে তাই নিজেই বলে ওঠেন, ‘কখনো ভাবিনি, বাড়ির বাইরে মসজিদে এসে পুরুষের পাশাপাশি অন্য নারীদের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করব।’

আরো পড়ুন

এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে : মির্জা ফখরুল

এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে : মির্জা ফখরুল

 

কলেজ শিক্ষার্থীর সেই বক্তব্যের সত্যতা মেলে ইতিহাস ঘেঁটে। আর সেই নির্মম ইতিহাস হচ্ছে, নারীদের ঈদের নামাজ পড়ার জায়গা বলতে এতদিন ঘরের চৌহদ্দিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

নারীরা বন্ধ ঘরে, বড়জোর বাড়ির ছাদে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। আফসিয়া এতদিন চৌহদ্দিতেই অভ্যস্ত ছিলেন। তবে আজ সোমবার ঈদের দিন সকালে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রের কশাই মসজিদে গিয়ে দল বেঁধে নামাজ পড়েন আফসিয়ারা।

ঈদের দিন সকালে বিভাগীয় শহরের তিন শতাধিক মহিলা একমাত্র কশাই জামে মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি আলাদাভাবে নামাজ পড়েছেন। বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি ও জামে কসাই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান তাদের নামাজের ইমামতি করেছেন।

প্রার্থনা করেছেন বিশ্বশান্তির। ওই ইমামের নেতৃত্বেই পুরুষদের নামাজ পড়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল একই মসজিদের নীচতলায়।

আরো পড়ুন

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে : মঈন খান

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে : মঈন খান

 

নগরীর কাঠপট্টি রোডের গৃহবধূ সাবানা বেগম বলেন, ‘মহিলাদের যে ফতোয়ার বেড়াজালে আটকে দেওয়া হয়েছিল, তার বাইরে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

মসজিদে নামাজ পড়তে পেরে খুশি আমতলা মোড় এলাকার রুনা আক্তার, লায়লা বেগম, পুলিস লাইনস রোডের আলিয়া বেগমরাও। আলিয়ার কথায়, আমরা চাই কশাই মসজিদের মতো অধিকাংশ মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা হোক।

বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি ও জামে কসাই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের দুটি জামায়াতে প্রায় তিন হাজার নারী-পুরুষ নামাজ আদায় করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ নারী নামাজি ছিলেন। যেটা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। শুধু ঈদের জামাত নয়, তারাবিতেও নারীদের অংশগ্রহণ অনেক ছিল। অন্তত দুই শতাধিক নারী প্রত্যেক দিন ইফতারি করেছেন।’

আরো পড়ুন

ঈদের আনন্দ উদযাপনে শরিয়তের নির্দেশনা

ঈদের আনন্দ উদযাপনে শরিয়তের নির্দেশনা

 

জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানার কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় জামে কশাই মসজিদ কমিটি ওই সময়টায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দিনভর রোজা রাখার পরে মসজিদেই তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন নারীরা। তারপর পর্যায়ক্রমে শুক্রবার জুমা, তারপর ফজর বাদে চার ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নামাজ আদায়ের অনুমতি মেলে। সেই থেকে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কশাই মসজিদে গিয়ে দল বেঁধে নামাজ শুরু করেন নারীরা।

প্রায় ১৭ বছর আগে, নারীদের জন্য প্রথম কশাই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু তখনও অনেকে ফতোয়া জারির মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। তবুও নারীদের জামায়াতে নামাজ আদায় থেমে থাকেনি। মাঝে দু’বছর করোনার প্রকোপে মসজিদে জামাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা শেষে মসজিদে গিয়ে প্রতিদিনের নামাজ যাতে আদায় করা যায়, সে চেষ্টায় শামিল হয়েছিলেন নারীরা।

মন্তব্য

মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
মোনাজাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় ইমামকে যুবদল নেতার হুমকি
জেলার মানচিত্র

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে ঈদের নামাজের পর এক দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় এক ইমামকে বরখাস্তের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় যুবদল নেতা। আজ সোমবার কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই জামাতে ইমামতি করেন চর কাশিপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।

ইমাম অভিযোগ করেন, নামাজের দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল তাকে হয়রানি করেছেন।

আরো পড়ুন
ঈদে খাবারদাবার বেশি খেয়ে ফেললে কী করবেন

ঈদে খাবারদাবার বেশি খেয়ে ফেললে কী করবেন

 

তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে ঘটনাটি উল্লেখ করেছেন যে তাকে "হয়রানি করা হয়েছিল এবং চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল।"

ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, "ঈদের দিন ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম.." শিরোনামের তার পোস্টে, ইমদাদুল ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। স্থানীয় অনেকেই যুবদল নেতার আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এরই মধ্যে পোস্টটি শতাধিক মানুষ শেয়ার করেছেন।

 কাশিপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত সকাল পৌনে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।

মোনাজাতের সময়, ইমাম দেশ ও জাতির মঙ্গল এবং সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কারো নাম উল্লেখ করেননি।

আরো পড়ুন
এই বছরের ঈদ আরো বেশি স্পেশাল : নুসরাত জাহান

এই বছরের ঈদ আরো বেশি স্পেশাল : নুসরাত জাহান

 

নামাজের পর, যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল এবং তার অনুসারীরা ইমাম ইমদাদুল হকের মুখোমুখি হন। অনুরোধ সত্ত্বেও ইমাম খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইকবাল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

তিনি ইমামের সাথে তর্ক শুরু করেন, তবে অন্যান্য মুসলিম ব্যক্তিদের তীব্র আপত্তির মুখে তিনি স্থান ত্যাগ করেন।

মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নামাজের আগে স্থানীয় বিএনপি সমর্থক এবং ঈদগাহ কমিটির সদস্য তাকে খালেদা জিয়ার আরোগ্যের জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে, তিনি কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ না করে সকল অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করার সিদ্ধান্ত নেন।

“আমি যথারীতি নামাজ আদায় করেছি এবং কারও নাম উল্লেখ করিনি কারণ এটি সকল রাজনৈতিক পটভূমির লোকদের নিয়ে একটি জনসমাবেশ ছিল। আমি সকলের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করেছি, কিন্তু নামাজের পরে যুবদল নেতা ইকবাল আমাকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

তিনি আমার সাথে আক্রমণাত্মকভাবে কথা বলেন, আমি কেন তার নাম নেই নি তা জানতে চান। 

ইমদাদুল হক স্থানীয় বিএনপি নেতাদের যুবদল নেতার অসদাচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করিনি। আমি কেবল জিজ্ঞাসা করেছি, অনুরোধ করার পরেও খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করেননি কেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, যে তিনি তা করতে বাধ্য নন। তারপর আমি তার চাকরি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি এবং পরে জানতে পারি তার মসজিদ কমিটির সভাপতি আমাদের ছোট ভাইদের একজন। ইমামকে বরখাস্ত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি।

মন্তব্য

আগামী বছর আরাকানে ঈদ করার প্রত্যয় রোহিঙ্গাদের

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
আগামী বছর আরাকানে ঈদ করার প্রত্যয় রোহিঙ্গাদের
ছবি : কালের কণ্ঠ

সারা দেশের মতো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে প্রতিটি ক্যাম্পে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঈদ জামাত। নামাজ শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলির মাধ্যমে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন আশ্রিত রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে রোহিঙ্গা শিশুদের মাঝে ঈদ উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে।

রোহিঙ্গাদের অনেকেই এবারের ঈদকে ভাবছেন বাংলাদেশের আশ্রয় জীবনের শেষ ঈদ। তাদের ঘরে ফেরার স্বপ্ন আরো প্রাণবন্ত হতে শুরু করে, যখন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ইফতারে এসে সেই আশার কথা বলেন।

আরো পড়ুন
জিয়া পরিবারের ছবি শেয়ার করে যা বললেন আসিফ নজরুল

জিয়া পরিবারের ছবি শেয়ার করে যা বললেন আসিফ নজরুল

 

গতকাল রবিবার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা ভিডিওতে রোহিঙ্গাদের ‘মেহমান’ সম্বোধন করে একই প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।

৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মসজিদের খতিব মোহাম্মদ অলিউল্লাহ (৩৯)।

নামাজের পর ঈদ মোনাজাতে তিনি দেশে ফেরার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য দোয়া করেছেন।

অলিউল্লাহ তার ভাষায় বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আইদ্দে বছর আঁরা আরকানত ঈদ গইজ্জুম। বাংলাদেশ আরাল্লাই যেগিন গইজ্জে আজীবন রোহিঙ্গা অক্কল মনত রাখিব। অর্থাৎ ইনশাআল্লাহ আগামী বছর আমরা আরাকানে ঈদ করিব।

বাংলাদেশ আমাদের জন্য যা করেছে তা আজীবন আমরা মনে রাখিব।’

আরো পড়ুন
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত

 

২০১৭ সালে মাত্র ১১ বছর বয়স ছিল রোহিঙ্গা কিশোর রকিমের। দেখতে দেখতে কেটে গেছে অনেক দিন। রকিম বলেন, ‘শৈশবের আরাকানকে মনে করলেই কান্না আসে। আমরা ফিরতে চাই সেখানে, সেটিই আমার দেশ।

ঈদকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পজুড়ে সার্বিক নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়ার মতো। এপিবিএন কর্মকর্তারা জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে নজরদারি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সব ক্যাম্পেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মন্তব্য

গাজীপুরে বাসচাপায় সিএনজিযাত্রী ফুফু-ভাতিজি নিহত, বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
গাজীপুরে বাসচাপায় সিএনজিযাত্রী ফুফু-ভাতিজি নিহত, বাসে আগুন
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় ফুফু-ভাতিজি নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় অটোরিকশাচালক ও আরো তিন যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি আটক করে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।

ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর শিববাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন জানান, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা গাজীপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। শিববাড়ি মোড়ে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা এলিভেটেড সড়ক দিয়ে চলাচলকারী দ্রুতগামী একটি বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এ সময় সিএনজিতে থাকা যাত্রী শিশু তাবাসসুম (৫) ও তার ফুফু (৪০) ঘটনাস্থলে মারা যান।

আরো পড়ুন
বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত

 

স্থানীয়রা সিএনজিচালক ও অপর যাত্রীদের উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটিকে আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের আগুন নেভায়। নিহতদের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ