পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পরোয়ানার তথ্য ফাঁসকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে : চিফ প্রসিকিউটর
সংগৃহীত ছবি

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির তথ্য ফাঁসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো মহল জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই ধারণার কথা বলেন। পরোয়ানার তথ্য ফাঁসের কারণে ২২ জন পুলিশ কর্মকর্তা গা ঢাকা দিয়েছে উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, তথ্য ফাঁসকারীদের চিহ্নিত করা গেছে কিনা?

আরো পড়ুন
২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

২৭ রমজানের রাতে মসজিদুল আকসায় ২ লাখ ফিলিস্তিনি

 

জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এখানে (ট্রাইব্যুনালে) কোনো না কোনো জায়গা থেকে এটা ফাঁস হচ্ছে। এটা আমরা খুব উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে সম্ভবত এই ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো একটা মহল এর সঙ্গে জড়িত বা প্রসিকিউশনের মধ্যে, অফিসেও থাকতে পারে।

আমরা বিষয়টাকে গভীরভাবে উদ্বেগের সঙ্গে বিশ্লেষণ করছি এবং তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যদি আমরা প্রমাণ পাই যে প্রসিকিউশন অফিসের কেউ, প্রসিকিউশন টিমের সদস্য কেউ, অথবা ট্রাইব্যুনালের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী; যারাই হোক, যারা এ ধরনের তথ্য ফাঁসের সঙ্গে জড়িত হবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এটা খুব সিরিয়াসলি নিয়েছি এবং উদ্বেগের সঙ্গেই এটা নিয়েছি। এটাকে নিশ্ছিদ্র করার জন্য প্রয়োজনীয় তদন্তকাজ চালাচ্ছি।

আমরা এটার জন্য দায়ী যাকে পাব, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ডিআরইউ কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় উজ্জ্বলের জামিন, কারাগারে রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডিআরইউ কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় উজ্জ্বলের জামিন, কারাগারে রহমান

পেশাদার সাংবাদিকদের সংগঠন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় উজ্জ্বল মিয়া নামের এক আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আব্দুর রহমান নামের আরেক আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।

এরপর তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত উজ্জ্বলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে অন্য আসামি রহমানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
 

ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, ডিআরইউ কার্যালয়ে শুধু সাংবাদিকদের জন্য টিসিবির পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে আগে থেকেই টোকেন দেওয়া হয়। এসব টোকেনের একটি কারো মাধ্যমে করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের এক কর্মীর কাছে চলে যায়। তারা এটাকে নকল করে ৫০টি টোকেন তৈরি করে টিসিবির পণ্য নিতে আসেন।

এ সময় আমাদের স্টাফ বাবুল বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে তাদের এখানে আর পণ্য নিতে না আসার জন্য বলা হয়। সেই ক্ষোভ থেকে শুক্রবার পল্টনে করতোয়া কুরিয়ার অফিসের সামনে ডিআরইউ স্টাফ বাবুলকে মারধর করে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড, দা, চাপাতি, হকিস্টিক ইত্যাদি নিয়ে ডিআরইউর সামনে আমাদের কর্মচারী মো. জহিরুল ইসলাম (২৯) ও মো. রবিউল ইসলামের (২৭) ওপর হামলা চালায়। চাপাতির কোপে জহিরুলের মাথা ফেটে যায়।

এরপর তারা যাওয়ার সময় কর্মচারীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।

মন্তব্য

নবনিযুক্ত প্রসিকিউটর আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নবনিযুক্ত প্রসিকিউটর আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল
সংগৃহীত ছবি

বিতর্ক ওঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নবনিযুক্ত প্রসিকিউটর আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এম এইচ তামিম।

তিনি জানান, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপসলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা এক অফিস আদেশে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) এই নিয়োগ বাতিল করা হয়।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদে আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ বাতিল করা হলো।

এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

এর আগে, গতকালই আইন ও বিচার বিভাগের উপসলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে আফরোজ পারভীনসহ চারজনকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ আদেশ হওয়ার পর আফরোজ পারভীনের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ-সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই তার নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়।

মন্তব্য

গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা, শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা, শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
ফাইল ছবি

‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামে অনলাইন প্ল্যাটফরমের মিটিংয়ে গৃহযুদ্ধের পরিকল্পনা এবং সরকারকে উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলায় দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. রাব্বি আলমকে। এ ছাড়া অনলাইন মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারী আরো ৫০৩ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প

তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প

 

মামলার এজাহারের তথ্যের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যে তারা জানতে পারেন যে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনলাইন প্ল্যাটফরমের মিটিংয়ে ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ গঠন করে একটি গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বুঝিয়ে দেওয়া এবং তা নিশ্চিতকরণের জন্য শেষনিঃশ্বাস পর্যন্ত যুদ্ধ করে যাবেন বলে অনেকেই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। মোট ৫৭৭ জন অংশগ্রহণকারী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই জুম মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন এবং শেখ হাসিনার সব নির্দেশ পালন করার ব্যাপারে একাগ্রচিত্তে মত প্রকাশ করেন। 

মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, ড. রাব্বি আলমের (যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি) হোস্টিংয়ে (সঞ্চালনায়) শেখ হাসিনা এবং হোস্ট, কো-হোস্ট ও অংশগ্রহণকারীদের কথোপকথনে ভয়েস রেকর্ড পর্যালোচনায় ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামক প্ল্যাটফরমে দেশ-বিদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীরা বৈধ সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনা করতে দেবে না মর্মে আলোচনা হয়।

সেই সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফরম মিটিংয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার জন্য গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধের সুস্পষ্ট উপাদান রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলা করলে আদালত তা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

গুলশানে সুমন হত্যা : সাঈদ রিমান্ডে, কারাগারে মামুন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গুলশানে সুমন হত্যা : সাঈদ রিমান্ডে, কারাগারে মামুন
গ্রেপ্তার মামুন ওরফে বেলাল ও ওয়াসির মাহমুদ ওরফে সাঈদ (বাঁ থেকে)

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আরেক আসামি মামুন ওরফে বেলালকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এ সময় মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক মারুফ আহমেদ তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর আসামি সাঈদের সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে ২৫ মার্চ র‌্যাব-১ এর অভিযানিক দল ও র‌্যাব-৮-এর অভিযানিক দলের সহযোগিতায় মাস্টারমাইন্ড মো. ওয়াসির মাহমুদ সাঈদ ওরফে বড় সাঈদকে পটুয়াখালী থানার চৌরাস্তা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামুন ওরফে বেলালকে টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় গত ২৩ মার্চ হাবিবুর রহমান ওরফে সুজন নামে এক ব্যক্তির পাঁচ দিন এবং ২৪ মার্চ বশির সিকদারেরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আরো পড়ুন
মনোহরদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

মনোহরদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

 

মামলার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ মার্চ রাত ৯টার দিকে পুলিশ প্লাজার পাশে ফজলে রাব্বি পার্কের পূর্ব দিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় ডিশ ব্যবসায়ী সুমনকে। এ ঘটনায় গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ