ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ সালামির প্রচলন কবে থেকে
সংগৃহীত ছবি

মুসলিমদের অন্যতম প্রধান উৎসব হচ্ছে ঈদ। সারা বিশ্ব জুড়ে এই উৎসব পালিত হয়। পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে এদিন সকলে মিলেমিশে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ভ্রাতৃত্বের বন্দর ও আনন্দের বার্তা নিয়ে প্রতিবছর এই উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।

ছোট বড় সবাই এই ঈদের আনন্দে সারা দিন মাতোয়ারা থাকেন।

তবে এই ঈদের আনন্দ বড়দের থেকেও ছোটরা বেশি উদযাপন করে। নতুন জামা থেকে শুরু করে ভিন্ন ধরনের খাবারদাবার খাওয়া, আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়াসহ নানা উৎসবে মেতে থাকে তারা। তাদের আনন্দের আরেকটি অন্যতম উৎসব হচ্ছে ঈদ সালামি।

ঈদ উপলক্ষ্যে জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সালাম করে যেকোনো পরিমাণ অর্থ, অথবা অন্য কোনো উপহার আদায় করে তারা। এই ঈদ সালামি আবার ‘ঈদি’ বা ‘ঈদিয়া’ নামেও বহুল প্রচলিত। ঈদ ও হাদিয়া- এই দুই শব্দের সমন্বয়ে ঈদিয়া শব্দটি গঠিত।

প্রতিবছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার উৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে পরিবাবের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা ছোটদের এই উপহার প্রদান করে থাকেন।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, ইসলামে উপহার আদান-প্রদানের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে, সেটি কোনো শর্তযুক্ত হতে পারবে না।

বিখ্যাত সাহাবি হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, তোমরা একে অন্যকে উপহার দাও। এতে তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। (আল-আদাবুল মুফরাদ; হাদিস নং: ৫৯৪)

কয়েকজন হাদিস বিশারদ এই হাদিসকে মানের দিক থেকে ‘হাসান’ বলেছেন।

ঈদ সালামির ইতিহাস

‘ঈদ সালামি’ প্রচলনের ইতিহাস নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে, মধ্যযুগের শুরুর দিকে ‘ঈদ সালামি’ প্রদানের সূচনা হয়। ফাতিমীয় খিলাফতের সময়ে সমাজের শিশু-কিশোর ও বয়স্ক অধিবাসীদের অর্থ, মিষ্টান্নজাতীয় খাবার অথবা পোশাক উপহার দেওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে মামলুক সাম্রাজ্যের আমলে পোশাক-পরিচ্ছদ ক্রয় করার জন্য ঈদের সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ প্রদান করার প্রচলন ঘটে। এই আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে আলাদা হতো এবং তা একজন ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ধারণ করা হতো।

এরই ধারাবাহিকতায় উসমানী সাম্রাজ্যের শেষ দিকে এসে এই প্রথা ব্যাপকভাবে পারিবারিক পরিসরে বিকশিত হয়। এই সময় থেকে পরিবারের মাতা-পিতা ও জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছ থেকে শিশুদের নগদ অর্থ উপহার পাওয়ার প্রচলন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

ইসলাম ধর্ম প্রসারের কারণে ক্রমান্বয়ে ‘ঈদ সালামি’ প্রদানের এই রীতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পাশাপাশি একসময় ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এটি একটি সামাজিক রীতি ও ঐতিহ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সালামি যেকোনো পরিমাণ নগদ অর্থ, অথবা অন্য কোনো উপহার হতে পারে।

সাধারণত কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান, আকিকা ও সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা খুশি হয়ে নগদ অর্থ বা অন্য কোনো বস্তু উপহার দিয়ে থাকেন। একেও সালামি বলা চলে। অন্যান্য উৎসবের মতো ঈদকে কেন্দ্র করে শিশুদের মধ্যে উৎসাহ ও আনন্দের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর শিশুদের কাছে ঈদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়টি হলো পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছ থেকে সালামি প্রাপ্তি।

অন্যদিকে, পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কাছে ঈদ সালামি প্রদান হচ্ছে শৈশবের সোনালি স্মৃতি রোমন্থন করা এবং এই আনন্দ আয়োজন নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করে দেওয়ার উপলক্ষ্য।

ঈদের সালামির বর্তমান

ঈদের দিন শিশুরা ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে যথাসম্ভব নতুন পোশাক বা পাঞ্জাবি পরে ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করে। ঈদের নামাজ আদায়ের পর কোলাকুলি করে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর পরই শিশুরা পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সালাম করে সালামি প্রদানের জন্য আবদার জানিয়ে থাকে। এরপর শিশুরা সালামি গ্রহণ করে উৎসবে মতে ওঠে এবং নগদ অর্থ ব্যয় করে নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কিনতে পারে। আবার এই শিশুরা একদিন বড় হয়ে পরবর্তী প্রজন্মের প্রতিনিধিদের সালামি দেবে। এভাবে এই আনন্দ আয়োজনের ঐতিহ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে স্ব-মহিমায় টিকে থাকে।

অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে সালামির একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো- সেই অর্থের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, সেটা চকচকে নতুন নোট হতে হবে। আর গ্রাহকদের এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রতিবছর ঈদ উৎসবের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নতুন নোট সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া অন্যান্য উপহার ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে দেশের অর্থনীতির চাকা আরো গতিশীল হয়ে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সালামি প্রদানের রীতিতে নতুনত্ব যুক্ত হয়েছে।

বর্তমানে যান্ত্রিকতার এই যুগে প্রযুক্তির কল্যাণে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যাপক প্রসারের কারণে অনেকে দূরদূরান্তের প্রিয়জনকে সহজে সালামি দিতে পারেন। আর সেই সুযোগে তরুণ-তরুণিরা তাদের জ্যেষ্ঠদের কাছে সালামি চেয়ে থাকেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।

ঈদ সালামি প্রদানের ক্ষেত্রে নগদ অর্থের পরিমাণ কোনো বিষয় নয়, বরং সবাই মিলে উৎসবে শামিল হওয়ার আনন্দই মুখ্য। বর্তমানে ঈদ সালামি আদান-প্রদানের এই রীতি শুধু শিশুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। তবে এই সময়ে এসে সালামি প্রদান খানিকটা আনুষ্ঠানিকতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি, এটি বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার একটি অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।

অন্যদিকে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবে এই আনন্দ আয়োজনের ব্যাপকতা ধীরে ধীরে আরো বেশি প্রসারিত হচ্ছে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি আর ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বিশেষ করে শিশুদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দিতে ঈদের সালামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সূত্র : রোয়ার বাংলা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাড়িতে উঠলেই বমি, শব্দই হতে পারে সমাধান!

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গাড়িতে উঠলেই বমি, শব্দই হতে পারে সমাধান!
সংগৃহীত ছবি

ভরপেট খেয়ে গাড়িতে উঠলেন। গাড়ি চলতে না চলতেই গা-পাক দিয়ে উঠল। এমন সমস্যা হয় অনেকেরই। বাস, ট্রেন, প্রাইভেট কারে চড়লেই গা বমি ভাব, শরীরে প্রবল অস্বস্তি, তার পর বমি।

গাড়িতে এসি থাকলেও এ সমস্যাটি দেখা দেয়। চিকিৎসকরা একে ‘মোশন সিকেনস’ বা গতিজনিত অসুস্থতা বলে থাকেন।

ওষুধ খেয়েও এ সমস্যা সব সময় বন্ধ হয় না। পাহাড়ি পাকদণ্ডীতে গাড়িতে উঠলে, উত্তাল সমুদ্রে জাহাজে গেলে, আবার কারো কারো এসি কারেও মারাত্মক সমস্যা হয়।

তবে অদূর ভবিষ্যতে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে অন্য ভাবে। এ বিষয়ে জানাচ্ছেন গবেষকরা। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

জাপানের নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা বলছেন, মাত্র ১ মিনিটের বিশেষ শব্দতরঙ্গ কর্ণকুহরে প্রবেশ করলেই দূর হবে শারীরিক অস্বস্তি।

কিন্তু কিভাবে? এ ক্ষেত্রে প্রথমেই জানা দরকার, গতির কারণে অসুস্থতা বা মোশন সিকনেস কেন হয়। 

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

মোশন সিকনেস কেন হয়

চিকিৎসকরা বলছেন, চোখ, অন্তঃকর্ণ ও ত্বক—মানুষের শরীরের তিনটি অংশ গতির ভারসাম্য নির্ণয় করে। এই তিনটি অংশকেই ‘সেনসরি রিসেপ্টর’ বলা হয়। এরাই এই গতির অনুভূতিকে পাঠিয়ে দেয় মস্তিষ্কে। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, চোখ, কান ও মস্তিষ্কের সমন্বয় চলাফেরার ও কাজকর্মের জন্য জরুরি।

এই সমন্বয়ের কাজটি করে ভেস্টিবিউলার সিস্টেম। কানের ভেতরে থাকে ‘ভেস্টিবিউলার অ্যাপারেটস’। কোনো কারণে এই সমন্বয় বিঘ্নিত হলে ‘মোশন সিকনেস’ হতে পারে। অস্বস্তি হয়। কারো আবার বমি হয়ে যায়।

গতিজনিত অস্বস্তি বা সমস্যা কিভাবে কমানো যায়, তা নিয়ে তাকুমি কাগওয়া ও মাশাই কোটের নেতৃত্বে নাগোয়া ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ মেডিসিনে একটি সমীক্ষা ও গবেষণা হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, ১০০ হার্ডজের শব্দতরঙ্গ অন্তঃকর্ণে গেলে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মাত্র ১ মিনিটের ‘সাউন্ড স্পাইস’ (বিশেষ ধরনের শব্দকে এই নামেই চিহ্নিত করা হয়েছে) এ ক্ষেত্রে বমি ভাব, শারীরিক অস্বস্তি কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

আরো পড়ুন
নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

নববর্ষের সঙ্গে পান্তা-ইলিশের কী সম্পর্ক

 

তাকুমি কাগওয়া বলছেন, ‘আমাদের গবেষণার উদ্দেশ্য হলো, স্বল্প সময়ে কিভাবে বিশেষ শব্দের মাধ্যমে অন্তঃকর্ণের বিশেষ অংশকে উদ্দীপিত করে গতিজনিত অসুস্থতা কমানো যায়, তা দেখা।’ তার দাবি, যে বিশেষ শব্দ শোনানো হচ্ছে, তা কান ও শরীরের জন্য একেবারেই নিরাপদ।

কিভাবে কাজ করছে শব্দ

বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে তা কানে প্রবেশ করানো হচ্ছে। সেই শব্দ উদ্দীপিত করছে অন্তঃকর্ণের ওটোলিথিককে। এটি গতির সঙ্গে শরীর, মস্তিষ্কের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। আসলে বিশেষ শব্দতরঙ্গ অন্তঃকর্ণের ‘ভেস্টিবিউলার সিস্টেম’-এর ওপর প্রভাব ফেলছে। এই সিস্টেম বিগড়ে গেলেই সমস্যা দেখা দেয়। শব্দ সেই সমন্বয়টাই বজায় রাখতে সাহায্য করছে।

আরো পড়ুন
বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

বৈশাখে পাতে রাখতে পারেন ভাপা সরষে ইলিশ

 

ফলাফলে পৌঁছানোর জন্য বেশ কয়েক জন স্বেচ্ছাসেবকের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়। দোলনায় দুলছেন, গাড়িতে যাচ্ছেন, এমন লোকজনকে বিশেষ শব্দটি শোনানো হয়। ১০০ হার্ডজের শব্দতরঙ্গ তাদের কানে প্রবেশের পর গতিজনিত অসুস্থতা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে ইসিজি করেও দেখা হয়। তাতেই দেখা যায়, বমি ভাব, মাথা ব্যথা সংক্রান্ত শারীরিক অস্বস্তি কমে গেছে।

গবেষকরা বলছেন, আসলে বিশেষ শব্দটি সিমপ্যাথেটিক স্নায়ুযন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলছে। তার ফলেই সেই ব্যক্তি উপকার পাচ্ছেন। এই গবেষণা ফলপ্রসূ হলে তার যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব মিলবে বলে আশা গবেষকদের। এ নিয়ে আরো গবেষণা চলছে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রাতের খাবারের পর লবঙ্গ মুখে দিলে মিলবে যে উপকার
সংগৃহীত ছবি

যুগ যুগ ধরে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। এই লবঙ্গের গুণ অনেক। নিত্যদিনের রান্নাতেও চলে লবঙ্গের ব্যবহার। লবঙ্গ রান্নায় যেমন সুগন্ধি ছড়ায়, তেমনি রান্নাকে করে তোলে সুস্বাদু।

আবার রান্নার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের জন্যও লবঙ্গ উপকারী। রাতে খাবারের পর এক টুকরা লবঙ্গ মাউথ ফ্রেশনারের থেকেও বেশি কার্যকরী। এ ছাড়া লবঙ্গে রয়েছে আরো অনেক গুণ। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ : লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা আপনার শরীরে থাকা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ভিটামিন-সি থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ক্রনিক রোগের ঝুঁকিও অনেকটা কমে যায়।

অম্বল ও বুকজ্বালা কমায় : রাতে খাবার পরে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে তা হজম ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে। বদহজম, পেট ফাঁপা, বুকজ্বালা ও গ্যাসের প্রবণতা কমায়।

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

দাঁতের ব্যথা দূর করে : লবঙ্গের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান দাঁতের ব্যথা দূর করে। এমনকি মাড়ির ক্ষয়ও রোধ করে। যে কারণে অনেক টুথপেস্টে উপকরণ হিসেবে লবঙ্গ থাকে। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, পেশির ব্যথা, হাঁটু, পিঠে বা হাড়ের ব্যথা ও ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে।

সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা : লবঙ্গ চিবিয়ে খান বা মুখে রেখে দিন।

সর্দি-কাশি, কফ, ঠাণ্ডা লাগা, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্টের হাত থেকে পরিত্রাণ মিলবে। মাথা ব্যথা কমাতেও লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

মুখের দুর্গন্ধ দূর করে : লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। এটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে, যা সাধারণত মুখের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এটি মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও কাজ করে, ফলে শ্বাস থাকে সতেজ।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে : লবঙ্গে থাকা ইউজেনল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে, যা সুস্থ থাকার জন্য ভীষণ জরুরি। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রেসের ঝুঁকিও কমায়।

এ ছাড়া অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানের কারণে লবঙ্গ তেল ব্রণ, ফুসকুড়ি ও দাগ ছোপ দূর করতেও সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

মন্তব্য

গরমে দীর্ঘক্ষণ দুধ ভালো রাখার উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে দীর্ঘক্ষণ দুধ ভালো রাখার উপায়
সংগৃহীত ছবি

গরমকালে দীর্ঘক্ষণ ফ্রিজ ছাড়া রাখলে যেকোনো খাবারই নষ্ট হয়ে যায়। দুধও এর ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তারা সকালে দুধ রাখার পর বাড়ি ফেরার পর সেই দুধ আর ভালো থাকে না। তাই এমন কিছু টোটকা জেনে রাখা দরকার, যাতে দুধ অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে।

 

ফুটিয়ে নিন : দুধ গরম করার সময় একটু বেশি আঁচে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। যখন দেখবেন ঘন হয়ে আসছে, তখন আঁচ কমিয়ে আরো কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এতে দুধের ভেতরের জীবাণু মরে যায় এবং দুধ সহজে নষ্ট হয় না। ফোটানো দুধ ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন।

বরফ ব্যবহার করুন : একটা বড় পাত্রে ঠাণ্ডা পানি বা বরফ নিন। তার মধ্যে দুধের পাত্রটা বসিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন বরফ যেন দুধের পাত্রের চারপাশ ঘিরে থাকে। এটি দুধকে ঠাণ্ডা রাখবে এবং তাড়াতাড়ি নষ্ট হবে না।

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

এলাচ দিন : দুধ ফোটানোর সময় একটি বা দুটি এলাচ ফেলে দিন। এলাচের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দুধকে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ভালো রাখতে সাহায্য করে।

কাঁচা আদা : অল্প একটু কাঁচা আদা থেঁতো করে দুধের মধ্যে মিশিয়ে দিন। আদার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দুধকে জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

তুলসী পাতা : কয়েকটি তুলসী পাতা দুধে ফেলে দিন।

তুলসী পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ দুধকে সুরক্ষা দেয়।

সঠিক পাত্র : দুধ রাখার জন্য সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো পাত্র ব্যবহার করুন। ভেজা বা অপরিষ্কার পাত্রে দুধ রাখলে তা তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 

সূত্র : আজকাল

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যে ৫ অভ্যাসে ওজন বাড়ে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যে ৫ অভ্যাসে ওজন বাড়ে
সংগৃহীত ছবি

ওজন বাড়ার পেছনে দায়ী হচ্ছে আমাদের লাইফস্টাইল ও খাদ্যাভ্যাস। এই কারণে বেশির ভাগ মানুষ ওজন কমাতে বাইরের খাবার বন্ধ করে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন। কিন্তু অনেক সময় ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ার পরেও ওজন কমে না, বরং বেড়ে যায়। এর জন্য অনেক কারণই দায়ী হতে পারে।

অনেক সময় ছোট ছোট ভুল ওজন কমানোর চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দেয়। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সেই কারণগুলো, যা আপনার ওজন কমানোর পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া

ঘরে তৈরি খাবার স্বাস্থ্যকর হওয়ার কারণে মানুষ প্রায়ই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেয়ে ফেলেন। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে ওজন কমানো কঠিন হতে পারে।

এতে ক্যালরি ট্র্যাক করাও কঠিন হয়ে যায়। যদি আপনি সত্যিই ওজন কমাতে চান, তাহলে একটি চার্ট তৈরি করুন এবং তাতে আপনার প্রতিদিনের খাবার সম্পর্কে লিখুন। এতে আপনাকে ট্র্যাকে থাকতে সাহায্য করবে।

আরো পড়ুন
কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

কিডনিতে পাথর হয়েছে বুঝবেন লক্ষণে

 

খাবারের মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকা

যদি আপনি ঘরে তৈরি খাবার খান এবং মাঝে কিছু না কিছু খেতে থাকেন, তাহলে আপনার ওজন কমার বদলে বাড়তে পারে।

বারবার খাওয়ার ফলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়ে, যা শরীরে ফ্যাট বাড়ায়। চেষ্টা করুন বিস্কুট, চিপস, নোনতা, নুডলস ও সিঙ্গারা না খেতে।

ক্যালরি ডেফিসিট

ওজন কমানোর জন্য সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা জরুরি। প্রত্যেকের শরীরের জন্য আলাদা আলাদা ক্যালরির প্রয়োজন হয়। ভিডিও দেখে বা কোনো ইনফ্লুয়েন্সারের পরামর্শে নিজের ডায়েট চার্ট তৈরি করবেন না।

কোনো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করে ডায়েট চার্ট তৈরি করুন। 

আরো পড়ুন
বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

বৈশাখে বাড়িতে রান্না করতে পারেন কয়েক পদের ইলিশ

 

বিঞ্জ ইটিং

বিঞ্জ ইটিং-এ আপনি বাদাম বা ডার্ক চকোলেট খান। এই জিনিসগুলো সপ্তাহে একবার খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু নিয়মিতভাবে বিঞ্জ ইটিং করলে ওজন বাড়তে পারে। অনেক সময় শরীরের এই জিনিসগুলোর প্রয়োজন হয়, কিন্তু বারবার বিঞ্জ ইটিং করার কারণে আপনি ওজন কমানোর পথে থাকতে পারেন না। যার ফলে আপনার ওজন কমানোর যাত্রা প্রভাবিত হতে পারে।

তেলের বেশি ব্যবহার

যদি আপনি ঘরে খাবার বানানোর সময় বেশি তেল অর্থাৎ তেল ও ঘি ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ওজন কখনো কমবে না। নিয়মিতভাবে বেশি তেলে ভাজা পরোটা ও সবজি খেলে ওজন বাড়তে পারে। ঘরের খাবার প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার ও শুদ্ধ হয়, কিন্তু তাতে বেশি তেল দিলে ক্যালরির পরিমাণ বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন
সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

সানস্ক্রিন খাবেন, নাকি মাখবেন? কোনটিতে উপকার

 

পুষ্টির অভাব

আপনি ওজন কমানোর জন্য ঘরে তৈরি খাবার খাচ্ছেন, কিন্তু শরীর কি পর্যাপ্ত পুষ্টি পাচ্ছে? অনেক সময় ওজন কমানোর চক্করে আমরা কম খাবার খাই, যার ফলে শরীরে পুষ্টির অভাব হয়। এতে শুধু ওজনই বাড়ে না, শরীরে পুষ্টিকর উপাদানেরও অভাব হয়। তাই কম ক্যালরিযুক্ত সঠিক খাবার গ্রহণ করুন।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে ওজন কমাতে হবে। আর ওজন কমাতে হলে মেনে চলতে হবে ডায়েট চার্ট। তাই একজন বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট তৈরি করতে হবে। সেভাবে চললে ওজন কমবে ঠিকভাবে।

আরো পড়ুন
কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

কাপ থেকে চা-কফির দাগ দূর করবেন যেভাবে

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ