গতকাল শনিবার  রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস ওয়েলফেয়ার আ্যাাসোসিয়েশনের (রাওয়া) হেলমেট হলে আয়োজিত-‘রাষ্ট্র সংস্কার : রাজনীতি প্রভাবমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন। চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আমার দেশ সম্পাদক  ড. মাহমুদুর রহমান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. আবদুল্লাহ আল ইউসুফ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কর্নেল (অব.) মো. আহসান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্র সংস্কারের প্রক্রিয়ায় ড. মাহমুদুর রহমান তাঁর মূল প্রবন্ধে অতীতে রাষ্ট্র সংস্কার, সামরিক বাহিনী ও রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে টানাপড়েন, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক শক্তি এবং সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যকার সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সামরিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব রাখেন। তিনি সামরিক বাহিনীতে পদোন্নতি নীতিমালা প্রণয়ন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক রহিত করা, বেসামরিক দায়িত্ব থেকে পৃথক করা, স্বচ্ছ সামরিক বাজেট এবং প্রশিক্ষণে আন্তর্জাতিক মান অর্জনের ব্যাপারে জোর দেন। পাশাপাশি জনগণ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যদের ভারতীয় আধিপত্যবাদী আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে সব সময় সতর্ক হওয়া উচিত বলে মনে করেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব কর্তৃক সেনাবাহিনীকে ব্যবহার প্রতিরোধের ওপর  জোর দেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল্লাহ আল ইউসুফ বলেন, রাষ্ট্র তথা জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুধুই একটি শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী, একটি কার্যকর প্রতিরক্ষানীতি কিংবা একজন দক্ষ প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা যথেষ্ট নয়, বরং আমাদের প্রয়োজন একটি কার্যকর জাতীয় নিরাপত্তানীতি, একটি কার্যকর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ, সংশ্লিষ্ট সচিবালয় এবং একজন দক্ষ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, যিনি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে পরামর্শ দেবেন। এগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জাতীয় নিরাপত্তা কমিশন গঠনের ব্যাপারে তিনি মত দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্নেল ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম (অব.) বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্যে কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, ফ্যাসিবাদরা আবার জাগ্রত হচ্ছে।

মুক্ত আলোচনায়  সশস্ত্র বাহিনীর  অবসরপ্রাপ্ত বেশ কয়েকজন  কর্মকর্তা বক্তব্য দেন।

সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

মামলার এজাহারে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২০ কোটি ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫০ টাকার সম্পদ অর্জন ও তা দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

৪৪-৪৬তম বিসিএস : বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি জানিয়েছে, ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার আবশ্যিক বিষয়গুলো ৮ থেকে ১৯ মের মধ্যে ও পদসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্ভাব্য জুনের শেষ সপ্তাহে শুরু হয়ে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

২২ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৪৪তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় ও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। স্থগিত মৌখিক পরীক্ষাগুলো ১৬ জুনের পর দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হবে এবং পরিবর্তিত সময়সূচি শিগগিরই জানানো হবে।

৪৪তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ও ৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার ফল আগামী জুনের মধ্যে প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।

বিভ্রান্ত না হয়ে ওয়েবসাইটে নজর রাখুন : পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া চলমান বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে ভিত্তিহীন ও খণ্ডিত তথ্য সরবরাহ করছে, যা বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করছে এবং পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস নিয়ে সৃষ্ট জট নিরসনে বিসিএস প্রার্থীদের উদ্বেগ বিবেচনায় রেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান জট সমাধানের জন্য পিএসসি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পিএসসির পরীক্ষা নেওয়ার অপরিহার্য কিছু বিষয়, যেমন—প্রশ্নপত্র ছাপানো, পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনায় পিএসসিকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করতে হয়।