ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

বরিশাল অফিস
বরিশাল অফিস
শেয়ার
ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ
ছবি : কালের কণ্ঠ

বরিশাল নগরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এলাকায় দুই সাংবাদিককে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এ হামলা হয়। জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে আক্রান্ত দুই সাংবাদিক জানিয়েছেন। 

হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন বরিশাল থেকে প্রকাশিত ভোরের আলো পত্রিকার নুরুল আমিন রাসেল ও বরিশাল মুখপাত্রের মনির হোসেন।

তাদেরকে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
সেনা সদস্যকে মারধর, ছাত্রদল সভাপতির পদ স্থগিত

সেনা সদস্যকে মারধর, ছাত্রদল সভাপতির পদ স্থগিত

 

 হামলার প্রতিবাদে অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে উপযুক্ত বিচারের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা শান্ত হন। 

আহত নুরুল আমিন রাসেল জানান, মুলাদী উপজেলার আব্বাস নামক এক আওয়ামী লীগ নেতার একটি মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন শুনানি ছিল।

ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে একদল যুবক তাকে মারধর করতে আদালত চত্বরে যায়। এ খবর পেয়ে তিনি (আমিন) ও সহকর্মী ছবি তুলতে গেলে সোহেলের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের পর মোটরসাইকেলটিতে আগুন দেয় হামলাকারীরা।

আরো পড়ুন
শুক্রবার খোলা থাকবে সরকারি ৪ ব্যাংক, লেনদেন ২ ঘণ্টা

শুক্রবার খোলা থাকবে সরকারি ৪ ব্যাংক, লেনদেন ২ ঘণ্টা

 

অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সোহেল রাঢ়ী বলেন, মুলাদীর আব্বাস দুই দিন আগে ছাত্রদলের সহসভাপতি শাওন হাওলাদারকে মারধর করেছে।

এ ঘটনায় শাওন আববাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালতপাড়া সংলগ্ন ফজলুল হক এভিনিউতে আব্বাসকে পেয়ে আটকের চেষ্টা করা হয়। তখন দুই সাংবাদিক এসে আব্বাসের পক্ষে হামলা চালায়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ভেবেছিল ওই গাড়ি আব্বাসের। এ কারণে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি, ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
লক্ষ্মীপুরে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি, ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
ছবি : কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় সাত ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হাজিরহাট বাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ-জামান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

জানা গেছে, উপজেলার হাজিরহাট বাজারে মাংসের বেশি দাম রাখায় ক্রেতারা প্রতিবাদ শুরু করে। এ ধরনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে খবর পেয়ে ইউএনও রাহাত উজ-জামানের নেতৃত্বে বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৬ মাংস ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাহাত উজ-জামান বলেন, ‘রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমরা নিয়মিত বাজার মনিটর করে যাচ্ছি। অতিরিক্ত দামে গরুর মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে।

মন্তব্য

উত্তরের সড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা

    যমুনা সেতু দিয়ে ৫ দিনে ১ লাখ ৯২ হাজার যানে টোল ১৪ কোটি ৬১ লাখ সড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও নেই যানজট
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
শেয়ার
উত্তরের সড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রা
গাড়ির চাপ থাকলেও সড়কে নেই চিরচেনা সেই যানজট। ছবি : কালের কণ্ঠ

বছর ঘুরে আবারও ঈদুল ফিতর চলে এসেছে। আগামীকাল সোমবার (৩১ মার্চ) দেশজুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। সবাই চায় প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। সড়কপথে যাত্রা করতে গিয়ে প্রতি ঈদেই বিপাকে পড়েন উত্তরবঙ্গগামী মানুষ।

তবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে এবার নেই চিরচেনা সেই যানজট-ভোগান্তি। স্বস্তিতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছে মানুষ।

আজ রবিবার (৩০ মার্চ) উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে।

এ মহাসড়ক দিয়ে ২৩ জেলার যানবাহন চলাচল করে।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক চার লেনের সুবিধা নিয়ে চলাচল করতে পারছে। তাই যানজটে পড়তে হচ্ছে না। এর আগে ঢাকা থেকে চার লেন সড়ক ব্যবহার করে যানবাহন এলেঙ্গা পর্যন্ত আসত।

এরপর থেকে যেতে হতো দুই লেন সড়কে। এতে সৃষ্টি হতো যানজটের।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকাগামী যাত্রীবাহীগুলো ফাঁকা। আর উত্তরের পথে যাত্রীরা দূরপাল্লার বাস ছাড়াও লোকাল বাস ও লেগুনায় গাদাগাদি করে বাড়ি যাচ্ছেন। অনেকে জীবনের ঝুঁকি ট্রাক কিংবা বাসের ছাদেও যাচ্ছেন।

প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংখ্যাও অনেক। তবে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত এলাম, কোনো যানজট পাইনি। স্বস্তিতেই বাড়ি যাচ্ছি।’

লায়লা আক্তার যাচ্ছেন ধনবাড়ীতে। তিনি বলেন, ‘গণপরিবহনে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। কিছুই করার নেই। ঈদ বলে কথা।’

ময়মনসিংহ থেকে বগুড়াগামী হামিদুর রহমান এলেঙ্গা বাস স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। গাড়ি পাচ্ছি না। ভাড়া দ্বিগুণ চাচ্ছে।’

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বগুড়াগামী বাসচালক দেলোয়ার হোসেন এলেঙ্গা বাস স্ট্যান্ডে বলেন, ‘টাঙ্গাইল অংশে যানজট নেই। তবে গাজীপুরের দিকে কিছুটা চাপ আছে।’

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতি প্রান্তে ৯টি মোট ১৮টি বুথে টোল আদায় করা হচ্ছে। মোটরসাইকেলের টোল পৃথক লেন রয়েছে। তাই সেতু এলাকায় টোল দিতে গিয়ে যানজটে পড়তে হচ্ছে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘সেতুতে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং দুর্ঘটনার ফলে রবিবার সকালে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে স্বাভাবিক হয়ে যায়। প্রতিদিন গড়ে সেতু দিয়ে ১৮/২০ হাজার যান চলাচল করলেও ঈদে এর সংখ্যা ২ থেকে ৩ গুন বৃদ্ধি পায়।’

তিনি জানান, যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (৩০ মার্চ) একদিনে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা। টাঙ্গাইল আংশের উত্তরবঙ্গগামী লেন দিয়ে ২৯ হাজার ২৮৮টি যানবাহনে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। সিরাজগঞ্জ অংশের সেতু পশ্চিম প্রান্তে ঢাকাগামী লেন দিয়ে ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।

এ ছাড়া ঈদযাত্রার ৫ দিনে (২৫ মার্চ-২৯ মার্চ) যমুনা সেতু দিয়ে মোট ১ লাখ ৯২ হাজার ৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা।

মহাসড়কে দায়িত্বপালনরত কালিহাতী থানার ওসি আবুল কালাম ভূইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও কোনো যানজট নেই। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা সদা তৎপর। ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন।’

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘মানুষকে স্বস্তি দিতে ৭ শতাধিক পুলিশ সদস্য মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটারে নিরলস কাজ করছেন। আশা করি অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় এবারের ঈদ আনন্দময় হবে।’

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, ‘মানুষের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ সার্বক্ষণিক করে যাচ্ছেন।’

মন্তব্য

ঈদযাত্রায় স্মৃতি ফিরে আসে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে

গণেশ চন্দ্র পাল, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
গণেশ চন্দ্র পাল, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
শেয়ার
ঈদযাত্রায় স্মৃতি ফিরে আসে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে
ফেরিঘাটে মোটরসাইকেলের ভিড়। পুরনো ছবি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার পাটুরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। নানা সংকটের কারণে বছরের অধিকাংশ সময় ওই নৌপথে স্বাভাবিক ফেরি সার্ভিস ব্যাহত হতো। অতিরিক্ত গাড়ির চাপে নৌপথের উভয় ঘাটে লেগেই থাকত যানজট। দীর্ঘ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত বিভিন্ন গাড়ি।

তিন কিলোমিটার ওই নৌপথ ফেরিপার হতে ঘাটে এসে যানজটে আটকে থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতেন নারী, শিশুসহ যাত্রীসাধারণ।

এ কারণে সবার কাছে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ‘যানজটের ঘাট’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এদিকে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষে তা সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০২২ সালের জুনে। তখন থেকে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ কমে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের চিরচেনা যানজটের চিত্র আমূল পাল্টে যায়।

সেখানে আগের মতো কোনো গাড়ি ফেরির অপেক্ষায় থাকে না। উল্টো গাড়ির অপেক্ষায় অনেক ফেরি বিভিন্ন ঘাটপল্টুনে ভিড়ে থাকে।

বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌ রুট। আগে নানা সংকটের কারণে বছরের অধিকাংশ সময় ওই নৌপথে স্বাভাবিক ফেরিসার্ভিস ব্যাহত হতো।

অতিরিক্ত গাড়ির চাপে নৌপথের উভয় ঘাটে লেগেই থাকত যানজট। দীর্ঘ যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকত যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ শত শত বিভিন্ন গাড়ি। তিন কিলোমিটার ওই নৌপথ ফেরিপার হতে ঘাটে এসে যানজটে আটকে থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতেন নারী, শিশুসহ যাত্রীসাধারণ। এ কারণে সবার কাছে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ‘যানজটের ঘাট’ হিসেবে পরিচিত ছিল। এদিকে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষে তা সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২০২২ সালের জুনে।
তখন থেকে গাড়ি ও যাত্রীর চাপ কমে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটের চিরচেনা যানজটের চিত্র আমূল পাল্টে যায়। সেখানে আগের মতো কোনো গাড়ি ফেরির অপেক্ষায় থাকে না। উল্টো গাড়ির অপেক্ষায় অনেক ফেরি বিভিন্ন ঘাটপল্টুনে ভিড়ে থাকে। 

তবে প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে। পদ্মা সেতু চালু থাকায় এবারের ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে গাড়ির চাপ আগের মতো নেই। স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে। নৌ রুটে পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ, ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা, পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধসহ যাত্রীনিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কাজ করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। ঘাটে এসে কাউকে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না।

বিআইডাব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক (আরিচা অঞ্চল) মো. সেলিম শেখ বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে মোট ২০টি লঞ্চ সার্বক্ষণিক যাত্রী পারাপার করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার সহকারি মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ রুটে গড়ে চার হাজার গাড়ি ফেরি পারাপার হচ্ছে। পদ্মা সেতু চালু থাকায় এই নৌপথে যানবাহনেরর চাপ অনেকটা কমেছে। তবে, ঘরমুখো মানুষের বয়ে আনা অতিরিক্ত গাড়ির চাপ সামাল দিতে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি সার্বক্ষণিক চলাচল করছে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম কালের কণ্ঠ বলেন, ঈদের আগে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লঞ্চঘাট, ফেরিঘাট, বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। জেলা পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিকভাবে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নজরদারি করছেন।

মন্তব্য

খুলনায় ৬৮০ স্থানে ঈদের জামাত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুলনায় ৬৮০ স্থানে ঈদের জামাত
ছবি: কালের কণ্ঠ

খুলনায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় সার্কিট হাউজ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। এ জামাতে ইমামতি করবেন খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে সকাল ৯টা ও ১০টায়। 

দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে খুলনা টাউন জামে মসজিদে।

তবে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে অর্থাৎ ঝড়-বৃষ্টি হলে প্রথম জামাতও একই সময়ে (সকাল ৮টা) টাউট জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। 

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি
ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত বায়তুন নূর জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ২টি জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টায় এবং সকাল ৯টা অনুষ্ঠিত হবে এ দুইটি জামাত।

 

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় একটিমাত্র জামাত অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। খুলনা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সুপ্রাচীন আল-হেরা জামে মসজিদের তত্ত্বাবধানে প্রথমবারের মতো খুলনার জাতিসংঘ শিশু পার্কে সকাল সাড়ে ৭টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

নগরীর ফারাজীপাড়া রোডস্থ ময়লাপোতা মোড়ের বায়তুল আমান জামে মসজিদে দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া খুলনার ৬৮০টি ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে। এছাড়া কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারও রবিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে এটি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার রবিবার (৩০ মার্চ) সকালে সার্কিট হাউজ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত আয়োজনের প্রস্তুতি পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, নগরবাসী যাতে সুষ্ঠুভাবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতে নামাজ আদায় করতে পারে সেজন্য সার্কিট হাউজ মাঠ প্রস্তুতের কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১২টি মোবাইল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। নগরবাসী স্বচ্ছন্দে ও নিরাপত্তার সাথে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে পারবে বলে আশা করা যায়। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ