ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন দেখে ‘ঈদ উপহার’ নিয়ে প্রতিবন্ধী ওমরের বাড়িতে ইউএনও

সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন দেখে ‘ঈদ উপহার’ নিয়ে প্রতিবন্ধী ওমরের বাড়িতে ইউএনও

সম্প্রতি ‘আজান হলেই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মসজিদে যান প্রতিবন্ধী জাবেদ ওমর’ শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইন ও ডিজিটাল সংস্করণে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেই প্রতিবেদন দেখে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের দোশারীচোঁ গ্রামের প্রতিবন্ধী জাবেদ ওমরের বাড়িতে ঈদ উপহার নিয়ে যান লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা।

তবে এ সময় প্রতিবন্ধী জাবেদ ওমর বাড়িতে ছিলেন না। তিনি দোশারীচোঁ উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনে জোহরের আজানের অপেক্ষায় বসেছিলেন।

ইউএনও মসজিদের সামনে গিয়ে প্রতিবন্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়ে তাকে ঈদ উপহার দেন। 

প্রতিবন্ধী জাবেদ ওমরের বাবা জাফর আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন ক্ষুদ্র চা দোকানি। ৪ সন্তানের মধ্যে সবার বড় জাবেদ ওমর।

জন্ম থেকেই সে প্রতিবন্ধী। আমার ছেলে ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে পড়ে। আগে হামাগুড়ি দিয়ে চলত, এখন আস্তে আসতে হাঁটতেছে। ইউএনও স্যার ঈদ উপহার নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসেছেন।
স্যারকে ধন্যবাদ। আশা করি, সরকারি উপহারের খাদ্যে এবার আমাদের ঈদ ভালো কাটবে।’

লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, ‘কালের কণ্ঠের অনলাইন ও ডিজিটাল সংস্করণের প্রতিবেদন দেখে প্রতিবন্ধী জাবেদ ওমরের নাম-ঠিকানা জানতে পেরেছি। প্রতিবন্ধী হয়েও মসজিদে গিয়ে নিয়মিত জামায়াতে নামাজ পড়ার খবরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসিত হয়েছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামান্য ঈদ উপহার নিয়ে তার বাড়িতে এসেছি।

আগামীতে সরকারি সব সুবিধা তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করব।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ছাড়াও আমি বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার পৌঁছে দিয়েছি। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মেহেদী হাসান শুভর হাতে ঈদ উপহার হিসেবে নগদ অর্থ তুলে দিয়েছি।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত
ছবি: কালের কণ্ঠ

মুসলিম বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠ কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জেলার সবচেয়ে বড় ও প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন ঠাকুরগাঁও বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. খলিলুর রহমান।

এ সময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক, সামাজিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন এবং নামাজ শেষে ছোট বড় সবার মাঝে কুশল বিনিময় করেন।

আরো পড়ুন
মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

 

এ ছাড়াও জেলা আনসার ও ভিডিপি মাঠ, পুলিশ লাইন মাঠ, বিজিবি ক্যাম্প মাঠসহ সদর উপজেলায় ১০টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার অন্যান্য ৪ উপজেলায় উৎসব মুখর পরিবেশে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।

মন্তব্য

মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত

    ৬২৮ ইদগাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা প্রতিনিধি
শেয়ার
মাগুরায় নোমানী মায়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত
ছবি: কালের কণ্ঠ

মাগুরায় যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে জেলার ৪ উপজেলার ৩৬ ইউনিয়নের ৬২৮টি স্থানে ঈদ-উল-ফিতরের পবিত্র জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় শহরের নোমানী ময়দান মাঠে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জেলা জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা হাবিবুর রহমান সেখানে ঈদের নামাজ  পড়ান। এ সময় দেশ ও বিশ্বের শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।

আরো পড়ুন
ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার

ঈদে কারাবন্দিদের জন্য থাকছে যেসব খাবার

 

প্রধান এ জামাতে জেলা প্রশাসক মোহম্মদ অহিদুল ইসলাম, পৌর প্রশাসক ও মাগুরার অতিরিক্ত জেলা জেলা প্রশাসক আব্দুল কাদিরসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

এ ছাড়া শহরের হাজি আব্দুল হামিদ মাদরাসার মাঠ, শহরের পি টি আই, পারনান্দুয়ালী, নিজনান্দুয়ালী, মোল্লা পাড়া, পৌর কবরস্থান মাঠ, স্টেডিয়াম পাড়া, সদর উপজেলার ইছাখাদা দরগাহ মাঠসহ অন্য ৩ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
খুবির কেন্দ্রীয় মাঠে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা এবং ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ছবি : কালের কণ্ঠ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে প্রথমবারের মতো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের জামাত সোমবার(৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর ঈদের জামাত কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হলেও এবারই প্রথম ব্যাপক সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে কেন্দ্রীয় মাঠে ঈদ জামাত আয়োজন করা হয়।

জামাত শেষে দোয়ার পূর্বে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান এবং ঈদ জামাত উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান।

জামাতে ইমামতি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আব্দুল কুদ্দুস।

খুতবা শেষে দেশ, জাতি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা এবং ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য জামাতে অংশ নেওয়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মুসল্লিদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।

ঈদের জামাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, প্রভোস্ট, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্র, পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিগণ অংশগ্রহণ করেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি/যানবাহন পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি মুসল্লিদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের খানজাহান আলী হল ও খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রবেশদ্বার খোলা রাখা হয়।

ফলে ব্যাপক সংখ্যক লোকের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

ঐতিহ্যবাহী ময়দান গোর-এ-শহীদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঐতিহ্যবাহী ময়দান গোর-এ-শহীদ
ফাইল ছবি

দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় সাড়ে ২২ একর জমির এই ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়তে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মুসল্লি এসেছেন। 

ঈদ জামাতে ইমামতি করেন হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান। সম্পূর্ণ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে, ২০১৫ সালে মিনারটি নির্মাণ করা হয় মোগল স্থাপত্য শৈলীতে। মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট, ৫২টি গম্বুজ এবং ৩২টি খিলান রয়েছে।
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ