‘দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন’

বিশেষ প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি
শেয়ার
‘দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন’
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের চল্লিশ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপেও একাধিকবার তা প্রমাণিত হয়েছে। দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছেই। স্বল্পমূল্যে এ চিকিৎসা হওয়ায় মানুষ এই পদ্ধতির চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে হোমিওপ্যাথির জনক ডা.স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের ২৭০তম জন্মবার্ষিকী ও ‘হোমিওপ্যাথিক দিবস-২০২৫’ এর সাইন্টিফিক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে ‘ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টার’। 

বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক ডা. এম এ কাদেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন ইনো হোমিও ক্যান্সার সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক ডা. মো. রাশিদুল হক। এছাড়া চিকিৎসার নানা বিষয় তুলে ধরে আলোচনা করেন ডা. আরিফুর রহমান মোল্লা, ডা. নাজমুল হাসান জামসন ও ডা. শাহীন মাহমুদ।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম সোহেল ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম কবীর। 

আরো পড়ুন
শেরপুরে অটোরিক্সা চাপায় গৃহবধূ নিহত

শেরপুরে অটোরিক্সা চাপায় গৃহবধূ নিহত

 

ডা. রাশিদুল হক বলেন, বিকল্প পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। ১৭৯৬ সালে এর উদ্ভাবন করেন ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যান। রোগীকে অল্প ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলাই হোমিওপ্যাথির মূলমন্ত্র।

বাংলাদেশের মানুষ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারদের খুব সহজেই কাছে পাচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসা খরচ স্বল্পমূল্যে থাকার কারণে মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বেশি গ্রহণ করছেন। আমাদের দেশি এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের প্রায় পয়ত্রিশ থেকে চল্লিশ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছেন। সকল বয়সের মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। হোমিওপ্যাথি একটা পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা।

সকল বয়সের ও সকল রোগের জন্যই এটা উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা।

আলোচকরা আরও বলেন, ডাক্তারদের মধ্যে পেশাগত অহমিকা, লোভ, হিংসা ইত্যাদি ও মাল্টিন্যাশনাল ড্রাগ কোম্পানিগুলো হোমিওপ্যাথিকে তাদের স্বার্থের পরিপন্থী মনে করে ডা. স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের বিরুদ্ধাচরণ শুরু করে এবং বর্তমানেও তার ধারাবাহিকতা দৃশ্যমান রেখেছে। আগামী চিকিৎসা ব্যবস্থা হোক নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিসিডিপির আওতায় দেশের সব বিভাগীয় সদর ও পৌর এলাকায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। শহর এলাকার বিশেষ করে, ঢাকা শহরের তাপমাত্রা কমাতে সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অফিসকক্ষে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারির অগ্রগতিবিষয়ক এক বৈঠকে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

 

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বিসিডিপির মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় উপকূলের মানুষদের জন্য নিরাপদ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবেলায় কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, বিসিডিপির কর্মপন্থা প্রণয়নে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে।

যারা পরবর্তী পরিকল্পনা নির্ধারণ করবে। উপদেষ্টা আগামী জুলাই মাসের মধ্যে বিসিডিপির ওয়েবসাইটসহ কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ড. ফাহমিদা খানম এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভিনসহ এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

নির্বাচনের প্রয়োজনীয় কেনাকেটার সময়সীমা জানালেন ইসি সচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নির্বাচনের প্রয়োজনীয় কেনাকেটার সময়সীমা জানালেন ইসি সচিব

ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কাগজ কেনাকেটা ও মুদ্রণকাজ আগামী চার মাসের মধ্যে শেষ করার প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইসির প্রধান কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে এ কথা জানান ইসি সচিব।

বৈঠকে সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রী ছাপাতে কী পরিমাণ কাগজ লাগবে, বাজেট কত হতে পারে এবং কেনাকাটা থেকে মুদ্রণে কত সময় লাগবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।

ইসি সচিব জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি যেন পিছিয়ে না পরে সেজন্য কাজগুলো গুছিয়ে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, 'মূলত পেপার প্রকিউরমেন্ট থেকে প্রিন্টিং পর্যন্ত সময়সীমা কতটুকু লাগে। তারা বলেছেন যে, ৩-৪ মাস সময় লাগে। যেভাবে ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন হবে সেভাবে এগোবে। নির্বাচনের তারিখ বা নির্বাচনের শিডিউল সম্পর্কে যে সিদ্ধান্ত হবে, তখন যেন আমাদের ব্যাকওয়ার্ড ক্যালকুলেশন থাকে।

'

ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১ ধরনের ফরম, ১৭ ধরনের প্যাকেট, ৫ ধরনের পরিচয়পত্র, আচরণবিধি, প্রতীকের পোস্টার, নির্বাচন পরিচালনা ম্যানুয়াল, প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল, নির্দেশিকাসহ অনেক কিছু মুদ্রণ করতে হয়।

সভা প্রসঙ্গে আখতার আহমেদ বলেন, 'আসন্ন নির্বাচনে কাগজ কী পরিমাণ লাগে সে সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, এ সংক্রান্ত বাজেটের সংস্থানের ব্যাপার এবং আগের নির্বাচনের কিছু কাগজপত্র বিজি প্রেসে রয়েছে, সেগুলোর গুণগত মান নষ্ট হয়ে থাকলে ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।'

নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজটির বিষয়ে অগ্রগতি নিতে একটি কমিটিও করেছে ইসি সচিবালয়।
 

মন্তব্য

নতুন দপ্তরের দায়িত্বে বশিরউদ্দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নতুন দপ্তরের দায়িত্বে বশিরউদ্দিন
সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগের দুই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নতুন করে তাকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী খাইরুল এবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান

রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী খাইরুল এবার প্রধানমন্ত্রী হতে চান

 

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপন এই তথ্য জানিয়েছে। গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন বশিরউদ্দিন।

এর পর থেকে তিনি বাণিজ্য এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

আরো পড়ুন
ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

 

বশিরউদ্দিনকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টার হাতে এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অন্তর্বর্তী সরকারে দপ্তর পুনর্বণ্টন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অন্তর্বর্তী সরকারে দপ্তর পুনর্বণ্টন
ফাইল ছবি

দুই উপদেষ্টার দপ্তর পুনর্বণ্টন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি দপ্তর কমানো হয়েছে। তার দায়িত্বে থাকা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনকে।

উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হলো বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এদিকে এখন পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছে প্রধান উপদেষ্টা কাছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। সেদিন প্রধান উপদেষ্টাসহ ১৭ জন শপথ নিয়েছিলেন।

পরে গত ১৬ আগস্ট শপথ নেন চারজন। এরপর ১০ নভেম্বর নতুন তিনজন শপথ নেন। এর মধ্যে ছিলেন শেখ বশিরউদ্দীন। শপথ নেওয়ার পর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ