<p>যদি শিশুর দাঁত উঠে আসে, তবে তা পুনরায় ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়ার মানে হয় না। তবে স্থায়ী দাঁত পড়ে গেলে তা ডেন্টাল ইমার্জেন্সি হিসেবে গণ্য করা উচিত। অন্যান্য দাঁতের সমস্যা তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলেও দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যকর্তব্য। প্রি-স্কুল ও স্কুলবয়সী শিশুর দাঁত বেশির ভাগ সময় দুর্ঘটনাক্রমে পড়ে গিয়ে থাকে, কিন্তু বয়ঃসন্ধিকালে তা ঘটে খেলাধুলার সময়ে।</p> <p><strong>করণীয়</strong></p> <p>যখন কোনো অল্পবয়সী শিশু দাঁত বা মাড়ির ইনজুরিতে পড়ে তখন করণীয়—</p> <p>► ঠাণ্ডা পানিতে চুবানো গজ দিয়ে রক্তপাতের স্থান চেপে ধরা।</p> <p>   ► ফোলা কমানোর লক্ষ্যে বরফ প্যাক ব্যবহার।</p> <p>► ব্যথা উপশমে প্যারাসিটামল।</p> <p> </p> <p><strong>যদি স্থায়ী দাঁত ভেঙে যায় বা পড়ে যায়</strong></p> <p>► দাঁতের সব অংশ বা টুকরা জোগাড় করা।</p> <p>► ঈষদুষ্ণ গরম পানিতে কুলকুচি করানো।</p> <p>► ক্ষত স্থানে বরফ প্যাক দিয়ে চাপ।</p> <p>► দন্ত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা।</p> <p> </p> <p><strong>যদি স্থায়ী দাঁত পড়ে যায়</strong></p> <p>► সরাসরি দন্ত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া।</p> <p>► যাওয়ার আগে দাঁতের সব অংশ কুড়িয়ে নিয়ে যাওয়া।</p> <p>► ভাঙা দাঁতের গোড়া নয়, আগায় ধরে শিশুর দাঁতের গর্তে বসিয়ে দিয়ে, শিশুকে আঙুল দিয়ে তা ধরে রাখতে বলা ও অতিসত্বর ইমার্জেন্সিতে চলে যাওয়া।</p> <p>► দ্রুত নেওয়া সম্ভব না হলে দাঁত দুধে (ঠাণ্ডা পানিতে নয়) ডুবিয়ে নিয়ে যাওয়া।</p> <p>► শিশুকে গজ পিস বা রুমাল দিয়ে দাঁতে দাঁত দিয়ে রক্তপাতের স্থান চেপে রাখতে বলা।</p> <p> </p> <p><strong>প্রতিরোধব্যবস্থা</strong></p> <p>শিশুর দুর্ঘটনা এড়াতে খেলাধুলার সময় আঘাত পাওয়ার সম্ভাব্য সব ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে নজরদারিতে রাখা।</p> <p> </p> <p>এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন</p> <p><strong>প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</strong></p> <p>সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ</p> <p>চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p>