ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৬ মার্চ ২০২৫
২ চৈত্র ১৪৩১, ১৫ রমজান ১৪৪৬

গ্লকোমা, চোখের নীরব ঘাতক

শেয়ার
গ্লকোমা, চোখের নীরব ঘাতক
সংগৃহীত ছবি

গ্লুকোমা এক ধরনের চোখের রোগ। যা সাধারণত উপসর্গ ছাড়াই ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারানোর কারণ হয়ে থাকে। যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তবে এটি অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। প্রতিবছর ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস পালিত হয়।

যার উদ্দেশ্য গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

পুষ্টিবিদদের মতে, গ্লুকোমা রোগের ফলে চোখের অপটিক নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে থাকে। এই রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেতে কিছু খাবার খাওয়া যেতে পারে, যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

লাল রঙের সবজি
বিট, গাজর এবং টমেটোর মতো লাল রঙের সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে।

যা চোখের অপটিক নার্ভের ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এবং গ্লুকোমার ঝুঁকি কমায়।

শাক-সবজি
শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই কমে গেছে। তবে নিয়মিত শাক খাওয়া শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং গ্লুকোমা প্রতিরোধে সহায়ক।

বাদাম ও বীজ
বাদাম ও বীজে থাকা ভিটামিন-ই চোখকে ফ্রি রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

যা গ্লুকোমা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন বাদাম বা বীজ খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা ভালো।

ছোট মাছ
ছোট মাছ যেমন পুঁটি, মৌরলা, কাচকি মাছ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং গ্লুকোমা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

লিকার চা
লিকার চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এবং চোখের জন্য ভালো। নিয়মিত লিকার চা পান করা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

গ্লুকোমা থেকে বাঁচতে এই খাবারগুলো প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করুন এবং চোখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখুন।


সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

ডা. নাদিরা হক
ডা. নাদিরা হক
শেয়ার
স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়
সংগৃহীত ছবি

যেসব মায়েরা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান, রমজান মাস এলে তাদের বেশ চিন্তিত হতে দেখা যায়। রোজা রেখে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে কি না, শিশু পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাবে কি না, মা শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করবেন কি না—এমন প্রশ্নে তারা ঘুরপাক খান। কী করবেন, কী করবেন না, এমন চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে থাকেন।

চিকিৎসকদের পরামর্শ দিচ্ছেন, রোজা রেখে মা ও তার সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকলে রোজা না রাখাই ভালো।

ইসলামে এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি বা জোর-জবরদস্তি নেই। তবে ইচ্ছা করলে পরবর্তী সময়ে রোজাগুলো কাজা আদায় করা যাবে।

এ ছাড়া শিশুর বয়স ছয় মাসের কম হলে বা শিশুটি পুরোপুরি বুকের দুধের ওপর নির্ভরশীল হলে রোজা রাখা উচিত নয়। তবে শিশুর বয়স ছয় মাসের বেশি হলে, বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খেতে থাকলে, সে ক্ষেত্রে স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজা রাখতে তেমন সমস্যা নেই।

আরো পড়ুন
অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

 

জেনে রাখা দরকার

রোজা রেখে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ালে কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ, মা রোজা রাখলেও তার শরীর আগের মতোই দুধ উৎপন্ন করবে। রোজার কারণে মায়ের শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হলেও তা বুকের দুধের পরিমাণের ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না।

শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান- এমন মায়েদের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, দুধের পরিমাণ বিশেষ না কমলেও দুধের গঠন উপাদানের সামান্য পরিবর্তন হয়।

অর্থাৎ জিংক, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাসিয়ামের পরিমাণ সামান্য কমে যায়।

তবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে শিশু সহজে খাপ খাইয়ে নেয় এবং এতে শিশুটির বৃদ্ধি বা ওজনের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে, শিশুটি সঠিক পরিমাণে পুষ্টি না পেলে কিন্তু কান্নাকাটি করবে, তার প্রস্রাব কমে যাবে।

আরো পড়ুন
কাগজের কাপে চা-কফি খেলে কী ক্ষতি

কাগজের কাপে চা-কফি খেলে কী ক্ষতি

 

করণীয়

যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন, তারা যদি নিজের যত্ন সঠিকভাবে নেন, তবে রোজা রাখতে তেমন অসুবিধা নেই। বরং নিয়ম না মানলে নিজে অসুস্থ হওয়াসহ শিশুর স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব পড়বে।

রোজা রেখে শিশুকে দুধ পান করানো মায়েদের কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। যেমন—

  • স্তন্যদানকারী মায়েরা ইফতারের পর অল্প অল্প পানি পান করতে থাকুন। সাহরিতেও বেশি পানি পান করুন। এখন গরমের সময় বলে পানি পানে বেশি মনোযোগী হোন। কেননা বুকের দুধ উৎপাদনেও পানির চাহিদা অপরিসীম।
  • খাওয়ার পর চা বা কফি পান না করাই ভালো। এগুলো শরীরকে আরো বেশি পানিশূন্য করে ফেলে। একান্তই পান করতে চাইলে হালকা লিকারের রং চা পান করুন।
আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

 
  • স্তন্যদানকারী মায়েদের ইফতার হবে অন্যদের চেয়ে একটু আলাদা। তেলে ভাজা, পোড়া বা মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করুন। পরিবর্তে টাটকা ফলের রস, শরবত, পরিমিত ভাত, মাছ বা মাংস, ডিম, ডাল, সবজি ও সালাদ খান।
  • স্তন্যদানকারী মায়েরা অবশ্যই দৈনিক দুই গ্লাস দুধ পান করবেন। পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম, মাল্টিভিটামিন, মাল্টিমিনারেলসসমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।

সতর্কতা

রোজা রাখার পর কোনো কারণে মায়ের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে মায়ের শরীর খারাপ হতে পারে। পানিশূন্যতার লক্ষণগুলো হলো—অনেক পিপাসা লাগা, গাঢ় বর্ণের প্রস্রাব হওয়া, মাথা হালকা লাগা বা মাথা ঘোরা, ক্লান্তি লাগা বা শরীরে শক্তি না-থাকা, মুখ, চোখ ও ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা করা ইত্যাদি। এসব লক্ষণ দেখা দিলে মায়ের উচিত হবে সঙ্গে সঙ্গে পানি খেয়ে রোজা ভেঙে ফেলা। এ সময় স্যালাইন খেয়ে বিশ্রাম করতে হবে।

আরো পড়ুন
গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

 

অনেকেই ইফতারের পর রাতের খাবার খেতে চান না। অনেকে আবার আলসেমি করে সাহরিও বাদ দেন। স্তন্যদানকারী মায়েদের এসব করা মোটেও চলবে না। সাহরিতে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে, যেন শরীর পর্যাপ্ত ক্যালরি পায়।

লেখক : স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ

মন্তব্য

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া কোনো বিপদ নয়তো?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া কোনো বিপদ নয়তো?
সংগৃহীত ছবি

আমরা প্রায়ই রাতে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাই বা পানি খেতে উঠি। এরপর আবার ঘুমিয়েও পড়ি। কিন্তু এমনটাও দেখা যায় যে অনেকেরই প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। কখনো ভেবে দেখেছেন এর কারণ কী? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আবার ঘুমাতে না পারেন, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করা ঠিক না। কারণ এটি অনেক বড় রোগের লক্ষণ হতে পারে।

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। অনেক সময় রাতে টয়লেটে যাওয়ার কারণে বা তৃষ্ণার্ত বোধ করার কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

কখনো কখনো ভুল ভঙ্গি বা খারাপ স্বপ্নের কারণেও আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, যা স্বাভাবিক।

আরো পড়ুন
অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

 

কিন্তু যদি প্রতি রাতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তবে তা উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রতিদিন রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা অথবা ঘুম থেকে ওঠার পর আবার ঘুমাতে না পারা অনেক রোগের লক্ষণ হতে পারে।

রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে কেন

মায়ো ক্লিনিকের মতে, ঘুমের ব্যাঘাতের পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।

বার্ধক্যের কারণে ঘুমের চক্রও পরিবর্তিত হয়। কখনো কখনো ওষুধের কারণেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

মানসিক চাপ

প্রতি রাতে নিয়মিত যদি আপনার ঘুম ভেঙে যায়। আর ঘুম থেকে ওঠার পর যদি আপনি ঘুমাতে না পারেন, তাহলে এটি মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপের মধ্যে থাকার ফলে বিষণ্নতাও দেখা দিতে পারে।

যদি আপনার ঘুম প্রতিদিন ব্যাহত হয়, তাহলে এটিকে উপেক্ষা করবেন না। বরং একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন
কাগজের কাপে চা-কফি খেলে কী ক্ষতি

কাগজের কাপে চা-কফি খেলে কী ক্ষতি

 

লিভারের সমস্যা

রাতে যদি হঠাৎ গভীর ঘুম থেকে জেগে উঠেন, তাহলে এটি লিভার সম্পর্কিত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। যদি আপনার ঘুম প্রতিদিন ব্যাহত হয়, তাহলে আপনার এটিকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।

জার্নাল অব নেচার অ্যান্ড সায়েন্স অব স্লিপের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, রাতে হঠাৎ ঘুমের ব্যাঘাত লাইফ ড্যামেজের লক্ষণ হতে পারে।

এক্সপ্রেস ইউকে-এর উদ্ধৃতি অনুসারে, কানসাস সিটির ইন্টিগ্রেটিভ অ্যান্ড ফাংশনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং কাইরোপ্র্যাক্টর ডা. ব্রায়ান লুন পরামর্শ দেন, ভোর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে ঘুম থেকে ওঠার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো লিভারের সমস্যা।

আরো পড়ুন
বাতের ব্যথা কমাবে যে ভেষজ

বাতের ব্যথা কমাবে যে ভেষজ

 

তিনি ব্যাখ্যা করেন, রাত ১টা থেকে ৩টার মধ্যে লিভার আমাদের ঘুমের সময় শরীর পরিষ্কার এবং বিষমুক্ত করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করে। ডা. লুন আরো বলেন, যদি লিভার পরিষ্কারের সময় (ভোর ১টা থেকে ৪টা) চর্বি জমার কারণে আপনার লিভার ধীর ও স্থির থাকে, তাহলে শরীর বিষমুক্তির জন্য আরো শক্তি বরাদ্দ করার চেষ্টা করবে এবং আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে জাগিয়ে তুলবে।

ফুসফুস

যদি আপনার ঘুম প্রতিদিন রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে ভেঙে যায়, তাহলে এটি ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। যদি আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তাহলে তা উপেক্ষা করবেন না। বরং একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন
সম্পর্কের ভীত মজবুত হতে পারে যে তিন গুণে

সম্পর্কের ভীত মজবুত হতে পারে যে তিন গুণে

 

প্রতিবেদনটি শুধু সচেতন করার জন্য লেখা হয়েছে। এটি লেখার সময় ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অতিরিক্ত পেইনকিলার সেবনে স্বাস্থ্যের যে ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

সামান্য মাথা ব্যথা থেকে শুরু করে কোমরে বা হাতেপায়ে বাতের ব্যথাসহ নানা কারণে অনেকেই পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। অনেকের আবার এই অভ্যাস দীর্ঘদিনের। তবে সাময়িকভাবে ব্যথানাশক ওষুধ (পেইনকিলার) ক্ষতিকারক না হলেও দীর্ঘদিন সেবনে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে।

সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধগুলোকে এনএসএইডস এবং ওপিওয়েড—এই দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়।

স্বাস্থ্যঝুঁকি

ব্যথানাশক হিসেবে আইবুপ্রফেন, ন্যাপ্রক্সেন, ডাইক্লফেনাক— এই ওষুধগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে প্যারাসিটামলসহ কিছু ওষুধ ওটিসি হিসেবে স্বীকৃত। অর্থাৎ এ ধরনের ওষুধ কেনার জন্য কোনো রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না। তবে অতিরিক্ত ডোজে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে একাধারে দীর্ঘদিন এ ওষুধ সেবন করলে এর মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

 

তীব্র ব্যথার ক্ষেত্রে ওপিওয়েড ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এনএসএইডের তুলনায় এর ব্যবহার বেশ সীমিত বললেই চলে। এর কারণে ওপিয়েড আসক্তি, বিষণ্নতা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে করণীয়

গ্যাস্ট্রিক আলসারের ঝুঁকি এড়াতে ব্যথার ওষুধ খেতে হবে ভরা পেটে এবং খাওয়ার আগে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেতে হবে।

একই গ্রুপের দুটি ব্যথার ওষুধ একসঙ্গে বা একাধিক ডোজ খাওয়া উচিত নয়। এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়ে।

যেমন—দিনে প্যারাসিটামল ৫শ মিলিগ্রামের আটটি ট্যাবলেটের বেশি সেবনে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ ব্যবহারে বিশেষ সতর্ক হতে হবে।

আরো পড়ুন
নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

নতুন যে আপডেট নিয়ে আসছে টেলিগ্রাম

 

আগে থেকে কিডনি, লিভারের সমস্যা বা পেটে আলসার আছে কি না, ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।

এ ছাড়া রোগী নিয়মিত অন্য কোনো ওষুধ খায় কি না সেটাও জানা জরুরি।

মন্তব্য

ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেয় শরীরের যেসব অঙ্গে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিসের লক্ষণ দেখা দেয় শরীরের যেসব অঙ্গে
সংগৃহীত ছবি

বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরেই এমন রোগী আছে। ডায়াবেটিস হলে বারবার পানির পিপাসা, ঘন ঘন প্রস্রাব, ক্লান্তি, ঝাপসা দৃষ্টি ও অনিচ্ছাকৃত ওজন কমে যেতে পারে।

রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে এর প্রভাব পড়ে।

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি বেড়ে গেলে শরীরের ক্ষুদ্র রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বিভিন্ন অঙ্গে সহজে রক্ত পৌঁছাতে পারে না।

এ কারণে ডায়াবেটিস হলে শরীরের গুরুতর সব অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। চলুন, তবে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিসের কারণে শরীরের কোন কোন অঙ্গে কী কী প্রভাব পড়ে ও লক্ষণ দেখা দেয়—

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন

ডায়াবেটিক রোগীরা যেভাবে রোজা রাখবেন

 

চোখ

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে রেটিনার রক্তনালিগুলোতে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

এর ফলে ঝাপসা দৃষ্টি, ছানি, গ্লকোমা, এমনকি গুরুতর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিও হতে পারে।

রেটিনোপ্যাথির কারণে রেটিনার পরিবর্তন ঘটে। যদি এর সঠিক চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ডায়াবেটিক রোগীদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এমনকি তারা অন্ধত্ব বরণও করতে পারে।

পা

ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ ক্ষেত্রে স্নায়ুর ক্ষতি হয়। ফলে পায়ে সংবেদন অনুভব করতে পারে না। ডায়াবেটিসের কারণে পায়ে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। এর ফলে পায়ের বিভিন্ন ক্ষত সারানো কঠিন হয়ে পড়ে।

এর থেকেই ডায়াবেটিক ফুট বা ঘা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যদি ঘা বা সংক্রমণের চিকিৎসা করা না হয়, তাহলে অঙ্গচ্ছেদ পর্যন্ত হতে পারে।

আরো পড়ুন
স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

স্বাস্থ্যকর খাবারের নামে বিষ খাচ্ছেন না তো

 

কিডনি

কিডনি শরীরের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন ও বর্জ্য ফিল্টার করতে সাহায্য করে। কিডনিতে থাকা একাধিক ক্ষুদ্র রক্তনালি বিশেষ এই অঙ্গের কার্যকারিতায় সাহায্য করে।

রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার কারণে কিডনির রক্তনালিতেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এর থেকেই ডায়াবেটিক রোগীর কিডনির সমস্যা বাড়ে। যা ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি নামে পরিচিত।

এর উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে- প্রস্রাবে প্রোটিন, বারবার প্রস্রাবের বেগ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের অবনতি, পা, গোড়ালি, হাত ও চোখ ফুলে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বমি, ক্লান্তিসহ অনেক কিছু।

আরো পড়ুন
গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

গরমে লেবুপানি খেলে দূরে থাকবে যেসব রোগ

 

স্নায়ু

ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ও নেফ্রোপ্যাথির মতো উচ্চ রক্তে শর্করাও ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি নামক স্নায়ুর ক্ষতির কারণ হতে পারে।

এই অবস্থার কারণে অসাড়তা বা ব্যথা বা তাপমাত্রা অনুভব করার ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া জ্বালাপোড়া, তীক্ষ্ণ ব্যথা, স্পর্শে সংবেদনশীলতা ও গুরুতর পায়ের আলসার, সংক্রমণ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হার্ট

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হার্টের রক্তনালিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে স্ট্রোক ও হৃদরোগসহ কার্ডিওভাস্কুলার জটিলতার ঝুঁকিতে থাকে।

আরো পড়ুন
না ঘুমিয়ে একটানা কত দিন থাকা যায়

না ঘুমিয়ে একটানা কত দিন থাকা যায়

 

এ ছাড়া ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের উচ্চ রক্তচাপসহ হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে।

মাড়ি

মাড়ির রোগকে পিরিওডন্টাল রোগ বলে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মাড়িতে রক্তপ্রবাহ কমে যায় ও পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যায়। এ জন্য মাড়ি থেকে রক্তপাত ও প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাবেন যেভাবে

স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করার মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিসসহ দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে হবে।

আরো পড়ুন
নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

নারকেলের দুধে কী উপকার, জেনে খাচ্ছেন তো?

 

এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে হবে। এ জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এ ছাড়া ধূমপান ও অ্যালকোহল সেবন এড়াতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিয়মিত চেকআপ করানো ও ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ