<p>‘তিন দিনের বৃষ্টির লইগ্যা ঘরের বাইরে যাইতে পারি না। বেইন্নাকালে কিছু খাই নাই। একটু আগে কোলা (বিল) দিয়া কিছু কচুর লতি টোহাইছি, হেইয়া কুড়ি টাহায় বেইচ্চা দিছি। আইজ এ কুড়ি টাহা দিয়াই পেট চালামু। কয়েক দিন পেট ভইরা খাইতে পারি নাই। বসুন্ধরা আইজ আমার আহারের ব্যবস্থা কইররা দিছে। আল্লায় হেগো ভালো করবে। আমি আল্লার কাছে দুই হাত তুইল্লা মোনাজাতে দোয়া করমু।’ কথাগুলো বলছিলেন গলাচিপা পৌর এলাকার রাজিয়া বেগম। </p> <p>পেশায় তিনি একজন ভিক্ষুক। অন্যের বাড়ি থেকে যে খাবার দেয় তা দিয়েই দিন চলে। গলাচিপা পৌরসভার অন্যের ঘরের বারান্দায় থাকেন। বিধবা রাজিয়ার কোনো সন্তান না থাকায় কষ্টে দিন কাটছিল তার।<br />  <br /> গলাচিপা সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ চরখালী গ্রামের বিধবা রোকসনা বেগমের চার কন্যাসন্তান নিয়ে ভিক্ষা করে দিন চলে। ছোট একটি খুপরি ঘর তা-ও ঘূর্ণিঝড় রিমেলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ভিক্ষা করে কোনো মতে পেট চললেও খুপরি ঘর আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি। টানা বর্ষণে কন্যাসন্তানদের নিয়ে অন্যের ঘরের বারান্দায় আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় মিললেও খাবার জোটেনি তাদের।</p> <p>রোকসানা বলেন, ‘আইজ আমার ময়নাগুলার (মেয়েদের) মুহে ( মুখে) ভাত দিতে পারি নাই। আইজ আল্লায় নিজে আমার ধারে বসুন্ধরার সাহায্য পাডাইছে। এইডা আমার লইগ্যা নেয়ামিত। আমি এই মালিকের লইগ্যা দোয়া করি।’</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অসহায় দরিদ্রের  চাল, ডাল, তেল, আলু, চিনি, মরিচ, হলুদ, লবণ ও নগদ দুই হাজার টাকা দেওয়া হয়। নগদ অর্থ সহায়তা করেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল। খাদ্য সহায়তা বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা,  প্রভাষক বাদল চন্দ্র মিতে, বসুন্ধরা শুভসংঘ গলাচিপা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ান তালাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মলি, দপ্তর সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সদস্য সাদিক মাহমুদ প্রমুখ।</p>