<p>আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অন্যতম একটি সমস্যা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিমুনাফার লোভে সিন্ডিকেট প্রথার মাধ্যমে বাজারে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনে ভোক্তা পর্যায়ে চার-পাঁচ গুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনধারণ কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে।</p> <p>গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাসপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহজাহান ফরিদি। স্থানীয় একটি মসজিদে সার্বিক তত্ত্বাবধানের (খাদেম) দায়িত্ব পালন করেন। তার স্ত্রী মোমেনা আক্তার একটি ছাত্রাবাসে রান্নার কাজ করেন। এ কাজ করে দুজনই খুব স্বল্প টাকা পারিশ্রমিক পান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে স্বল্প উপার্জনে সন্তানসহ সাত সদস্যের পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন এ দম্পতি।</p> <p>তাদের এ দুরবস্থার কথা জানতে পেরে পাশে দাঁড়ায় বসুন্ধরা শুভসংঘ। সংগঠনটির উদ্যোগে খাদ্যসামগ্রীসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উপহার দেওয়া হয় অসচ্ছল এ পরিবারটিকে। </p> <p>রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় গোপালগঞ্জ জেলা শহরের পৌর মসজিদ এলাকায় শাহজাহান ফরিদি ও তার স্ত্রীর হাতে এ উপহার তুলে দেওয়া হয়। উপহারসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, লবণ, হলুদের গুঁড়া, শুকনা মরিচ, বিস্কুট, চিড়া, খাবার স্যালাইন, সাবানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘের পক্ষ থেকে সহায়তা পেয়ে শাহজাহান ফরিদি বলেন, ‘আল্লাহর ধারে দোয়া করি আল্লাহ যেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভালো করেন। আল্লাহ যেন তাগে (তাদের) সব্বাইরে হেফাজতে রাখেন।’</p> <p>এ সময় মোমেনা আক্তার আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘বাজারে জিনিসপাতির যে দাম, তার জন্যি (জন্য) পোলাপান কয়ডারে কত দিন ভালো কিছু খাওয়াতি পারি না। আপনারা যে খাবার দিলেন, এই দিয়ে আইজ ওগে (ওদের) ভালো তরকারি রাইন্ধে (রান্না করে) খাওয়াবো। আপনাগে দেয়া এই বাজার অনেক দিন  খাওয়া যাবেনে।’</p> <p>উপহারসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি বিল্টু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুজন দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক তূর্জ রহমান ও সমাজসেবা সম্পাদক অয়ন সাহা। </p> <p>এ সময় বিল্টু বিশ্বাস বলেন, 'দেশের প্রতিটি অসহায় মানুষের পাশে থাকার ব্রত নিয়ে আমাদের পথচলা। আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘের সদস্যরা সর্বদা দেশ ও মানুষের সেবক হয়ে কাজ করছি।'</p>