<p>জার্মানিতে অভিবাসীদের জন্য জার্মান ভাষা শেখা সব ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক না হলেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে এটি প্রয়োজনীয়। জার্মান ভাষা শিখতে গিয়ে অভিবাসীরা অনেকে নানা প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ছেন।</p> <p>শ্রীলঙ্কার বাস চালক দুলাজ মাধুশান জানান, তার কাছে বাস চালানোর নিজ দেশের অর্থাৎ শ্রীলঙ্কার লাইসেন্স রয়েছে। তা সত্ত্বেও ভাষাগত অদক্ষতার কারণে তিনি বার্লিনে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি করতে পারছেন না। তিনি ভেবেছিলেন জার্মানিতে কাজ পাওয়া সহজ হবে, কিন্তু বাস্তবে তা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পেশাগত প্রশিক্ষণের সঙ্গেও মধ্যম মানের জার্মান ভাষা শেখা প্রয়োজন। কিন্তু তিনি কোথায় ভাষা শিখতে পারবেন বা কিভাবে তার শ্রীলঙ্কান ড্রাইভিং লাইসেন্স জার্মানিতে বৈধতা পাবে, এ বিষয়ে তিনি স্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা পাননি। এ ব্যাপারে জানতে তিনি যখন বেফাওগে (বার্লিনের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট অপারেটর) অফিসে গেলেন, সেখানে ইংরেজিতে সঠিক তথ্য পাওয়া তার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এ বছরও মন্দার শঙ্কায় জার্মানি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/07/1728306188-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এ বছরও মন্দার শঙ্কায় জার্মানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/07/1432791" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তার আগে অ্যামাজন ওয়্যারহাউসে কাজ করার সময় মাধুশান দেখেছেন, সেখানে বেশির ভাগ কর্মীই ভারত, আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা এবং তারা ইংরেজিতে কথা বলেন। এ ধরনের কাজের ক্ষেত্রে জার্মান শেখার প্রয়োজন সেভাবে না থাকলেও পাবলিক পরিবহন চালানোর ক্ষেত্রে জার্মান ভাষা শেখা ছাড়া উপায় নেই।</p> <p>এই প্রসঙ্গে ভাষাবিদ ব্রিটা স্নাইডার বলেন, ‘জার্মানির অনেক কর্মস্থলে জার্মান ভাষা না জানলেও চাকুরি করা সম্ভব, যদি বহুভাষিক কর্মস্থল হয়। তবে সরকারিভাবে যে ভাষা কোর্সগুলো অফার করা হয়, সেগুলো এতটা দীর্ঘমেয়াদি যে বেশির ভাগ অভিবাসীর জন্য এগুলো শেষ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আবার অনেক সময় কাজের পাশাপাশি ভাষা শেখাও কষ্টসাধ্য।’</p> <p>আন্তর্জাতিক অভিবাসী নেটওয়ার্ক ‘ইন্টার নেশনের’ এক জরিপে দেখা গেছে, বিদেশি কর্মীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যগুলোর মধ্যে জার্মানি ৫৩টি দেশের মধ্যে ৫০তম স্থানে রয়েছে। অন্যদিকে ওইসিডির ২০২৩ সালের ‘ট্যালেন্ট অ্যাট্রাক্টিভনেস’ তালিকায় ৩৮টি দেশের মধ্যে জার্মানি ১৫তম স্থানে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলোর পেছনে রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে জার্মানি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/17/1726566020-f3ccdd27d2000e3f9255a7e3e2c48800.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মধ্য এশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে জার্মানি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/09/17/1426239" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এ ছাড়া রাজনৈতিক আলোচনায় অভিবাসীদের জন্য জার্মানিতে সমাজে অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলেও বাস্তবে দেশটি ধীরে ধীরে বহুভাষিক হয়ে উঠছে। জার্মানিতে দক্ষ শ্রমিকের ঘাটতি থাকায় দেশটিতে বহুভাষাভাষীর মানুষের সঙ্গে অন্য ভাষায় যোগাযোগ করতে পারা সময়োপযোগী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। স্নাইডার বলেন, ‘সামাজিক বাস্তবতা বহুভাষিক, যেখানে সব সময় জার্মান ভাষার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেই।’</p> <p>তবে মাইনজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বার্ন্ড মেয়ার বলেন, অন্তত হাসপাতালে জার্মান ভাষা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কেয়ারগিভারদের একে অপরের সঙ্গে, রোগীদের সঙ্গে এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। এ ছাড়া জার্মানির কর্মসংস্থান সংস্থাগুলো বর্তমানে তুর্কি ও রুশ ভাষভাষীদের নিয়োগ দিতে শুরু করেছে, যা বহুভাষিক সমাজ গড়ার দিকে একটি অগ্রগতি হিসেবে ধরা যায়।</p>