<p style="text-align:justify">গাইবান্ধায় ছবি এঁকে আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের স্মরণ করল শিশুশিল্পীরা। শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে গাইবান্ধা ক্যানভ্যাস আর্ট স্কুল চত্বরে বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আন্দোলনকালে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়ানোর দৃশ্য, স্বৈরাচারী দুঃশাসনের অবসানের দাবিতে জাতীয় পতাকা হাতে শিক্ষার্থীদের মিছিল, হেলিকপ্টার থেকে নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানোর দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলে সবাইকে অবাক করে দেয় তারা।</p> <p style="text-align:justify">শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহযোগিতায় এ প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ও খ বিভাগে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ক বিভাগে ইচ্ছামতো আঁকার সুযোগ দেওয়া হলেও অনেকেই খ বিভাগের বিষয়টিই বেছে নেয়। খ বিভাগের জন্য বিষয় নির্ধারণ করা হয় ‘মহান আগস্ট বিপ্লব’। দুই বিভাগে ৭০ জন শিশু-কিশোর অংশ নেয়।</p> <p style="text-align:justify">ক বিভাগে প্রথম হয়- মোছা. আয়েশা সিদ্দিকা, দ্বিতীয় জ্যোতির্ময়ী পোদ্দার রিতু, তৃতীয় সৌমিত্র দেব সাম্য, চতুর্থ আলিফা তাবাস্সুম জারামণি, পঞ্চম স্বপ্ননীলা দাস, ষষ্ঠ নিরুপমা রায়। খ বিভাগে রংপুরের শহীদ আবু সাঈদের বুক পেতে গুলি নেওয়ার ছবি এঁকে প্রথম হয় মাইশা তাবাসসুম বুশরা, দ্বিতীয় নুসরাত তাবাসসুম হুমাইরা, তৃতীয় তাসফিয়া সরকার জিম, চতুর্থ পরমা পারমিতা বর্ণ, পঞ্চম আবিদা আমিন।</p> <p style="text-align:justify">পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-বাচিক শিল্পী ও নাট্যজন শিরিন আকতার। এ সময় প্রথমেই শিল্পী মাজেদুল আবেদিন অপুকে শুভসংঘের বন্ধুরা ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানান।</p> <p style="text-align:justify">জেলা শুভসংঘের সভাপতি হুমায়ুন আহমদ বিপ্লবের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন-ক্যানভাস আর্ট স্কুলের পরিচালক শিল্পী শেখ মাজেদুল আবেদিন অপু, প্রতিযোগিতা উপপরিষদের আহ্বায়ক আহসানিয়া স্নিগ্ধা ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুন।</p> <p style="text-align:justify">শেখ মাজেদুল আবেদিন অপু বলেন, বাঙালি জাতির প্রকৃত ইতিহাস জানা এবং তা শিল্পকর্মে তুলে ধরার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতি গঠনে ও নতুন করে সংস্কারে যা ভূমিকা রাখবে।</p> <p style="text-align:justify">শিরিন আকতার বলেন, আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার ওপর যে নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা মানবতাবিবর্জিত। একজন আবু সাঈদ যখন তারুণ্যের প্রতীক হয়ে গুলির সামনে বুক পেতে দাঁড়ান, তখন সেটি আমাদের সবার প্রতিবাদের ভাষা হয়ে ওঠে।</p> <p style="text-align:justify">বসুন্ধরা গ্রুপের এমন কর্মকাণ্ডকে সব ক্ষেত্রে অনন্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুভসংঘের মাধ্যমে সংস্কৃতি, শিক্ষা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সারা দেশের হাজার হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছে। নারীরা বসুন্ধরার মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের কাজে আসছেন। </p> <p style="text-align:justify">তিনি আরো বলেন, ছোটদের এই চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে ইতিহাস সচেতন করে তোলার প্রয়াস অবশ্যই প্রশংসনীয় ।</p> <p style="text-align:justify">অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন- আলাদিন আলিফ, হৃদয় সরকার, লিজা সরকার, তাসিন মণি ও রুবাইয়া সরকার।</p>