বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের ফুলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ৩০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। ঘুড়ির সৌন্দর্য ও আকাশে নজরকারা দৃশ্যে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ ১০ সংগঠনকে ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে ফুলপুর গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম খেলার মাঠে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা। এই উৎসবে অংশ নেয় বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, ফুলপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজ, বন্ধু মহল, ভলান্টিায়ার ফর বাংলাদেশ, গ্রামাউস মডেল একাডেমি, ফুলপুর হেল্প জোনসহ প্রায় ৩০টি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
জানা যায়, প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
আকাশে আবু সাঈদ-মুগ্ধকে দেখে স্তব্ধ লক্ষাধিক মানুষ
ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সকাল ৯টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বর্ষবরণ শোভাযাত্রা, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাট্যমঞ্চ, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা, প্রশাসন চত্বরে বৈশাখী মেলাসহ জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিকেলে গোদারিয়া মিনি স্টেডিয়াম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যায় হরেক রকমের ঘুড়ি। বিভিন্ন রঙের ঘুড়ি দেখতে শত শত মানুষের আগমন। যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ।
আকাশের দিকে থাকালেই মনে হয় যেন শত শত পাখি আকাশজুড়ে উড়ছে। ফুলপুর খেলার মাঠে ঘুড়ি প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ফুলপুর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার পরিতোষ সূত্রধর, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশিষ কর্মকার, ক্রীড়া সংগঠক নজরুল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম সোহেল প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুলপুর উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের সাধারণ সম্পাদক নিশিত সরকার মিঠু, ফাতেমা আক্তার, শুভসংঘের সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক কবি বিল্লাল হোসেন, ইকবাল হোসেন। বিচারকরা ১০টি সংগঠনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
বিজয়ীরা হলেন এ বি এম আরিফুল ইসলাম, বসুন্ধরা শুভসংঘ, আমাদের ফুলপুর, আমাদের ঐতিহ্য, উপজেলা ছাত্রদল, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, ফুলপুর হেল্পজোন। ঘুড়ি উৎসবে বিজয়ীদের আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুরস্কার দেওয়া হবে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের সভাপতি জিয়াউর রহমান পান্না বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি সবাই প্রশংসা করছেন। এ সংগঠন মানবিক কাজের পাশাপাশি গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরে পেতে কাজ করে সব সময়।’
ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঘুড়ি উৎসবকে মাতিয়ে তুলতে বসুন্ধরা শুভসংঘসহ সব সংগঠনের অনেক সহযোগিতা পেয়েছি।
ফুলপুর উপজেলার মানুষের আন্তরিকতায় এ নববর্ষ উপলক্ষে অন্য রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারলাম। দুই দিন ধরে চলবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি।’