ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল ২০২৫
২৭ চৈত্র ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৬
বিবিবি বাংলার প্রতিবেদন

আন্তর্জাতিক তারকা এখন পাড়ার ক্রিকেটার; খ্যাপ খেলে বেড়ান দেশজুড়ে!

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্তর্জাতিক তারকা এখন পাড়ার ক্রিকেটার; খ্যাপ খেলে বেড়ান দেশজুড়ে!

একসময় যাকে 'টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট' বলা হতো, তিনি বহুদিন ধরে জাতীয় দলের রাডারে নেই। মাঠের বাইরে নানা বিতর্কিত ঘটনা ঘটিয়ে ক্যারিয়ারের বারোটা বাজিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাফল্যের ইতিহাস থাকলেও চলতি নিউজিল্যান্ড সফরেও তার সুযোগ হয়নি। সেই সাব্বির রহমান এখন পাড়ার ক্রিকেট খেলেন।

সারা দেশে 'খ্যাপ' খেলে বেড়ান! সাব্বির বাংলাদেশের হয়ে দুটো ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেছেন। তবে তাকে নিয়ে কখনোই নিশ্চিন্ত থাকতে পারেননি নির্বাচকরা।

সাব্বির রহমান জাতীয় দলে নেই ১৬ মাস ধরে। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের সর্বশেষ সফরে  তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সাব্বির রহমানের একটি ১০২ ও ৪৩ রানের ইনিংস আছে।

নিউজিল্যান্ডে দলে না থাকার আক্ষেপের কথা জানিয়ে সাব্বির বলেন, 'ক্রিকেট জীবনে আমি সব খেলাই মিস করছি, যতদিন পর্যন্ত ম্যাচ খেলতে পারছি না। খারাপ করেছি টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু বাদ পড়েছি সব দল থেকে। এখানে একটা ভুল বোঝাবোঝির জায়গাও থাকতে পারে।'

বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় টুর্নামেন্ট খেলে বেড়াচ্ছে সাব্বির।

এখন পর্যন্ত সোনারগাঁও, মাগুরা ও ময়মনসিংহে তাকে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা গেছে। সাব্বিরের ব্যাখ্যা, 'আমার সব উইকেটে খেলতে হয়, কখনো খেলছি সোনারগাঁও, মাগুরা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশের সব উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার। আমি এভাবে চিন্তা করি যে, আমি আবার ছোট থেকে বড় হচ্ছি। আমি যতই একা একা অনুশীলন করি, তাতে লাভ নেই আমাকে ম্যাচে থাকতে হবে।'

২০২০ সালে কোভিড সংক্রান্ত বিরতির পরে সাব্বির যখন শেষ পেশাদার ক্রিকেট ম্যাচ খেলেন, সেই প্রেসিডেন্টস কাপে ৫ ম্যাচে মোট রান করেন ৩৯ এবং বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে ৭ ম্যাচে করেন ১০৬ রান।

অথচ, এই সাব্বির যখন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আসেন তখন তাকে ঘিরে ছিল অনেক প্রত্যাশা। বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্জাইজ ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম আবিষ্কার এই সাব্বির রহমান। ভক্তরা ও বিশ্লেষকরা সাব্বির রহমানকে 'টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ' বলে আখ্যা দেন।

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান যুগের সেরা স্পিনার নাথান লায়ন বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসে, সাব্বির রহমানের ব্যাটিং স্টাইল দেখে বিরাট কোহলির সাথে তুলনা করেছিলেন। ২০১৬ সালে ঢাকায় টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে সাব্বির ছিলেন ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট।যেখানে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, তিলেকরত্নে দিলশান, শোয়েব মালিক, শহীদ আফ্রিদির মতো খেলোয়াড়দের মধ্যে সাব্বির হন মূল পর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। সাব্বির নিজেও স্বীকার করেছেন, ৪-৫ বছর আগের সাব্বির ও এখনকার সাব্বিরের মধ্যে অনেক পার্থক্য।

শ্রীলঙ্কার সাথে ২০১৯ সালের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি সাব্বির রহমানের শেষ ওয়ানডে আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামা। সেই সিরিজে সাব্বির প্রথম ম্যাচে ৬০ রান করেন। আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের সাথে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোনো সাফল্য পাননি। রান করেন ২৪,০,১৩,১৫ ও ১! সাব্বির বলেন, 'আমার যখন ২১-২২ বছর বয়স, মানসিকতা অন্যরকম ছিল। আমি সবসময় চেষ্টা একটাই করি যাতে বলের চেয়ে রান বেশি থাকে। যখনই মাঠে নামি, স্কোরকার্ডের দিকে তাকিয়ে দেখি বলের চেয়ে রান বেশি কিনা। এটা আমাকে তৃপ্তি দেয়।'

২০১৯ বিশ্বকাপের আগে সাব্বির রহমান সম্পর্কে নির্বাচকরা বলেন সাব্বির রহমান থাকা মানে ব্যাটিং অর্ডারের সাত নম্বর জায়গা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা। তবে মাঠের বাইরের নানা ঘটনায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সাব্বির রহমান। নানা সময়ে সাব্বির নিষিদ্ধও হয়েছেন। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতেও সাব্বির রহমানকে তৎকালীন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুরোধে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু ২০১৯ বিশ্বকাপের পরেই দুটো সিরিজ খেলার পর সাব্বিরকে আর জাতীয় দলে বিবেচনায় আনা হয়নি।

বাংলাদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষক এম এম কায়সার মনে করেন, সাব্বির রহমানের নিজের একাগ্রতার কমতি আছে ঠিকই, তবে পুরো দায়টা সাব্বিরের নয়। তিনি বলেন, 'যাদের মনে করা হয় ভবিষ্যৎ আইকনিক ক্রিকেটার, তাদের ধরে রাখার জন্য, খেয়াল রাখার জন্যই কোচ রাখা হয়। তাহলে আর পাড়ার ক্রিকেটে খেলতে হয় না সাব্বিরদের। ভারতের পৃথ্বী শকেই দেখুন। আপনি দেখেন অস্ট্রেলিয়ায় ব্যর্থ হওয়ার পর, স্থানীয় কোচরা তার সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করেছে। এখন ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু শ তার আসল রূপ ফিরে পেয়েছে।' তবে সাব্বিরের বিশ্বাস, তিনি নিজেকে প্রমাণ করে আবারও জাতীয় দলে ফিরতে পারবেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ

মেসি-জাদুতে ঐতিহাসিক জয়, সেমিতে মায়ামি

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
মেসি-জাদুতে ঐতিহাসিক জয়, সেমিতে মায়ামি
জোড়া গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তোলেন লিওনেল মেসি। ছবি : মায়ামি ফেসবুক পেজ

লিওনেল মেসির জাদু এখনো শেষ হয়নি। তার কিংবদন্তি ক্যারিয়ারের এই পর্যায়েও তিনি মাঠে জাদুকরী ও মহাকাব্যিক মুহূর্ত উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। 

বুধবার রাতে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির বিপক্ষে জোড়া গোল করে ইন্টার মিয়ামিকে ৩-২ গোলে জয় এনে দিলেন আর্জেন্টাইন এই সুপারস্টার। প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা মায়ামি এবার ৩-১ গোলে জিতে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কাটে।

প্রথম লেগে ১ গোলে পিছিয়ে থাকা মায়ামির জন্য ঘরের মাঠে জয় ছিল অপরিহার্য। কিন্তু দ্বিতীয় লেগের ৯ মিনিটে আরেকটি গোল খেয়ে বসলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে মেসিরা। পিছিয়ে পড়া মায়ামির হয়ে ৩৫ মিনিটে প্রথম গোলটি করেন মেসি।  ৬১ মিনিটেনোয়াহ অ্যালেনের গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি।

দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ সমতা থাকলেও অ্যাওয়ে গোলের নিয়মের কারণে তখনো কার্যত এগিয়ে ছিল এলএএফসি। এমন সময়েপরে ৬৭তম মিনিটে লুইস সুয়ারেজের হেডে গোল হলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়।

৮২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের হ্যান্ডবলে পেনাল্টি পেয়ে যায় মায়ামি। মেসি ঠান্ডা মাথায় গোলটি করে দলকে সেমিফাইনালে পৌঁছে দেয়।

আর তাতেই প্রথমবার কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের সেমিফাইনালে খেলবে ইন্টার মায়ামি।

ম্যাচ জয়ের পর এক প্রতিক্রিয়ার মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেন, ‘মেসি শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি এই দলের প্রাণ। ফুটবল ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ এই খেলোয়াড় এখনও প্রতিটি ম্যাচে নতুন রেকর্ড গড়ে চলেছেন। আজ তিনি আবারও প্রমাণ করলেন কেন তিনি সেরা।’

এই জয়ে মেসি ও তার দল এখন আরেকটি ট্রফির থেকে মাত্র তিন ম্যাচ দূরে।

সেমিফাইনালে মায়ামি মুখোমুখি হবে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপস বা মেক্সিকোর পুমাসের। 

মন্তব্য

টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
ছবি : আইসিসি

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতে বসবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরবর্তী আসর। আট দলের এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বাছাই পর্ব খেলতে হচ্ছে বাংলাদশকে। পাকিস্তানে গতকাল শুরু হয়েছে এই বাছাই পর্ব। ছয় দলের প্রতিযোগিতায় আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবেন নিগার সুলতানা, ফারজানা হকরা।

প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ডের মেয়েরা।

ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায়।

লিগ পদ্ধতিতে হওয়া এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল একবার করে মুখোমুখি হবে।

সেই হিসাবে পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে অন্তত চারটি জয়ের লক্ষ্য নিয়ে দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা।

প্রথম ম্যাচের প্রতিপক্ষ নিজেদের তুলনায় দুর্বল হওয়ায় জয় ভিন্ন কোনো ভাবনা নেই নিগারদের। তবে ওয়ানডেতে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশ দলের। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে সাতবার।

সেখানে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিগারদের দখলে।

এই টুর্নামেন্টে নামার আগে দুটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে পাওয়া জয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আজ থাইল্যান্ডের বিপক্ষে একই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান মেয়েরা।

মন্তব্য
চ্যাম্পিয়নস লিগ

ডর্টমুন্ডকে বিধ্বস্ত করে সেমির দুয়ারে বার্সেলোনা, ফ্লিকের রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
ডর্টমুন্ডকে বিধ্বস্ত করে সেমির দুয়ারে বার্সেলোনা, ফ্লিকের রেকর্ড
এক গোলের পাশাপাশি জোড়া এসিস্ট করেন রাফিনিয়া। ছবি : বার্সেলোনা ওয়েবসাইট

এই বছরের অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত রেখেছে বার্সেলোনা। গত রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগে জার্মান ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্টকে উড়িয়ে দিয়েছে কাতালানরা। বার্সার সামনে দাঁড়াতেই পারেনি গত বারের রানার্সআপরা। এই জয়ে অ্যাওয়ে ম্যাচ হাতে রেখেই সেমিফাইনালের এক পা দিয়ে রাখল হ্যান্সি ফ্রিকের শিষ্যরা।

চ‍্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে কোনোরকমে এক গোল হজম করে ঠেকিয়ে রাখলেও, দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বরুশিয়া। জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানদোস্কি। একটি করে গোল করেছেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।

১

এই বছর ২৩ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত হারেনি বার্সেলোনা। ৪টি ড্রয়ের বিপরীতে পেয়েছে ১৯ জয়। টানা ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থেকে বার্সার হয়ে পঞ্জিকাবর্ষে টানা অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়লেন জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক। ২০১৬ সালে লুইস এনরিকের অধীনে বার্সা অপরাজিত ছিল ২২ ম্যাচ।

সেটি ছাড়িয়ে এবার ২৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নতুন কীর্তি গড়লেন ফ্লিক।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই ডর্টমুন্ডের রক্ষণে চাপ শুরু করে বার্সেলোনা। পঞ্চম মিনিটে প্রথম বড় সুযোগ তৈরি করে বার্সেলোনা। সে যাত্রায় ডর্টমুন্ডকে গোল খাওয়া থেকে বাঁচিয়ে দেন বরুশিয়া গোলরক্ষক গ্রেগর কোবেল। ২ মিনিট পর লেভানদোস্কিকেও গোলবঞ্চিত করেন এই গোালরক্ষক।

 শুরুর ঝড় সামলে ডর্টমুন্ড প্রথম আক্রমনে উঠে ম্যাচের ১৪ তম মিনিটে। যদিও তা বার্সাকে দুশ্চিন্তায় ফেলার মতো ছিল না।

২৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ফ্রি কিকে ইনিগো মার্তিনেসের হেডে বল পেয়ে যান পাউ কুবারসি। কুবারসির বাড়ানো বলটি জালে জড়িয়েই যেত। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে গোল নিজের করে নেন রাফিনিয়া। এই গোলে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা রাফিনিয়া। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের এটি ১২তম গোল।

৩৬ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু অল্পের জন্য পাওয়া হয়নি গোল। ৪০ মিনিটে ফের কাছাকাছি গিয়ে গোলবঞ্চিত হয় ডর্টমুন্ড।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব‍্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সেলোনা। ইয়ামালের ক্রসে রাফিনিয়ার হেড লক্ষ্যে না থাকলেও আরেকটি হেডে গোল করেন লেভানদোস্কি।দুই গোল হজমের পর যেন আরও রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে ডর্টমুন্ড।  একের পর এক আক্রমণে ভীতি ছড়াতে থাকে বার্সেলোনা। ৬৬ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেভা। এটি চলতি মৌসুমে তার ৪০তম গোল। এরপর দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করে দলের ৪-০ গোলের জয় নিশ্চিত করেন ইয়ামাল।

৮৯তম মিনিটে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় ডর্টমুন্ড। কিন্তু অফসাইডের জন‍্য মেলেনি গোল। 

আগামী ১৫ এপ্রিল ডর্টমুন্ডের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।

মন্তব্য

মন্টে কার্লোতে হতাশাজনক পরাজয়ে অপেক্ষা বাড়ল জোকোভিচের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মন্টে কার্লোতে হতাশাজনক পরাজয়ে অপেক্ষা বাড়ল জোকোভিচের

মন্টে কার্লো মাস্টার্সের প্রথম রাউন্ডেই চিলির আলেহান্দ্রো তাবিলোর কাছে অপ্রত্যাশিত হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। এই হারে তার ১০০তম এটিপি একক শিরোপার অপেক্ষা আরো দীর্ঘায়িত হলো।

৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ মাত্র ১৮টি উইনার শটের বিপরীতে ২৯টি আনফোর্সড এরর করেন, যা তাকে ৬-৩, ৬-৪ সেটে পরাজয়ের দিকে ঠেলে দেয়। এটি তার ক্লে কোর্ট মৌসুমের জন্য একটি হতাশাব্যঞ্জক শুরু।

 

ক্লে কোর্টে গত ১০ ম্যাচ জয়লাভের ধারাবাহিকতা ভেঙে দিলেন তাবিলো, যিনি গত বছর ইতালিয়ান ওপেনেও জোকোভিচকে হারিয়েছিলেন।

বিদায়ের পর হতাশ জোকোভিচ বলেন, ‘কমপক্ষে একটি ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিলাম, কিন্তু এটা ছিল একেবারেই ভয়াবহ। এত খারাপ খেলার কথা ভাবিনি। এইভাবে হেরে যাওয়ার অনুভূতি খুবই কষ্টদায়ক, দর্শকদের জন্য আমি দুঃখিত।

অন্য ম্যাচে আর্জেন্টিনার ফ্রান্সিসকো সেরুন্ডোলোর বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও ৩-৬, ৬-০, ৬-১ সেটে জয়ী হয়ে তৃতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছেন স্প্যানিশ তারকা কার্লোস আলকারাজ। এটি ছিল আলকারাজের এই মৌসুমের প্রথম ক্লে কোর্ট ম্যাচ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ