<p>আরেকটি হতাশার ম্যাচ শেষ করার পথে ছিল ব্রাজিল। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে তা হতে দেননি লুইস হেনরিক। সুপার সাব হয়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ২-১ গোলের জয় এনে দিয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে চিলির হৃদয় ভেঙে দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী উইঙ্গার।</p> <p>নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার তখন এক মিনিট বাকি ছিল। ঠিক ওই সময়েই চিলির দুই একজন খেলোয়াড়কে বক্সের মধ্যে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ে শট নেন হেনরিক। তার বাঁকানো শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি চিলির গোলরক্ষক ব্রায়ান কোর্তেস। নিজের ডান দিকে বলকে জালে জড়াতে দেখলেন তিনি। এতে চিলির পরাজয়ও নিশ্চিত হয়। ঘরের সমর্থকেরা শুরুতেই যে খুশি নিয়ে ম্যাচ দেখতে বসেছিলেন তা ম্যাচ শেষে হতাশায় পরিণত হয়।</p> <p>অথচ, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সময়টা ভালো না যাওয়া ব্রাজিলকে শুরুতেই পেছনে ফেলেছিল চিলি। স্তাদিও ন্যাসিওনাল হুলিও মার্টিনেজ প্রাদানোসে দর্শকেরা ঠিকমতো হয়তো নিজেদের আসনে বসতেই পারেনি তার আগেই উদযাপনে মেতে ওঠে চিলি। ২ মিনিটের মাথায় দলকে লিড এনে দেন এদুয়ার্দো ভার্গাস। ডান প্রান্ত থেকে ফেলিপে লয়োলা বক্সের মধ্যে ক্রস করলে হেডে বলকে জালে জড়িয়ে দেন চিলির ফরোয়ার্ড। ম্যাচের প্রথম ক্রসেই গোল পেয়ে তখন চনমনো স্বাগতিকেরা।</p> <p><br /> অন্যদিকে হতাশ ব্রাজিলের খেলোয়াড়েরা। গোল শোধে মরিয়া হয়েও ম্যাচে তেমন কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারছিলেন না রদ্রিগো-রাফিনিয়ারা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে যখন বিরতিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ব্রাজিল ঠিক তখনই দুর্দান্ত এক ক্রস করেন সাভিনিও। ম্যানচেস্টার সিটির উইঙ্গারের ক্রসে দারুণভাবে মাথাটা ছুঁয়ে দেন ইগর জেসুস। প্রর্থমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই দলের নায়ক বনে যান তিনি। যদিও পরে পার্শ্বনায়ক হয়ে থাকতে হয় তাকে। </p> <p>দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে ব্রাজিলকে মাহিন্দ্রক্ষণ এনে দেন হেনরিক। ৬৮ মিনিটে বদলি নেমে দলের সুপার সাব হন। রোমাঞ্চকর জয়ে পয়েন্ট তালিকায় নিজেদের অবস্থানও ভালো করে নেয় সেলেসাওরা। ৯ ম্যাচ শেষে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা চারে। সমান ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ভোরে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা আর্জেন্টিনা।</p>